লিট ইনসাইড

বইমেলার সময়সীমা ১৭ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর আহ্বান

প্রকাশ: ০১:৫৪ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২


Thumbnail বইমেলার সময়সীমা ১৭ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর আহ্বান

গতকাল (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় অমর একুশে বইমেলায় লেখক বলছি মঞ্চে বাংলাদেশ লেখক পাঠক প্রকাশক পরিষদ ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২২: লেখক-পাঠক-প্রকাশক আড্ডা’ নামে ভিন্নমাত্রার এক আড্ডার আয়োজন করে। এ আড্ডার সঞ্চালক ছিলেন পরিষদের সদস্য সচিব কবি ও প্রকাশক নীলসাধু।

বাংলাদেশ লেখক পাঠক প্রকাশক পরিষদের সদস্য সচিব নীলসাধু বলেন, ‘করোনা মহামারি পরিস্থিতি উন্নত হওয়ায় বইমেলার আয়োজক বাংলা একাডেমিকে অনুরোধ করব বইমেলার সময়সীমা আগামী ১৭ মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হোক। দেশের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে বইমেলার সময় বাড়ালে আমরা বরং আরও নতুন পাঠক ক্রেতা দর্শনার্থীদের মেলায় পাবো।’

বাংলা একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত এ মুক্ত আড্ডায় বইমেলার আয়োজক কমিটির  সদস্য সচিব থেকে শুরু করে কবি, প্রকাশক, কথাসাহিত্যিক, চলচ্চিত্র নির্মাতা আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সকলেই বই মেলা সম্পর্কিত মতামত প্রকাশ করেন এবং বাংলা একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত 'লেখক বলছি'র মত উদ্যোগকে সব সময় স্বাগত জানায় বলে মত প্রকাশ করেছেন। এক রঙা এক ঘুড়ির প্রকাশক শিমুল আহমেদ চলমান একুশে বইমেলার সব প্রস্তুতি ও সার্বিক দিক নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

অমর একুশে বইমেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ বলেন, ‘বাংলা একাডেমি এ ধরনের নতুন উদ্যোগকে সব সময় স্বাগত জানায়। আমরা চাই বাংলাদেশ লেখক পাঠক প্রকাশক পরিষদ বই নিয়ে বছরজুড়েই বৈচিত্র্যময় উদ্যোগ নেবে। বাংলা একাডেমি বইয়ের সাথে সম্পৃক্ত যে কোনো ধরনের সুন্দর উদ্যোগে যথাসম্ভব সহযোগিতা করবে। আমরা চাই দেশে ভালো বইয়ের ভালো পাঠক তৈরি হোক।’

বৈচিত্র্যময় এ আড্ডায় ভালো বইয়ের প্রচার ও প্রসারের জন্য গণমাধ্যমকে সারাবছর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান পরিষদের আহ্বায়ক কবি ও প্রকাশক রবীন আহসান। তিনি বলেন, ‘আমাদের গণমাধ্যম শুধু অমর একুশে বইমেলার এক মাসজুড়ে নতুন বইয়ের প্রচার করে, কিন্তু বছরের বাকি এগারো মাস আমাদের পাঠকরা বইয়ের আর কোনো খবর পান না। ফলে আমরা দিনদিন কাঙ্ক্ষিত পাঠক তৈরি করতে ব্যর্থ হচ্ছি। গণমাধ্যমকে বছরজুড়েই ভালো বইয়ের প্রচার চালাতে হবে। এতে নতুন নতুন পাঠক তৈরি হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অমর একুশে বইমেলা শুধু রাজধানী ঢাকা কেন্দ্রীক করলে হবে না, বিভাগীয় শহরে এবং সম্ভব হলে জেলা ও উপজেলা শহর, এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে বইমেলাকে ছড়িয়ে দিতে হবে।’

গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক আকরামুল হক বইমেলায় ধূমপায়ীদের জন্য আলাদা স্মোকিং জোনের দাবি জানান। আগত নারী ও শিশুদের কথা ভেবে টয়লেট ও খাবার পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান।

সমাপনী বক্তব্যে পরিষদের আহ্বায়ক রবীন আহসান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে আমরা যদি বাছাই করে ‘১০০টি বঙ্গবন্ধু বিষয়ক ভালো বই’ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ‘৫০টি মুক্তিযুদ্ধের ভালো বই’ পাঠকের সাথে পরিচিত করতে পারি। তাহলে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সার্থক হবে।’

এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তিনি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমি ও প্রকাশনা শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সমিতিগুলোকে অনুরোধ করেন।

লেখক-পাঠক-প্রকাশকদের উপস্থিতিতে বইমেলায় আড্ডাটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। চলতি বছর অমর একুশে বইমেলা শেষে পরিষদের পক্ষ থেকে এ ধরনের আরও একটি আড্ডার আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়।

বইমেলা   অমর একুশ   সমসীমা   আহ্বান  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

কবিতা

প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

বিশ্বের সেরা এবং আকর্ষণীয় পাচ মসজিদ

প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের এমন পাঁচটি মসজিদ সম্পর্কে জেনে নিন:


১. মসজিদুল হারাম, মক্কা, সৌদি আরব:

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ দেখতে যায়, এমন মসজিদের তালিকায় সবার প্রথমে আছে পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদুল হারাম। প্রতিবছর প্রায় ৮০ লাখ মানুষ এই মসজিদে যান। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় মসজিদ। একসঙ্গে ১৫ লাখ মানুষ এখানে প্রবেশ করে ঘুরে দেখতে পারেন। মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র তিন স্থানের একটি এই মসজিদুল হারাম। মুসলমানদের কিবলা পবিত্র কাবাশরিফ এখানেই অবস্থিত।

তবে যে কেউ চাইলেই মসজিদুল হারামে প্রবেশ করতে পারেন না। অমুসলিমদের জন্য মক্কা নগরীতে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ।


২. শেখ জায়েদ মসজিদ, আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত:

২০০৭ সালে স্থাপিত এই মসজিদ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মসজিদগুলোর একটি। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঝাড়বাতি ও সবচেয়ে বড় গালিচাও আছে এই মসজিদে।

আরব আমিরাতে বসবাসকারীদের বেশির ভাগই প্রবাসী, যাঁরা মূলত শ্রমজীবী হিসেবে বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে যান। এই বৈচিত্র্যময়তাই মসজিদটির নকশার মূল ভিত্তি। ব্রিটিশ, ইতালীয় ও আমিরাতি স্থপতিরা মিসর, মরক্কো, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশের মসজিদের নকশা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শেখ জায়েদ মসজিদের নকশা এঁকেছেন।

প্রতিবছর মসজিদটি দেখতে প্রচুর দর্শনার্থী আসেন। শুধু ২০১৭ সালেই এসেছেন প্রায় ৫৮ লাখ দর্শনার্থী। নামাজের সময় ছাড়া অন্য সময় অমুসলিম দর্শনার্থীরাও মসজিদ ঘুরে দেখতে পারেন। তবে শুক্রবার অমুসলিম দর্শনার্থীদের এই মসজিদে প্রবেশ নিষেধ।


৩. আয়া সোফিয়া, ইস্তাম্বুল, তুরস্ক:

ইউরোপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরগুলোর একটি তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুল। আর ইস্তাম্বুল বা গোটা ইউরোপের অন্যতম সুন্দর মসজিদ আয়া সোফিয়া। ৩৬০ খ্রিষ্ট-পূর্বাব্দে স্থাপিত এ স্থাপনা শুরুতে মসজিদ ছিল না। ১৪৬৩ সালে সুলতান মেহমেদ এটিকে মসজিদ হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

১৯৩৪ সালে এটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করে তৎকালীন তুরস্ক সরকার। কিন্তু ২০২০ সালে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এটিকে আবার নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিদের কাছে উন্মুক্ত করে দেন। ১৯৮৫ সালে আয়া সোফিয়াকে বিশ্ব ঐতিহ্যর স্বীকৃতি দেয় ইউনেসকো।


৪. আল–আকসা মসজিদ, পূর্ব জেরুজালেম, ইসরায়েল:

মুসলিম স্থাপত্যশৈলীর শুরুর দিককার অন্যতম নিদর্শন জেরুজালেমের আল–আকসা মসজিদ।

বলা হয়ে থাকে, খোলাফায়ে রাশিদিনের অন্যতম খলিফা হজরত উমর (রা.)–র শাসনামলে ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হয় মসজিদটির নির্মাণকাজ। তবে বর্তমানে আল-আকসা বলতে পুরো চত্বরটাকেই বোঝানো হয়। ‘হারাম আল শরিফ’ নামে পরিচিত এই চত্বরের চার দেয়ালের মধ্যে আছে কিবলি মসজিদ, কুব্বাতুস সাখরা (ডোম অব দ্য রক) ও বুরাক মসজিদ। মূল আল–আকসা বা কিবলি মসজিদ হলো ধূসর সীসার পাতে আচ্ছাদিত গম্বুজওয়ালা একটি স্থাপনা। তবে পর্যটকের কাছে আল–আকসা নামে বেশি প্রসিদ্ধ সোনালি গম্বুজের স্থাপনা কুব্বাতুস সাখরা।

জেরুজালেমের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদ ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় উঠে আসে ১৯৮১ সালে। এখানে প্রায় চার লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন । তবে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। কোনো মুসল্লিকে তারা মসজিদ প্রাঙ্গণে ঢুকতে দিচ্ছে না। পবিত্র স্থানটির দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ওয়াক্‌ফ বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।


৫. দ্বিতীয় হাসান মসজিদ, কাসাব্লাঙ্কা, মরক্কো:

আলজেরিয়ার জামা এল জাযের মসজিদের মিনার সবচেয়ে উঁচু, ৮৭০ ফুট। তারপরেই কাসাব্লাঙ্কার দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার, উচ্চতা ৬৮৯ ফুট। মরক্কোর বাদশাহ দ্বিতীয় হাসানের তত্ত্বাবধানে নির্মিত মসজিদটির নকশাকার ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনসু।

আটলান্টিক মহাসাগরের একটি শৈলান্তরীপের মাথায় মসজিদটির অবস্থান। মেঝের একটা অংশ স্বচ্ছ কাচের বলে আটলান্টিকের নীল পানি দেখতে পান নামাজে যাওয়া মুসল্লিরা। দেয়ালে মার্বেলের চোখধাঁধানো কারুকাজ। ছাদ অপসারণযোগ্য বলে নামাজ পড়তে যাওয়া মুসল্লিরা রাতের আকাশও দেখতে পান।

দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার থেকে একটি লেজাররশ্মি মুসলমানদের কিবলা কাবাঘরের দিকে তাক করা। অনন্য স্থাপত্যশৈলীর জন্য জগৎ–খ্যাত এই মসজিদে একসঙ্গে ১ লাখ ৫ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায় করার সুবিধা আছে।


মসজিদ   সেরা  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

মুখের ঠিকানা

প্রকাশ: ১২:১৬ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

স্পর্শে তুমি

প্রকাশ: ০৪:৪৫ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন