লিট ইনসাইড

‘হ্যাঁ, আমি আওয়ামী লীগের কবি’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:১১ পিএম, ০২ মে, ২০২০


Thumbnail

দেশের জনপ্রিয় কবি নির্মলেন্দু গুণ ফেসবুকে একটি নাতিদীর্ঘ স্টেটাস দিয়েছেন। ’হ্যাঁ, আমি আওয়ামী লীগের কবি’ শিরোনামের লেখায় আওয়ামী লীগকে পছন্দ করার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি লিখেছেন, ’আমি তো আওয়ামী লীগের জন্য এসেট, নট লাইবিলিটি।’ লেখাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। পাঠকদের জন্য লেখাটি তুলে ধরা হলো। 

’একটা জিনিস স্পষ্ট হওয়া দরকার। যদিও আমি সরাসরি আওয়ামী লীগ বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দল করি না- কিন্তু আমি মূলত আওয়ামী লীগেরই কবি। আবার আমি মনে করি একইসঙ্গে আমি জনগণেরও কবি।

১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু যখন বাঙালির বাঁচার দাবি ৬ দফা ঘোষণা করলেন, তার পর থেকে আমি বঙ্গবন্ধু ও তাঁর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের পক্ষে গণজাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়েই কবিতা লিখিতে শুরু করেছিলাম। ১৯৬৬-২০২০, মানে গত ৫৪ বছর ধরে আমার কবিতা ও গদ্য রচনায় ওই মূল-ধারাটিই অদ্যাবধি অব্যাহত রয়েছে।

অনেক সময় আমি আত্মমগ্ন প্রেমের কবিতা, কামের কবিতা, প্রকৃতির কবিতা এবং সাম্যবাদী ধারার বেশ কিছু কবিতাও লিখেছি। সেই কবিতাগুলোকেও বাংলা কবিতার পাঠক "প্রিয়-কবিতা" হিসেবে গ্রহণ করেছেন এবং আমাকে প্রেমের কবিও বলেন। আমি চুপ করে থাকি।

আমি জানি আমি একইসঙ্গে রাজনৈতিক কবি এবং প্রেমের কবিও।

তবে রাজনৈতিক সংকট চলাকালে আমি বঙ্গবন্ধু ও তাঁর তৈরি করা দল আওয়ামী লীগকেই সমর্থন করে এসেছি। ১৯৯১ ছাড়া প্রতিটি নির্বাচনে আমি আওয়ামী লীগকেই ভোট দিয়েছি। এমনকি প্রার্থী হাজী সেলিম হলেও।

১৯৯১ এর সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আমাকে নমিনেশন দেয়নি। তাতে কী?

মনের দুঃখে আমি শেখ হাসিনাকে ত্যাগ করিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়েছি। পরাজিত হয়েছি। কিন্তু দলবদল করিনি। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগও আমাকে কখনও ত্যাগ করেনি। করবেও না। কেনইবা করবে? আমি তো আওয়ামী লীগের জন্য এসেট, নট লাইবিলিটি।

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে মূলত আমার কবিতাই পাঠ করা হয়। শেখ হাসিনার কণ্ঠে আমার কবিতার আবৃত্তি শুনে আমি খুব খুশি হই। সম্মানিত বোধ করি। তিনি যখন জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে ১৯৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশে আমার সংগ্রামী ভূমিকার জন্য আমাকে ধন্যবাদ জানান- তখন আমি খুশি হই।

আবার আমাকে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদানে অহেতুক বিলম্ব করার জন্য বিরক্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেইসবুকে লিখেছিও। একটু বিলম্ব হলেও বঙ্গবন্ধুকন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার দাবির যৌক্তিকতা অনুধাবন করে আমাকে পুরস্কৃত করেছেন। তাতে আমি খুশি হয়েছি, সম্মানিত বোধ করেছি।

এই বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া দরকার, আমি জানি, বিশ্বাস করি- আমার কবিতার ঋণ আওয়ামী লীগ কখনও পরিশোধ করতে পারবে না; আবার আওয়ামী লীগের কাছ থেকে আমি যা পেয়েছি- যেমন বাংলাদেশের স্বাধীনতা, বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান, বঙ্গবন্ধুর খুনি এবং একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার- এইরকমের বিশাল প্রাপ্তির ঋণও আমি কখনও পরিশোধ করতে পারবো না।

আমি মনে করি আওয়ামী লীগ ও আমার সম্পর্কটা হচ্ছে ইতিহাস-নির্ধারিত। অনিবার্য।

আমি যে মাঝে-মাঝে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সমালোচনা করি- তাতে যারা খুশি হন, তারা কেন খুশি হন, আমি তা জানি। আমি তা বুঝি। তাদের প্রসংশায় পথভ্রষ্ট হওয়ার মতো পথভোলা কবি আমি নই, হে বন্ধুগণ। সরি মাই ফ্রেন্ডস।

আমি মনে করি আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশের জনগণ দুই শিবিরে বিভক্ত নয়। বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগণ আওয়ামী লীগের পক্ষেই আছেন।

আওয়ামী লীগ জনগণেরই প্রতিনিধিত্ব করে। আমিও আওয়ামী লীগের জন্মদাতা জাতির জনকের দলকেই সমর্থন করি।

আমার কাছ থেকে নিরপেক্ষ অবস্থান যারা আশা করে, তারা মতলববাজ। আমাকে আওয়ামী লীগের কবি বলে যারা খুশি হতে চান, আমাকে কোণঠাসা করা গেলো বা যাবে বলে ভাবেন-- তাদের স্বপ্নভঙ্গ করার জন্য আমি না থাকলেও, আমার বহু-বহু কবিতাই বেঁচে থাকবে।



মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

কবিতা

প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

বিশ্বের সেরা এবং আকর্ষণীয় পাচ মসজিদ

প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের এমন পাঁচটি মসজিদ সম্পর্কে জেনে নিন:


১. মসজিদুল হারাম, মক্কা, সৌদি আরব:

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ দেখতে যায়, এমন মসজিদের তালিকায় সবার প্রথমে আছে পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদুল হারাম। প্রতিবছর প্রায় ৮০ লাখ মানুষ এই মসজিদে যান। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় মসজিদ। একসঙ্গে ১৫ লাখ মানুষ এখানে প্রবেশ করে ঘুরে দেখতে পারেন। মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র তিন স্থানের একটি এই মসজিদুল হারাম। মুসলমানদের কিবলা পবিত্র কাবাশরিফ এখানেই অবস্থিত।

তবে যে কেউ চাইলেই মসজিদুল হারামে প্রবেশ করতে পারেন না। অমুসলিমদের জন্য মক্কা নগরীতে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ।


২. শেখ জায়েদ মসজিদ, আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত:

২০০৭ সালে স্থাপিত এই মসজিদ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মসজিদগুলোর একটি। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঝাড়বাতি ও সবচেয়ে বড় গালিচাও আছে এই মসজিদে।

আরব আমিরাতে বসবাসকারীদের বেশির ভাগই প্রবাসী, যাঁরা মূলত শ্রমজীবী হিসেবে বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে যান। এই বৈচিত্র্যময়তাই মসজিদটির নকশার মূল ভিত্তি। ব্রিটিশ, ইতালীয় ও আমিরাতি স্থপতিরা মিসর, মরক্কো, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশের মসজিদের নকশা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শেখ জায়েদ মসজিদের নকশা এঁকেছেন।

প্রতিবছর মসজিদটি দেখতে প্রচুর দর্শনার্থী আসেন। শুধু ২০১৭ সালেই এসেছেন প্রায় ৫৮ লাখ দর্শনার্থী। নামাজের সময় ছাড়া অন্য সময় অমুসলিম দর্শনার্থীরাও মসজিদ ঘুরে দেখতে পারেন। তবে শুক্রবার অমুসলিম দর্শনার্থীদের এই মসজিদে প্রবেশ নিষেধ।


৩. আয়া সোফিয়া, ইস্তাম্বুল, তুরস্ক:

ইউরোপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরগুলোর একটি তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুল। আর ইস্তাম্বুল বা গোটা ইউরোপের অন্যতম সুন্দর মসজিদ আয়া সোফিয়া। ৩৬০ খ্রিষ্ট-পূর্বাব্দে স্থাপিত এ স্থাপনা শুরুতে মসজিদ ছিল না। ১৪৬৩ সালে সুলতান মেহমেদ এটিকে মসজিদ হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

১৯৩৪ সালে এটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করে তৎকালীন তুরস্ক সরকার। কিন্তু ২০২০ সালে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এটিকে আবার নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিদের কাছে উন্মুক্ত করে দেন। ১৯৮৫ সালে আয়া সোফিয়াকে বিশ্ব ঐতিহ্যর স্বীকৃতি দেয় ইউনেসকো।


৪. আল–আকসা মসজিদ, পূর্ব জেরুজালেম, ইসরায়েল:

মুসলিম স্থাপত্যশৈলীর শুরুর দিককার অন্যতম নিদর্শন জেরুজালেমের আল–আকসা মসজিদ।

বলা হয়ে থাকে, খোলাফায়ে রাশিদিনের অন্যতম খলিফা হজরত উমর (রা.)–র শাসনামলে ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হয় মসজিদটির নির্মাণকাজ। তবে বর্তমানে আল-আকসা বলতে পুরো চত্বরটাকেই বোঝানো হয়। ‘হারাম আল শরিফ’ নামে পরিচিত এই চত্বরের চার দেয়ালের মধ্যে আছে কিবলি মসজিদ, কুব্বাতুস সাখরা (ডোম অব দ্য রক) ও বুরাক মসজিদ। মূল আল–আকসা বা কিবলি মসজিদ হলো ধূসর সীসার পাতে আচ্ছাদিত গম্বুজওয়ালা একটি স্থাপনা। তবে পর্যটকের কাছে আল–আকসা নামে বেশি প্রসিদ্ধ সোনালি গম্বুজের স্থাপনা কুব্বাতুস সাখরা।

জেরুজালেমের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদ ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় উঠে আসে ১৯৮১ সালে। এখানে প্রায় চার লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন । তবে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। কোনো মুসল্লিকে তারা মসজিদ প্রাঙ্গণে ঢুকতে দিচ্ছে না। পবিত্র স্থানটির দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ওয়াক্‌ফ বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।


৫. দ্বিতীয় হাসান মসজিদ, কাসাব্লাঙ্কা, মরক্কো:

আলজেরিয়ার জামা এল জাযের মসজিদের মিনার সবচেয়ে উঁচু, ৮৭০ ফুট। তারপরেই কাসাব্লাঙ্কার দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার, উচ্চতা ৬৮৯ ফুট। মরক্কোর বাদশাহ দ্বিতীয় হাসানের তত্ত্বাবধানে নির্মিত মসজিদটির নকশাকার ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনসু।

আটলান্টিক মহাসাগরের একটি শৈলান্তরীপের মাথায় মসজিদটির অবস্থান। মেঝের একটা অংশ স্বচ্ছ কাচের বলে আটলান্টিকের নীল পানি দেখতে পান নামাজে যাওয়া মুসল্লিরা। দেয়ালে মার্বেলের চোখধাঁধানো কারুকাজ। ছাদ অপসারণযোগ্য বলে নামাজ পড়তে যাওয়া মুসল্লিরা রাতের আকাশও দেখতে পান।

দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার থেকে একটি লেজাররশ্মি মুসলমানদের কিবলা কাবাঘরের দিকে তাক করা। অনন্য স্থাপত্যশৈলীর জন্য জগৎ–খ্যাত এই মসজিদে একসঙ্গে ১ লাখ ৫ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায় করার সুবিধা আছে।


মসজিদ   সেরা  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

মুখের ঠিকানা

প্রকাশ: ১২:১৬ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

স্পর্শে তুমি

প্রকাশ: ০৪:৪৫ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন