ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচনের পরে নারায়ণগঞ্জে কি হবে?

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৬ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail নির্বাচনের পরে নারায়ণগঞ্জে কি হবে?

উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। হাইভোল্টেজ এ নির্বাচনে কোনো ধরণের অঘটন না ঘটলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিজয় সুনিশ্চিত। অন্যদিকে, কোন অঘটনের মাধ্যমে তৈমুর আলম খন্দকার যদি জিতে যান, তাহলে সেটি হবে নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক। কিন্তু সেই সম্ভাবনাও ক্ষীণ হয়ে গেছে শামীম ওসমানের সংবাদ সম্মেলনের পর। যদিও দুই প্রার্থীই দাবি করেছেন, ভোট সুষ্ঠ হলে ফলাফল তাদের পক্ষেই যাবে। তবে মেয়র পদে যিনিই নির্বাচিত হোক না নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে শামীম ওসমান আরও কোণঠাসা হয়ে পড়বেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সেই প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের পরে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে প্রকৃতপক্ষে কি হবে তা নিয়ে নারায়ণগঞ্জবাসীর মধ্যে চলছে আলাপ-আলোচনা।

নির্বাচনের প্রধান দুই প্রার্থী আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং বিএনপির সাবেক নেতা তৈমুর আলম খন্দকার। প্রার্থী না হয়েও নির্বাচনী আলাপ-আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এখনো নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান। দুই প্রধান প্রার্থী ও শামীম ওসমানের ছায়া-প্রচ্ছায়া নিয়ে যত আলোচনা, অন্য প্রার্থীদের নিয়ে নারায়ণগঞ্জবাসীর তেমন আগ্রহ নেই। অনেকেরই ধারণা, নির্বাচনে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী জিতলে প্রথম যে ঘটনাটি ঘটবে, তা হলো নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে শামীম ওসমানের প্রভাব নষ্ট হয়ে যাবে। এমনিতেই নারায়ণঞ্জের রাজনীতিতে শামীম ওসমানের প্রভাব অনেকটাই কমে গেছে। বিশেষ করে কিছুদিন আগে নারায়ণগঞ্জের এসপির সাথে গণ্ডগোল করে শেষ পর্যন্ত নিজের শৌর্য-বীর্য ধরে রাখতে পারেননি শামীম ওসমান। ফলে এবারের নির্বাচনে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বিজয়ী হলে শামীম ওসমান আরও মিইয়ে যাবেন এবং আইভীর বিজয় শামীম ওসমানের নারায়ণগঞ্জ রাজনীতির কফিনে শেষ পেরেক ঢুকানো হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

আবার ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী যদি কোনো অঘটনে পরাজয় বরণ করেন, তাহলেও ক্ষতি শামীম ওসমানেরই হবে। আইভী হেরে গেলে দল আওয়ামী লীগের খড়গের মুখোমুখি হতে হবে শামীম ওসমানকে। কেননা কেন্দ্র জানে যে, শামীম ওসমানের বিরোধীতা ছাড়া আইভী পরাজিত হতে পারে না। ফলে এক প্রকারের শাঁখের করাতের ওপরই অবস্থান করছেন শামীম ওসমান। নির্বাচনে আইভীর জয়-পরাজয় যাই হোক না কেন, ক্ষতিগ্রস্ত হবে একজনই। আর ওই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিটি যে শামীম ওসমান হতে যাচ্ছেন, তা নিয়ে কারো কোনো সন্দেহ নেই। ফলে এই নির্বাচনের পর শামীম ওসমানের কর্তৃত্বের অবসান ঘটবে নারায়ণগঞ্জে, সেটি হলফ করেই বলা যায়।

অন্যদিকে নির্বাচনে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন তৈমুর আলম খন্দকার। তার হারানোর কিছু নেই। জয়-পরাজয় যাই হোক না কেন তৈমুর আলম খন্দকার অনেক কিছুই অর্জন করতে পারবেন এই নির্বাচন থেকে। যদি নারায়ণগঞ্জে নাটকীয়ভাবে তৈমুর আলম খন্দকার জিতে যায়, তাহলে সে একসাথে সব পাবে। মেয়র হতে পারবে। দল বিএনপিও তাকে দেওয়া অব্যাহতিদেশ তুলে নেবে। তার বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পদ থেকে অব্যাহতি প্রসঙ্গে বিএনপির নেতারাই বলছেন যে, নির্বাচনের পর এই অব্যাহতি তুলে নেওয়া হবে, এটা মোটামুটি নিশ্চিত। আর তৈমুর যদি হেরে যান, তাহলেও তার তেমন কোনো ক্ষতি নেই। হারলেও শতধা বিভক্ত নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে তার একক প্রভাব বলয় সৃষ্টি হবে। নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে নেতাদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিলো। এই নির্বাচনের মাধ্যমে নেতাকর্মীরা তৈমুরের পেছনে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এই নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন, তৈমুর আলম খন্দকার বিএনপির একক নেতা হিসেবে নারায়ণগঞ্জে আবির্ভূত হবেন, এটা নিশ্চিত। এছাড়াও এই নির্বাচনের মাধ্যমে তৈমুর আলম খন্দকার বিএনপিকে সুসংগঠিত করার সুযোগ পেয়েছেন। নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমান এবং আইভীর জনপ্রিয়তার দাপটে এতদিন ম্লান ছিলো বিএনপি এবং সাংগঠনিক ভাবে খুবই দুর্বল অবস্থায় চলে গিয়েছিল। এই সিটি নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের আগ্রহ তৈরি হয়েছে এবং এটি বিএনপিকে ভবিষ্যতে সুযোগ করে দিবে। ফলে এই নির্বাচনে জয়-পরাজয় যাই হোক না কেন তৈমুর আলম খন্দকার অনেক কিছুই পাবেন। তবে শেষ পর্যন্ত কার ভাগ্যে কি জোটছে, তা জানতে শুধু কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা।

নাসিক নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় বিএনপির ৪৫ নেতাকে শোকজ

প্রকাশ: ১১:৩৯ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৪৫ নেতাকে শোকজ করে চিঠি দিয়েছে বিএনপি। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠিতে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দেওয়া চিঠির বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, যারা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে তাদেরকে শোকজ দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কেন তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না, তার জবাব দিতে বলা হয়েছে।

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে চার ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া  প্রায় ৩০০ শতাধিক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করে বিএনপি। তবে, বহিষ্কৃত অনেক নেতা নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এই প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, অনেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। এই কারণে এখন পর্যন্ত কতজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে তার সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।

প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণে বিএনপি ৮২ জন নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করে। দ্বিতীয় ধাপে ৬৬ জনকে বহিষ্কার করে। আর তৃতীয় ধাপে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণে কতজনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তার সঠিক সংখ্যাটি পাওয়া যায়নি।

গত ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচনে বহিষ্কৃতদের মধ্যে সাতজন চেয়ারম্যান এবং তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বলেও জানা গেছে।

জানা গেছে, তৃতীয় ধাপের ভোটে বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা প্রার্থী হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে এরইমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর ৪৫ জনকে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। শোকজ নোটিশপ্রাপ্ত নেতার মধ্যে ১৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। বাকি নেতারা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।


বিএনপি   শোকজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সরকারবিরোধী আন্দোলন: শক্তি বাড়াতে নানা উদ্যোগ বিএনপির

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

সরকারবিরোধী আন্দোলন অব্যাহত রাখার পাশাপাশি সাংগঠনিক অবস্থান শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। কেন্দ্রে থেকে তৃণমূল পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে দল এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে সক্রিয় করাই দলটির মূল লক্ষ্য। সেজন্য নির্বাহী কমিটির শূন্য পদ পূরণসহ কেন্দ্রীয় কমিটিতে বড় ধরনের পরিবর্তন হবে। এর মধ্যে যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে নতুনদের আনা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিএনপির শীর্ষ পর্যায় থেকে সাংগঠনিক শক্তি-দুর্বলতা বিশ্লেষণ করা হয়। তার ভিত্তিতে এরই মধ্যে সংগঠন ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে দলটি। গত ১ মার্চ ছাত্রদলের আগের কমিটি ভেঙে মূল নেতৃত্বে নতুনদের আনা হয়। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি পুনর্গঠনেরও প্রস্তুতি চলছে। সেইসঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শূন্য পদ পূরণ এবং নিষ্ক্রিয়দের বদলে নতুন মুখ নিয়ে আসারও চিন্তা চলছে। সার্বিকভাবে সংগঠনকে গতিশীল ও মাঠের আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত করতেই এসব পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে এখনই রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়ে যাবে-বিএনপির নীতিনির্ধারকরাও এমন ভাবছেন না। এজন্য জনগণকে সম্পৃক্ত করে ধারাবাহিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে বলে মনে করেন তারা। সেই লক্ষ্য নিয়েই দলকে শক্তিশালী করার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ও অঙ্গ সংগঠনগুলো পুনর্গঠন, মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি পুনর্গঠনসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হবে। বিশেষ করে দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে ত্যাগী নেতাদের পদায়নের চিন্তাভাবনা চলছে। এসব পদের জন্য ছাত্রদলের সাবেক কিছু নেতার নাম শোনা যাচ্ছে। এর বাইরে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটিতেও নতুন কিছু মুখ আসতে পারে। সেখানেও কয়েকজন সাবেক ছাত্র ও যুবনেতা স্থান পেতে পারেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই বছরের ৬ আগস্ট নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেখানে ছাত্রদলের শতাধিক সাবেক নেতাসহ অনেক নতুন মুখ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় কমিটির অনেক নেতার পদোন্নতি হয়েছে। এ ছাড়া নতুন করে জায়গা পেয়েছেন বেশ কয়েকজন। তার পরও বিভিন্ন পর্যায়ে অনেক পদ খালি রয়ে গেছে।

বিএনপি সূত্র জানায়, বার্ধক্য, অসুস্থতাসহ নানা কারণে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এখন আট থেকে ১০ জনের বেশি সদস্য উপস্থিত থাকেন না। নির্বাহী কমিটির অনেকে অসুস্থ ও বয়সজনিত কারণে নিষ্ক্রিয়। অনেকেই জেলা পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করায় কেন্দ্রে সময় দিতে পারেন না। আবার কেউ কেউ কেন্দ্রে থাকলে এলাকায় সময় দিতে পারেন না। ফলে নির্বাহী কমিটির শূন্য পদ পূরণ এবং ‘এক নেতার এক পদ’ নীতি কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, জাতীয় নির্বাচনের আগে ধারাবাহিক আন্দোলনে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের ভূমিকা মূল্যায়ন করেছে বিএনপি। সেই আন্দোলনে সক্রিয় ও নিষ্ক্রিয় নেতাদের তালিকা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে পাঠানো হয়েছে। সাংগঠনিক প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণ করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ধাপে ধাপে দল পুনর্গঠন করবেন।

বিভিন্ন সূত্রে কথা বলে জানা গেছে, স্থায়ী কমিটির শূন্য পদের জন্য বেশ কয়েকজন নেতা আলোচনায় আছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দীন আহমদ, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, জয়নুল আবেদিন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। যুগ্ম মহাসচিব পদের জন্য আলোচনায় আছেন সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, আসাদুল হাবিব দুলু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, প্রশিক্ষণবিষয়ক সহ-সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সহ-সম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুলসহ কয়েকজন।

জানা গেছে, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদেও পরিবর্তন আনা হতে পারে। এই পদের জন্য আলোচনায় আছেন যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কেন্দ্রীয় নেতা তাইফুল ইসলাম টিপু, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, এবিএম মোশাররফ হোসেন, জি কে গউছ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, সেলিমুজ্জামান সেলিম, আবদুল খালেক, মো. শরীফুল আলম ও অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।

বিএনপির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, ‘তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মনোবল বাড়াতে এবং জনগণকে সংগঠিত করতে সারা দেশে কর্মিসভা করা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে নেতাকর্মীদের কাছে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।’ এদিকে বিএনপির পাশাপাশি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোও মাঠ গোছানোর কাজ শুরু করেছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সরকারি খরচে হজে যাচ্ছেন বাম নেতা

প্রকাশ: ০৫:৪৫ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

এ বছর সরকারি খরচে হজে যাচ্ছেন ৭১ জন। তাদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সচিব, বর্তমান বিচারপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সরকারি কর্মচারী রয়েছেন। তালিকায় প্রবীণ রাজনীতিক বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মো. মঞ্জুরুল আহসান খানের নাম রয়েছে।

সরকারের আর্থিক সহায়তায় হজ পালনে যাওয়া ব্যক্তিদের নামে ইতিমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। তাতে বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট পাওয়া সাপেক্ষে তারা আগামী ৬ জুন সৌদি আরব যাবেন। হজ শেষে তাদের দেশে ফেরার কথা আগামী ১০ জুলাই।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এতে সরকারের খরচ হবে প্রায় তিন কোটি টাকা।

এবার সরকারি খরচে হজে যাওয়া ব্যক্তিরা বিমানের টিকিট বাবদ ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা জমা দেবেন। এ ছাড়া প্রত্যেককে ৩৫ হাজার টাকা করে হজ অফিসে জমা দিতে হবে খাওয়া বাবদ।

উল্লেখ্য, শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের দায়ে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি মনজুরুল আহসান খানকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টার পদ থেকে স্থায়ী অব্যাহতি দেওয়া হয়।

সরকারি খরচ   হজ   মঞ্জুরুল আহসান খান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যুক্তরাষ্ট্র-বিএনপির সম্পর্কে দূরত্ব কেন?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। আজ তিনি আওয়ামী লীগের বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে নৈশভোজে মিলিত হবেন। এছাড়াও তিনি সরকারের জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সৌজন্য সাক্ষাতেরও কথা রয়েছে। আর এই সফর সূচিতে বিএনপির সঙ্গে তাদের কোনো বৈঠক নেই। বিএনপি এখন ডোনাল্ড লু কে নিয়ে সুর পাল্টেছে, ভিন্ন সুরে কথা বলছেন।  


বিএনপি নেতারা বলছেন, ডোনাল্ড লু’র ব্যাপারে তাদের কোন আগ্রহ নেই। এই সফর নিয়েও তারা উৎসাহি নয়। কিন্তু এর আগে যখন ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন তখন বিএনপির উত্তেজনা এবং আগ্রহ কেউ চাপিয়ে রাখতে পারেনি। বরং বিএনপির নেতারা এ নিয়ে তাদের আনন্দ অনুভূতি প্রকাশ্যে উচ্চারণ করেছিলেন। সেই সময় বিএনপি নেতারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে হটিয়ে দিবে এমন প্রত্যাশায় বিভোর ছিল। কিন্তু বাস্তবে সেটি হয়নি। এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের এক ধরনের ফাটল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গেও বিএনপি নেতাদেরকে মাত্র দু’টি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে দেখা গেছে। 

আফরিন আখতার বাংলাদেশের সফরে এলে বিএনপি নেতারা ওয়েস্টিন হোটেলে একটি বৈঠক করেন৷ তবে সেই বৈঠক ইতিবাচক ছিল না। তাছাড়া এখন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পক্ষ থেকেও বিএনপির সঙ্গে আগের মতো আর যোগাযোগ করা হয় না। তাহলে কি বিএনপি-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ফাটল ধরেছে? বিএনপির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দূরত্ব তৈরি করতে চাইছে?

এরকম প্রশ্নের উত্তরে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, নানা কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আর এটি বোঝার কারণেই বিএনপি এখন নিজেদেরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবমুক্ত হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। 

অন্যদিকে বিএনপির কোন কোন নেতা মনে করছেন যে, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আসলে আওয়ামী লীগের পক্ষেই কাজ করেছে এবং বিএনপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতির কারণে প্রতারিত হয়েছে। 

বিএনপির নেতা গোলাম মাওলা রনি বিভিন্ন টকশোতে বলছেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেছেন বিএনপি তা বুঝতে পারেননি।’ আর এ ধরনের বক্তব্য এখন বিএনপির প্রায় সব নেতাই করছেন।

বিএনপির বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার জন্য ভারতের পক্ষে কাজ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যদিও কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা এই ধরনের বক্তব্যের কোনো যৌক্তিকতা পায়নি। তবে বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিএনপির যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে তা সহজেই অনুমান করা যায়। এই দূরত্বের কারণ একাধিক। 


১.  ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ না করা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছিল ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হোক এবং এই নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণ করে। বিএনপিকে যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধও জানিয়েছিলো। কিন্তু বিএনপি তাদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র ক্ষমতার পালাবদলের অন্য কোন উপায় নেই। বিএনপির এই নির্বাচনে না যাওয়াটাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একপ্রকার হতাশা হিসেবে দেখছে। 

২. বিএনপির নেতৃত্বশূন্যতা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ওপর কিছুটা বিরক্ত বলেও কূটনৈতিক মহল আভাস দিয়েছেন। কারণ তাদের সিদ্ধান্ত দেওয়ার মতো কোন নেতা নেই। বিএনপির কাছে যখন কোন সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হয় তখন বিএনপি নেতারা তাৎক্ষণিকভাবে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন না। দলে যারা ক্রিয়াশীল এবং যারা কাজ করছেন তারা কেউই বিএনপির নেতৃত্বের মধ্যে নেই। আর একারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির উপর আস্থা রাখতে পারছে না।

আরও পড়ুন: স্ত্রীকে নিয়ে সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস 

৩. জামায়াতের সাথে সম্পর্ক: তারা আবার স্বাধীনতা বিরোধী, উগ্র মৌলবাদি দলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করছে। এ বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের নজরে এসেছে আর তাই তারা এখন বিএনপির ব্যাপারে তেমন একটা আগ্রহী নয়।


বিএনপি   লু   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপি নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:১৮ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে বিএনপি ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ ও বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এক মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে, নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের এজেন্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ আছে। এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।

তিনি বলেন, পুরো পৃথিবী এই বর্বরতার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপি ও জামায়াত, যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করে, এই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিরুদ্ধে একটা শব্দও উচ্চারণ করেনি। কারণ কেউ অসন্তুষ্ট হতে পারে। গত নির্বাচনে তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার পর ইসরায়েলি লবিস্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে কিছু ইসলামী দল আছে, তারা কারণে-অকারণে বায়তুল মোকাররমের দাঁড়িয়ে যান। আপনারা কোথায় এখন? আপনাদের কেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নির্বাচনের আগে সরকার নামানোর জন্য বায়তুল মোকাররমের সামনে এসে আন্দোলন করেন, কই ফিলিস্তিনি ভাইদের পক্ষে, ইসরায়েলের বিপক্ষে তো একটা বড় মিছিল করতে দেখলাম না।

সামাজিক মাধ্যমে সরকারের সমালোচনাকারীদের নিয়ে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেককেই দেখি সরকারের বিরুদ্ধে বড় বড় ভাষণ দেয়, সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তাদের কথা বলতে তো শুনলাম না। এরা কোথায়? এরা কোথায় লুকিয়ে আছে? এরা আসলে ইসলাম প্রেমী নয়, এরা হলো মুখোশধারী ধর্ম ব্যবসায়ী। এদের মুখোশও উন্মোচন করতে হবে।

এরপর ফিলিস্তিনি মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ইসরায়েলি বর্বরতার কারণে যারা নিহিত হয়েছেন তাদের মাগফেরাত কামনা করি। যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাই। বাংলাদেশের মানুষের অবস্থান সবসময় মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে ছিল। আমাদের নীতি ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে।


বিএনপি   নেতানিয়াহু   দোসর   হাছান মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন