লিট ইনসাইড

এবারের বইমেলায় মোঃ আরিফুর রহমানের এককভাবে প্রকাশিত তিনটি বই

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৪ মার্চ, ২০২২


Thumbnail এবারের বইমেলায় আরিফুর রহমানের এককভাবে প্রকাশিত তিনটি বই

বাংলা একাডেমী কর্তৃক আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা ২০২২।  এবারের বইমেলায় দেখা গিয়েছে লেখক, প্রকাশক এবং পাঠকদের ভিড়। বিগত বছরের তুলনায় এবারের মেলা বিভিন্ন গল্প, কবিতা, ছোট গল্পের সমারোহে বেশ জমেও উঠেছে। জমজমাটের ভেতরে বইমেলার সময়  কখন যে ঘনিয়ে এসেছে বুঝাই যায় নি। আমাদের লেখক, প্রকাশকদের নিয়ে বিভিন্ন আয়োজনে এবার থাকছে মোঃ আরিফুর রহমান। এবারের বইমেলায় তার লেখা তিনটি বই এককভাবে প্রকাশিত হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, 'একটাই আকাশ কিন্তু গল্পগুলো আলাদা', 'ঐন্দ্রজালিক' এবং 'অহিংসক'। তার লেখা বইগুলো মূলত গল্পগ্রন্থ এবং কাব্যগ্রন্থ।

এবারের বইমেলায় প্রকাশিত বইগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে লেখক মোঃ আরিফুর রহমান তার বইগুলো সম্পর্কে এক এক করে বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, 

১. একটাই আকাশ কিন্তু গল্পগুলো আলাদা। এটি একটি গল্পগ্রন্থ। ছোট ছোট পনেরটি গল্প আছে এই বইতে। ট্র্যাজেডি, কমেডি, রোম্যান্টিক, ফ্যাকচুয়াল ও হরর গল্পের সমাহার রয়েছে এই বইয়ে। বইটি প্রকাশ করেছে পরিলেখ প্রকাশনী যাদের স্টল নাম্বার ২৯। ৮০ পৃষ্ঠার এ বইটির প্রচ্ছদ মূল্য ২০০/-।

২. ঐন্দ্রজালিক। এটি মূলত কাব্যগ্রন্থ। বইটিতে ৫০ টি কবিতা রয়েছে। ৬৪ পৃষ্ঠার এ বইয়ের প্রচ্ছদ মূল্য ১৮০/-। বইটি প্রকাশ করেছে সমযুগ প্রকাশন। এই বইমেলায় তাদের কোন স্টল নেই। তবে মেলায় বইটির পরিবেশক হিসেবে আছে কাব্যগ্রন্থ প্রকাশন যাদের স্টল নাম্বার ১৭৫।

৩. অহিংসক। এটি ভৌতিক ঘটনা নিয়ে লেখা একটি ছোটগল্পের বই। ছয়টি ভূতের গল্প নিয়ে লেখা বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যা ৬৪ এবং প্রচ্ছদ মূল্য ২০০/-। বইটির প্রকাশক নব সাহিত্য প্রকাশনী যাদের স্টল নাম্বার ১৩৬।

এছাড়াও তিনি আরও বলেন, 'আমি মূলত সব ধরনের লেখা লিখতে পছন্দ করি। যেমন, ট্র্যাজেডি, কমেডি, হরর, রোম্যান্টিক, ফ্যাকচুয়াল, গোয়েন্দা, রহস্য, ফ্যান্টাসি, ভ্রমণ, এডভেঞ্চার ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে সব ধরনের লেখাই আমার আছে এবং আমি ছোটগল্প লিখতেই বেশি পছন্দ করি। উপন্যাস কোনোদিন লিখতে পারব বলে মনে হচ্ছে না। এতগুলো শব্দ ভাবা বা লেখা সম্ভবত আমার দ্বারা সম্ভব নয়'।



লেখক পেশায় একজন শিক্ষক, সে হিসেবে বই নিয়ে কেমন আশা-প্রত্যাশা এসব ব্যাপারে কথা হলে তিনি বলেন, যেহেতু আমি পেশায় শিক্ষক, আমার সবচেয়ে বড় পাঠক মহল হচ্ছে আমার শিক্ষার্থীরা। আমার বই নিয়ে আমার কোন প্রত্যাশা নেই। শুধু চাই মানুষ অনেক বেশি বইমুখী হোক এবং সাহিত্যকে ভালোবাসুক। একমাত্র বিনোদন দেয়া ছাড়া আমার আর কোন উদ্দেশ্য নেই। আমি আমার লেখায় কোন ধরনের ম্যাসেজ ট্যাসেজ দিতে চাই না। আলহামদুলিল্লাহ বই নিয়ে খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। 
 
তিনি পাঠকদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন, পাঠকদের বলবো বেশি বেশি বই পড়তে। ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো থেকে নিজেদের একটু বাঁচিয়ে রাখতে। আর অবশ্যই নতুন লেখকের বই কিনে এবং পড়ে তাদের উৎসাহ প্রদান করতে।

তিনি সর্বশেষে বলেন,  আমি যেকোন কিছু লিখতে বসলে আমার সবসময় নিজের স্টুডেন্টদের চেহারা চোখের সামনে ভেসে ওঠে। তাই আমার লেখাগুলো কিশোর-কিশোরী লেভেলে গিয়েই আটকে আছে। এটা একদিক থেকে ভালো। সিলেক্টেড অডিয়েন্স নিয়ে কাজ করলে কাজের গতি থাকে। তাছাড়া, কঠিন শব্দ ব্যবহার করে মানুষকে বই বিমুখ করা আমার পছন্দ নয়। আমি সহজ ও সাবলীল ভাষায় লিখতে পছন্দ করি। আমি চাই না আমার বই পড়তে বসে বাচ্চারা বাংলা টু বাংলা ডিকশনারি নিয়ে বসুক।

লেখকের লেখালেখির শুরুটা বলা যায় স্কুল জীবন থেকেই। ক্লাস এইট বা নাইনে যখন পড়তেন তিনি, তখন থেকেই ছোট ছোট ছড়া ও গল্প লিখতেন। এসময়টা হয়তো বুঝে না বুঝেই শুধু ভালোবেসে লিখতেন। তবে ভালোভাবে লেখাটা শুরু করতে পেরেছি অনার্সে ভর্তি হবার পরেই এবং এই লেখালেখির পেছনের উৎসাহ আর অনুপ্রেরণা বলতে তার পরিবার থেকেই । যৌথ পরিবারে বেড়ে ওঠার সুবাদেই বড় ভাই-বোনদের কাছ থেকে জন্মেছিল বই পড়ার আগ্রহ। সেই থেকে লেখার ইচ্ছে জন্মেছিলো তার। লেখালেখির পেছনে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা আমার বাবা-মা। উনারাই আমার লেখার সর্বপ্রথম পাঠক বলে জানায় লেখক আরিফুর রহমান। তিনি বলেন, প্রায়ই আমার ঘরে এসে জিজ্ঞেস করেন, 'নতুন কিছু লিখিসনি?'

উল্লেখ্য, লেখক মোঃ আরিফুর রহমান। জন্মগ্রহণ করেন ১৯৯১ সালে পুরান ঢাকার লালবাগে। বর্তমানে রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত কাকলি হাই স্কুল এন্ড কলেজে ইংরেজির লেকচারার হিসেবে কর্মরত আছেন।

বইমেলা   প্রকাশনী   বই  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

কবিতা

প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

বিশ্বের সেরা এবং আকর্ষণীয় পাচ মসজিদ

প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের এমন পাঁচটি মসজিদ সম্পর্কে জেনে নিন:


১. মসজিদুল হারাম, মক্কা, সৌদি আরব:

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ দেখতে যায়, এমন মসজিদের তালিকায় সবার প্রথমে আছে পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদুল হারাম। প্রতিবছর প্রায় ৮০ লাখ মানুষ এই মসজিদে যান। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় মসজিদ। একসঙ্গে ১৫ লাখ মানুষ এখানে প্রবেশ করে ঘুরে দেখতে পারেন। মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র তিন স্থানের একটি এই মসজিদুল হারাম। মুসলমানদের কিবলা পবিত্র কাবাশরিফ এখানেই অবস্থিত।

তবে যে কেউ চাইলেই মসজিদুল হারামে প্রবেশ করতে পারেন না। অমুসলিমদের জন্য মক্কা নগরীতে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ।


২. শেখ জায়েদ মসজিদ, আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত:

২০০৭ সালে স্থাপিত এই মসজিদ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মসজিদগুলোর একটি। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঝাড়বাতি ও সবচেয়ে বড় গালিচাও আছে এই মসজিদে।

আরব আমিরাতে বসবাসকারীদের বেশির ভাগই প্রবাসী, যাঁরা মূলত শ্রমজীবী হিসেবে বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে যান। এই বৈচিত্র্যময়তাই মসজিদটির নকশার মূল ভিত্তি। ব্রিটিশ, ইতালীয় ও আমিরাতি স্থপতিরা মিসর, মরক্কো, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশের মসজিদের নকশা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শেখ জায়েদ মসজিদের নকশা এঁকেছেন।

প্রতিবছর মসজিদটি দেখতে প্রচুর দর্শনার্থী আসেন। শুধু ২০১৭ সালেই এসেছেন প্রায় ৫৮ লাখ দর্শনার্থী। নামাজের সময় ছাড়া অন্য সময় অমুসলিম দর্শনার্থীরাও মসজিদ ঘুরে দেখতে পারেন। তবে শুক্রবার অমুসলিম দর্শনার্থীদের এই মসজিদে প্রবেশ নিষেধ।


৩. আয়া সোফিয়া, ইস্তাম্বুল, তুরস্ক:

ইউরোপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরগুলোর একটি তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুল। আর ইস্তাম্বুল বা গোটা ইউরোপের অন্যতম সুন্দর মসজিদ আয়া সোফিয়া। ৩৬০ খ্রিষ্ট-পূর্বাব্দে স্থাপিত এ স্থাপনা শুরুতে মসজিদ ছিল না। ১৪৬৩ সালে সুলতান মেহমেদ এটিকে মসজিদ হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

১৯৩৪ সালে এটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করে তৎকালীন তুরস্ক সরকার। কিন্তু ২০২০ সালে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এটিকে আবার নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিদের কাছে উন্মুক্ত করে দেন। ১৯৮৫ সালে আয়া সোফিয়াকে বিশ্ব ঐতিহ্যর স্বীকৃতি দেয় ইউনেসকো।


৪. আল–আকসা মসজিদ, পূর্ব জেরুজালেম, ইসরায়েল:

মুসলিম স্থাপত্যশৈলীর শুরুর দিককার অন্যতম নিদর্শন জেরুজালেমের আল–আকসা মসজিদ।

বলা হয়ে থাকে, খোলাফায়ে রাশিদিনের অন্যতম খলিফা হজরত উমর (রা.)–র শাসনামলে ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হয় মসজিদটির নির্মাণকাজ। তবে বর্তমানে আল-আকসা বলতে পুরো চত্বরটাকেই বোঝানো হয়। ‘হারাম আল শরিফ’ নামে পরিচিত এই চত্বরের চার দেয়ালের মধ্যে আছে কিবলি মসজিদ, কুব্বাতুস সাখরা (ডোম অব দ্য রক) ও বুরাক মসজিদ। মূল আল–আকসা বা কিবলি মসজিদ হলো ধূসর সীসার পাতে আচ্ছাদিত গম্বুজওয়ালা একটি স্থাপনা। তবে পর্যটকের কাছে আল–আকসা নামে বেশি প্রসিদ্ধ সোনালি গম্বুজের স্থাপনা কুব্বাতুস সাখরা।

জেরুজালেমের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদ ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় উঠে আসে ১৯৮১ সালে। এখানে প্রায় চার লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন । তবে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। কোনো মুসল্লিকে তারা মসজিদ প্রাঙ্গণে ঢুকতে দিচ্ছে না। পবিত্র স্থানটির দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ওয়াক্‌ফ বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।


৫. দ্বিতীয় হাসান মসজিদ, কাসাব্লাঙ্কা, মরক্কো:

আলজেরিয়ার জামা এল জাযের মসজিদের মিনার সবচেয়ে উঁচু, ৮৭০ ফুট। তারপরেই কাসাব্লাঙ্কার দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার, উচ্চতা ৬৮৯ ফুট। মরক্কোর বাদশাহ দ্বিতীয় হাসানের তত্ত্বাবধানে নির্মিত মসজিদটির নকশাকার ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনসু।

আটলান্টিক মহাসাগরের একটি শৈলান্তরীপের মাথায় মসজিদটির অবস্থান। মেঝের একটা অংশ স্বচ্ছ কাচের বলে আটলান্টিকের নীল পানি দেখতে পান নামাজে যাওয়া মুসল্লিরা। দেয়ালে মার্বেলের চোখধাঁধানো কারুকাজ। ছাদ অপসারণযোগ্য বলে নামাজ পড়তে যাওয়া মুসল্লিরা রাতের আকাশও দেখতে পান।

দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার থেকে একটি লেজাররশ্মি মুসলমানদের কিবলা কাবাঘরের দিকে তাক করা। অনন্য স্থাপত্যশৈলীর জন্য জগৎ–খ্যাত এই মসজিদে একসঙ্গে ১ লাখ ৫ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায় করার সুবিধা আছে।


মসজিদ   সেরা  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

মুখের ঠিকানা

প্রকাশ: ১২:১৬ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

স্পর্শে তুমি

প্রকাশ: ০৪:৪৫ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন