লিট ইনসাইড

পিতা, আমরা মুক্ত আকাশ দেখছি (পর্ব-২)


Thumbnail

শুরু হলো শোকাবহ আগস্ট মাস। এ মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল ষড়যন্ত্রকারীরা। আগস্ট ষড়যন্ত্রের আদ্যোপান্ত নিয়ে অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর সারা জাগানো বই ‘পিতা, আমরা মুক্ত আকাশ দেখছি’ এর ধারাবাহিক পর্বের দ্বিতীয় পর্ব পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল।

 

ঢাকা থেকে কুমিল্লা শহর খুব বেশি দূরে নয়। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের কারণে ১৯৭২ সালে রাস্তাঘাটের অবস্থা তো এখনকার মতো এমন সুবিধাজনক ছিল না। পরাজয় এই করতে পেরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রাস্তার অনেক ব্রিজ-কালভার্ট উি দিয়েছিল। কাজেই তখন ঢাকা থেকে কুমিল্লার দূরত্ব অনেক মনে হত।

কুমিল্লা শহরকে তখন মনে হত যেন একটি বড় আকারের গ্রাম। সূর্য ডোবার সাথে সাথেই ঝিমিয়ে পড়ত। কিন্তু শহরের প্রায় কেন্দ্রস্থলে রহিম সাহেবের বাড়িটি বেশ বার খ পর্যন্ত সজীব থাকত। বাড়িটি বিরাট—আগেকার হিন্দু জমিদারদের বাড়ি। সাতচল্লিশের দেশবিভাগের পর রহিম সাহেবের বাবা কলকাতায় তার বাড়িটির সাথে এই বাড়িটি বদ অ করে নেন। বাড়ির কামরাগুলো বেশ বড় বড়। আসবাবপত্রও বড় সাইেজের। এই বালি একটি কামরায় রোজ রাত ১টা-১০টার দিকে তাস বা ব্রিজের আসর বসে। এই আসরে খেলতে আসেন নিয়মিত ছয়-সাতজন। কিছু সময় পরপর পার্টনার বদল করে বিছ খেলা চলে। পয়েন্ট হিসেব করে যে যার টাকাপয়সা বুঝে নেন। তবে এটি সচরাচর জুয়ার আসর বলতে যা বোঝায়, তা নয়। যারা এখানে তাস খেলতে আসেন কে তাদের আসল উদ্দেশ্য এই তাস খেলায় মাধ্যমে অর্থ উপার্জন নয়, বরং একত্রে বা শলা-পরামর্শ করার জন্যে তাদের এই ব্রিজ খেলা একটি বাহানামাত্র।

পাকিস্তানের শাসকবর্গ তাদের রাজধানী ইসলামাবাদে ৭১ সালের মার্চ মাসে তাদের রা এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এই সিদ্ধান্তটি ছিল, যেভাবেই হোক স বাঙালিদের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে চিরকালের জন্যে খতম করে দিতে হবে। কিন্তু বি ৭১-এর ১৬ ডিসেম্বরে বাঙালিদের বিজয় ইসলামাবাদের শাসকচক্রের ঐ সিদ্ধান্ত হে ব্যর্থ করে দেয়। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। কেননা, ষড়যন্ত্রকারীরা মনে করে পা তাদের এই ব্যর্থতা সাময়িক। এটা অনুধাবন করেই তারা ডিসেম্বরের চূড়ান্ত পরাজয়ে এ আগেই তাদের এজেন্টদের মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে ভিড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়। এই সকল শা এজেন্টের কয়েকজনই রহিম সাহেবের বাড়িতে নিয়মিত আসে। তাস খেলার অছিলায় স্বা তারা তাদের পরবর্তী কর্মপন্থা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে। মাঝেমধ্যে ঢাকাসহ এ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কিছু এজেনট এসে এই তাসের আসরে যোগ দেয়। প্রাণপতে প্রত্যেক দিনই ব্রিজ খেলা শেষ হতে রাত একটা-দেড়টা বেজে যায়। ঢাকা থেকে আসতে হাবিবুর রহমান হলেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তিনি তাদের কাজের অগ্রগতি দেখেন। যথেষ্ট সন্তুষ্ট হন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যতটা খারাপ করার চাি করা চালিয়ে যাচ্ছে, ততটা সফল না হলেও পরিস্থিতি তাদের জন্যে হতাশাব্যাঞ্জক না তাদের সফলতার উল্লেখযোগ্য দিক হল – অনেক মুক্তিযোদ্ধাই এখন হতাশাগ্রস্ত পড়ছে। সাধারণ লোকজনও স্বাধীনতালাভের পরপরই তাদের দৈনন্দিন জীবনের নান কষ্টের কারণে ভারতে শুরু করেছে যে, যারা দেশ চালাচ্ছে, তারা যোগ্য নয়। বিশেষ করে কতিপয় লোক ভাবছে বঙ্গবন্ধু একজন সুদক্ষ শাসকের পরিচয় দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। তবে হাবিবুর রহমান জানেন, বঙ্গবন্ধু যে দেশশাসনে ব্যর্থ—এটা খুব সূক্ষ্মভাবে সমগ্র দেশবাসীকে বোঝানোর জন্যে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য জনগণের মধ্যে এই ধারণা তৈরি করা যে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের সব অসুবিধার জন্য ৭১-এর এত বড় যুদ্ধ দায়ী নয়, দায়ী হল বঙ্গবন্ধুর দুর্বল সরকার।

শুধু বঙ্গবন্ধু সরকার সম্পর্কে জনগণের মাঝে বিরূপ ধারণা সৃষ্টি করাই নয়, সাথে সাথে ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ সবচেয়ে নিকটতম বন্ধু ভারত সরকার থেকে শুরু করে সেখানকার জনগণের বিরুদ্ধেও বিদ্বেষমূলক মনোভাব গড়ে তোলার কাজ প্ল্যানমাফিকই চলতে থাকে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই ভারত থেকে কাপড় লুঙ্গির মতো সাধারণ বস্তু সবচো নিম্নমানের আনা হল। ষড়যন্ত্রকারীরা খুবই সুসংগঠিত ও শক্তিশালী। তাদের সামনে বঙ্গবন্ধু সরকারের অনেক দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাও অসহায় বোধ করতে থাকেন। প্রশাসন থেকে শুরু করে সামাজিক সংগঠন পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রেই কোনো-না-কোনোভাবে ষড়যন্ত্রকারীদের নিজস্ব লোক থাকল। এমন কোনো প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়, যেখানে ষড়যন্ত্রকারীদের অবাধ গতি নেই, অথবা খবরাখবর পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

এদিকে স্বাধীনতালাভের পর নতুন একটি রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করল। তারা বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের কথা বলে, মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক মূল্যায়নের কথা বলে, সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার কথা বলে, তরুণ থেকে শুরু করে অনেক বুদ্ধিজীবীকেও বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে সংগঠিত করতে সমর্থ হল। এই নতুন দলে সংশ্লিষ্ট রাজনীতিবিদদের অনেকেই বঙ্গবন্ধুর বহুদিনের পরীক্ষিত সহকর্মী। কাজেই জনগণ এর সহজেই বিভ্রান্ত হতে থাকল। আসল ষড়যন্ত্রকারীরা এই ধরনের রাজনীতিবিদদের মধ্যে এর কিছু কিছু লোকের সাথে 'শত্রুর শত্রু-মিত্র' এই তত্ত্ব অনুযায়ী একে অপরের সম্পূরক কে হয়ে দাঁড়াল। তাদের কাজ হল বঙ্গবন্ধু সরকারকে নাজেহাল করা। দেশের সমগ্র পরিস্থিতি যখনই কিছুটা স্থিতিশীল হতে শুরু করে, তখনই দেখা যায় যে ষড়যন্ত্রকারীরা যে এমন কোনো নতুন কাজ করতে সক্ষম হয়েছে, যার ফলে সরকারের ভাবমূর্তি জনগণের এর সামনে আবার ম্লান হয়ে পড়ে। বাস্তব অবস্থা নতুন দেশের সরকার কখনও ২৪ ঘণ্টা লন স্বস্তিতে কাটাতে সক্ষম হল না। একের পর এক ষড়যন্ত্রকে তার মোকাবেলা করতে হল। এর ফলে সরকারের পক্ষে সঠিকভাবে অনুধাবন করা পর্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়াল যে, ষড়যন্ত্রকারীরা বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক কাজ তাদের পরিকল্পনা মাফিক করে চলেছে এবং এই ষড়যন্ত্রকারীদের লক্ষ্য হল দেশের স্বাধীনতাকে খতম করে দেয়া। এমনকি যে-সকল পরে মাধ্যমে সরকারের পক্ষে ষড়যন্ত্রের আলামতকে শনাক্ত করা সম্ভব, সেসব মাধ্যমেও দেশের শত্রুরা তাদের এজেন্ট বসিয়ে কাজের পরিধি বিস্তৃত করতে সক্ষম হয়।

রহিম সাহেবের বাড়িতে ভাসের আসরে যারা জমিয়ে রিলাক্স করত, তারাই আবার রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানেও হাজির হয়ে নিজেদের কাজের অগ্রগতি মান মূল্যায়ন করার সুযোগ পেত। সেইসাথে সুযোগ হত ষড়যন্ত্রের স্বার্থে নতুন নতুন যোগাযোগ স্থাপন করার। বাস্তবে বলা চলে ৭২ সাল থেকে বাংলাদেশে দুটি সরকার সমান্তরালভাবে কাজ করে চলল। অর্থাৎ আরেকটি হচ্ছে ষড়যন্ত্রকারীদের সুসংগঠিত সরকার। বিভিন্ন ক্ষমতার বিচারে ষড়যন্ত্রকারীরা বেশি সুসংগঠিত এবং শক্তিশালী ছিল। তাদের পেছনে সমর্থন ছিল আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শক্তির। এ কারণেই দেখা গেল যে সাধারণ জনগণ ও সরকারকে বিভ্রান্ত করার জন্যে যড়যন্ত্রকারীদের সুযোগের কোনে অভাব হল না। সমগ্র পরিস্থিতি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করে তারা বুঝতে সক্ষম হল যে, তাদের কাজ সঠিক পথেই অগ্রসর হচ্ছে। যতই দিন যেতে লাগল, ষড়যন্ত্রকারীদের সামনে ততই পরিষ্কার হতে থাকল যে বিজয় তাদের অবশ্যাস্তাবী। বিজয় কখন আসবে, সেটি শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার।



মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

কবিতা

প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

বিশ্বের সেরা এবং আকর্ষণীয় পাচ মসজিদ

প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের এমন পাঁচটি মসজিদ সম্পর্কে জেনে নিন:


১. মসজিদুল হারাম, মক্কা, সৌদি আরব:

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ দেখতে যায়, এমন মসজিদের তালিকায় সবার প্রথমে আছে পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদুল হারাম। প্রতিবছর প্রায় ৮০ লাখ মানুষ এই মসজিদে যান। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় মসজিদ। একসঙ্গে ১৫ লাখ মানুষ এখানে প্রবেশ করে ঘুরে দেখতে পারেন। মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র তিন স্থানের একটি এই মসজিদুল হারাম। মুসলমানদের কিবলা পবিত্র কাবাশরিফ এখানেই অবস্থিত।

তবে যে কেউ চাইলেই মসজিদুল হারামে প্রবেশ করতে পারেন না। অমুসলিমদের জন্য মক্কা নগরীতে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ।


২. শেখ জায়েদ মসজিদ, আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত:

২০০৭ সালে স্থাপিত এই মসজিদ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মসজিদগুলোর একটি। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঝাড়বাতি ও সবচেয়ে বড় গালিচাও আছে এই মসজিদে।

আরব আমিরাতে বসবাসকারীদের বেশির ভাগই প্রবাসী, যাঁরা মূলত শ্রমজীবী হিসেবে বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে যান। এই বৈচিত্র্যময়তাই মসজিদটির নকশার মূল ভিত্তি। ব্রিটিশ, ইতালীয় ও আমিরাতি স্থপতিরা মিসর, মরক্কো, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশের মসজিদের নকশা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শেখ জায়েদ মসজিদের নকশা এঁকেছেন।

প্রতিবছর মসজিদটি দেখতে প্রচুর দর্শনার্থী আসেন। শুধু ২০১৭ সালেই এসেছেন প্রায় ৫৮ লাখ দর্শনার্থী। নামাজের সময় ছাড়া অন্য সময় অমুসলিম দর্শনার্থীরাও মসজিদ ঘুরে দেখতে পারেন। তবে শুক্রবার অমুসলিম দর্শনার্থীদের এই মসজিদে প্রবেশ নিষেধ।


৩. আয়া সোফিয়া, ইস্তাম্বুল, তুরস্ক:

ইউরোপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরগুলোর একটি তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুল। আর ইস্তাম্বুল বা গোটা ইউরোপের অন্যতম সুন্দর মসজিদ আয়া সোফিয়া। ৩৬০ খ্রিষ্ট-পূর্বাব্দে স্থাপিত এ স্থাপনা শুরুতে মসজিদ ছিল না। ১৪৬৩ সালে সুলতান মেহমেদ এটিকে মসজিদ হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

১৯৩৪ সালে এটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করে তৎকালীন তুরস্ক সরকার। কিন্তু ২০২০ সালে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এটিকে আবার নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিদের কাছে উন্মুক্ত করে দেন। ১৯৮৫ সালে আয়া সোফিয়াকে বিশ্ব ঐতিহ্যর স্বীকৃতি দেয় ইউনেসকো।


৪. আল–আকসা মসজিদ, পূর্ব জেরুজালেম, ইসরায়েল:

মুসলিম স্থাপত্যশৈলীর শুরুর দিককার অন্যতম নিদর্শন জেরুজালেমের আল–আকসা মসজিদ।

বলা হয়ে থাকে, খোলাফায়ে রাশিদিনের অন্যতম খলিফা হজরত উমর (রা.)–র শাসনামলে ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হয় মসজিদটির নির্মাণকাজ। তবে বর্তমানে আল-আকসা বলতে পুরো চত্বরটাকেই বোঝানো হয়। ‘হারাম আল শরিফ’ নামে পরিচিত এই চত্বরের চার দেয়ালের মধ্যে আছে কিবলি মসজিদ, কুব্বাতুস সাখরা (ডোম অব দ্য রক) ও বুরাক মসজিদ। মূল আল–আকসা বা কিবলি মসজিদ হলো ধূসর সীসার পাতে আচ্ছাদিত গম্বুজওয়ালা একটি স্থাপনা। তবে পর্যটকের কাছে আল–আকসা নামে বেশি প্রসিদ্ধ সোনালি গম্বুজের স্থাপনা কুব্বাতুস সাখরা।

জেরুজালেমের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদ ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় উঠে আসে ১৯৮১ সালে। এখানে প্রায় চার লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন । তবে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। কোনো মুসল্লিকে তারা মসজিদ প্রাঙ্গণে ঢুকতে দিচ্ছে না। পবিত্র স্থানটির দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ওয়াক্‌ফ বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।


৫. দ্বিতীয় হাসান মসজিদ, কাসাব্লাঙ্কা, মরক্কো:

আলজেরিয়ার জামা এল জাযের মসজিদের মিনার সবচেয়ে উঁচু, ৮৭০ ফুট। তারপরেই কাসাব্লাঙ্কার দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার, উচ্চতা ৬৮৯ ফুট। মরক্কোর বাদশাহ দ্বিতীয় হাসানের তত্ত্বাবধানে নির্মিত মসজিদটির নকশাকার ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনসু।

আটলান্টিক মহাসাগরের একটি শৈলান্তরীপের মাথায় মসজিদটির অবস্থান। মেঝের একটা অংশ স্বচ্ছ কাচের বলে আটলান্টিকের নীল পানি দেখতে পান নামাজে যাওয়া মুসল্লিরা। দেয়ালে মার্বেলের চোখধাঁধানো কারুকাজ। ছাদ অপসারণযোগ্য বলে নামাজ পড়তে যাওয়া মুসল্লিরা রাতের আকাশও দেখতে পান।

দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার থেকে একটি লেজাররশ্মি মুসলমানদের কিবলা কাবাঘরের দিকে তাক করা। অনন্য স্থাপত্যশৈলীর জন্য জগৎ–খ্যাত এই মসজিদে একসঙ্গে ১ লাখ ৫ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায় করার সুবিধা আছে।


মসজিদ   সেরা  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

মুখের ঠিকানা

প্রকাশ: ১২:১৬ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

স্পর্শে তুমি

প্রকাশ: ০৪:৪৫ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন