লিট ইনসাইড

এবারের বইমেলায় শুভ'র প্রথম গল্পগ্রন্থ "রূপায়ণ মাঠ"

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৬ মার্চ, ২০২২


Thumbnail এবারের বইমেলায় শুভ'র প্রথম গল্পগ্রন্থ "রূপায়ণ মাঠ"

বইমেলা ২০২২। দেখতে দেখতে মেলার বেশ অনেকটা দিন কেটে গেছে। মেলার শুরুতেই বিভিন্ন লেখক, প্রকাশকদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছিলাম যে, বেশ কিছু নতুন বই এসেছে আবার কোনো কোনো স্টলে কিছু নতুন বই আসলেও আরও কিছু বই আসার বাকি।  প্রতি বছরের মত এবছরেও বইমেলায় নতুন বইয়ের মধ্যে এসেছে উপন্যাস, কবিতা, গল্প বা গল্পগ্রন্থ। এসকল বইয়ের মধ্যে রয়েছে কিছু বিখ্যাত লেখকের আবার কিছু বই রয়েছে তরুন প্রজন্মের। যাদের এখনো সাহিত্যকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা রয়েছে। আর এর জন্যই প্রতিনিয়ত তরুন প্রজন্ম লিখে যাচ্ছে কিছু নতুন নতুন বই।  ঠিক এমনই একজন তরুন লেখক নাসিম আহমেদ শুভ। যার ডাকনাম শুভ এবং তিনি এই শুভ নামেই পাঠকমহলে পরিচিত হয়ে উঠতে চায়।

এবারের অমর একুশে বইমেলায় নাসিম আহমেদ শুভ'র দ্বিতীয় বই এবং প্রথম গল্প গ্রন্থ "রুপায়ন মাঠ" সব্যসাচী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। বইটি পাওয়া যাবে ৪০১ নাম্বার স্টলে এবং এর মুদ্রিত মূল্য ২৬০ টাকা।

"রূপায়ণ মাঠ" গল্পগ্রন্থটি নিয়ে নাসিম আহমেদ শুভ'র সাথে কথাবার্তায় এই তরুণ লেখক বাংলা ইনসাইডারকে জানায়,  "এটা একটা গল্পগ্রন্থ। মোট বারোটি গল্প রয়েছে এই বইটিতে।  যেগুলো নারীর মর্যাদা, ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা, স্রষ্টার প্রতি ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, প্রেম প্রভূতি বিষয়ের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে"। 

লেখালেখির হাতে খড়ি কবে থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আমি ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র নামের একটি সংগঠনের সদস্য ছিলাম। আমাদের স্কুল এই সংগঠনের একটা শাখা ছিল। যেখান থেকে প্রত্যেক সপ্তাহে একটা করে বই পরতে দেওয়া হত। পরের সপ্তাহে আগের ঐ বইটা ফিরিয়ে দিয়ে আবার নতুন একটা বই নিয়ে আসতাম। আমাদের সহপাঠী সবার কাছে তখন ঐ সংগঠনের বই পড়াটা একটা নেশার মতো ছিল। বছর শেষে আবার  সারাবছর পড়ুয়া বইগুলোর উপর একটা পরীক্ষা হত। যার জন্য সেরা পাঠক নির্বাচিত হলে তাকে তিনটা বই উপহার করা হতো। আর পরীক্ষার অংশগ্রহণকারীর সবাইকে শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে একটা বই দেওয়া হতো। সেখান থেকেই আসলে বই পড়ার প্রতি  ভালোলাগা আর লেখালেখির শুরু"। 

বইটি নিয়ে লেখকের প্রত্যাশা সবার মত বরাবরই বিশাল। বইমেলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পাঠকদের বেশ ভালো সারা পাচ্ছি।  সুতরাং বইটি নিয়ে এবারের মেলায় প্রত্যাশা আলহামদুলিল্লাহ। আশাকরছি আগামীতেও পাঠকদের এরকম সারা পাবো। 

সর্বশেষে তিনি পাঠকদের উদ্দেশ্যে বলেন,  "আজকাল আমাদের বই পড়ার অভ্যাসটা অনেকাংশেই কমে যাচ্ছে। আমার মনে হয় সবার বই পড়ুয়ার অভ্যাসটা গড়ে তোলা উচিত।  যাদের পক্ষে প্রতিনিয়ত বই কেনা সম্ভব নাহ তারা বিভিন্ন লাইব্রেরি বা ভ্রামমাণ পাঠাগারের সদস্য হতে পারে। এটা আজকাল খুবই প্রচলিত। এই অভ্যাসের সবচেয়ে ভালো দিক পৃথিবীর সবাই আপনাকে ছেড়ে গেলেও বই কখনো কাউকে ছেড়ে যায় নাহ"।

উল্লেখ্য, এটা শুভর প্রথম গল্প গ্রন্থ হলেও, প্রথম বই নয়। গত বছর তার লেখা একটি উপন্যাসও প্রকাশিত হয়েছে এবং এই উপন্যাসের মাধ্যমেই শুভর প্রথম বই প্রকাশিত হয়েছে।

বইমেলা   প্রকাশনী   বই  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

কবিতা

প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

বিশ্বের সেরা এবং আকর্ষণীয় পাচ মসজিদ

প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের এমন পাঁচটি মসজিদ সম্পর্কে জেনে নিন:


১. মসজিদুল হারাম, মক্কা, সৌদি আরব:

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ দেখতে যায়, এমন মসজিদের তালিকায় সবার প্রথমে আছে পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদুল হারাম। প্রতিবছর প্রায় ৮০ লাখ মানুষ এই মসজিদে যান। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় মসজিদ। একসঙ্গে ১৫ লাখ মানুষ এখানে প্রবেশ করে ঘুরে দেখতে পারেন। মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র তিন স্থানের একটি এই মসজিদুল হারাম। মুসলমানদের কিবলা পবিত্র কাবাশরিফ এখানেই অবস্থিত।

তবে যে কেউ চাইলেই মসজিদুল হারামে প্রবেশ করতে পারেন না। অমুসলিমদের জন্য মক্কা নগরীতে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ।


২. শেখ জায়েদ মসজিদ, আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত:

২০০৭ সালে স্থাপিত এই মসজিদ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মসজিদগুলোর একটি। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঝাড়বাতি ও সবচেয়ে বড় গালিচাও আছে এই মসজিদে।

আরব আমিরাতে বসবাসকারীদের বেশির ভাগই প্রবাসী, যাঁরা মূলত শ্রমজীবী হিসেবে বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে যান। এই বৈচিত্র্যময়তাই মসজিদটির নকশার মূল ভিত্তি। ব্রিটিশ, ইতালীয় ও আমিরাতি স্থপতিরা মিসর, মরক্কো, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশের মসজিদের নকশা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শেখ জায়েদ মসজিদের নকশা এঁকেছেন।

প্রতিবছর মসজিদটি দেখতে প্রচুর দর্শনার্থী আসেন। শুধু ২০১৭ সালেই এসেছেন প্রায় ৫৮ লাখ দর্শনার্থী। নামাজের সময় ছাড়া অন্য সময় অমুসলিম দর্শনার্থীরাও মসজিদ ঘুরে দেখতে পারেন। তবে শুক্রবার অমুসলিম দর্শনার্থীদের এই মসজিদে প্রবেশ নিষেধ।


৩. আয়া সোফিয়া, ইস্তাম্বুল, তুরস্ক:

ইউরোপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরগুলোর একটি তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুল। আর ইস্তাম্বুল বা গোটা ইউরোপের অন্যতম সুন্দর মসজিদ আয়া সোফিয়া। ৩৬০ খ্রিষ্ট-পূর্বাব্দে স্থাপিত এ স্থাপনা শুরুতে মসজিদ ছিল না। ১৪৬৩ সালে সুলতান মেহমেদ এটিকে মসজিদ হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

১৯৩৪ সালে এটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করে তৎকালীন তুরস্ক সরকার। কিন্তু ২০২০ সালে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এটিকে আবার নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিদের কাছে উন্মুক্ত করে দেন। ১৯৮৫ সালে আয়া সোফিয়াকে বিশ্ব ঐতিহ্যর স্বীকৃতি দেয় ইউনেসকো।


৪. আল–আকসা মসজিদ, পূর্ব জেরুজালেম, ইসরায়েল:

মুসলিম স্থাপত্যশৈলীর শুরুর দিককার অন্যতম নিদর্শন জেরুজালেমের আল–আকসা মসজিদ।

বলা হয়ে থাকে, খোলাফায়ে রাশিদিনের অন্যতম খলিফা হজরত উমর (রা.)–র শাসনামলে ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হয় মসজিদটির নির্মাণকাজ। তবে বর্তমানে আল-আকসা বলতে পুরো চত্বরটাকেই বোঝানো হয়। ‘হারাম আল শরিফ’ নামে পরিচিত এই চত্বরের চার দেয়ালের মধ্যে আছে কিবলি মসজিদ, কুব্বাতুস সাখরা (ডোম অব দ্য রক) ও বুরাক মসজিদ। মূল আল–আকসা বা কিবলি মসজিদ হলো ধূসর সীসার পাতে আচ্ছাদিত গম্বুজওয়ালা একটি স্থাপনা। তবে পর্যটকের কাছে আল–আকসা নামে বেশি প্রসিদ্ধ সোনালি গম্বুজের স্থাপনা কুব্বাতুস সাখরা।

জেরুজালেমের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদ ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় উঠে আসে ১৯৮১ সালে। এখানে প্রায় চার লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন । তবে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। কোনো মুসল্লিকে তারা মসজিদ প্রাঙ্গণে ঢুকতে দিচ্ছে না। পবিত্র স্থানটির দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ওয়াক্‌ফ বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।


৫. দ্বিতীয় হাসান মসজিদ, কাসাব্লাঙ্কা, মরক্কো:

আলজেরিয়ার জামা এল জাযের মসজিদের মিনার সবচেয়ে উঁচু, ৮৭০ ফুট। তারপরেই কাসাব্লাঙ্কার দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার, উচ্চতা ৬৮৯ ফুট। মরক্কোর বাদশাহ দ্বিতীয় হাসানের তত্ত্বাবধানে নির্মিত মসজিদটির নকশাকার ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনসু।

আটলান্টিক মহাসাগরের একটি শৈলান্তরীপের মাথায় মসজিদটির অবস্থান। মেঝের একটা অংশ স্বচ্ছ কাচের বলে আটলান্টিকের নীল পানি দেখতে পান নামাজে যাওয়া মুসল্লিরা। দেয়ালে মার্বেলের চোখধাঁধানো কারুকাজ। ছাদ অপসারণযোগ্য বলে নামাজ পড়তে যাওয়া মুসল্লিরা রাতের আকাশও দেখতে পান।

দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার থেকে একটি লেজাররশ্মি মুসলমানদের কিবলা কাবাঘরের দিকে তাক করা। অনন্য স্থাপত্যশৈলীর জন্য জগৎ–খ্যাত এই মসজিদে একসঙ্গে ১ লাখ ৫ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায় করার সুবিধা আছে।


মসজিদ   সেরা  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

মুখের ঠিকানা

প্রকাশ: ১২:১৬ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

স্পর্শে তুমি

প্রকাশ: ০৪:৪৫ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন