লিট ইনসাইড

পিতা, আমরা মুক্ত আকাশ দেখছি (পর্ব-১২)


Thumbnail

চলছে শোকাবহ আগস্ট মাস। এ মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল ষড়যন্ত্রকারীরা। আগস্ট ষড়যন্ত্রের আদ্যোপান্ত নিয়ে অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর সারা জাগানো বই ‘পিতা, আমরা মুক্ত আকাশ দেখছি’ এর ধারাবাহিক পর্বের দ্বাদশ পর্ব পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল-

 

ঢাকার বিশেষ এলাকার একটি বাসা। দুই বন্ধু নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করছে। এক বন্ধু তার এক আত্মীয়ের কাছ থেকে একটি লিফলেট উদ্ধার করেছে। এই লিফলেটে কয়েকজন সাংবাদিকের লেখা প্রবন্ধ এবং প্রবন্ধের শেষে প্রবন্ধগুলোর মূল মন্তব্য যোগ করা হয়েছে। প্রবন্ধগুলোর মূলকথা হল বঙ্গবন্ধু শাসক হিসেবে সম্পূর্ণ অযোগ্য এবং দেশের শাসনব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। দেশ পরিচালনা করতে বঙ্গবন্ধু ও তার সহকর্মীরা দেশের সম্পত্তিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছেন। দেশের সেনাবাহিনীকে সঠিকভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে না। সেনাবাহিনীর বিকল্প হিসেবে গড়ে তোলা নতুন অস্ত্রশস্ত্র, গাড়ি ও পোশাক সবই দেয়া হচ্ছে।

তবে দুই বন্ধু লিফলেটটি পড়ে বুঝতে পারল যে এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সেনাবাহিনীকে বঙ্গবন্ধুর সরকারের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়া। তাদের মধ্যে দবির বলল, যে, সে লিফলেটটি পেয়েছে তার এক আত্মীয়ের কাছ থেকে যিনি সেনাবাহিনীতে কাজ করেন। দবিরের ধারণা হল যে, এই লিফলেট বিতরণ করা সত্ত্বেও সেনাবাহিনীর সদস্যরা বঙ্গবন্ধুকে সম্ভবত ভুল বুঝবে না, যেহেতু তারা জানে যে রক্ষীবাহিনী তাদের বিকল্প নয় এবং ঐ বাহিনী নতুন বলেই সবকিছু নতুন পাচ্ছে। তবু দবিরের বন্ধু কাইউম আশঙ্কা প্রকাশ করল, এই লিফলেট সেনাবাহিনী অনেক সদস্যকে বিভ্রান্ত করবে। সে বিস্মিত হল এ কারণে যে, সেনাবাহিনী যেখানে একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী, সেখানে এ ধরনের লিফলেট বিতরণ করা হল কিভাবে। দেশ ও জাতির স্বার্থে ব্যাপারটি সঠিকভাবে তদন্ত হওয়া উচিত। সেই সঙ্গে যেসকল সাংবাদিকের লেখা ঐ লিফলেটে ব্যবহার করা হয়েছে তাদেরও গতিবিধির তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার ছিল যে সে সময় বিষয়টি দুই বন্ধুর কাছে গুরুত্ব পেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি সঠিক গুরুত্ব পায়নি।

আসলে সেই দুঃসময়ে দেশে দায়িত্বশীল পদে অধিষ্ঠিত অনেকেই সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারলেন না যে, বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার প্রচেষ্টা আলাদা আলাদাভাবে করা হলেও এর মধ্যে একটি যোগসূত্র ছিল। অনেক নেতা সময় মতো বুঝতেই পারলেন না, স্থানীয় পর্যায়ে তাদের চরিত্রহননও গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বিশেষ। যেমন গ্রাম পর্যায়ে একজন সাধারণ আওয়ামী লীগ কর্মীকে গম আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত করে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার পেছনেও যে একটি সুসংগঠিত দল আছে—এটাও অনেকেরই চিন্তার মধ্যে এল না। এভাবেই লোকচক্ষুর অন্তরালে শহর থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যায়ে ধীরে ধীরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সহকর্মীদের সাধারণ মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়ন্ত্রকারীদের কাজ এগিয়ে চলল। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুর । তাঁর অনেক গুরুত্বপূর্ণ সহকর্মীর কাছ থেকে সঠিক তথ্য সবসময় ঠিকমতো পেতেন না। এর একটি প্রধান কারণ ছিল যে, তার অনেক সহকর্মী ও প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে সঠিক ধারণা পোষণ করতেন না। এ কারণেই তারা দেশের বিভিন্ন ঘটনাবলীকে সড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মূল্যায়ন না করে বরং একটি যুদ্ধোত্তর দেশের সাধারণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি হিসেবে বিবেচনা করলেন। বঙ্গবন্ধুর কানে কোনো ঘটনার কথা এলে তিনি নিজেও ঘটনার গুরুত্ব অনুযায়ী সহকর্মীর সাথে শলা-পরামর্শ করেছেন, অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে গেলেই বাস্তবক্ষেত্রে কিছু অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে। বঙ্গবন্ধু একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে যে-কোনো একজন দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদের অনুরোধকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতেন। দলমত নির্বিশেষে সকল রাজনীতিবিদের বেলায় এটা করতেন। এ কারণেই দেখা যেত, দেশের কোনো এলাকায় প্রশাসন যদি কোনো সন্ত্রাসীকে আটক করত, তখন কোনো বিরোধী রাজনীতিবিদ এসে বঙ্গবন্ধুকে অবহিত করতেন যে, রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণেই তাকে আটক করা হয়েছে, তা হলে বঙ্গবন্ধু রাজনীতিবিদদের প্রতি আজীবন শ্রদ্ধা থাকার কারণেই প্রশাসনকে নির্দেশ দিতেন আটককৃত ব্যক্তিকে মুক্তি দিতে। অথচ মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিটি আসলেই কিন্তু ভুল রাজনীতির শিকার হয়ে রাজনীতির নামে সন্ত্রাস করে চলেছে। বঙ্গবন্ধুর এ ধরনের দু-একটি পদক্ষেপের সুযোগ নিয়ে তার কতিপয় সহকর্মীও সন্ত্রাসীদের মুক্তির ব্যাপারে সুপারিশ করেছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ সন্ত্রাসীদের সঠিক সময়ে শায়েস্তা করার সুযোগ পায়নি। অন্যদিকে আরেকটি গুরুতর বিষয় হল যে তখন শাসনব্যবস্থার স্বাভাবিক চেইন অব কমান্ড গঠন করার ব্যাপারে বড় বাধা হিসেবে ছিল কিছু আমলা থেকে শুরু করে কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ নেতা। এদের অনেকেই ছিল ষড়যন্ত্রের অংশবিশেষ। আবার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আমলা এবং রাজনীতিবিদ আসল অবস্থা ধরতে না পেরে সততার সঙ্গে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তার অনেকগুলোই পরোক্ষভাবে বঙ্গবন্ধুর ক্ষতি করেছে। শুধুমাত্র সঠিক অবস্থা বুঝতে না পারার কারণেও এ ধরনের পদক্ষেপে প্রশাসনের কম ক্ষতি হয়নি।

অপ্রিয় মনে হলেও সত্যি যে, বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে ষড়যন্ত্রকারীরা এমন এক অবস্থার সৃষ্টি করতে সক্ষম হল, যেখানে প্রকৃত ঘটনার চাইতে গুজবের গ্রহণযোগ্যতাই বেশি ছিল। এজন্যে ষড়যন্ত্রকারীরা যে অর্থ, মেধা ও শ্রম ব্যয় করেছে তা সত্যিই তুলনাহীন। এ গুজবের প্রকোপে দেশের সাধারণ মানুষ তো বটেই, অনেক বিজ্ঞ লোক পর্যন্ত দেশের সঠিক অবস্থা অনেক সময় বুঝে উঠতে সক্ষম হচ্ছিলেন না। এ গুজবের ফলে অনেক দেশপ্রেমিক নাগরিকের মনে হচ্ছিল যে ধীরে ধীরে দেশের শাসনব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ছে। এ গুজবের হিড়িক প্রতিহত করার জন্যে যে ধরনের যুদ্ধোত্তর বঙ্গবন্ধুরে দেশের বহু সমস্যার দিকে নজর দিতে হচ্ছিল। একাত্তরের ঘুনীরা যে বঙ্গবন্ধুকে খতম করার জন্যে সুসংগঠিতভাবে দেশের ভেতরে অবস্থান গ্রহণ করে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এটি ছিল বঙ্গবন্ধু তার সহকর্মী এবং দেশের জনগণের ধারণার বাহার। এ কারণে ষড়যন্ত্রকারীদের কাজ করতে অনেক সুবিধা হয়।



মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

কবিতা

প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

বিশ্বের সেরা এবং আকর্ষণীয় পাচ মসজিদ

প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের এমন পাঁচটি মসজিদ সম্পর্কে জেনে নিন:


১. মসজিদুল হারাম, মক্কা, সৌদি আরব:

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ দেখতে যায়, এমন মসজিদের তালিকায় সবার প্রথমে আছে পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদুল হারাম। প্রতিবছর প্রায় ৮০ লাখ মানুষ এই মসজিদে যান। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় মসজিদ। একসঙ্গে ১৫ লাখ মানুষ এখানে প্রবেশ করে ঘুরে দেখতে পারেন। মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র তিন স্থানের একটি এই মসজিদুল হারাম। মুসলমানদের কিবলা পবিত্র কাবাশরিফ এখানেই অবস্থিত।

তবে যে কেউ চাইলেই মসজিদুল হারামে প্রবেশ করতে পারেন না। অমুসলিমদের জন্য মক্কা নগরীতে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ।


২. শেখ জায়েদ মসজিদ, আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত:

২০০৭ সালে স্থাপিত এই মসজিদ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মসজিদগুলোর একটি। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঝাড়বাতি ও সবচেয়ে বড় গালিচাও আছে এই মসজিদে।

আরব আমিরাতে বসবাসকারীদের বেশির ভাগই প্রবাসী, যাঁরা মূলত শ্রমজীবী হিসেবে বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে যান। এই বৈচিত্র্যময়তাই মসজিদটির নকশার মূল ভিত্তি। ব্রিটিশ, ইতালীয় ও আমিরাতি স্থপতিরা মিসর, মরক্কো, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশের মসজিদের নকশা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শেখ জায়েদ মসজিদের নকশা এঁকেছেন।

প্রতিবছর মসজিদটি দেখতে প্রচুর দর্শনার্থী আসেন। শুধু ২০১৭ সালেই এসেছেন প্রায় ৫৮ লাখ দর্শনার্থী। নামাজের সময় ছাড়া অন্য সময় অমুসলিম দর্শনার্থীরাও মসজিদ ঘুরে দেখতে পারেন। তবে শুক্রবার অমুসলিম দর্শনার্থীদের এই মসজিদে প্রবেশ নিষেধ।


৩. আয়া সোফিয়া, ইস্তাম্বুল, তুরস্ক:

ইউরোপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরগুলোর একটি তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুল। আর ইস্তাম্বুল বা গোটা ইউরোপের অন্যতম সুন্দর মসজিদ আয়া সোফিয়া। ৩৬০ খ্রিষ্ট-পূর্বাব্দে স্থাপিত এ স্থাপনা শুরুতে মসজিদ ছিল না। ১৪৬৩ সালে সুলতান মেহমেদ এটিকে মসজিদ হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

১৯৩৪ সালে এটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করে তৎকালীন তুরস্ক সরকার। কিন্তু ২০২০ সালে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এটিকে আবার নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিদের কাছে উন্মুক্ত করে দেন। ১৯৮৫ সালে আয়া সোফিয়াকে বিশ্ব ঐতিহ্যর স্বীকৃতি দেয় ইউনেসকো।


৪. আল–আকসা মসজিদ, পূর্ব জেরুজালেম, ইসরায়েল:

মুসলিম স্থাপত্যশৈলীর শুরুর দিককার অন্যতম নিদর্শন জেরুজালেমের আল–আকসা মসজিদ।

বলা হয়ে থাকে, খোলাফায়ে রাশিদিনের অন্যতম খলিফা হজরত উমর (রা.)–র শাসনামলে ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হয় মসজিদটির নির্মাণকাজ। তবে বর্তমানে আল-আকসা বলতে পুরো চত্বরটাকেই বোঝানো হয়। ‘হারাম আল শরিফ’ নামে পরিচিত এই চত্বরের চার দেয়ালের মধ্যে আছে কিবলি মসজিদ, কুব্বাতুস সাখরা (ডোম অব দ্য রক) ও বুরাক মসজিদ। মূল আল–আকসা বা কিবলি মসজিদ হলো ধূসর সীসার পাতে আচ্ছাদিত গম্বুজওয়ালা একটি স্থাপনা। তবে পর্যটকের কাছে আল–আকসা নামে বেশি প্রসিদ্ধ সোনালি গম্বুজের স্থাপনা কুব্বাতুস সাখরা।

জেরুজালেমের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদ ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় উঠে আসে ১৯৮১ সালে। এখানে প্রায় চার লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন । তবে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। কোনো মুসল্লিকে তারা মসজিদ প্রাঙ্গণে ঢুকতে দিচ্ছে না। পবিত্র স্থানটির দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ওয়াক্‌ফ বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।


৫. দ্বিতীয় হাসান মসজিদ, কাসাব্লাঙ্কা, মরক্কো:

আলজেরিয়ার জামা এল জাযের মসজিদের মিনার সবচেয়ে উঁচু, ৮৭০ ফুট। তারপরেই কাসাব্লাঙ্কার দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার, উচ্চতা ৬৮৯ ফুট। মরক্কোর বাদশাহ দ্বিতীয় হাসানের তত্ত্বাবধানে নির্মিত মসজিদটির নকশাকার ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনসু।

আটলান্টিক মহাসাগরের একটি শৈলান্তরীপের মাথায় মসজিদটির অবস্থান। মেঝের একটা অংশ স্বচ্ছ কাচের বলে আটলান্টিকের নীল পানি দেখতে পান নামাজে যাওয়া মুসল্লিরা। দেয়ালে মার্বেলের চোখধাঁধানো কারুকাজ। ছাদ অপসারণযোগ্য বলে নামাজ পড়তে যাওয়া মুসল্লিরা রাতের আকাশও দেখতে পান।

দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার থেকে একটি লেজাররশ্মি মুসলমানদের কিবলা কাবাঘরের দিকে তাক করা। অনন্য স্থাপত্যশৈলীর জন্য জগৎ–খ্যাত এই মসজিদে একসঙ্গে ১ লাখ ৫ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায় করার সুবিধা আছে।


মসজিদ   সেরা  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

মুখের ঠিকানা

প্রকাশ: ১২:১৬ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

স্পর্শে তুমি

প্রকাশ: ০৪:৪৫ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন