লিট ইনসাইড

কলকাতা বইমেলায় সেরা শিরোপায় ভূষিত ‘বাংলাদেশ প্যভিলিয়ন’

প্রকাশ: ০৯:২১ এএম, ১৪ মার্চ, ২০২২


Thumbnail কলকাতা বইমেলায় সেরা শিরোপায় ভূষিত ‘বাংলাদেশ প্যভিলিয়ন’

পাঠকদের জনপ্রিয়তায় এবারের বইমেলার সেরার শিরোপা পেয়েছে বাংলাদেশ প্যভিলিয়ন। ভারতের সবচেয়ে বৃহত্তম এই বইমেলায় কলকাতাবাসীর কাছে বড় ইউএসপি হলো—একই ভাষায়, বিদেশি বইয়ের স্বাদ। সাধারণত, মেলায় বাংলাদেশের বইয়ের জনপ্রিয়তা প্রতিবারই তুঙ্গে থাকে। সারাবছর শহরবাসী অপেক্ষা করে থাকেন এই সময়টার জন্য। পাশাপাশি কলকাতা বইমেলা বড় অংশটা জমিয়ে রাখেন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দারা। কারণ, এই বইমেলাতেই এক বাংলার বই আরেক বাংলায় পাওয়া যায়।

রোববার ঘণ্টা বাজিয়ে শেষ হলো ৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। একই সঙ্গে ঘোষণা হলো আগামীবারের ‘থিম কান্ট্রি’ স্পেনের নাম। এবারের থিম কান্ট্রি ছিল বাংলাদেশ।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হাতুড়ির শব্দে সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্ক প্রাঙ্গণে সূচনা হয়েছিল কলকাতা বইমেলা। এবারে বইমেলায় ২৩ কোটি রুপির বেশি বই বিক্রি হয়েছে। এমনকি এবারে ডিজিটাইজেশনের পাশাপাশি অনলাইনে বিক্রি হয়েছে বই। অর্থাৎ সম্পূর্ণ বইমেলা বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের বাঙালিরা দেখতে পেয়েছেন এবং কিনতে পেরেছেন বই।

এ বিষয়ে গিল্ডকর্তা ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা দেখেছি যতবার বাংলাদেশ কলকাতা বইমেলার থিম কান্ট্রি হয়েছে, ততবার আমাদের সেল বেড়েছে এবং বইমেলায় নতুনত্ব এসেছে। বাংলাদেশ আমাদের কাছে পসরা।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ প্রথম থিম কান্ট্রি হয় ১৯৯৯ সালে। এরপর ২০১৩ এবং ২০২২; প্রত্যেকবারই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়। ১৯৯৯ সালে কবি শামসুর রাহমান কলকাতায় এসেছিলেন। ২০১৩ সালে এসেছিলেন আনিসুজ্জামান এবং এবার সেলিনা হোসেন। তিনজন প্রথিতযশার হাত ধরে কলকাতা বইমেলার সূচনা এবং তিনবারই বইমেলায় অভিনবত্ব এসেছে।

যদিও কলকাতায় শুধু বাংলাদেশের বইয়ের পসরা নিয়ে 'বাংলাদেশ বইমেলা’ হয়ে থাকে, তবে করোনা কারণে গত দু'বছর হয়নি সেই বইমেলা। ফলে বাড়তি মনোযোগ পেয়েছে কলকাতা বইমেলার বাংলাদেশ প্যাভেলিয়ন। আর সেই উন্মাদনার জন্য কলকাতা বইমেলার আয়োজক কমিটি পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ প্যাভেলিয়নের হাতে তুলে দিয়েছে সম্মাননা।

এবারে থিম কান্ট্রি ‘বাংলাদেশ’ এর পাশাপাশি বিদেশি প্রকাশকদের স্টলে হাজির ছিল ‘পুতিন’-এর রাশিয়া। এক ছাতার তলায় ছিল ‘ইউক্রেন’ হামলার নিন্দার সরব আমেরিকা, ইংল্যান্ড, জাপানের মতো দেশের প্রকাশকরাও। এবারে মোট ২০টি দেশ অংশগ্রহণ করেছে বইমেলায়।

৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার বাংলাদেশ প্যাভেলিয়ন সাজোনো হয়েছিল ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণকে উপজীব্য করে। প্যাভেলিয়নে ঢুকতেই ছিল বিশাল মাপের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। গোটা প্যাভেলিয়নের বাইরে সেই ঐতিহাসিক ভাষণের ছবি কাঠে খোদাই করে বসানো হয়েছে। প্যাভেলিয়নে অংশগ্রহণ করেছিল ১২টি সরকারি ও ২৯টি বেসরকারি প্রকাশনা সংস্থা। এবারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা ছিল হুমায়ূন আহমেদ, নাসরিন জাহান, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও সাদাত হোসাইনের বইয়ের।

অরপদিকে, থিম কান্ট্রি হওয়ার পাশাপাশি মেলার তিনটি প্রবেশদ্বার সাজানো হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর তিনটি বইকে উপজীব্য করে। সেগুলি হলো—অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা এবং আমার দেখা নয়া চীন। এসব বইয়ের বিপুল চাহিদা ছিল। বাংলাদেশ প্যাভেলিয়নের প্রকাশকদের মতে বিক্রি হয়েছে আশানুরূপ। গতবারের চেয়ে ৪৫ শতাংশ বই বিক্রি বেড়েছে।

প্যভিলিয়ন   বইমেলা   ৭ মার্চ  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

কবিতা

প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

বিশ্বের সেরা এবং আকর্ষণীয় পাচ মসজিদ

প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের এমন পাঁচটি মসজিদ সম্পর্কে জেনে নিন:


১. মসজিদুল হারাম, মক্কা, সৌদি আরব:

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ দেখতে যায়, এমন মসজিদের তালিকায় সবার প্রথমে আছে পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদুল হারাম। প্রতিবছর প্রায় ৮০ লাখ মানুষ এই মসজিদে যান। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় মসজিদ। একসঙ্গে ১৫ লাখ মানুষ এখানে প্রবেশ করে ঘুরে দেখতে পারেন। মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র তিন স্থানের একটি এই মসজিদুল হারাম। মুসলমানদের কিবলা পবিত্র কাবাশরিফ এখানেই অবস্থিত।

তবে যে কেউ চাইলেই মসজিদুল হারামে প্রবেশ করতে পারেন না। অমুসলিমদের জন্য মক্কা নগরীতে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ।


২. শেখ জায়েদ মসজিদ, আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত:

২০০৭ সালে স্থাপিত এই মসজিদ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মসজিদগুলোর একটি। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঝাড়বাতি ও সবচেয়ে বড় গালিচাও আছে এই মসজিদে।

আরব আমিরাতে বসবাসকারীদের বেশির ভাগই প্রবাসী, যাঁরা মূলত শ্রমজীবী হিসেবে বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে যান। এই বৈচিত্র্যময়তাই মসজিদটির নকশার মূল ভিত্তি। ব্রিটিশ, ইতালীয় ও আমিরাতি স্থপতিরা মিসর, মরক্কো, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশের মসজিদের নকশা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শেখ জায়েদ মসজিদের নকশা এঁকেছেন।

প্রতিবছর মসজিদটি দেখতে প্রচুর দর্শনার্থী আসেন। শুধু ২০১৭ সালেই এসেছেন প্রায় ৫৮ লাখ দর্শনার্থী। নামাজের সময় ছাড়া অন্য সময় অমুসলিম দর্শনার্থীরাও মসজিদ ঘুরে দেখতে পারেন। তবে শুক্রবার অমুসলিম দর্শনার্থীদের এই মসজিদে প্রবেশ নিষেধ।


৩. আয়া সোফিয়া, ইস্তাম্বুল, তুরস্ক:

ইউরোপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরগুলোর একটি তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুল। আর ইস্তাম্বুল বা গোটা ইউরোপের অন্যতম সুন্দর মসজিদ আয়া সোফিয়া। ৩৬০ খ্রিষ্ট-পূর্বাব্দে স্থাপিত এ স্থাপনা শুরুতে মসজিদ ছিল না। ১৪৬৩ সালে সুলতান মেহমেদ এটিকে মসজিদ হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

১৯৩৪ সালে এটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করে তৎকালীন তুরস্ক সরকার। কিন্তু ২০২০ সালে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এটিকে আবার নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিদের কাছে উন্মুক্ত করে দেন। ১৯৮৫ সালে আয়া সোফিয়াকে বিশ্ব ঐতিহ্যর স্বীকৃতি দেয় ইউনেসকো।


৪. আল–আকসা মসজিদ, পূর্ব জেরুজালেম, ইসরায়েল:

মুসলিম স্থাপত্যশৈলীর শুরুর দিককার অন্যতম নিদর্শন জেরুজালেমের আল–আকসা মসজিদ।

বলা হয়ে থাকে, খোলাফায়ে রাশিদিনের অন্যতম খলিফা হজরত উমর (রা.)–র শাসনামলে ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হয় মসজিদটির নির্মাণকাজ। তবে বর্তমানে আল-আকসা বলতে পুরো চত্বরটাকেই বোঝানো হয়। ‘হারাম আল শরিফ’ নামে পরিচিত এই চত্বরের চার দেয়ালের মধ্যে আছে কিবলি মসজিদ, কুব্বাতুস সাখরা (ডোম অব দ্য রক) ও বুরাক মসজিদ। মূল আল–আকসা বা কিবলি মসজিদ হলো ধূসর সীসার পাতে আচ্ছাদিত গম্বুজওয়ালা একটি স্থাপনা। তবে পর্যটকের কাছে আল–আকসা নামে বেশি প্রসিদ্ধ সোনালি গম্বুজের স্থাপনা কুব্বাতুস সাখরা।

জেরুজালেমের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদ ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় উঠে আসে ১৯৮১ সালে। এখানে প্রায় চার লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন । তবে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। কোনো মুসল্লিকে তারা মসজিদ প্রাঙ্গণে ঢুকতে দিচ্ছে না। পবিত্র স্থানটির দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ওয়াক্‌ফ বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।


৫. দ্বিতীয় হাসান মসজিদ, কাসাব্লাঙ্কা, মরক্কো:

আলজেরিয়ার জামা এল জাযের মসজিদের মিনার সবচেয়ে উঁচু, ৮৭০ ফুট। তারপরেই কাসাব্লাঙ্কার দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার, উচ্চতা ৬৮৯ ফুট। মরক্কোর বাদশাহ দ্বিতীয় হাসানের তত্ত্বাবধানে নির্মিত মসজিদটির নকশাকার ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনসু।

আটলান্টিক মহাসাগরের একটি শৈলান্তরীপের মাথায় মসজিদটির অবস্থান। মেঝের একটা অংশ স্বচ্ছ কাচের বলে আটলান্টিকের নীল পানি দেখতে পান নামাজে যাওয়া মুসল্লিরা। দেয়ালে মার্বেলের চোখধাঁধানো কারুকাজ। ছাদ অপসারণযোগ্য বলে নামাজ পড়তে যাওয়া মুসল্লিরা রাতের আকাশও দেখতে পান।

দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার থেকে একটি লেজাররশ্মি মুসলমানদের কিবলা কাবাঘরের দিকে তাক করা। অনন্য স্থাপত্যশৈলীর জন্য জগৎ–খ্যাত এই মসজিদে একসঙ্গে ১ লাখ ৫ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায় করার সুবিধা আছে।


মসজিদ   সেরা  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

মুখের ঠিকানা

প্রকাশ: ১২:১৬ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

স্পর্শে তুমি

প্রকাশ: ০৪:৪৫ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন