নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০১ পিএম, ১০ অগাস্ট, ২০১৯
ঈদ-পার্বণের অন্যতম অনুসঙ্গ বাড়তি রান্না আর অতিথি আপ্যায়ন। তাই স্বাভাবিকভাবেই রান্নাঘরের কাজের চাপটা বেড়ে যায়। বাঙালি সমাজে রান্নাঘরটা মোটামুটি গৃহিণীরাই সামাল দেন। তবে ঈদ-পার্বণে মা, স্ত্রী বা আপনজনের সাহায্যে এগিয়ে আসেন অনেকেই। সালাদ কাটা, ফল কাটা, আদা রসুন পেয়াজ কাটা এসবের মাঝে উৎসবের আমেজ খুঁজে পান একশ্রেণীর মানুষ। আবার ঈদ এলে বিশেষত কোরবানী ঈদে একধাপ এগিয়ে গোশত কাটতেও দ্বিধা করেন না উৎসবপ্রিয় বাঙালিরা। অতীতে এই কাটাকাটি দা ও বটিনির্ভর হলেও যুগের পরিবর্তনে রান্নাঘরে ঠাঁই করে নিয়েছে অনেক রকম ছুরি। তবে সাবধানতা অবলম্বন না করলে এই ছুরি চালাতে গিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত বিড়ম্বনা এমনকি মারাত্নক কোনো দুর্ঘটনা ঘটে। বিশেষত বছরের একটি মাত্র দিনে নিজ হাতে মাংস কেটে এবং অন্যদের বিলিয়ে যারা ধর্মীয়ভাবে তৃপ্ত হতে চান তাদের ক্ষেত্রে এই সতর্কতা বেশি প্রয়োজন। আবার একটি ছুরি দিয়ে যারা ঘরের সব কাজ করতে চান, তাদের জীবনেও বিপদ হানা দিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের জরুরি বিভাগের তথ্যমতে প্রতি দুইহাজার আমেরিকানের মধ্যে দৈনিক তিনজনেরও বেশি রান্নাঘরের ছুরি ব্যবহারের সময়ে দুর্ঘটনা ঘটান। জরুরি বিভাগে ছুরি ব্যবহারজনিত চিকিৎসায় আগতদের মধ্যে ৯৪% ই গভীরভাবে (Deep cut) আঙুলে কাটা নিয়ে আসেন। ছোট ছুরিতে ৪৭%, রান্নাঘরের বড় ছুরিতে ৩৬% এবং অন্যান্য ধরনের ছুরিতে ১৭% দুর্ঘটনা ঘটে। (সূত্র: জার্নাল অব ইমার্জেন্সি মেডিসিন ৪৫(৪) জুলাই, ২০১৩)
অন্যদিকে বাণিজ্যিক সংস্থা ফিঙ্গার কাট কিট মতে ঘরের কাজে দুর্ঘটনার অধিকাংশই ঘটে আঙুল দিয়ে। প্রতিবছর প্রায় ২ কোটি মানুষ ছুরি নিয়ে কাজ করার সময়ে আঙুল কাটে এবং রক্ত বন্ধ করতে না পারলে চিকিৎসকের কাছে যায়। সুতরাং ছুরি দিয়ে কাটাকাটির সময় সাবধানতার বিকল্প নেই।
সব ছুরি সব কাজের জন্য নয়
বাঙালি সমাজে ছুরির সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে সেই ছোটবেলাতে। বিশেষত গ্রামে কাচা আমের মৌসুমে একটা ছুরি কিনতে পারা ছিল পরম পাওয়া। আগে ছোট ছোট ছুরি পাওয়া যেত যেগুলো ভাঁজ করে পকেটে রাখা যেত। পরে নানা আকৃতির ছুরিতে বাজার ছেয়ে যায়। তবে ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, সুদূর প্রাচীনকালে মানুষ জীবনরক্ষা , ফসল কাটা, পশুহত্যা, মাছ শিকার এবং যুদ্ধের জন্য ছুরি ব্যবহার করত। পরে খেলাধুলায় ছুরি নিক্ষেপ সংযোজিত হয়। শিল্পবিকাশের সঙ্গে ছুরি একটি টুল বা মেরামত সামগ্রী হিসেবে সমাদৃত হয়। জাতিগত ও ধর্মীয় ঐতিহ্যে ছুরির দৃঢ় অবস্থান রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সালতানাত অব ওমানের জাতীয় নিদর্শনে রয়েছে একজোড়া ছুরি। শিখ ধর্মের ৫টি স্তম্ভের একটি হলো ‘কিরপান’ নামের এক ধরনের ছুরি। নেপালের ঐতিহ্যে ‘কুকরি’ নামের ছুরির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ছুরি নিয়ে গল্প, উপন্যাস, প্রবাদ, কুসংস্কার , ধর্মীয় উন্মাদনার কমতি নেই। তবে সবকিছুকে পেছনে ফেলে বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে রান্নাঘরে ব্যবহৃত নানারকম ছুরি, যা কিচেন নাইফ হিসেবে সমাদৃত। উইকিপিডিয়াতে শুধু রান্নাঘরে ব্যবহৃত হয় এমন ১৩ ধরনের ছুরির বর্ণনা রয়েছে। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন কাজের জন্য প্রায় ২০ ধরনের কিচেন নাইফ বাজারজাত করে। যেমন- মাংস কাটা, মাছ কাটা, কেক/ব্রেড কাটা, চিজ কাটা, ফলের খোসা ছাড়ানো, সালাদ ও ফুল বাগান প্রভৃতির জন্য বিশেষ বিশেষ ছুরি। তবে মনে রাখা দরকার, সব ছুরি কাজের জন্য নয়। তাই জানা দরকার কোন কাজে কোন ছুরি ব্যবহার করতে হবে।
ছুরিজনিত দুর্ঘটনার মূল কারণ
১. কাজ করার সময় বিপরীত দিকে থেকে নিজের দিকে ছুরি চালানো বা টেনে আনা।
২. ধারবিহীন বা কম ধারের ছুরি ব্যবহার করা।
৩. ছুরির শক্তি বা সাধ্যের বাইরে কোনোকিছু কাটার প্রচেষ্টা।
৪. ছুরি সংরক্ষণ বা তুলে রাখার ক্ষেত্রে অসতর্কতা।
৫. উঁচু জায়গা থেকে পড়ে যাওয়ার সময় ছুরি ক্যাচ ধরার চেষ্টা।
৬. ছুরি নিয়ে কাজ করার সময় অমনোযোগী হওয়া। বিশেষত মোবাইল, টিভি ইত্যাদির পর্দায় চোখ রাখা।
৭. একই ছুরি দিয়ে সব ধরনের কাজ করার চেষ্টা।
৮. ছুরির উপযুক্ততা বা দক্ষতার বদলে শারীরিক শক্তি দিয়ে কোনোকিছু কাটার চেষ্টা।
৯. পানিতে ডুবানো, ড্রয়ারে রাখা বা ব্যাগে অন্যান্য সামগ্রীর সঙ্গে বহনকৃত ছুরি বের করার সময় অসতর্কতা বা অজ্ঞতা।
১০. ছুরি নিয়ে অনাবশ্যক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো।
ছুরি নিয়ে যা করবেন না
১. কখনো আঙুল দিয়ে ছুরির ধার পরীক্ষা করবেন না।
২. ছুরি উঁচুস্থানের যেমন টেবিল, র্যাক, সিংক ইত্যাদির কিনারায় রাখবেন না।
৩. জমানো পানিতে যেমন পানিভর্তি সিংক, বালতি, ডেকচি ইত্যাদিতে ছুরি ডুবিয়ে রাখবেন না।
৪. উঁচু স্থান থেকে পড়ে যাওয়ার সময় ছুরি ধরতে যাবেন না। বরং পা সরিয়ে নিন এবং অন্যদের সতর্ক করুন।
৫. অন্যের হাতে সরাসরি ছুরি দেবেন না বা নেবেন না। প্রয়োজনে মাটিতে বা মাঝখানের নিরাপদ স্থানে ছুরি রেখে বিনিময় করুন।
৬. কাটাকাটির সময়ে অন্য কোনোদিকে বিশেষত মোবাইল ফোনের দিকে হাত দেবেন না।
৭. ড্রয়ারে ছুরি বা ধারালো কিছু রাখবেন না।
৮. তরকারি বা ফলের খোজা ছাড়াতে ছুরির বদলে পিলার ব্যবহার করুন, যেনতেন ছুরি ব্যবহার করবেন না।
৯. সব ধরনের ছুরি শিশুদের নাগালের বাইরে রাখতে ভুলবেন না।
১০. হাতলের সঙ্গে ছুরির সংযুক্তি শক্ত বা দৃঢ় না থাকলে ছুরি ব্যবহার করবেন না।
১১. তেল, চর্বি, সাবান বা পিচ্ছিল কোনোকিছু হাতলে লাগা থাকলে তার পরিস্কার না করে ব্যবহার করবেন না।
১২. প্রয়োজন ছাড়া ছুরি বের করবেন না বা স্পর্শ করবেন না।
১৩. উত্তেজিত অবস্থায় ছুরি ধরবেন না।
ছুরি ব্যবহারে করণীয়
১. নির্দিষ্ট কাজের জন্য উপযুক্ত ছুরি ব্যবহার করবেন। মনে রাখবেন সব ছুরি সব কাজের জন্য উপযুক্ত নয়।
২. কাটিং বোর্ড যাতে সরে না যায় অথবা স্লিপ না করে সেজন্য বোর্ডের নিচে একটি ভারি কাপড় রাখুন।
৩. ছুরি দিয়ে কাজ করার সময়ে অন্য কাজের প্রয়োজন হলে ছুরিটিকে সবার আগে নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন।
৪. একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাওয়ার সময় ছুরিটিকে শরীর থেকে দূরে রাখুন এবং ধারালো দিক একটু বাঁকা করে রাখুন।
৫. প্রয়োজন শেষে ছুরি শুকিয়ে নাইফ হোল্ডার বা বক্সে সংরক্ষণ করুন।
৬. ধারালো সবকিছু ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জেনে নিন।
৭. যেকোনো কিছু কাটার সময় বিশেষত আপেল, আনারস, গোল বেগুন, গোল আলু ইত্যাদি কাটার সময়ে ফল বা তরিতরকারি প্রথমেই সমান দুইভাগ করে কাটুন।
৮. দৃঢ় বা শক্ত করে ছুরি ধরুন। আলতো করে ছুরি ধরলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে।
৯. ধারালো ছুরি ব্যবহার করুন। ধার কম থাকলে বেশি জোর বা প্রেসার দিতে হয়। এতে দুর্ঘটনা বাড়তে পারে।
১০. সবসময় কাটিং বোর্ডের ওপর কাটাকাটি করুন। সমান কোনোকিছু যেমন- প্লেট, সিংক বা কাঁচের টেবিলে রেখে কাটাকাটি করতে দুর্বল লাগে।
১১. হাত ও আঙুলের সুরক্ষায় বিশেষ ধরনের নিরাপত্তা গ্লাভস ব্যবহার করুন।
১২. অন্যান্য তৈজসপত্র থেকে আলাদা করে ছুরি পরিস্কার করুন।
১৩. চোখা বা তীক্ষ্ম আগাযুক্ত ছুরির বদলে যথাসম্ভব গোল আগার ছুরি ব্যবহার করা।
সবার ঈদ হোক আনন্দময় ও নিরাপদ। ঈদ মোবারক।
লেখক: কলামিস্ট ও লেখক। সেনাবাহিনী ও কর্পোরেট জগতে চাকরি করেছেন দীর্ঘদিন। বিদেশে স্কুল পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন এক দশক।
ফোন নম্বর- ০১৭১১৯০৮৪২০
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
রিমঝিম বৃষ্টি কমবেশি সবার ভালো লাগলেও কাজ বাড়িয়ে দেয় গৃহিণীর। কেননা বৃষ্টির সঙ্গে বন্ধুত্ব করে ঘরের পরিবেশ হয়ে ওঠে স্যাঁতসেঁতে। তাই বৃষ্টির দিনে ঘরের জন্য প্রয়োজন হয় বাড়তি যতে্নর। কয়েকদিন একটানা তাপদাহের পর শুরু হয়েছে বৃষ্টি। তবে বৃষ্টিতে আনন্দের পাশাপাশি ভোগান্তিও কম নয়। অতি আর্দ্রতায় ঘরের ইন্টেরিয়র-এক্সটেরিয়রের ক্ষতি, মশা, ঘরে মোল্ড পড়া, পোকামাকড়সহ বিভিন্ন সমস্যা লেগেই থাকে। তাই এ সময়ে ঘরের জন্য দরকার বাড়টি যত্ন। বর্ষায় অন্দরের পরিবেশ ঠিক রাখার টিপস চলুন জেনে নেয়া যাক……………….
১. বর্ষা শুরুর আগে অথবা একেবারে দরজা, জানালা বা গ্রিল তৈরির শুরুতেই টিনের দরজা বা জানালায় কোটিং রং ব্যবহার করা উচিত।
২. কোনো কারণে দেয়ালে ফাটল ধরলে দেয়াল ড্যাম হয়ে যেতে পারে। তাই এগুলো পরীক্ষা করে ফাটল ঠিক করতে হবে। ভালো হয় দেয়ালে ওয়েদার প্রুফ পেইন্ট ব্যবহার করলে।
৩. বর্ষায় অনেক সময় কাঠের আলমারিতে ফাঙ্গাস পড়ে। আবার দেখা যায় আলমারি পেছনের বোর্ড ফুলে গিয়ে কাঠ বেঁকে যায়। তাই বৃষ্টির দিনে আসবাবপত্র দেয়াল থেকে একটু দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। ঘর মোছা, কাপড় ধোয়া সব ক্ষেত্রে জীবাণুনাশক ব্যবহার করা ভালো।
৪. বারান্দায় রাখা ফুলের টবগুলো সঠিক জায়গায় রাখতে হবে। অনেক সময় বারান্দায় বৃষ্টির ছাটে পানি জমে কাদার সৃষ্টি হয়। তাই ভালো ড্রেনেজ ব্যবস্থা রাখতে হবে। টবে পানি জমে মশা এবং পোকার আক্রমণ হতে পারে। আবার প্রচণ্ড বাতাসে বারান্দায় ঝুলে থাকা বা ছাদের রেলিংয়ে রাখা টবগুলো ভেঙে কিংবা ওপর থেকে পড়ে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই টবগুলোকে এমনভাবে রাখতে হবে, যাতে আলো-বাতাস নিশ্চিত করার পাশাপাশি দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।
৫.বর্ষায় কার্পেট ব্যবহার না করাই ভালো বরং এগুলো প্লাস্টিকে মুড়িয়ে তুলে রাখুন শুষ্ক কোনো জায়গায়।
৬. প্রতিদিন মুছে পরিষ্কার রাখতে হবে লেদারের সোফা। একইভাবে মাঝে মাঝে পরিষ্কার করতে হবে লেদারের অন্যসব আসবাবও।
মন্তব্য করুন
বিচ্ছেদ মানেই অসহনীয় এক পৃথিবী, বিচ্ছেদ মানেই ‘জীবনের শেষ’ এ
রকম মনে করে না মৌরিতানিয়ার নারীরা। বিচ্ছেদের পর ওই নারীর সৌজন্যে বিশেষ অনুষ্ঠানের
আয়োজন করে তার পরিবার। স্বামীর ‘যন্ত্রণা’ পেরিয়ে মেয়েরা নিজের ঘরে আরেকবার ফিরে আসার
সুযোগ পাওয়ায় দেশটিতে বিচ্ছেদ উদ্যাপন করা হয়।
পরিবারের সব সদস্যরাই বিষয়টি স্বাভাবিক চোখেই দেখেন। তারা মনে করেন, ভালোর জন্যই মেয়ে আবার পরিবারে ফিরে এসেছে। এই ফিরে আসাকে তারা ‘কলঙ্কমুক্ত’ জীবনের সুযোগ হিসেবেও দেখেন। তাই একটি ব্যর্থ সম্পর্কের ইতি ঘটায় আনন্দে। সব আয়োজন শেষ হলে বিচ্ছেদী নারী অবিবাহিতদের কাতারে চলে যান।
আরও পড়ুন: নারীর প্রতি এক পৃথিবী সম্মান থাকুক প্রতিটি পুরুষের
মরুভূমির তরুণী মেহেদি শিল্পী একাগ্রচিত্তে আলপনা আঁকছেন তার আজকের খদ্দের ইসেলেখে জেইলানির হাতে। তিনি খুবই সতর্ক, কোনোভাবেই যেন ভেজা মেহেদিতে দাগ না পড়ে! ঠিক যেমনটি ছিলেন বিয়ের আগের দিন। এবার কিন্তু তার বিয়ে হচ্ছে না। হচ্ছে বিবাহ বিচ্ছেদ!
বিবাহ বিচ্ছেদ উপলক্ষে পরদিন হবে উৎসব। জেইলানির মা এই আনন্দে নিমন্ত্রণ করেছেন শহরবাসীকে। উল্লসিত কণ্ঠে বলছেন, তার মেয়ে এবং মেয়ের প্রাক্তন দুজনেই ভালোভাবে বেঁচে আছে।
মায়ের কথা শুনে হাসলেন জেইলানি। তিনি তখন সামাজিক প্ল্যাটফর্ম স্ন্যাপচ্যাটে মেহেদির ছবি পোস্ট করতে ব্যস্ত। মেহেদির ছবি পোস্ট করা বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণার আধুনিক সংস্করণ হয়ে উঠেছে। যদিও মৌরিতানিয়ায় এটি বহু পুরোনো সংস্কৃতি।
বিচ্ছেদের উৎসবে আগে ছিল নাচ, গান আর ভোজ। এখন সেলফি প্রজন্মে এসে যুক্ত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। আলপনা আঁকা কেক। মেয়েরা এখানে সোশ্যাল মিডিয়ায় গর্ব ভরে আনন্দের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেয়।
আরও পড়ুন: বিচ্ছেদের কত দিন পরে নতুন সম্পর্কে জড়াবেন!
অনেক দেশের সংস্কৃতিতে বিবাহবিচ্ছেদকে লজ্জাজনক হিসেবে দেখা হয়। তবে পশ্চিম আফ্রিকার সুন্দর দেশ মৌরিতানিয়ায় এটি কেবল স্বাভাবিকই নয়, নারীদের কাছে আনন্দের উপলক্ষ! কারণ, শিগগিরই তার আবার বিয়ে হবে। বহু শতাব্দী ধরেই সেখানে নারীরা আরেক নারীর বিবাহ বিচ্ছেদে উৎসব করে।
মৌরিতানিয়ার ২০১৮ সালের এক সরকারি রিপোর্টে দেখা যায়, এক তৃতীয়াংশ বিয়ে ডিভোর্সের পরিণতি পেয়েছে। এর মধ্যে ৭৪ শতাংশ নারী আবার বিয়ে করেছেন। আর ২৫ শতাংশ বিয়ে করেনি।
মৌরিতানিয়া প্রায় শতভাগ মুসলিম দেশ। এখানে ঘন ঘন বিবাহবিচ্ছেদ হয়। অনেকে ৫ থেকে ১০ বার বিয়ে করে। কেউ কেউ ২০ বারেরও বেশি!
অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, দেশটিতে বিবাহবিচ্ছেদের হার বিশ্বে সর্বোচ্চ। তবে মৌরিতানিয়ায় এ প্রসঙ্গে খুব বেশি নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই। এর আংশিক কারণ হচ্ছে, এখানে বিবাহবিচ্ছেদ প্রায়শই মৌখিক হয়, নথিভুক্ত নয়।
দেশটিতে বিবাহবিচ্ছেদ এতটা সাধারণ কেন—সে প্রসঙ্গে দেশটির সমাজবিজ্ঞানী নেজওয়া এল কেত্তাব বলেন, মৌরিতানীয় সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ মৌর সম্প্রদায় তাদের বাবার পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে শক্তিশালী মাতৃতান্ত্রিক প্রবণতা পেয়েছে। দেশটির যাযাবর সম্প্রদায় নারীদের মর্যাদার কথা ছড়িয়ে দিয়েছে বহুদিকে। অন্যান্য মুসলিম দেশের তুলনায় মৌরিতানিয়ার নারীরা বেশ স্বাধীন।
তিনি আরো বলেন, দেশটিতে বিয়েকে পেশা হিসেবেও নেয়া যায়।
আরও পড়ুন: যুগের পরিবর্তনে আধুনিক সম্পর্কের দৃষ্টি ভঙ্গিতেই কি বাড়ছে বিবাহবিচ্ছেদ?
এখানে বিশেষ পরিস্থিতিতে নারীরাও বিবাহ বিচ্ছেদের পদক্ষেপ নিতে পারেন। অনেক নারী আছেন যারা কখনোই বিবাহবিচ্ছেদের কথা ভাবেন না। এরপরও বিচ্ছেদ যদি ঘটেই যায়, তাহলে নারীদের সমাজে সমস্যায় পড়তে হয় না। কারণে এখানে এমন নারীদের কেউ নিন্দা করে না, বরং সমর্থন জানায়। সমাজই পরিস্থিতিকে সহজ করে তোলে।
আরও পড়ুন: দাম্পত্যে বয়সের ব্যবধান কতটা ঝুঁকির?
উল্লেখ্য, মৌরিতানিয়া হলো যাযাবর, উট আর আকাশ ভরা তারা ও উজ্জ্বল
চাঁদের দেশ। কখনো কখনো ১০ লাখ কবির দেশও বলায় একে। হয়তো এ কারণেই এখানে বিবাহবিচ্ছেদও কাব্যিক!
মন্তব্য করুন
আমাদের অভিমান, অনুরাগ সমস্তই জমা হয় প্রিয়জনের নামে। সম্পর্কে প্রাধান্য বেশি থাকে বলে ভুল বোঝাবুঝির ভয়টাও থাকে বেশি। বিশেষ করে দুইজন দুই জায়গায় থাকলে ভুল বোঝাবুঝির মাত্রাটা যেন বেড়ে যায়।
কাছে থাকলে একটুখানি ঠোঁটের হাসিতে, চোখের চাহনিতে যে কথা বোঝানো যায়, দূরে থাকলে তা অনেকটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে। আর তাইতো একটি ইতিবাচক বিষয়ও নেতিবাচক হতে সময় লাগে না। কিন্তু এই ভুল বোঝাবুঝিকে বাড়তে দিলেই মুশকিল। সেখান থেকে জন্ম নিতে পারে আরো বড় দূরত্বের।
প্রেম কিংবা বিয়ে এই দুই সম্পর্কেও সঙ্গীর সঙ্গে নানা কারণে সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি হয়। আর এ থেকেই বাড়ে দূরত্ব। এমনকি ভুল বোঝাবুঝির কারণে সম্পর্ক ভেঙেও যায়। তাই ভুল বোঝাবুঝির হলে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে দ্রুত। সমস্যা কাটিয়ে সম্পর্ক সুন্দর রাখার কিছু টিপস।
১. যখন কোনো বিষয় নিয়ে দুজনের ভুল বোঝাবুঝি হবে তখন দুই পক্ষের কথা শুনতে হবে। শুধু নিজের কথা বলে সঙ্গীর কথা না শুনলে সমাধান আসবে না কখনও। তাই দুজনের কথা বলার সুযোগ থাকবে। এর পর দুজন মিলে সিদ্ধান্ত নিন সমাধানের পথ কীভাবে খুঁজবেন।
২. ভুল বোঝাবুঝির প্রধান কারণ হল সঙ্গীর সঙ্গে যোগাযোগের অভাব। আমরা যেভাবে ভুল বোঝাবুঝির সমাধান করার চেষ্টা করি সেটাই সম্পর্কের স্থায়িত্ব নির্ধারণ করে। রাগ করে কথা বলা বন্ধ করে দেওয়া সমাধান নিয়ে আসবে না বরং দূরত্ব বাড়াবে। তাই যে সমস্যাই হোক না কেন কথা বলে সমাধান করুন।
৩. সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলতে গেলে অনেকেই খুব রাগারাগি করেন কিংবা তাকে ছোট করে কথা বলেন। সম্পর্ক টিকে রাখতে অন্যজনকে সম্মান করা জরুরি। তাই রাগ থাকলেও সঙ্গীকে সম্মান দিয়ে কথা বলুন তার কথা শুনুন। আপনার খারাপ আচরণ তার মনে স্থায়ীভাবে আপনার জন্য নেতিবাচক ধারণা তৈরি করতে পারে।
৪. নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে আলোচনার মাঝখানে বিভ্রান্ত না হওয়ার চেষ্টা করা উচিত। আবার দেখা যায় অনেকেই কথা বলার মাঝে রেগে যান যদি এমনটা করেন তাহলে আজ থেকেই এই অভ্যাস বাদ দিন।
৫. খুব বেশি আবেগতাড়িত না হয়ে সময় বিশেষে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করুন। আপনি যদি সবসময় নিজের আবেগ প্রকাশ করেন তাহলে সঙ্গীর কাছে আপনার গুরুত্ব কমে যেতে পারে। তাই সবার আগে এটা বুঝতে চেষ্টা করুন কোথায় এবং কখন নিজের আবেগ প্রকাশ করবেন।
৬. তৃতীয় পক্ষের সাহায্য নিয়ে অনেকেই ভুল বোঝাবুঝির সমাধান করতে চান। এমন করা থেকে বিরত থাকুন। নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধানের চেষ্টা করুন। কারণ তৃতীয় পক্ষের কাছে নিজেদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা পরবর্তী সময়ে জটিলতা বাড়াতে পারে।
মন্তব্য করুন
ঈদুল আযহার বাকি দুই মাসেরও কম। এই কম সমেয়র কিছু প্রস্তুতি এখন
থেকে নেওয়াই উচিত। তাহলে কোরবানি প্রস্তুতিতে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে কাজ। যেহেতু কোরবানি ঈদে মাংস ফ্রিজে সংরক্ষণের
ব্যাপার থাকে তাই ফ্রিজ আগেভাগে পরিষ্কার করে রাখা প্রয়োজন। ফ্রিজ পরিষ্কারের ক্ষেত্রে
যেসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১। পরিষ্কারের
সময় সবার আগে ফ্রিজের মেইন সুইচ বন্ধ করে নিতে হবে। এরপর ফ্রিজের ভেতরে থাকা মাছ-মাংস
বা অন্যান্য সবকিছু বের করে রাখুন। এবারে পানিতে একটু ডিটারজেন্ট মিশিয়ে মিশ্রণটিতে
নরম কাপড় ভিজিয়ে সেই কাপড় দিয়ে ফ্রিজের ভেতরের অংশ ভালো করে মুছে নিন।
২। একটি
পাত্রে বেকিং সোডা ও লেবুর রসের মিশ্রণ দিয়ে ফ্রিজ পরিষ্কার করতে পারেন। এতে করে খাবারের
দুর্গন্ধ দুর হবে।
৩। শিরিষ
কাগজ বা এজাতীয় শক্ত কিছু দিয়ে কখনোই ফ্রিজ পরিষ্কার করবেন না। কারণ এগুলো দিয়ে পরিষ্কার
করতে গেলে ফ্রিজের প্লাস্টিক কোটিং নষ্ট হয়ে যাবে।
৪। বাজারে
বেশ কিছু অ্যামোনিয়া ফ্রি লিকুইড ক্লিনজার পাওয়া যায়। সেগুলোর সাহায্যে ফ্রিজের বাইরের
অংশ পরিষ্কার করুন। এতে বাইরের প্লাস্টিকের আবরণ সুরক্ষিত থাকবে।
৫। ভিনেগার মিশ্রিত পানিতে নরম কাপড় কিংবা ব্রাশ ভিজিয়ে সেটি দিয়ে ফ্রিজের দরজার রাবার পরিষ্কার করুন।এতে এর আঠালো ভাব দূর হবে।
মন্তব্য করুন
রোদের চোখ রাঙানি কমছেই না। এমন তপ্ত আবহাওয়ায় বাইরে বেশিক্ষণ থাকলে
ত্বকে ট্যান পড়ে। পুরো চেহারা, হাত-পা, ঘাড়-গলায় ঘাম, ধুলোবালি জমে। অতি বেগুনি রশ্মি
ও দূষণে ত্বক কালচে হয়ে যায়। তাই গরমে ত্বকের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। নয়তো কালচে
দাগ ত্বকে স্থায়ী হয়ে যাবে। কাজশেষে বাইরে থেকে ফেরার পরেও ত্বকের যত্নে মনোযোগী হতে
হবে। নয়তো অল্পতেই বুড়িয়ে যাবে ত্বক। উজ্জ্বলতাও হারাবে।
একজন কসমেটোলজিস্ট জানান,
গরমে বাইরে থেকে ফিরেই ত্বকে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিতে হবে। ভালো করে ত্বক ধুতে হবে।
তারপর ফেশওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হবে। আলতোভাবে টোনার ব্যবহার করতে হবে। টোনার ত্বকের পিএইচ
ব্যালেন্স ঠিক করতে সহায়তা করে। এর ব্যবহারে ত্বক সতেজ হয়।
এই গরমের জন্য টোনার হিসেবে শসা মিশ্রিত পানি ও গোলাপজল ব্যবহার
করা যেতে পারে। ফলের নির্যাসে তৈরি টোনার ত্বককে আরও কালো করে
দিতে পারে। পুরো চেহারা, হাত-পা, ঘাড়-গলায় ঘাম, ধুলোবালি জমে। অতি
বেগুনি রশ্মি ও দূষণে ত্বক কালচে হয়ে যায়। তাই গরমে ত্বকের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে।
নয়তো কালচে দাগ ত্বকে স্থায়ী হয়ে যাবে। কাজশেষে বাইরে থেকে ফেরার পরেও ত্বকের যত্নে
মনোযোগী হতে হবে।
১.এক চামচ মধু, এক চামচ টক দই, এক চামচ কমলার রস ও এক চামচ মুলতানি
মাটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি হাত, পা, মুখ, গলা ও ঘাড়ে লাগান। যদি পুরো শরীরে
এই মিশ্রণ ব্যবহার করতে চান তাহলে এর সঙ্গে কফি মেশাতে পারেন। কফি ত্বকের ট্যান দূর
করতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে।
২.বেসনের সঙ্গে এক চামচ
হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে দুধ মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। এই প্যাকটি মুখ, ঘাড়,
গলায় ব্যবহার করতে পারেন। হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কাজ করে, এবং বেসন ট্যান দূর
করতে ভূমিকা রাখে।
৩.ত্বকের কালচে দাগ, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে আলুর রস ব্যবহার করতে
পারেন। এতে আছে অর্গানিক ব্লিচিং এজেন্ট, যা দাগ দূর করতে সহায়তা করে। নিয়মিত আলুর
রস ব্যবহার করলে ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত হবে।
৪.ঘরোয়া উপায়ে ট্যান
দূর করার কার্যকরী উপাদান পেঁপে ও মধুর প্যাক। পেঁপেতে আছে ব্লিচিং, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি,
অ্যান্টি-এইজিং, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। মধুতে আছে ত্বককে সুস্থ ও সুন্দর করার
বিভিন্ন উপাদান। ত্বকের অস্বস্তি, জ্বালা, শুষ্কতা দূর করতে পাকা পেঁপের সঙ্গে মধু
মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
৫.দুই টেবিল চামচ চালের
গুঁড়ার সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এটি রোদে পোড়া দাগের
ওপর লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দুধে থাকা ল্যাকটিক
অ্যাসিড মরা চামড়া দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। চালের গুঁড়া ত্বকের অসম
রং দূর করতে কাজ করে।
মন্তব্য করুন
রিমঝিম বৃষ্টি কমবেশি সবার ভালো লাগলেও কাজ বাড়িয়ে দেয় গৃহিণীর। কেননা বৃষ্টির সঙ্গে বন্ধুত্ব করে ঘরের পরিবেশ হয়ে ওঠে স্যাঁতসেঁতে। তাই বৃষ্টির দিনে ঘরের জন্য প্রয়োজন হয় বাড়তি যতে্নর। কয়েকদিন একটানা তাপদাহের পর শুরু হয়েছে বৃষ্টি। তবে বৃষ্টিতে আনন্দের পাশাপাশি ভোগান্তিও কম নয়। অতি আর্দ্রতায় ঘরের ইন্টেরিয়র-এক্সটেরিয়রের ক্ষতি, মশা, ঘরে মোল্ড পড়া, পোকামাকড়সহ বিভিন্ন সমস্যা লেগেই থাকে। তাই এ সময়ে ঘরের জন্য দরকার বাড়টি যত্ন। বর্ষায় অন্দরের পরিবেশ ঠিক রাখার টিপস চলুন জেনে নেয়া যাক……………….
আমাদের অভিমান, অনুরাগ সমস্তই জমা হয় প্রিয়জনের নামে। সম্পর্কে প্রাধান্য বেশি থাকে বলে ভুল বোঝাবুঝির ভয়টাও থাকে বেশি। বিশেষ করে দুইজন দুই জায়গায় থাকলে ভুল বোঝাবুঝির মাত্রাটা যেন বেড়ে যায়। কাছে থাকলে একটুখানি ঠোঁটের হাসিতে, চোখের চাহনিতে যে কথা বোঝানো যায়, দূরে থাকলে তা অনেকটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে। আর তাইতো একটি ইতিবাচক বিষয়ও নেতিবাচক হতে সময় লাগে না। কিন্তু এই ভুল বোঝাবুঝিকে বাড়তে দিলেই মুশকিল। সেখান থেকে জন্ম নিতে পারে আরো বড় দূরত্বের। প্রেম কিংবা বিয়ে এই দুই সম্পর্কেও সঙ্গীর সঙ্গে নানা কারণে সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি হয়। আর এ থেকেই বাড়ে দূরত্ব। এমনকি ভুল বোঝাবুঝির কারণে সম্পর্ক ভেঙেও যায়। তাই ভুল বোঝাবুঝির হলে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে দ্রুত। সমস্যা কাটিয়ে সম্পর্ক সুন্দর রাখার কিছু টিপস।
ঈদুল আযহার বাকি দুই মাসেরও কম। এই কম সমেয়র কিছু প্রস্তুতি এখন থেকে নেওয়াই উচিত। তাহলে কোরবানি প্রস্তুতিতে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে কাজ। যেহেতু কোরবানি ঈদে মাংস ফ্রিজে সংরক্ষণের ব্যাপার থাকে তাই ফ্রিজ আগেভাগে পরিষ্কার করে রাখা প্রয়োজন। ফ্রিজ পরিষ্কারের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
রোদের চোখ রাঙানি কমছেই না। এমন তপ্ত আবহাওয়ায় বাইরে বেশিক্ষণ থাকলে ত্বকে ট্যান পড়ে। পুরো চেহারা, হাত-পা, ঘাড়-গলায় ঘাম, ধুলোবালি জমে। অতি বেগুনি রশ্মি ও দূষণে ত্বক কালচে হয়ে যায়। তাই গরমে ত্বকের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। নয়তো কালচে দাগ ত্বকে স্থায়ী হয়ে যাবে। কাজশেষে বাইরে থেকে ফেরার পরেও ত্বকের যত্নে মনোযোগী হতে হবে। নয়তো অল্পতেই বুড়িয়ে যাবে ত্বক। উজ্জ্বলতাও হারাবে।