নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩০ পিএম, ০৯ অক্টোবর, ২০২১
তোমার হত্যার প্রতিশোধ আজও নিতে পারিনি চে
অথচ কোমল কৈশোরেই প্রতিশোধ চেয়ে
ঘর ছেড়েছিলাম নিষিদ্ধ অস্ত্র হাতে গোপন গেরিলা
বন-বাদাড়, ঝোপ-ঝাড়, হাওর-বাঁওড় নদী ও পাথার, বালুচর
কৃষকের কুঁড়েঘর, শ্রমিক-বস্তিতে কত না ওঁত পেতে থেকেছি
ট্রিগারে নেচে উঠেছে বিক্ষুব্ধ আঙুল
তোমার ঘৃণ্য হত্যাকারীর ওপর অকস্মাৎ ঝাঁপিয়ে পড়তে
চোখে বলিভিয়ার জঙ্গল, পাহাড়ি গিরিখাত, স্রোতস্বিনী
কালমিনা খামার, অস্ত্রশস্ত্র-গোলাবারুদ দাস ক্যাপিটাল
লোরকার কবিতা হাতে কতদিন নিজেকে ভেবেছি চে গুয়েভারা।
হিগেরের ঝোড়ে গুলিবিদ্ধ আহত বন্দি
স্কুলের চালাঘরে হাতবাঁধা রক্তাক্ত
তবুও তুমি যখন তরুণ শিক্ষিকাকে উদ্ভাসিত করছিলে জ্ঞানের আলোকে
ঠিক তখনি ঘাতকের নয়টি বুলেট ঝাঁঝরা করে দিল তোমাকে
(এত ভয় ছিল তোমাকে ওদের)! সেই চিত্রকল্প কত দিন কত রাত
নির্ঘুম অস্থির যন্ত্রণায় পৃথিবীর সবচে নিষ্ঠুর প্রতিশোধপরায়ণ করে তুলেছে
অথচ চে, আজও আমি প্রতিশোধ নিতে পারিনি!
আজও তোমার হত্যাকারীরা ক্ষুধা দারিদ্র্য শোষণ নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াকু
অনুসারীদের নির্মমভাবে হত্যা করছে পৃথিবীর সব দেশে
ধর্ম বর্ণ গোত্র শক্তি দম্ভ আধিপত্য আর সভ্যতার কূটচালে।
আমি এখনো মনে প্রাণে তোমার পথকেই একমাত্র পথ মনে করি চে
একমাত্র সশস্ত্র বিপ্লব, সুষম বণ্টন এনে দিতে পারে গরীবের মুক্তি
সেই নিরন্তর গভীর পরিচর্চায় সাংস্কৃতিক উত্তরণ
আর যা কিছু মধুবিষ, জ্যোৎস্নার প্রলেপে অমাবস্যা, সভ্যতার সফেদ
কফিনে মোড়ানো মানবতার নষ্ট লাশ
নিরাময়হীন ব্যাধিতে অসুস্থ করে তুলছে বিশ্বায়ন!
চে, এখনো লালপতাকা হাতে
তোমারই মতো বীরদর্পে হেঁটে যেতে চাই-
তোমারই শেষ বাণী উচ্চকিত করি- ‘বিপ্লবের মৃত্যু নেই’।
তোমার হত্যার প্রতিশোধ নিতে পারিনি চে-
আমরা কোনো লেনিন পাইনি
আমাদের কোনো ক্যাস্ত্রো নেই, আমাদের কোনো গোর্কী নেই
আমাদের সবই ইউসেবি আর চিঙ্গালো, লিন পিয়াও কিংবা
মীর জাফর বা উমিচাঁদ- বারবার স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনা নিয়ে
তবু নতুন স্বপ্নের বীজ বুনি মনে
প্রতিদিন প্রতিশোধ-স্পৃহা জ্বলে ওঠে হৃদয়ে
প্রতিশোধ একদিন হবেই, কেউ না কেউ তো আসবেই...
মন্তব্য করুন
একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ, ভাষাবিদ, গবেষক ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক মারা গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন হৃদরোগ ও কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন।
বুধবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মরদেহ রাজধানীর ভাটারার বাসায় আনা হবে। এরপর জানাজা শেষে নেয়া হবে চট্টগ্রামে। সেখানেই তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
ড. মাহবুবুল হক প্রবন্ধে অবদানের জন্য ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। এ ছাড়া গবেষণায় অবদান রাখায় ২০১৯ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
ড. মাহবুবুল হক ১৯৪৮ সালের ৩ নভেম্বর ফরিদপুরের মধুখালিতে জন্মগ্রহণ করেন। এরপর বেড়ে ওঠেন চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান), ১৯৭০ সালে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৯৭ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
এরপর চট্টগ্রামের রাঙ্গুনীয়া কলেজ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে যোগদান করেন।
তার উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে: বাংলা বানানের নিয়ম, রবীন্দ্র সাহিত্য রবীন্দ্র ভাবনা, ইতিহাস ও সাহিত্য, সংস্কৃতি ও লোক সংস্কৃতি এবং বাংলার লোক সাহিত্য: সমাজ ও সংস্কৃতি প্রভৃতি।
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ছোটকাগজ সম্পাদনায় বিশেষ অবদান রাখায় চলনবিল সাহিত্য পুরস্কার পেলেন শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক ছোটকাগজ ‘হৃদয়ে চলনথ এর সম্পাদক কবি হাদিউল হৃদয়। হাদিউল হৃদয় তাড়াশ প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক কালবেলা পত্রিকার তাড়াশ উপজেলা প্রতিনিধি।
শুক্রবার (১২ জুলাই') সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরীর হল রুমে আনুষ্ঠানিকভাবে কবি কণ্ঠে কবিতা সংগঠন থেকে প্রধান অতিথি তাড়াশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামান মনি এ পুরস্কার স্মারক ও সনদপত্র তুলে দেন।
সাবিনা ইয়াসমিন বিনুর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন মল্লিকী। আলোচনা সভায় সংগঠনের সভাপতি আবদুর রাজ্জাক রাজুর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, তাড়াশ পৌরসভার কাউন্সিলর রোখসানা খাতুন রুপা, পাবলিক লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদক মোজ্জামেল হক মাসুদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হোসনেয়ারা নাসরিন দোলন, যুগ্ম সম্পাদক লুৎফর রহমান, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সোহাগ, প্রভাষক আব্দুল কাদের, প্রভাষক আব্দুল মতিন প্রমূখ।
উল্লেখ্য, হাদিউল হৃদয় বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিল চলনবিলের প্রাণকেন্দ্র তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের পল্লীর নিভূত অজোপাড়া পাড়িল গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মধ্যবিত্ত্ব মুসলিম পরিবারে জন্ম। তিনি একজন সাংবাদিক ও সাহিত্য কর্মী। মূলতঃ কবিতা দিয়ে শুরু করলেও প্রবন্ধ, মুক্তগদ্য ও ছড়া লিখেন। তার লেখা লিটলম্যাগ ও দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়ে আসছে। তার সম্পাদনা হৃদয়ে চলন ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১২টি সংখ্যা প্রকাশ হয়েছে। সম্পাদনার স্বীকৃতিস্বরূপ এর আগেও বিভিন্ন সংগঠন থেকে পেয়েছেন সম্মাননা ও পুরস্কার।'
মন্তব্য করুন