লিট ইনসাইড

বইমেলায় মিল্টন বিশ্বাসের ‘সাব-অল্টার্ন তত্ত্ব: উদ্ভব, বিকাশ ও প্রভাব’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:৫৪ পিএম, ২৭ মার্চ, ২০২১


Thumbnail

বাংলা একাডেমির বইমেলায় এসেছে প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট, সাহিত্য-সমালোচক ও কবি মিল্টন বিশ্বাসের নতুন বই ‘‘সাব-অল্টার্ন তত্ত্ব : উদ্ভব, বিকাশ ও প্রভাব’’। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তর থেকে ২৮৮ পৃষ্ঠার গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছে ।  বাংলা একাডেমি চত্বরের ৭২১ নং স্টলে বইটি পাওয়া যাবে । বইটির মূল্য রাখা হয়েছে ৪৫০ টাকা।

বইমেলায় প্রকাশিত সাব-অল্টার্ন তত্ত্ব : উদ্ভব, বিকাশ ও প্রভাব (Subaltern Theory : Origin, development and influence) গ্রন্থটিতে সাব-অল্টার্ন স্টাডিজ গোষ্ঠীর তত্ত্বকে ফিরে দেখা হয়েছে, একইসঙ্গে তার প্রভাব ও প্রবণতা। সাব-অল্টার্ন স্টাডিজ ছিল আশির দশকে তৈরি একটি প্রকল্প, হয়ত অন্য সময়ে অন্য ধরনের আরেক প্রকল্প চালু হবে।কিন্তু সাব-অল্টার্ন গবেষণা কী পেয়েছিল তা খুঁজে বের করা, কোন কোন বিষয় নিয়ে গবেষকরা প্রশ্ন তুলেছিলেন-তার অনুপুঙ্খ বিবরণ লিপিবদ্ধ করা আছে এ গ্রন্থে। ১৯৮২ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত মোট ১২ খণ্ডের সাব-অল্টার্ন স্টাডিজ সংকলন নিবিড় পর্যবেক্ষণে প্রাসঙ্গিকতার সূত্রে ব্যবহৃত হয়েছে।উপরন্তু রণজিৎ গুহ থেকে শুরু করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, দীপেশ চক্রবর্তী, গৌতম ভদ্র প্রমুখ তাত্ত্বিকের গ্রন্থ ও প্রবন্ধসমূহও ড. মিল্টন বিশ্বাস সচেতনভাবে পর্যালোচনা করেছেন।এমনকি এই গোষ্ঠীর তত্ত্ব নিয়ে যারা বিতর্কে অবতীর্ণ হয়েছেন তাদের মতামতও বিশ্লেষণ করেছেন। ইংরেজি ভাষায় বেশিরভাগ গ্রন্থ প্রকাশিত হওয়ায় ইউরোপ-আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়াতে সাব-অল্টার্ন স্টাডিজ  গোষ্ঠীর লেখকদের নাম প্রায়ই উচ্চারিত হয়ে থাকে। মূলত দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসতত্ত্ব বিশ্ব জয় করেছে সাব-অল্টার্ন স্টাডিজ প্রকাশনার মধ্য দিয়ে।নিম্নবর্গের ইতিহাসচর্চার সূচনা থেকে কেবল কৃষক বিদ্রোহ নয় সাহিত্য, সমাজ, নৃতত্ত্ব, দর্শন, ন্যায়শাস্ত্র, ধর্ম, বর্ণ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। অর্থাৎ নিম্নবর্গের ইতিহাস কোনো একক অথবা পৃথক জ্ঞানকাণ্ড নয়। ২০১২ সালে এ গোষ্ঠীর প্রকাশনা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। সাব-অল্টার্ন স্টাডিজ সংকলন আর বের হচ্ছে না। কিন্তু ২০২১ সালে এসেও সাব-অল্টার্ন তত্ত্বের আলোচনা-সমালোচনা-ব্যবহার লক্ষ করা যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী এ তত্ত্বের প্রভাব এখনো বহাল আছে তা এই গ্রন্থ পাঠ করলে জানা যাবে।  বইটি বই মেলায় প্রকাশের ব্যাপারে অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস বলেন, আমি আশা করি বাংলাদেশের নিম্নবর্গের ইতিহাসচর্চায় এই গবেষণা গ্রন্থটি ব্যাপকভাবে সমাদৃত হবে। সেই সাথে সাহিত্য সমালোচনার তত্ত্বে সাব-অল্টার্ন তত্ত্ব : উদ্ভব, বিকাশ ও প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

বর্তমানে ইউজিসি পোস্ট ডক ফেলো হিসেবে গবেষণা কাজে নিয়োজিত প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট, সাহিত্য-সমালোচক ও কবি ড. মিল্টন বিশ্বাস বাংলাদেশে বাংলা ভাষায় সাব-অল্টার্ন তত্ত্ব নিয়ে পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ রচনার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের সাবেক পরিচালক। তাঁর জন্ম  ৮ ফেব্রুয়ারি, পাবনা ব্যাপ্টিস্ট মিশন। পিতা- সঞ্জয় বিশ্বাস, মাতা- মুক্তি বিশ্বাস।তাঁর শিক্ষাজীবন কেটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি বাংলায় বিএ (অনার্স) ও এম এ ডিগ্রি শেষে একই প্রতিষ্ঠান থেকে এম ফিল (জীবনানন্দ দাশ ও বুদ্ধদেব বসুর কাব্যচিন্তা) ও পিএইচডি (তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটগল্পে নিম্নবর্গের মানুষ)ডিগ্রি লাভ করেছেন। ‘বাংলা সাহিত্য গবেষণা কেন্দ্র’ নামক অনলাইন গবেষণা ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা মিল্টন বিশ্বাস ব্যক্তিগত জীবনে নানা সংগঠন ও সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জয় বাংলা শিক্ষক সমাজে’র প্রতিষ্ঠাতা ও আহ্বায়ক। বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সদস্য সচিব, সম্প্রীতি বাংলাদেশের নির্বাহী কমিটির সদস্য, পিসিবি ট্রাস্ট ও পিসিবি মিশন স্কুলের পরিচালনা পরিষদের সদস্য, শ্যালোম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, দিশারি ফাউন্ডেশন ও ইসিটি’র সাধারণ সম্পাদক এবং সিসিডিবি’র কমিশন সদস্য ও পিদিম ফাউন্ডেশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য।তিনি বাংলা একাডেমির জীবন সদস্য। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১৭, গবেষণা প্রবন্ধ ২৫ টি । এছাড়াও তিনি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে নিয়মিত কলাম লেখা-লেখি করেন ।

মিল্টন বিশ্বাসের প্রকাশিত কয়েকটি গ্রন্থের নাম- শওকত আলী ও সেলিনা হোসেনের উপন্যাস : প্রসঙ্গ রাজনীতি (বাংলা একাডেমি, ১৯৯৬), তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটগল্পে নিম্নবর্গের মানুষ (বাংলা একাডেমি, ২০০৯), উপন্যাসে বঙ্গবন্ধু (বাংলা একাডেমি, ২০২০), রবীন্দ্রনাথ ও ব্রিটিশরাজ (মূর্ধন্য, ২০১১), রবীন্দ্রনাথের কবিতা : শেষ দশকের পটভূমি (মূর্ধন্য, ২০১১), রবীন্দ্রনাথ : নবজাতক (মূর্ধন্য, ২০১১), শেখ হাসিনা : নেতা ও রাষ্ট্রচিন্তক (দেশ পাবলিকেশন্স, ২০১৫), শিল্প–সাহিত্যে বঙ্গবন্ধু (নবযুগ প্রকাশনী, ২০১৭) এবং নন্দিনী (কাব্য, নবযুগ প্রকাশনী, ২০১৮)। তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে আরো কিছু গ্রন্থ। এগুলো হলো- জলসাঘর, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়(২০১৩), নির্বাচিত গল্প, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়(২০১৩), নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছোটগল্প (২০১৪), জাগরী, সতীনাথ ভাদুড়ী (২০১৫), অরণ্য–বহ্নি, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়(২০১৫), হাঁসুলী বাঁকের উপকথা, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় (২০১৬), তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প (২০২০)।

 



মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

কবিতা

প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

বিশ্বের সেরা এবং আকর্ষণীয় পাচ মসজিদ

প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের এমন পাঁচটি মসজিদ সম্পর্কে জেনে নিন:


১. মসজিদুল হারাম, মক্কা, সৌদি আরব:

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ দেখতে যায়, এমন মসজিদের তালিকায় সবার প্রথমে আছে পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদুল হারাম। প্রতিবছর প্রায় ৮০ লাখ মানুষ এই মসজিদে যান। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় মসজিদ। একসঙ্গে ১৫ লাখ মানুষ এখানে প্রবেশ করে ঘুরে দেখতে পারেন। মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র তিন স্থানের একটি এই মসজিদুল হারাম। মুসলমানদের কিবলা পবিত্র কাবাশরিফ এখানেই অবস্থিত।

তবে যে কেউ চাইলেই মসজিদুল হারামে প্রবেশ করতে পারেন না। অমুসলিমদের জন্য মক্কা নগরীতে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ।


২. শেখ জায়েদ মসজিদ, আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত:

২০০৭ সালে স্থাপিত এই মসজিদ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মসজিদগুলোর একটি। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঝাড়বাতি ও সবচেয়ে বড় গালিচাও আছে এই মসজিদে।

আরব আমিরাতে বসবাসকারীদের বেশির ভাগই প্রবাসী, যাঁরা মূলত শ্রমজীবী হিসেবে বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে যান। এই বৈচিত্র্যময়তাই মসজিদটির নকশার মূল ভিত্তি। ব্রিটিশ, ইতালীয় ও আমিরাতি স্থপতিরা মিসর, মরক্কো, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশের মসজিদের নকশা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শেখ জায়েদ মসজিদের নকশা এঁকেছেন।

প্রতিবছর মসজিদটি দেখতে প্রচুর দর্শনার্থী আসেন। শুধু ২০১৭ সালেই এসেছেন প্রায় ৫৮ লাখ দর্শনার্থী। নামাজের সময় ছাড়া অন্য সময় অমুসলিম দর্শনার্থীরাও মসজিদ ঘুরে দেখতে পারেন। তবে শুক্রবার অমুসলিম দর্শনার্থীদের এই মসজিদে প্রবেশ নিষেধ।


৩. আয়া সোফিয়া, ইস্তাম্বুল, তুরস্ক:

ইউরোপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরগুলোর একটি তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুল। আর ইস্তাম্বুল বা গোটা ইউরোপের অন্যতম সুন্দর মসজিদ আয়া সোফিয়া। ৩৬০ খ্রিষ্ট-পূর্বাব্দে স্থাপিত এ স্থাপনা শুরুতে মসজিদ ছিল না। ১৪৬৩ সালে সুলতান মেহমেদ এটিকে মসজিদ হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

১৯৩৪ সালে এটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করে তৎকালীন তুরস্ক সরকার। কিন্তু ২০২০ সালে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এটিকে আবার নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিদের কাছে উন্মুক্ত করে দেন। ১৯৮৫ সালে আয়া সোফিয়াকে বিশ্ব ঐতিহ্যর স্বীকৃতি দেয় ইউনেসকো।


৪. আল–আকসা মসজিদ, পূর্ব জেরুজালেম, ইসরায়েল:

মুসলিম স্থাপত্যশৈলীর শুরুর দিককার অন্যতম নিদর্শন জেরুজালেমের আল–আকসা মসজিদ।

বলা হয়ে থাকে, খোলাফায়ে রাশিদিনের অন্যতম খলিফা হজরত উমর (রা.)–র শাসনামলে ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হয় মসজিদটির নির্মাণকাজ। তবে বর্তমানে আল-আকসা বলতে পুরো চত্বরটাকেই বোঝানো হয়। ‘হারাম আল শরিফ’ নামে পরিচিত এই চত্বরের চার দেয়ালের মধ্যে আছে কিবলি মসজিদ, কুব্বাতুস সাখরা (ডোম অব দ্য রক) ও বুরাক মসজিদ। মূল আল–আকসা বা কিবলি মসজিদ হলো ধূসর সীসার পাতে আচ্ছাদিত গম্বুজওয়ালা একটি স্থাপনা। তবে পর্যটকের কাছে আল–আকসা নামে বেশি প্রসিদ্ধ সোনালি গম্বুজের স্থাপনা কুব্বাতুস সাখরা।

জেরুজালেমের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদ ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় উঠে আসে ১৯৮১ সালে। এখানে প্রায় চার লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন । তবে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। কোনো মুসল্লিকে তারা মসজিদ প্রাঙ্গণে ঢুকতে দিচ্ছে না। পবিত্র স্থানটির দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ওয়াক্‌ফ বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।


৫. দ্বিতীয় হাসান মসজিদ, কাসাব্লাঙ্কা, মরক্কো:

আলজেরিয়ার জামা এল জাযের মসজিদের মিনার সবচেয়ে উঁচু, ৮৭০ ফুট। তারপরেই কাসাব্লাঙ্কার দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার, উচ্চতা ৬৮৯ ফুট। মরক্কোর বাদশাহ দ্বিতীয় হাসানের তত্ত্বাবধানে নির্মিত মসজিদটির নকশাকার ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনসু।

আটলান্টিক মহাসাগরের একটি শৈলান্তরীপের মাথায় মসজিদটির অবস্থান। মেঝের একটা অংশ স্বচ্ছ কাচের বলে আটলান্টিকের নীল পানি দেখতে পান নামাজে যাওয়া মুসল্লিরা। দেয়ালে মার্বেলের চোখধাঁধানো কারুকাজ। ছাদ অপসারণযোগ্য বলে নামাজ পড়তে যাওয়া মুসল্লিরা রাতের আকাশও দেখতে পান।

দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার থেকে একটি লেজাররশ্মি মুসলমানদের কিবলা কাবাঘরের দিকে তাক করা। অনন্য স্থাপত্যশৈলীর জন্য জগৎ–খ্যাত এই মসজিদে একসঙ্গে ১ লাখ ৫ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায় করার সুবিধা আছে।


মসজিদ   সেরা  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

মুখের ঠিকানা

প্রকাশ: ১২:১৬ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

স্পর্শে তুমি

প্রকাশ: ০৪:৪৫ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন