নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০২ পিএম, ১৩ অগাস্ট, ২০২১
[অপরাধী হলে ওর শাস্তি হোক কিন্তু মেয়েটা সুবিচার পাক]
পুরুষতান্ত্রিকতা ধরিয়াছে পরীকে।
পরীর কীর্তি শুনে ছি ছি ক`রে মরি কে?
তুমি মরো আমি মরি মুখোশের সুশীলে
ক্ষতি নাই সবে মিলে মেয়েটারে দুষিলে।
ছি ছি মেয়ে মদ খায়? মদ্যপ নারী সে?
কৈ পেলো কোটি টাকা মূল্যের গাড়ি সে?
নারী মদ খাইবে না। মদ খাবে পুরুষে।
ভালো ভালো পুরুষকে নষ্টের গুরু সে!!
রাতের আসরে পরী ছড়াতো কী রোশনাই
(ওর কাছে যারা যেতো তাদের তো দোষ নাই!)
পুরুষ তো যাইবেই খুবই স্বাভাবিক তা
নাচো তাতা থৈথৈ ধিকিতা রে ধিক্তা...
মদ্যপ ব্যাদ্দপ কারে কারে ঘাটালো?
`তাঁহারা`ই মেয়েটারে শ্রীশ্রীঘরে পাঠালো?
বোটক্লাব কাণ্ডেই তার-এ পরিনতি কি?
প্রকাশ্যে মেয়েদের অপমানে ক্ষতি কি?
সুতরাং লাঞ্ছিত করো তাকে পুরোটা
পুরুষকে খেতে দাও পেটিসহ মুড়োটা,
তারপর মুখ মুছে সাজুক না সাধু সে!
তালিকা লুকিয়ে রাখো পুরুষকে না দুষে।
পুরুষের সম্মান করিও না ক্ষুণ্ণ
পুরুষের সামাজিক মর্যাদা খুন?? NO.
যা করার করো তবে পুরুষকে বাঁচিয়ে
এই মেয়ে ভালো নয় এই মেয়ে নাচিয়ে!
ওর ঘরে পাওয়া গেছে এতো এতো মদ্য
এই মেয়ে মদ খায়! মাতালের হদ্য।
স্বভাবের ঠিক নাই চরিত্র মন্দ
পরীমনি একালের নারী `ঘোষ নন্দ`...
সব দোষ মেয়েটার। দাও তাকে শাস্তি
ওর নাম মুখে নিলে যাত্রাটা নাস্তি।
শিল্পী সমিতি আসো করো বদনামটা
পরীকে খারিজ করো কাটো তার নামটা।
শিল্পীরা মদ খায়? কাভি নেহি। কাভি না
(এফডিসি সেঁচে তুই মদখোর পাবি না।)
চারিপাশে দেখি শুধু সাধু আর সন্ত
সূঁচালো নখরে হাসে বিকশিত দন্ত!
রূপের জাদুতে মেয়ে কাবু করে ক্ষণিকেই!
পুরুষতান্ত্রিকতা তাই পরীমনিকেই--
ধরিয়াছে, কারণ সে আলোরূপী আলিয়া
বাজাও বাচ্চালোগ তালিয়া রে তালিয়া...
পুরুষতান্ত্রিকতা সমাজের দড়িতে।
(পুরুষের সাথে নারী আসিও না লড়িতে।)
অটোয়া ১২ আগস্ট ২০২১
সূত্র: লুৎফর রহমান রিটনের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
মন্তব্য করুন
একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ, ভাষাবিদ, গবেষক ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক মারা গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন হৃদরোগ ও কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন।
বুধবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মরদেহ রাজধানীর ভাটারার বাসায় আনা হবে। এরপর জানাজা শেষে নেয়া হবে চট্টগ্রামে। সেখানেই তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
ড. মাহবুবুল হক প্রবন্ধে অবদানের জন্য ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। এ ছাড়া গবেষণায় অবদান রাখায় ২০১৯ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
ড. মাহবুবুল হক ১৯৪৮ সালের ৩ নভেম্বর ফরিদপুরের মধুখালিতে জন্মগ্রহণ করেন। এরপর বেড়ে ওঠেন চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান), ১৯৭০ সালে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৯৭ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
এরপর চট্টগ্রামের রাঙ্গুনীয়া কলেজ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে যোগদান করেন।
তার উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে: বাংলা বানানের নিয়ম, রবীন্দ্র সাহিত্য রবীন্দ্র ভাবনা, ইতিহাস ও সাহিত্য, সংস্কৃতি ও লোক সংস্কৃতি এবং বাংলার লোক সাহিত্য: সমাজ ও সংস্কৃতি প্রভৃতি।
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ছোটকাগজ সম্পাদনায় বিশেষ অবদান রাখায় চলনবিল সাহিত্য পুরস্কার পেলেন শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক ছোটকাগজ ‘হৃদয়ে চলনথ এর সম্পাদক কবি হাদিউল হৃদয়। হাদিউল হৃদয় তাড়াশ প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক কালবেলা পত্রিকার তাড়াশ উপজেলা প্রতিনিধি।
শুক্রবার (১২ জুলাই') সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরীর হল রুমে আনুষ্ঠানিকভাবে কবি কণ্ঠে কবিতা সংগঠন থেকে প্রধান অতিথি তাড়াশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামান মনি এ পুরস্কার স্মারক ও সনদপত্র তুলে দেন।
সাবিনা ইয়াসমিন বিনুর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন মল্লিকী। আলোচনা সভায় সংগঠনের সভাপতি আবদুর রাজ্জাক রাজুর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, তাড়াশ পৌরসভার কাউন্সিলর রোখসানা খাতুন রুপা, পাবলিক লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদক মোজ্জামেল হক মাসুদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হোসনেয়ারা নাসরিন দোলন, যুগ্ম সম্পাদক লুৎফর রহমান, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সোহাগ, প্রভাষক আব্দুল কাদের, প্রভাষক আব্দুল মতিন প্রমূখ।
উল্লেখ্য, হাদিউল হৃদয় বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিল চলনবিলের প্রাণকেন্দ্র তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের পল্লীর নিভূত অজোপাড়া পাড়িল গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মধ্যবিত্ত্ব মুসলিম পরিবারে জন্ম। তিনি একজন সাংবাদিক ও সাহিত্য কর্মী। মূলতঃ কবিতা দিয়ে শুরু করলেও প্রবন্ধ, মুক্তগদ্য ও ছড়া লিখেন। তার লেখা লিটলম্যাগ ও দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়ে আসছে। তার সম্পাদনা হৃদয়ে চলন ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১২টি সংখ্যা প্রকাশ হয়েছে। সম্পাদনার স্বীকৃতিস্বরূপ এর আগেও বিভিন্ন সংগঠন থেকে পেয়েছেন সম্মাননা ও পুরস্কার।'
মন্তব্য করুন