লিট ইনসাইড

আল শাহরিয়ার শাওনের "একটি শোক সংবাদ"

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৭ মার্চ, ২০২২


Thumbnail আল শাহরিয়ার শাওনের "একটি শোক সংবাদ"

বাংলা একাডেমী কর্তৃক আয়োজিত অমর একুশে বইমেলায় এবার প্রকাশিত হয়েছে তরুণ লেখক আল শাহরিয়ার শাওন দ্বিতীয় একক বই "একটি শোক সংবাদ।"। এটি একটি উপন্যাস। উপন্যাসটি প্রকাশিত পুস্তক প্রকাশন থেকে। অমর একুশে বই মেলায় বইটা পরিবেষণ করছে রেনেসাঁ প্রকাশনীর স্টল। স্টল নং ২৮৫।মুদ্রিত মূল্য ধরা হয়েছে ২৮০ টাকা।

বইটি সম্পর্কে জানতে চাইলে লেখ বাংলা ইনসাইডারকে জানায়, "উপন্যাসে চারপাশের জাগতিক খুঁটিনাটি বিষয় গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যতটা পেরেছি, টিপিক্যাল ফ্যামিলির জীবন, পারিবারিক কলহ, অশান্তি, প্রেম, না পাওয়া, বলা যায় ম্যাক্সিমাম পরিবারে যে বিষয় ঘটে চলছে প্রতিনিয়ত সেসব কিছুকেই একটু নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরার জন্য কাজ করেছি। আপাতত এতটুকুই বলতে পারছি"।

তিনি আরও বলন, "খুব বেশি কিছু যে আশা করে বসে আছি বা থাকি তা কিন্তু না; এখন যদি সারা নাও পাই তাতেও কোনো দুঃখ বোধ করবো না। ভ্যানগর্গের চিত্রের কথাই ধরা যাক, উনি জীবিত থাকা অবস্থায় ওনার ছবি কেউ পছন্দ করে নি, এরপর উনি মারা যাবার পরে একটা জেনারেশনের কাছে সেটা ভালো লাগলো; আর এরপরের ইতিহাসটা তো জানেনই। তারপর ধরা যাক আহমদ ছফার বিষয়টা সে জীবিত থাকা সময় তাকে নিয়ে গুটি কয়েক মানুষই শুধু আলোচনা করতো, আর এখনকার চিত্রটা দেখছেন তো!  তাই আমারও খুব বেশি প্রত্যাশা নেই যদি কারো কাছে ভালো নাও লাগে এখন; তবুও আমি খুশি তবে আমি আশা রাখবো- সবাই যেন বইটা মন দিয়ে পড়ে ভালো মন্দ কিছু একটা জানাবে, সুস্থ সমালোচনা হোক এতেই কিছুটা সুখ গিলা যাবে"।

এছাড়াও বই নিয়ে লেখকের প্রত্যাশা যেমন, "খুব বেশি কিছু যে আশা করে বসে আছি বা থাকি তা কিন্তু না; এখন যদি সারা নাও পাই তাতেও কোনো দুঃখ বোধ করবো না। ভ্যানগর্গের চিত্রের কথাই ধরা যাক, উনি জীবিত থাকা অবস্থায় ওনার ছবি কেউ পছন্দ করে নি, এরপর উনি মারা যাবার পরে একটা জেনারেশনের কাছে সেটা ভালো লাগলো; আর এরপরের ইতিহাসটা তো জানেনই। তারপর ধরা যাক আহমদ ছফার বিষয়টা সে জীবিত থাকা সময় তাকে নিয়ে গুটি কয়েক মানুষই শুধু আলোচনা করতো, আর এখনকার চিত্রটা দেখছেন তো!  তাই আমারও খুব বেশি প্রত্যাশা নেই যদি কারো কাছে ভালো নাও লাগে এখন; তবুও আমি খুশি তবে আমি আশা রাখবো- সবাই যেন বইটা মন দিয়ে পড়ে ভালো মন্দ কিছু একটা জানাবে, সুস্থ সমালোচনা হোক এতেই কিছুটা সুখ গিলা যাবে"।

সাথে  তিনি এটাও বলেন যে, প্রত্যাশা বলতে, লেখে যাওয়ার ইচ্ছা আছে সেটাতো বলাই হয়েছে। প্রথম থেকেই সমাজ কেন্দ্রিক কিছু বিশেষ বিষয় নিয়ে রিসার্চ করে লেখতে বসি, যে সকল বিষয় সমাজে অবহেলিত, অবহেলিত বলতে যে সব গুরুতর বিষয় নিয়ে কারোই মাথা ব্যথা নেই, তা নিয়েই লেখার ইচ্ছা। পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ের পথেও যাবো। পরবর্তীর সিলেক্টেড প্লট দিয়ে যদি ভালো কিছু একটা দাড় করাতে সক্ষম হই তখনই পরবর্তী এবং তার পরবর্তী বই করার সাহস করবো। নতুন প্লট নিয়ে ভাবছি এই মুহূর্তে, এখনো লেখা শুরু করা হয়নি, কবে শুরু হবে সেটাও বলতে পারছিনা।

পাঠকদের  উদ্দেশ্যে এই তরুণ লেখক শাওন বলেন, " পাঠকের উদ্দেশ্যে কিছু বলার সাহস হচ্ছেনা, কারণ আমিও এখন পর্যন্ত ভালো পাঠক হয়ে উঠতে পারিনি।  তবুও বলছি আপনারা সুস্থ পাঠক হয়ে উঠুন, পাশাপাশি সমালোচকও হয়ে উঠুন। আমরা সমালোচক'দের একটা ভিন্ন সাইডে ফেলে দিয়েছি, সাহিত্যে সমালোচনা খুবই জরুরী একটা বিষয়। কারণ আপনার সমালোচনায় লেখকের দুর্বল দিকটা ফুটে উঠবে এতে লেখকও নিজেকে আপডেট করে নিতে পারবে সহজে, সহজেই তার গ্যাপটা চোখে পড়বে। পাশাপাশি আমরাও ভালো কিছু পড়ার সুযোগ পাবো। 

আর যারা পাঠক না, বই এড়িয়ে চলেন, তারা বইমুখী হন। বই মানুষকে নানান শারীরিক এবং মানসিক যন্ত্রণা থেকে দূরে রাখে, সেসব কাছে ঘেষতেই দেয় না, সেই সুযোগ রাখা হয় না। 

"বইয়ের সাথে সকলের সম্পর্ক গভীর হোক, গভীর সখ্যতা জন্মাক।

সবশেষে লেখালেখির ব্যাপারে জানতে চাইলে শাওন বলেন, খুব ছোট বয়স থেকে পড়ার মধ্য দিয়ে চলেছি একাডেমিক পড়া আমার সাথে যায় নি, গেলেও আমি কখনো খেয়াল করিনি সে বিষয়টা, সবসময় রেন্ডম উপন্যাস-কবিতা পড়তাম আর লেখার চেষ্টা বেশি করতাম; বাসার অনেক পুরনো ফাইলে বা ডায়েরীতে একসময় লেখালেখি করতাম সে সময় লেখার প্রতি এত ঝোক থাকার কারণটা এখন বুঝছি।  দেশ বিদেশি লেখকদের অনেক বই পড়া হতো ছোট থেকেই; এই মুহূর্তে অনেক লেখকের নামও মনে করতে পারছি না। আমার সবসময় পড়ার পরে গল্পের সুন্দর সুন্দর দিকগুলোকে নিয়ে কিছু একটা লেখার ইচ্ছে সবসময় থাকতো; সেই থেকেই লেখালেখি করা। আরো অনেকদিন লেখে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। অথবা বলা যাইতে পারে আরো অনেকদিন মাঠে আছি, আল্লাহ ভরসা।

বই মেলা   বাংলা একাডেমি   ফেব্রুয়ারি  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

কবিতা

প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

বিশ্বের সেরা এবং আকর্ষণীয় পাচ মসজিদ

প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের এমন পাঁচটি মসজিদ সম্পর্কে জেনে নিন:


১. মসজিদুল হারাম, মক্কা, সৌদি আরব:

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ দেখতে যায়, এমন মসজিদের তালিকায় সবার প্রথমে আছে পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদুল হারাম। প্রতিবছর প্রায় ৮০ লাখ মানুষ এই মসজিদে যান। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় মসজিদ। একসঙ্গে ১৫ লাখ মানুষ এখানে প্রবেশ করে ঘুরে দেখতে পারেন। মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র তিন স্থানের একটি এই মসজিদুল হারাম। মুসলমানদের কিবলা পবিত্র কাবাশরিফ এখানেই অবস্থিত।

তবে যে কেউ চাইলেই মসজিদুল হারামে প্রবেশ করতে পারেন না। অমুসলিমদের জন্য মক্কা নগরীতে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ।


২. শেখ জায়েদ মসজিদ, আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত:

২০০৭ সালে স্থাপিত এই মসজিদ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মসজিদগুলোর একটি। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঝাড়বাতি ও সবচেয়ে বড় গালিচাও আছে এই মসজিদে।

আরব আমিরাতে বসবাসকারীদের বেশির ভাগই প্রবাসী, যাঁরা মূলত শ্রমজীবী হিসেবে বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে যান। এই বৈচিত্র্যময়তাই মসজিদটির নকশার মূল ভিত্তি। ব্রিটিশ, ইতালীয় ও আমিরাতি স্থপতিরা মিসর, মরক্কো, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশের মসজিদের নকশা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শেখ জায়েদ মসজিদের নকশা এঁকেছেন।

প্রতিবছর মসজিদটি দেখতে প্রচুর দর্শনার্থী আসেন। শুধু ২০১৭ সালেই এসেছেন প্রায় ৫৮ লাখ দর্শনার্থী। নামাজের সময় ছাড়া অন্য সময় অমুসলিম দর্শনার্থীরাও মসজিদ ঘুরে দেখতে পারেন। তবে শুক্রবার অমুসলিম দর্শনার্থীদের এই মসজিদে প্রবেশ নিষেধ।


৩. আয়া সোফিয়া, ইস্তাম্বুল, তুরস্ক:

ইউরোপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরগুলোর একটি তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুল। আর ইস্তাম্বুল বা গোটা ইউরোপের অন্যতম সুন্দর মসজিদ আয়া সোফিয়া। ৩৬০ খ্রিষ্ট-পূর্বাব্দে স্থাপিত এ স্থাপনা শুরুতে মসজিদ ছিল না। ১৪৬৩ সালে সুলতান মেহমেদ এটিকে মসজিদ হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

১৯৩৪ সালে এটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করে তৎকালীন তুরস্ক সরকার। কিন্তু ২০২০ সালে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এটিকে আবার নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিদের কাছে উন্মুক্ত করে দেন। ১৯৮৫ সালে আয়া সোফিয়াকে বিশ্ব ঐতিহ্যর স্বীকৃতি দেয় ইউনেসকো।


৪. আল–আকসা মসজিদ, পূর্ব জেরুজালেম, ইসরায়েল:

মুসলিম স্থাপত্যশৈলীর শুরুর দিককার অন্যতম নিদর্শন জেরুজালেমের আল–আকসা মসজিদ।

বলা হয়ে থাকে, খোলাফায়ে রাশিদিনের অন্যতম খলিফা হজরত উমর (রা.)–র শাসনামলে ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হয় মসজিদটির নির্মাণকাজ। তবে বর্তমানে আল-আকসা বলতে পুরো চত্বরটাকেই বোঝানো হয়। ‘হারাম আল শরিফ’ নামে পরিচিত এই চত্বরের চার দেয়ালের মধ্যে আছে কিবলি মসজিদ, কুব্বাতুস সাখরা (ডোম অব দ্য রক) ও বুরাক মসজিদ। মূল আল–আকসা বা কিবলি মসজিদ হলো ধূসর সীসার পাতে আচ্ছাদিত গম্বুজওয়ালা একটি স্থাপনা। তবে পর্যটকের কাছে আল–আকসা নামে বেশি প্রসিদ্ধ সোনালি গম্বুজের স্থাপনা কুব্বাতুস সাখরা।

জেরুজালেমের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদ ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় উঠে আসে ১৯৮১ সালে। এখানে প্রায় চার লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন । তবে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। কোনো মুসল্লিকে তারা মসজিদ প্রাঙ্গণে ঢুকতে দিচ্ছে না। পবিত্র স্থানটির দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ওয়াক্‌ফ বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।


৫. দ্বিতীয় হাসান মসজিদ, কাসাব্লাঙ্কা, মরক্কো:

আলজেরিয়ার জামা এল জাযের মসজিদের মিনার সবচেয়ে উঁচু, ৮৭০ ফুট। তারপরেই কাসাব্লাঙ্কার দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার, উচ্চতা ৬৮৯ ফুট। মরক্কোর বাদশাহ দ্বিতীয় হাসানের তত্ত্বাবধানে নির্মিত মসজিদটির নকশাকার ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনসু।

আটলান্টিক মহাসাগরের একটি শৈলান্তরীপের মাথায় মসজিদটির অবস্থান। মেঝের একটা অংশ স্বচ্ছ কাচের বলে আটলান্টিকের নীল পানি দেখতে পান নামাজে যাওয়া মুসল্লিরা। দেয়ালে মার্বেলের চোখধাঁধানো কারুকাজ। ছাদ অপসারণযোগ্য বলে নামাজ পড়তে যাওয়া মুসল্লিরা রাতের আকাশও দেখতে পান।

দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার থেকে একটি লেজাররশ্মি মুসলমানদের কিবলা কাবাঘরের দিকে তাক করা। অনন্য স্থাপত্যশৈলীর জন্য জগৎ–খ্যাত এই মসজিদে একসঙ্গে ১ লাখ ৫ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায় করার সুবিধা আছে।


মসজিদ   সেরা  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

মুখের ঠিকানা

প্রকাশ: ১২:১৬ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

স্পর্শে তুমি

প্রকাশ: ০৪:৪৫ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন