ইনসাইড পলিটিক্স

আইভী বনাম তৈমুর: কার পাল্লা ভারী?

প্রকাশ: ১১:০৫ এএম, ০৮ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail আইভী বনাম তৈমুর: কার পাল্লা ভারী?

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের উত্তাপ জোরেশোরে শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচনে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তৈমুর আলম খন্দকারের পক্ষে কর্মী-সমর্থকদের প্রচার-প্রচারণায় উৎসব উৎসব ভাব বিরাজ করছে গোটা নারায়ণগঞ্জ জুড়ে। নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলি, সবখানিই শোভা পাচ্ছে এই দুই প্রার্থীর পোস্টার। মেয়র পদে আরও পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও এই দুই প্রার্থীকে ঘিরেই নাসিক নির্বাচন আবর্তিত হচ্ছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। নারয়ণগঞ্জের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ দুইভাগে বিভক্ত। একদিকে নারয়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান, অন্যদিকে মেয়র পদপ্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমান এবং ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী দ্বন্দ্বের ফলে শামীম ওসমানের সমর্থকরা আইভীর বিপরীতে এবং তৈমুরের পক্ষে কাজ করবে। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জে বিএনপি-জামায়াত-হেফাজত সমর্থিতরা শামীম ওসমান বিরোধী। ফলে তাদের একাংশের সমর্থন আইভীর পক্ষে রয়েছে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। আইভী রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান এবং তিনি জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত একবারও মেয়র পদে পরাজিত হননি তিনি। একজন গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক নেত্রী হিসেবে তাকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জবাসীর কোনো সন্দেহ নেই। ফলে আওয়ামী লীগের ঘাঁটিখ্যাত নারায়ণগঞ্জে যদি আওয়ামী লীগের সবাই একাট্টা হয়ে নির্বাচন করে, তাহলে সেলিনা হায়াত আইভীর পরাজয়ের কোন কারণ নেই। তবে এ ‘যদি’ কে আরও সন্দেহযুক্ত, আরও পাকাপোক্ত করছেন নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের আরেক সিংহপুরুষ শামীম ওসমান ও তার নীরবতা। একজন সাংসদ হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি অংশ নিতে পারছেন না, তা বেধগম্য। কিন্তু তার কর্মী-সমর্থকদের নীরবতা ও প্রচার-প্রচারণায় অংশ না নেওয়া, স্পষ্টতই শামীম-আইভীর পুরনো লড়াই জিইয়ে রাখার বার্তা দেয়। বিশেষ করে শামীম ওসমানের নিকটতম সহযোগী নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের মহাসচিব খোকন সাহা, সহ সভাপতি চন্দন শীল ও যুগ্ম সচিব শাহ নিজাম আইভির পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিলেও তারা সেভাবে সক্রিয় নন বলে জানা গেছে।

নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা বলছেন, দলের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও আইভির মধ্যের দ্বন্দ্বের কথা 'ওপেন সিক্রেট' ছাড়া আর কিছুই নয়। এই দ্বন্দ্ব দলীয় নয়, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বলেই মনে করেন অনেকে। শোনা যাচ্ছে, তারা গোপনে তৈমূরকে সমর্থন দিচ্ছেন। আইভীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের একাংশের এই না থাকার নেতিবাচক প্রভাব ব্যালটে পড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

তবে নারায়ণগঞ্জের এই নির্বাচনকে খুবই সিরিয়াসলি নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। নৌকা প্রতীকপ্রাপ্ত আইভীকে জেতাতে আদা জল খেয়ে ভোটের মাঠে নেমে পড়েছে দলটির হাইকমান্ড। বিশেষ করে প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম , যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাসিমসহ হেভিওয়েট নেতারা মাঠে নেমে কাজ করছেন। জাহাঙ্গীর কবীর নানক প্রায় প্রতিদিনই নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছেন। সব স্তরের নেতাকর্মীদের সাথে মিটিং করছেন। অভ্যন্তরীণ বিরোধ মেটাতে তার প্রচেষ্টাও ইতোমধ্যে সবার নজর কেড়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি অবশ্য বলছেন যে, নেত্রী তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি তা পালনের চেষ্টা করছেন মাত্র।  

বিপরীতে তৈমুর আলম বিএনপি থেকে অব্যাহতি পেলেও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতারা তাকে ঠিকই সমর্থন করছেন। প্রচার প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। তবে যখন তিনি প্রচারণা শুরু করেন, তখন দলের বেশ কিছু নেতা পাশে থাকলেও তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর অনেকেই সরে গেছেন। প্রচারণার প্রথম দিকে তৈমুরের সাথে ছিলেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন রোজেল ও আবদুল হাই রাজু। কিন্তু এখন জেলা বিএনপির মহাসচিব এটিএম কামালসহ মাত্র অল্প কয়েকজন তার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। পাশাপাশি সাবেক বিএনপি সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিনও তৈমূরের প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত নন। জানা গেছে, তার হাতে শহরের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় একটি শক্তিশালী ভোটব্যাংক রয়েছে। তবে ছেলে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী গোলাম সাদরিলের জন্য ভোট চাইছেন গিয়াস উদ্দীন। তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে, সাদরিল নিজেও আইভির জন্য প্রচারণায় ব্যস্ত।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন এখন সরকারের প্রতি আস্থার গণভোট হিসেবে পর্যবসিত হয়েছে বলে মনে করছেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। তারা বলছেন, প্রশাসন বিরোধী দলগুলোর প্রচার-প্রচারণায় কোনো ধরণের বাধা-বিপত্তি সৃষ্টি করছে না। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরাও নিজ নিজ প্রচারণায় ব্যতিব্যাস্ত। তারাও কোনো বিরোধীদের কর্মসূচিতে কোনো ধরণের বাধা দিচ্ছে না। প্রচারণার মতো নির্বাচনের দিনটি গেলেই একটি অবাধ, ‍সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নারায়ণগঞ্জবাসীকে উপহার দেওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে তৈমুর ও আইভীর এ লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসবেন, এটি এখন নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে প্রধান প্রশ্ন। আর এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আরও কিছুদিন পরে, ১৬ জানুয়ারি।

নারায়ণগঞ্জ   সেলিনা হায়াত আইভী   তৈমুর আলম খন্দকার   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপি নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে: হাছান মাহমুদ

প্রকাশ: ০২:১৮ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে বিএনপি ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ ও বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এক মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে, নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের এজেন্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ আছে। এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।

তিনি বলেন, পুরো পৃথিবী এই বর্বরতার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপি ও জামায়াত, যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করে, এই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিরুদ্ধে একটা শব্দও উচ্চারণ করেনি। কারণ কেউ অসন্তুষ্ট হতে পারে। গত নির্বাচনে তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার পর ইসরায়েলি লবিস্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে কিছু ইসলামী দল আছে, তারা কারণে-অকারণে বায়তুল মোকাররমের দাঁড়িয়ে যান। আপনারা কোথায় এখন? আপনাদের কেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নির্বাচনের আগে সরকার নামানোর জন্য বায়তুল মোকাররমের সামনে এসে আন্দোলন করেন, কই ফিলিস্তিনি ভাইদের পক্ষে, ইসরায়েলের বিপক্ষে তো একটা বড় মিছিল করতে দেখলাম না।

সামাজিক মাধ্যমে সরকারের সমালোচনাকারীদের নিয়ে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেককেই দেখি সরকারের বিরুদ্ধে বড় বড় ভাষণ দেয়, সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তাদের কথা বলতে তো শুনলাম না। এরা কোথায়? এরা কোথায় লুকিয়ে আছে? এরা আসলে ইসলাম প্রেমী নয়, এরা হলো মুখোশধারী ধর্ম ব্যবসায়ী। এদের মুখোশও উন্মোচন করতে হবে।

এরপর ফিলিস্তিনি মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ইসরায়েলি বর্বরতার কারণে যারা নিহিত হয়েছেন তাদের মাগফেরাত কামনা করি। যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাই। বাংলাদেশের মানুষের অবস্থান সবসময় মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে ছিল। আমাদের নীতি ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে।


বিএনপি   নেতানিয়াহু   দোসর   হাছান মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

স্ত্রীকে নিয়ে সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ০১:৪৫ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে হযতর শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর যান তারা। 

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার সকালে মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা দুইজনই চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছেন। চিকিৎসা শেষে তারা কবে দেশে ফিরবেন সেটা এখনি বলতে পারছেন না তিনি। 


সিঙ্গাপুর   মির্জা আব্বাস   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতির পরোয়া করে না আওয়ামী লীগ: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সরকার মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পাত্তা দেয় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কাউকে দাওয়াত করে আনে নি,তাদের এজেন্ডা আছে। তারা সেসব নিয়ে ঢাকায় এসেছে। ওপরে ওপরে বিএনপি তাদের পাত্তা দেয় না বললেও, তলে তলে  বিএনপির সঙ্গে তাদের কি আছে, তারাই ভালো জানে। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি।  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বিএনপির আন্দোলনের ব্যর্থ চেষ্টা। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে খড়কুটো ধরে বাজতে চায় তারা। আসলে তাদের কোনো ইস্যু নাই। তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনকে ইস্যু বানাতে চায়। আমার প্রশ্ন হলো-ভারতীয় মসলা ছাড়া কি আমাদের চলে?  

তিনি বলেন, ভারতের মসলা ছাড়া আমাদের চলে না। শুধু মসলা কেন, ভারত থেকে শাড়ী-কাপড় আসবে, এছাড়া আরও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যও আসবেই। 

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ঢাকায় বিএনপির দুইটা সমাবেশই ফ্লপ হয়েছে। বিএনপি ও তাদের সমমনাদের আন্দোলনের ডাকে জনগণের সাড়া নেই। দলটির কর্মীরা হতাশ, তাদের আর নেতাদের ওপর আস্থা নেই। সে কারণেই বিএনপির কর্মীরা তাদের সমাবেশে যোগ দেয় না।


মার্কিন স্যাংশন   ভিসানীতি   আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফর: যা বললেন আওয়ামী লীগ-বিএনপির শীর্ষ নেতারা

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন। এ সফরে তিনি ব্যবসা-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারসহ দুই দেশের অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা করবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত বছর ডোনাল্ড লু’র সফর ছিল বেশ আলোচনায়। সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন করা বিএনপি বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল। ভোট হয়ে যাওয়ার চার মাস পর যুক্তরাষ্ট্রের এই সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবার ঢাকায় আসছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে তাঁর ঢাকা সফর নিয়ে বেশ আলোচনা হলেও ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে লু’র সফর নিয়ে যেভাবে বিভিন্ন ধরনের গুঞ্জন বা আতঙ্কের কথা শোনা গিয়েছিল এবার সেটি হচ্ছে না। কিন্তু তারপরও তাঁর ঢাকা সফর নিয়ে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কথা বাহাস লক্ষ্য করা গেছে।


লু’র ঢাকা সফর নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। যদিও নির্বাচনের আগে লু’র ঢাকা সফর নিয়ে সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত ছিল বিএনপির নেতারা। তবে এবার দলটির মহাসচিব সুর পাল্টে বলছেন, ‘কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথাঘামানোর সময় নেই। তিনি বলছেন তার দলের প্রধান শক্তি হলো জনগণ।’

লু’র ঢাকায় আসাটা গুরুত্বপূর্ণ নয় উল্লেখ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র আসা-না আসায় কিছু যায়-আসে না। লু তো অনেক দূরের কথা। আমরা শঙ্কিত দেশের অবস্থা নিয়ে। 


এদিকে লু’র এবারের সফর দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তিনি আসবেন। বিএনপি মনে করেছে, আবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেবে কি না। এই ধরনের উদ্ভট চিন্তা করছে। এ রকম উদ্ভট চিন্তা তারা আগেও করেছিল।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদেশিদের কাছে বারবার ধরর্না দিয়ে কোনো কিছুই করতে পারেনি বিএনপি। এজন্য লু’র ঢাকা সফর নিয়ে প্রকাশ্যে উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছেনা বিএনপি। দেশে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হওয়া এবং বর্তমান সরকারের সাথে কাজ করার ঘোষণা দেওয়ায় বিএনপির মোহভঙ্গ হয়েছে। তাই প্রকাশ্যে লু’র সফর নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছে না বিএনপির নেতারা।



ডোনাল্ড লু   আওয়ামী লীগ   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী সোহেল

প্রকাশ: ০৯:৩৩ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জামিনে কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল।

সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ থেকে মুক্তি লাভ করেন তিনি। এ সময় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, মুক্তি পাওয়ার পর তিনি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। 
এর আগে গত ৩১ মার্চ আদালতে জামিন নিতে গেলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয় সোহেলকে।

বিএনপি   হাবিব উন নবী সোহেল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন