লিট ইনসাইড

এবারের বইমেলায় মাসুম বিল্লাহ'র থ্রিলার সিরিজ

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৯ মার্চ, ২০২২


Thumbnail এবারের বইমেলায় মাসুম বিল্লাহ'র থ্রিলার সিরিজ

জমজমাট চলছে বইমেলা। বইমেলার সময় বৃদ্ধির ফলে মেলার প্রাঙ্গণ হয়ে উঠেছে লেখক ও পাঠকদের মিলনমেলা। পাঠকরা সময় পেলেই যেনো ঢু মারছে মেলার প্রঙ্গনে। প্রতিদিন প্রকাশনীগুলোতে আসছে নতুন নতুন বই। বইগুলোর মধ্যে থাকছে নানা কবিতা ও উপন্যাস। এরই মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে থ্রিলার সিরিজও। এমনই এক থ্রিলার সিরিজ নিয়ে  এবারের অমর একুশে বইমেলায় থাকছেন তরুণ লেখক মাসুম বিল্লাহ। থ্রিলার সিরিজের বই দুটি  হচ্ছে 'আস্তাকুঁড়' ও 'নক্তচারী' এবং প্রকাশিত হয়েছে তরফদার প্রকাশনী থেকে। 'আস্তাকুঁড়' হচ্ছে এ সিরিজের প্রথম বই আর 'নক্তচারী' দ্বিতীয়। এই লেখক শাবিপ্রবি থেকে স্নাতকোত্তর পাস করে বর্তমানে বেসরকারি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।

বই বিষয়ক নানা আলাচারিতায় লেখক মাসুম বিল্লাহ বাংলা ইনসাইডারকে তাঁর বই দুটি সম্পর্কে বলেন, 'এবারের মেলায় আমার আরো দুটি বই এসেছে তরফদার প্রকাশনী থেকে। বই দুটোর নাম 'আস্তাকুঁড়' ও 'নক্তচারী'। এটা একটি ডিটেকটিভ থ্রিলার সিরিজ। মূলত কিশোর বয়েসী পাঠক-পাঠিকাদের কথা মাথায় রেখে বই দুটি লেখা'।

এছাড়াও  গত বই মেলায়  (২০২১) তাঁর ৪টি একক বই এর ভেতর দুটি বই প্রকাশিত হয়েছিলো। একটি দেশাত্মবোধক কবিতার বই 'রৌদ্রদগ্ধ দুপুর'; নব সাহিত্য প্রকাশ থেকে। অপরটি সমকালীন রোমান্টিক উপন্যাস 'প্ল্যাটফর্ম', পুস্তক প্রকাশনী থেকে। এটি একটি রেলওয়ের প্ল্যাটফর্মকে কেন্দ্র করে বেঁচে থাকা সমাজের নিচু স্তরের মানুষদের জীবন নিয়ে লেখা। এই তরুণ লেখক এখন পর্যন্ত একক বই প্রকাশিত হয়েছে ৪টি এবং  সম্পাদনা করেছি ২টি।

তাঁর লেখালেখির শুরুটার পেছনে তেমন কোনো কারণ ছিলো না বা কাউকে দেখে বা কারো উৎসাহে শুরু করেন নি লেখালেখি। তবে শুরু করার পর ভাই-বোন, বন্ধু এমন অনেকের উৎসাহ পেয়েছেন বলে জানায় তিনি।

মাসুম বিল্লাহ'র এবারের বইমেলায় প্রকাশিত বই দুটির বিষয় বস্তু সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানায়, 'আস্তাকুঁড়' মানে তো আমরা জানি। এই গল্পটার প্রেক্ষাপটও আসলে এই আবর্জনা ব্যবস্থাপনা নিয়ে। এই গল্পের মাধ্যমে একটা সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার সাথে মানুষকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছি। নক্তচারী এ গল্পেরই ধারাবাহিক। তবে সিরিজ হলেও দুটি সম্পূর্ণ আলাদা গল্প। এছাড়াও এই দুটি গল্প ধারাবাহিক ভাবে দেখলে আমরা দেখতে পারবো কীভাবে একজন সাধারণ মানুষ হঠাৎ করে গোয়েন্দা হয়ে উঠে এবং জটিল কেসে জড়িয়ে যায়। এছাড়া ঢাকা শহরকে কেন্দ্র করে লেখা বই, চেষ্টা করেছি শহরকেও মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে।

তিনি আরও বলেন, 'এবারের মেলা গতবারের তুলনায় অনেক ভালো ছিল। সেই সাথে থ্রিলার হওয়ায় কিছুটা ভালো সাড়া পেয়েছি। আমি পাঠকদের কাছে নতুন তাই হয়তো আমাকে গ্রহণ করতে সময় লাগছে। তবে প্রকাশক এবং লেখা নির্বাচকদের আগ্রহ ও লেখা নিয়ে কথা শুনে আমি অনেকটা আশাবাদী'।

এই তরুণ লেখকের আগামীতে আরও লেখালেখি করা ইচ্ছা। তিনি বলেন, 'আগামীতে এখন পর্যন্ত ইচ্ছা আছে বই নিয়ে আসার। সেটা নিয়ে কাজও করছি। করোনার লকডাউনে বেশ কিছু পাণ্ডুলিপি তৈরি করতে পেরেছি। সেগুলোই ঠিক করছি। বাকিটা নির্ভর করছে পাঠকের ভালোবাসার উপর'। তবে বই পড়ে হতাশ হবেন না ইনশাআল্লাহ।

পাঠকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পাঠকের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা বই পড়ুন। ভিন্ন লেখকের বই পড়ুন। ভিন্ন ভিন্ন ধরনের বই পড়ুন। আর যারা আমার আস্তাকুঁড় ও নক্তচারী পড়ার আগ্রহ মনে পুষে আছেন তাদেরকে বলছি, একই মূল চরিত্রের দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন প্লট নিয়ে গল্প দুটি লেখা। আপনাকে আস্তাকুঁড়ই আগে পড়তে হবে এমন কিছু নেই। তবে আস্তাকুঁড় এই সিরিজের প্রথম বই। আর বইটা কিশোর থ্রিলার। সুতরাং অনেক কিছুই অনেক সহজ ভাষায় লেখা হয়েছে যেন সব বয়েসী বিশেষ করে কিশোররা বইটা আনন্দ নিয়ে পড়তে পারে। অনেকে অনেক রগরগে বর্ণনা আশা করেন হয়তো তেমনটা পুরো বইজুড়ে নাও পেতে পারেন।

উল্লেখযোগ্য: বই দুটি পাওয়া যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলা ২০২২ এর তরফদার প্রকাশনীতে এবং স্টল নাম্বার  ১০৯। আস্তাকুঁড় বইটির মুদ্রিত মূল্য- ৩৫০ এবং নক্তচারী মুদ্রিত মূল্য- ২০০ টাকা।এছাড়াও রকমারি সহ দেশের সকল বুকশপে পাওয়া যাচ্ছে। ভারতীয় পাঠকরা সংগ্রহ করতে পারবেন বুক অফ বেঙ্গল থেকে।

বইমেলা   বাংলা একাডেমী  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

কবিতা

প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

বিশ্বের সেরা এবং আকর্ষণীয় পাচ মসজিদ

প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের এমন পাঁচটি মসজিদ সম্পর্কে জেনে নিন:


১. মসজিদুল হারাম, মক্কা, সৌদি আরব:

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ দেখতে যায়, এমন মসজিদের তালিকায় সবার প্রথমে আছে পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদুল হারাম। প্রতিবছর প্রায় ৮০ লাখ মানুষ এই মসজিদে যান। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় মসজিদ। একসঙ্গে ১৫ লাখ মানুষ এখানে প্রবেশ করে ঘুরে দেখতে পারেন। মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র তিন স্থানের একটি এই মসজিদুল হারাম। মুসলমানদের কিবলা পবিত্র কাবাশরিফ এখানেই অবস্থিত।

তবে যে কেউ চাইলেই মসজিদুল হারামে প্রবেশ করতে পারেন না। অমুসলিমদের জন্য মক্কা নগরীতে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ।


২. শেখ জায়েদ মসজিদ, আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত:

২০০৭ সালে স্থাপিত এই মসজিদ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মসজিদগুলোর একটি। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঝাড়বাতি ও সবচেয়ে বড় গালিচাও আছে এই মসজিদে।

আরব আমিরাতে বসবাসকারীদের বেশির ভাগই প্রবাসী, যাঁরা মূলত শ্রমজীবী হিসেবে বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে যান। এই বৈচিত্র্যময়তাই মসজিদটির নকশার মূল ভিত্তি। ব্রিটিশ, ইতালীয় ও আমিরাতি স্থপতিরা মিসর, মরক্কো, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশের মসজিদের নকশা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শেখ জায়েদ মসজিদের নকশা এঁকেছেন।

প্রতিবছর মসজিদটি দেখতে প্রচুর দর্শনার্থী আসেন। শুধু ২০১৭ সালেই এসেছেন প্রায় ৫৮ লাখ দর্শনার্থী। নামাজের সময় ছাড়া অন্য সময় অমুসলিম দর্শনার্থীরাও মসজিদ ঘুরে দেখতে পারেন। তবে শুক্রবার অমুসলিম দর্শনার্থীদের এই মসজিদে প্রবেশ নিষেধ।


৩. আয়া সোফিয়া, ইস্তাম্বুল, তুরস্ক:

ইউরোপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরগুলোর একটি তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুল। আর ইস্তাম্বুল বা গোটা ইউরোপের অন্যতম সুন্দর মসজিদ আয়া সোফিয়া। ৩৬০ খ্রিষ্ট-পূর্বাব্দে স্থাপিত এ স্থাপনা শুরুতে মসজিদ ছিল না। ১৪৬৩ সালে সুলতান মেহমেদ এটিকে মসজিদ হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

১৯৩৪ সালে এটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করে তৎকালীন তুরস্ক সরকার। কিন্তু ২০২০ সালে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এটিকে আবার নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিদের কাছে উন্মুক্ত করে দেন। ১৯৮৫ সালে আয়া সোফিয়াকে বিশ্ব ঐতিহ্যর স্বীকৃতি দেয় ইউনেসকো।


৪. আল–আকসা মসজিদ, পূর্ব জেরুজালেম, ইসরায়েল:

মুসলিম স্থাপত্যশৈলীর শুরুর দিককার অন্যতম নিদর্শন জেরুজালেমের আল–আকসা মসজিদ।

বলা হয়ে থাকে, খোলাফায়ে রাশিদিনের অন্যতম খলিফা হজরত উমর (রা.)–র শাসনামলে ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হয় মসজিদটির নির্মাণকাজ। তবে বর্তমানে আল-আকসা বলতে পুরো চত্বরটাকেই বোঝানো হয়। ‘হারাম আল শরিফ’ নামে পরিচিত এই চত্বরের চার দেয়ালের মধ্যে আছে কিবলি মসজিদ, কুব্বাতুস সাখরা (ডোম অব দ্য রক) ও বুরাক মসজিদ। মূল আল–আকসা বা কিবলি মসজিদ হলো ধূসর সীসার পাতে আচ্ছাদিত গম্বুজওয়ালা একটি স্থাপনা। তবে পর্যটকের কাছে আল–আকসা নামে বেশি প্রসিদ্ধ সোনালি গম্বুজের স্থাপনা কুব্বাতুস সাখরা।

জেরুজালেমের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদ ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় উঠে আসে ১৯৮১ সালে। এখানে প্রায় চার লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন । তবে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। কোনো মুসল্লিকে তারা মসজিদ প্রাঙ্গণে ঢুকতে দিচ্ছে না। পবিত্র স্থানটির দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ওয়াক্‌ফ বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।


৫. দ্বিতীয় হাসান মসজিদ, কাসাব্লাঙ্কা, মরক্কো:

আলজেরিয়ার জামা এল জাযের মসজিদের মিনার সবচেয়ে উঁচু, ৮৭০ ফুট। তারপরেই কাসাব্লাঙ্কার দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার, উচ্চতা ৬৮৯ ফুট। মরক্কোর বাদশাহ দ্বিতীয় হাসানের তত্ত্বাবধানে নির্মিত মসজিদটির নকশাকার ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনসু।

আটলান্টিক মহাসাগরের একটি শৈলান্তরীপের মাথায় মসজিদটির অবস্থান। মেঝের একটা অংশ স্বচ্ছ কাচের বলে আটলান্টিকের নীল পানি দেখতে পান নামাজে যাওয়া মুসল্লিরা। দেয়ালে মার্বেলের চোখধাঁধানো কারুকাজ। ছাদ অপসারণযোগ্য বলে নামাজ পড়তে যাওয়া মুসল্লিরা রাতের আকাশও দেখতে পান।

দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার থেকে একটি লেজাররশ্মি মুসলমানদের কিবলা কাবাঘরের দিকে তাক করা। অনন্য স্থাপত্যশৈলীর জন্য জগৎ–খ্যাত এই মসজিদে একসঙ্গে ১ লাখ ৫ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায় করার সুবিধা আছে।


মসজিদ   সেরা  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

মুখের ঠিকানা

প্রকাশ: ১২:১৬ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

স্পর্শে তুমি

প্রকাশ: ০৪:৪৫ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন