লিট ইনসাইড

পিতা, আমরা মুক্ত আকাশ দেখছি (পর্ব-১০)


Thumbnail

চলছে শোকাবহ আগস্ট মাস। এ মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল ষড়যন্ত্রকারীরা। আগস্ট ষড়যন্ত্রের আদ্যোপান্ত নিয়ে অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর সারা জাগানো বই ‘পিতা, আমরা মুক্ত আকাশ দেখছি’ এর ধারাবাহিক পর্বের দশম পর্ব পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল-

 

ঢাকায় একটি রাজনৈতিক দলের অফিস। সদ্য স্বাধীন দেশের রাজনেতিক অঙ্গনে এ দলটি বেশ সাড়া জাগিয়েছে। তরুণ মুক্তিযোদ্ধা ও নতুন প্রজন্মের যুবেকরা যেমন এই দলটিতে ভিড় জমিয়েছে, তেমনি আবার স্বাধীনতাবিরোধীরাও নিজেদের বাঁচাবার ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার জন্যে দলটিতে ঢুকে পড়েছে। দুই বিপরীত মেরুর বাসিন্দাদের নিয়েই দলটির ভিত্তি গড়ে উঠেছে, যদিও দলের অধিকাংশ নেতাই সেটি উপলব্ধি করছত সক্ষম হচ্ছেন না। এ কারণেই বাস্তবক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, একদিকে দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধারা দলটির আসল শক্তি, অন্যদিকে স্বাধীনতা বিরোধী আলবদর-রাজাকার-আল শামস স্বাধীন দেশের নতুন পরিবেশে নিজেদেরকে টিকিয়ে রাখতে ব্যর্থ হয়ে নতুন দলের বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের সমর্থক হয়ে দলটির শক্তি বাড়িয়ে চলেছে।

নতুন দলের নেতারা তাদের অফিসে বসে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের ব্যাখ্যা দিতেই এত বেশি ব্যস্ত যে তাদের দল যে স্বাধীনতাবিরোধীদের আস্তানায় পরিণত হচ্ছে, সেটি খেয়াল করার মতো সময়ও তাদের ছিল না। স্বাধীনতাবিরোধীরা এই দলটিকে ব্যবহার করছে তাদের অস্থায়ী ঠিকানা হিসেবে। যতদিন নিজেদের আসল পরিচয়ে প্রকাশ্যে রাজনীতি করতে পারবে না, ততদিন সমাজতন্ত্রের কথা বলে এই বিরোধী দলে অবস্থান করাটাই রাজাকারদের কাছে সবচেয়ে বেশি সুবিধাজনক মনে হল। তা ছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ওঠাবসার সুবাদে তারা যদি কিছু মুক্তিযোদ্ধাকে বিভ্রান্ত করতে পারে, সেটাও তাদের জন্যে কম বড় সাফল্য নয়, যেহেতু একাত্তরের এই ঘাতকেরা সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু সরকারকে কিছুতেই নির্বিঘ্নে চলতে দেবে না।  অন্যদিকে সফল মুক্তিযুদ্ধের জন্যে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর প্রধান সহযোগীদের শেষ করে দেয়ার গোপন সিদ্ধান্ত তো পাকিস্তানে বসে নেয়াই হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু ও তার সহযোগীরা শেষ হওয়ার আগেই যদি ঘাতকেরা শেষ হয়ে যায়, তা হলে তাদের দায়িত্ব পালন করবে কারা? এ কারণেই তো তারা বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলটির জন্যে শুধুমাত্র কাজ করেই চলছে না, বরং দলটিকে টিকিয়ে রাখার জন্যে তাদের পক্ষে যতটুকু সাহায্য করা সম্ভব, সবাই করে চলল।

বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলটির অফিসে নেতাদের মধ্যে আলোচনা চলছে যে, কিভাবে বঙ্গবন্ধুকে জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করা যায়। কেননা, দেশে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা অর্জন করতে হবে। আর এ ক্ষমতা অর্জন করা ততদিন পর্যন্ত সম্ভব হবে না, যতদিন বঙ্গবন্ধু বেঁচে আছেন। কাজেই বঙ্গবন্ধুকে জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে জীবিত রেখে এ কাজটি করা সম্ভব নয়। জনগণের সঙ্গে তাঁর নাড়ির সম্পর্ক।

পাকিস্তানি কারাগার থেকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর বঙ্গবন্ধু যখন স্বাধীন দেশে শূন্য রাজকোষ নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, কলকারখানা পুনর্গঠনে রাস্তা সোজা কথায় হানাদার পাকিস্তান বাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বঙ্গবন্ধু দেশকে টেনে তোলার সংগ্রামে ব্যস্ত, তখনই হঠাৎ করে গজিয়ে ওঠা বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের ধারক-বাহকেরা জাতির জনককে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্যে একের পর এক কর্মসূচি দিয়ে চলল। এ কারণেই তারা শুধু সমাজতন্ত্র নাম নিয়েই সন্তুষ্ট থাকনা না—এর আগে বৈজ্ঞানিক শব্দটি জুড়ে দিল। কারণ, সমাজতন্ত্রের আগে বৈজ্ঞানিক বিশেষণটি জুড়েদিলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা যায়। কেননা, তখন বঙ্গবন্ধুও সমাজতন্ত্রের কথা বলছিলেন, শোষিত মানুষের জন্যে শোষণমুক্ত সমাজ গড়ার কথা বলছিলেন। সোজা কথায়, বঙ্গবন্ধু যখন দারুণ প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পেটে ভাত এবং প্রতিটি নারী-পুরুষের জন্যে বস্ত্র জোগাড় করতে ব্যস্ত ছিলেন, তখনই নতুন দলের নেতারা বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নামে সরকারি কর্মচারী হত্যা করা থেকে শুরু করে ব্যাংক ডাকাতি, ছিনতাই পর্যন্ত সবকিছুই জায়েজ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন। তাদের  ভাবখানা এমন, যেন সমাজতন্ত্র বৈজ্ঞানিক হলে দেশের মধ্যে সব অরাজকতাই জায়েজ হয়ে যায়।

বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের ধ্বজাধারীরা বঙ্গবন্ধুকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তাদের পছন্দসই সাংবাদিক গফুর চৌধুরী, তাজুল হোসেন, সিরাজুল করিম প্রমুখের বিশেষ বিশেষ লেখা থেকে অংশবিশেষ লিফলেট আকারে তখনকার যুদ্ধোত্তর পরিস্থিতিতেও সেনাবাহিনীর মাঝে বিতরণ করল। এর উদ্দেশ্য সেনাবাহিনীতে বঙ্গবন্ধুবিরোধীদের দিয়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করা। তবে বঙ্গবন্ধু সরকার বিরোধী এই বিশেষ লিফলেট ছড়িয়ে দিয়ে সুশৃঙ্খল সেনাবাহিনীর মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা সম্ভব না হলেও ব্যক্তিগত পর্যায়ে কিছু কিছু লোককে নিশ্চয় বিভ্রান্ত করা সম্ভব হয়। লিফলেট বিতরণকারীরা জানত, অন্ততপক্ষে কিছু সময়ের জন্যে হলেও সুশৃঙ্খল সেনাবাহিনীকে যদি বিভ্রান্ত করে দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে রাখা যায়, তা হলে বঙ্গবন্ধুকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার কাজ অনেক সহজ হবে। আর স্বাধীন বাংলাদেশের সেনাবাহিনী তো জনগণের অংশবিশেষ। এই সেনাবাহিনী সাধারণ মানুষের যতটা কাছাকাছি অবস্থান করছে—বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যতটা জনগণের কাছাকাছি আসতে পেরেছে,  অনেক দেশের সেনাবাহিনীর পক্ষে সেটি অসম্ভব ব্যাপার। সেসব দেশের সেনাবাহিনী আসলে সাধারণ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন একটি এলিট শ্রেণী হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির জনকের সরাসরি তত্ত্বাবধানে গড়ে ওঠা সেনাবাহিনী শুধুমাত্র সুশৃঙ্খলই নয়, বরং জনগণের অংশ হিসেবে গড়ে ওঠা। এ কারণেই তথাকথিত বেজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রীরা বঙ্গবন্ধুকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্যে তাদের অন্যতম প্রধান অস্ত্র হিসেবে বেছে নেয় সেনাবাহিনীকে। একথা ঠিক যে, শত চেষ্টা করেও তারা সেনাবাহিনীকে প্রতিষ্ঠানগতভাবে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে নিতে সক্ষম না হলেও পরোক্ষভাবে কিন্তু ভীষণভাবে সাহায্য করল মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তির আশীর্বাদপুষ্ট সেই যন্ত্রকারীদের যারা শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে এবং এই বিদেশি শক্তির এজেন্টরা কিছু সময়ের জন্যে হলেও তাদের দুষ্কর্মের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নাম ব্যবহার করতে সক্ষম হল। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের হত্যা করার পর যতটা সময় পর্যন্ত জনগণ বিভ্রান্ত থাকল যে নৃশংস ঘটনাবলীর সঙ্গে দেশের সেনাবাহিনী জড়িত, সে সময়ের মধ্যে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম কাজটা করে পার পেয়ে যাওয়ার মতো তাদের প্রয়োজনীয় সময় পেয়ে গেল। মোট কথা বলা চলে, বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রীরা দেশে এমন একটা অবস্থার সৃষ্টি করল, যে অবস্থার সুযোগ নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা একাত্তরের ঘাতক হিসেবে তাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রথমে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে এবং পরবর্তীতে জেলে অন্তরীণ অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের সফল নেতৃত্বদানকারী চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করে পার পেতে সক্ষম হল। প্রসঙ্গক্রমে সে সময় প্রচারিত বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের এক নেতার নামে প্রচারিত একটি দীর্ঘ লিফলেট-এর কথা স্মরণীয় যেটি শুরু করা হয়েছিল, ‘নারায়ে তকবির’ দিয়ে আর শেষ করা করা হয়েছিল খন্দকার মোশতাক প্রবর্তিত ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিয়ে।



মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

কবিতা

প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

বিশ্বের সেরা এবং আকর্ষণীয় পাচ মসজিদ

প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের এমন পাঁচটি মসজিদ সম্পর্কে জেনে নিন:


১. মসজিদুল হারাম, মক্কা, সৌদি আরব:

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ দেখতে যায়, এমন মসজিদের তালিকায় সবার প্রথমে আছে পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদুল হারাম। প্রতিবছর প্রায় ৮০ লাখ মানুষ এই মসজিদে যান। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় মসজিদ। একসঙ্গে ১৫ লাখ মানুষ এখানে প্রবেশ করে ঘুরে দেখতে পারেন। মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র তিন স্থানের একটি এই মসজিদুল হারাম। মুসলমানদের কিবলা পবিত্র কাবাশরিফ এখানেই অবস্থিত।

তবে যে কেউ চাইলেই মসজিদুল হারামে প্রবেশ করতে পারেন না। অমুসলিমদের জন্য মক্কা নগরীতে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ।


২. শেখ জায়েদ মসজিদ, আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত:

২০০৭ সালে স্থাপিত এই মসজিদ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মসজিদগুলোর একটি। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঝাড়বাতি ও সবচেয়ে বড় গালিচাও আছে এই মসজিদে।

আরব আমিরাতে বসবাসকারীদের বেশির ভাগই প্রবাসী, যাঁরা মূলত শ্রমজীবী হিসেবে বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে যান। এই বৈচিত্র্যময়তাই মসজিদটির নকশার মূল ভিত্তি। ব্রিটিশ, ইতালীয় ও আমিরাতি স্থপতিরা মিসর, মরক্কো, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশের মসজিদের নকশা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শেখ জায়েদ মসজিদের নকশা এঁকেছেন।

প্রতিবছর মসজিদটি দেখতে প্রচুর দর্শনার্থী আসেন। শুধু ২০১৭ সালেই এসেছেন প্রায় ৫৮ লাখ দর্শনার্থী। নামাজের সময় ছাড়া অন্য সময় অমুসলিম দর্শনার্থীরাও মসজিদ ঘুরে দেখতে পারেন। তবে শুক্রবার অমুসলিম দর্শনার্থীদের এই মসজিদে প্রবেশ নিষেধ।


৩. আয়া সোফিয়া, ইস্তাম্বুল, তুরস্ক:

ইউরোপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরগুলোর একটি তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুল। আর ইস্তাম্বুল বা গোটা ইউরোপের অন্যতম সুন্দর মসজিদ আয়া সোফিয়া। ৩৬০ খ্রিষ্ট-পূর্বাব্দে স্থাপিত এ স্থাপনা শুরুতে মসজিদ ছিল না। ১৪৬৩ সালে সুলতান মেহমেদ এটিকে মসজিদ হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

১৯৩৪ সালে এটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করে তৎকালীন তুরস্ক সরকার। কিন্তু ২০২০ সালে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এটিকে আবার নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিদের কাছে উন্মুক্ত করে দেন। ১৯৮৫ সালে আয়া সোফিয়াকে বিশ্ব ঐতিহ্যর স্বীকৃতি দেয় ইউনেসকো।


৪. আল–আকসা মসজিদ, পূর্ব জেরুজালেম, ইসরায়েল:

মুসলিম স্থাপত্যশৈলীর শুরুর দিককার অন্যতম নিদর্শন জেরুজালেমের আল–আকসা মসজিদ।

বলা হয়ে থাকে, খোলাফায়ে রাশিদিনের অন্যতম খলিফা হজরত উমর (রা.)–র শাসনামলে ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হয় মসজিদটির নির্মাণকাজ। তবে বর্তমানে আল-আকসা বলতে পুরো চত্বরটাকেই বোঝানো হয়। ‘হারাম আল শরিফ’ নামে পরিচিত এই চত্বরের চার দেয়ালের মধ্যে আছে কিবলি মসজিদ, কুব্বাতুস সাখরা (ডোম অব দ্য রক) ও বুরাক মসজিদ। মূল আল–আকসা বা কিবলি মসজিদ হলো ধূসর সীসার পাতে আচ্ছাদিত গম্বুজওয়ালা একটি স্থাপনা। তবে পর্যটকের কাছে আল–আকসা নামে বেশি প্রসিদ্ধ সোনালি গম্বুজের স্থাপনা কুব্বাতুস সাখরা।

জেরুজালেমের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদ ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় উঠে আসে ১৯৮১ সালে। এখানে প্রায় চার লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন । তবে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। কোনো মুসল্লিকে তারা মসজিদ প্রাঙ্গণে ঢুকতে দিচ্ছে না। পবিত্র স্থানটির দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ওয়াক্‌ফ বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।


৫. দ্বিতীয় হাসান মসজিদ, কাসাব্লাঙ্কা, মরক্কো:

আলজেরিয়ার জামা এল জাযের মসজিদের মিনার সবচেয়ে উঁচু, ৮৭০ ফুট। তারপরেই কাসাব্লাঙ্কার দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার, উচ্চতা ৬৮৯ ফুট। মরক্কোর বাদশাহ দ্বিতীয় হাসানের তত্ত্বাবধানে নির্মিত মসজিদটির নকশাকার ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনসু।

আটলান্টিক মহাসাগরের একটি শৈলান্তরীপের মাথায় মসজিদটির অবস্থান। মেঝের একটা অংশ স্বচ্ছ কাচের বলে আটলান্টিকের নীল পানি দেখতে পান নামাজে যাওয়া মুসল্লিরা। দেয়ালে মার্বেলের চোখধাঁধানো কারুকাজ। ছাদ অপসারণযোগ্য বলে নামাজ পড়তে যাওয়া মুসল্লিরা রাতের আকাশও দেখতে পান।

দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার থেকে একটি লেজাররশ্মি মুসলমানদের কিবলা কাবাঘরের দিকে তাক করা। অনন্য স্থাপত্যশৈলীর জন্য জগৎ–খ্যাত এই মসজিদে একসঙ্গে ১ লাখ ৫ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায় করার সুবিধা আছে।


মসজিদ   সেরা  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

মুখের ঠিকানা

প্রকাশ: ১২:১৬ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

স্পর্শে তুমি

প্রকাশ: ০৪:৪৫ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন