লিট ইনসাইড

প্রেম, বিরহ, বাস্তবতা ও মানবিকতার দলিল নিয়ে শফিকুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ 'মায়াজাল'

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৬ মার্চ, ২০২২


Thumbnail প্রেম, বিরহ, বাস্তবতা ও মানবিকতার দলিল নিয়ে শফিকুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ 'মায়াজাল'

আর একদিন পরেই বাংলা একাডেমী কর্তৃক আয়োজিত অমর একুশে বইমেলার সমাপ্তি হবে। এবারের বইমেলায় বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে নানা ক্যাটাগরির অনেক নতুন বই।  শুধু নানা ক্যাটাগরিই নয়, বইগুলোর রচনাকার, কাব্যকার বা গল্পকার ছিলো বিখ্যাত কবি, লেখকের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের বই। এছাড়াও  প্রকাশিত হতে দেখা গেছে নানা সাংবাদিকের বই বা ব্যাংকারের বই।  এমনই একজন ব্যাংকার শফিকুল ইসলাম। এবারের বইমেলায় তাঁর লেখা প্রথম একক কাব্যগ্রন্থ 'মায়াজাল' নব সাহিত্য প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যগ্রন্থটি এবারের অমর একুশে বইমেলার নব সাহিত্য প্রকাশনীর ১৩৬ নাম্বার স্টলে পাওয়া যাবে এবং বইটির মুদ্রিত মূল্য: ২০০ টাকা।

লেখক শফিকুল ইসলামের কাছে তাঁর বই সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, 'মায়াজাল' এটি আমার প্রথম একক কাব্যগ্রন্থ। এই বইটিতে সব ধরনের কবিতা রয়েছে, তবে প্রেম-বিরহ ও জীবনমুখী কবিতাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

বই সম্পর্কে ভূমিকাতে আমি লিখেছি, “ নিজের দুঃখবোধ, আনন্দ-উচ্ছ্বাস আর পাওয়া না পাওয়ার কথা কবিতার নীতিমালায় গাঁথি প্রতিদিন অথচ কি শ্রমসাধ্য সকালই না শুরু হয় আমার! ভোর না হতেই বিছানা ছাড়ি। অফিসের জন্য প্রস্তুত হই, শুরু হয় বেসরকারি ব্যাংকের কর্ম-ব্যস্ত দিন। ব্যাংকে প্রচণ্ড মানসিক ও শারীরিক পরিশ্রম করেও আমি ভাবতে থাকি কবিতার ছন্দ। বাড়ি ফিরেই মাথায় খেলে যাওয়া কোনো পঙক্তি লিখতে বসি। খাটুনির কষ্ট ভুলি সদ্য ভূমিষ্ঠ কবিতায়। 

তিনি আরও বলেন, দিনে দিনে এভাবে পাঁচশর বেশি কবিতা লিখেছি এবং লিখছি। যখন মন প্রচণ্ড ভালো থাকে তখনও লিখি, যখন মনটা খারাপ হয়ে যায় তখনও লিখি। কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে— আপনি কীভাবে এত কবিতা লেখেন? 
উত্তরে বলি— “আমি কবিতা লিখি না, আমি আমার হৃদয়কে সাদা কাগজের ওপরে নিঙড়ায়; যে নির্যাসটুকু বের হয়, সেটুকুই আমি লিখি। এটাকে যদি কেউ কবিতা বলে— তবে কবিতা; যদি কেউ অখাদ্য বলে— তবে সেটাকে ‘জাঙ্কফুড’ বলতেই পারে। আমি কবিতা লিখি আমার ভালো লাগার জন্য, নিজের জন্য। কবিতাই আমার ভাষা।” 

এছাড়াও, বইটা আমি লিখেছি আমার হৃদয় নিঙড়িয়ে, তাই কেউ যদি হৃদয় দিয়ে পাঠ করে, তবেই হৃদয়ের কথা বুঝতে পারবে। কবিতার পাঠক আলাদা। তারা ক্লাসিক ঘরনার হয়। আর কবিতা শুধু পড়ার বিষয় নয়, অনুধাবন করার বিষয়। তাই একবার না পড়ে বার বার পড়তে হয়, তবেই কবিতার রস আস্বাদন করতে পারা যায়। আমার প্রত্যাশা সুধী পাঠক হৃদয় দিয়ে কবিতা অনুধাবন করবে, কবিতার রস আস্বাদন করবে। আমার কাব্যগ্রন্থ ‘মায়াজাল’-এ আমি ব্যাপক সাড়া পেয়েছি, যা আমাকে আগামীতে লিখতে উৎসাহিত করবে বলে জানায় লেখক শফিকুল ইসলাম।

পাঠকদের উদ্দেশ্যে লেখক বলেন, হৃদয় দিয়েই তো হৃদয়কে অনুভব করা যায়, তাই হৃদয় দিয়ে হৃদয়ের ভাষা বুঝুন। হৃদয় নিঙড়ানো কাব্যরস আস্বাদন করুন। কবিতাকে ভালোবাসুন। বই পড়ুন, প্রিয়জনকে বই উপহার দিন।  আগামীতে বই নিয়ে আমার অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। প্রতি বই মেলাতে আমি অন্তত একটা ভালোমানের বই প্রকাশ করার চেষ্টা করব। শুধু কবিতার বই নয়, আগামীতে লিখব ছোটোগল্প, উপন্যাস, খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ক প্রবন্ধ। আমি আমার মেধা ও শ্রম দিয়ে পাঠককে ভালো ভালো বই উপহার দেওয়ার চেষ্টা করব।

উল্লেখ্য: লেখকের লেখালেখির শুরুটা কলেজে পড়াশোনার সময় থেকে। মনের ভেতরের অব্যক্ত কথা তিনি কবিতার নীতিমালায় প্রকাশ করতেন। সেসময় তাঁর লেখা দেখে বন্ধুরা তাকে উৎসাহিত করতো। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি, তবে যেহেতু মনেপ্রাণে তিনি সাহিত্য ভালোবাসতেন, তাই বিজ্ঞানের জটিল সূত্র তাঁর মাথায়ঢুকতো না। সাহিত্যের রস পছন্দ করতেন বলেই বিজ্ঞানটা ঠিক উপভোগ করতাম না। লেখক শফিকুল ইসলামের বন্ধুরা প্রায়ই বলত— 'কেন যে তুই বিজ্ঞান বিষয়ে পড়িস!'


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

কবিতা

প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

বিশ্বের সেরা এবং আকর্ষণীয় পাচ মসজিদ

প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের এমন পাঁচটি মসজিদ সম্পর্কে জেনে নিন:


১. মসজিদুল হারাম, মক্কা, সৌদি আরব:

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ দেখতে যায়, এমন মসজিদের তালিকায় সবার প্রথমে আছে পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদুল হারাম। প্রতিবছর প্রায় ৮০ লাখ মানুষ এই মসজিদে যান। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় মসজিদ। একসঙ্গে ১৫ লাখ মানুষ এখানে প্রবেশ করে ঘুরে দেখতে পারেন। মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র তিন স্থানের একটি এই মসজিদুল হারাম। মুসলমানদের কিবলা পবিত্র কাবাশরিফ এখানেই অবস্থিত।

তবে যে কেউ চাইলেই মসজিদুল হারামে প্রবেশ করতে পারেন না। অমুসলিমদের জন্য মক্কা নগরীতে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ।


২. শেখ জায়েদ মসজিদ, আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত:

২০০৭ সালে স্থাপিত এই মসজিদ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মসজিদগুলোর একটি। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঝাড়বাতি ও সবচেয়ে বড় গালিচাও আছে এই মসজিদে।

আরব আমিরাতে বসবাসকারীদের বেশির ভাগই প্রবাসী, যাঁরা মূলত শ্রমজীবী হিসেবে বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে যান। এই বৈচিত্র্যময়তাই মসজিদটির নকশার মূল ভিত্তি। ব্রিটিশ, ইতালীয় ও আমিরাতি স্থপতিরা মিসর, মরক্কো, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশের মসজিদের নকশা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শেখ জায়েদ মসজিদের নকশা এঁকেছেন।

প্রতিবছর মসজিদটি দেখতে প্রচুর দর্শনার্থী আসেন। শুধু ২০১৭ সালেই এসেছেন প্রায় ৫৮ লাখ দর্শনার্থী। নামাজের সময় ছাড়া অন্য সময় অমুসলিম দর্শনার্থীরাও মসজিদ ঘুরে দেখতে পারেন। তবে শুক্রবার অমুসলিম দর্শনার্থীদের এই মসজিদে প্রবেশ নিষেধ।


৩. আয়া সোফিয়া, ইস্তাম্বুল, তুরস্ক:

ইউরোপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরগুলোর একটি তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুল। আর ইস্তাম্বুল বা গোটা ইউরোপের অন্যতম সুন্দর মসজিদ আয়া সোফিয়া। ৩৬০ খ্রিষ্ট-পূর্বাব্দে স্থাপিত এ স্থাপনা শুরুতে মসজিদ ছিল না। ১৪৬৩ সালে সুলতান মেহমেদ এটিকে মসজিদ হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

১৯৩৪ সালে এটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করে তৎকালীন তুরস্ক সরকার। কিন্তু ২০২০ সালে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এটিকে আবার নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিদের কাছে উন্মুক্ত করে দেন। ১৯৮৫ সালে আয়া সোফিয়াকে বিশ্ব ঐতিহ্যর স্বীকৃতি দেয় ইউনেসকো।


৪. আল–আকসা মসজিদ, পূর্ব জেরুজালেম, ইসরায়েল:

মুসলিম স্থাপত্যশৈলীর শুরুর দিককার অন্যতম নিদর্শন জেরুজালেমের আল–আকসা মসজিদ।

বলা হয়ে থাকে, খোলাফায়ে রাশিদিনের অন্যতম খলিফা হজরত উমর (রা.)–র শাসনামলে ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হয় মসজিদটির নির্মাণকাজ। তবে বর্তমানে আল-আকসা বলতে পুরো চত্বরটাকেই বোঝানো হয়। ‘হারাম আল শরিফ’ নামে পরিচিত এই চত্বরের চার দেয়ালের মধ্যে আছে কিবলি মসজিদ, কুব্বাতুস সাখরা (ডোম অব দ্য রক) ও বুরাক মসজিদ। মূল আল–আকসা বা কিবলি মসজিদ হলো ধূসর সীসার পাতে আচ্ছাদিত গম্বুজওয়ালা একটি স্থাপনা। তবে পর্যটকের কাছে আল–আকসা নামে বেশি প্রসিদ্ধ সোনালি গম্বুজের স্থাপনা কুব্বাতুস সাখরা।

জেরুজালেমের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদ ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় উঠে আসে ১৯৮১ সালে। এখানে প্রায় চার লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন । তবে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। কোনো মুসল্লিকে তারা মসজিদ প্রাঙ্গণে ঢুকতে দিচ্ছে না। পবিত্র স্থানটির দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ওয়াক্‌ফ বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।


৫. দ্বিতীয় হাসান মসজিদ, কাসাব্লাঙ্কা, মরক্কো:

আলজেরিয়ার জামা এল জাযের মসজিদের মিনার সবচেয়ে উঁচু, ৮৭০ ফুট। তারপরেই কাসাব্লাঙ্কার দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার, উচ্চতা ৬৮৯ ফুট। মরক্কোর বাদশাহ দ্বিতীয় হাসানের তত্ত্বাবধানে নির্মিত মসজিদটির নকশাকার ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনসু।

আটলান্টিক মহাসাগরের একটি শৈলান্তরীপের মাথায় মসজিদটির অবস্থান। মেঝের একটা অংশ স্বচ্ছ কাচের বলে আটলান্টিকের নীল পানি দেখতে পান নামাজে যাওয়া মুসল্লিরা। দেয়ালে মার্বেলের চোখধাঁধানো কারুকাজ। ছাদ অপসারণযোগ্য বলে নামাজ পড়তে যাওয়া মুসল্লিরা রাতের আকাশও দেখতে পান।

দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার থেকে একটি লেজাররশ্মি মুসলমানদের কিবলা কাবাঘরের দিকে তাক করা। অনন্য স্থাপত্যশৈলীর জন্য জগৎ–খ্যাত এই মসজিদে একসঙ্গে ১ লাখ ৫ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায় করার সুবিধা আছে।


মসজিদ   সেরা  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

মুখের ঠিকানা

প্রকাশ: ১২:১৬ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

স্পর্শে তুমি

প্রকাশ: ০৪:৪৫ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন