ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক উন্নয়নে নতুন উদ্যোগ

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৭ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক উন্নয়নে নতুন উদ্যোগ

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয় যে, দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং দুই দেশেই মনে করে যে অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে সম্পর্ক এখন আগের চেয়ে মধুর। কিন্তু মুখের কথা আর মনের কথা সবসময় এক হয়না। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে নানারকম অস্থিরতা এবং অস্বস্তির কথা শোনা যায়। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের চীনমুখী কূটনীতি ভারতের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করেছে বলে অনেকে মনে করেন। আবার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ এর গুলি এবং হত্যা বাংলাদেশের জনগণের জন্য এক ধরনের আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে। কাজেই দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে যতই উষ্ণতার কথা বলি না কেন, দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে যথেষ্ট টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে।

বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক উন্নয়নের প্রয়াস, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক প্রগাঢ়তা ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে ভারতের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে। আর ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির বিভিন্ন নেতাদের বাংলাদেশে বিরোধী বক্তব্য দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা তৈরি করছে বলে কূটনৈতিক মহল মনে করে। আর এই সমস্যার বাস্তবতায় লক্ষ্য করা যায় যে, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ওপর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে চাপ। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে না ডাকা, বাংলাদেশ ৭ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ সামনে আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর যে চাপ প্রয়োগ করছে সেই চাপে প্রচ্ছন্ন ভারতীয় মদদ রয়েছে বলে কেউ কেউ মনে করেন। এমনকি বাংলাদেশের বিভিন্ন নীতি-কৌশলের ব্যাপারেও ভারতের আপত্তি রয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

সম্প্রতি, পাকিস্তানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর যাবার কথা ছিল। এই সফরের আগে ভারত এই সফরের ব্যাপারে আপত্তি করেছিল বলে একাধিক অসমর্থিত সূত্র জানিয়েছে। যদিও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা বাংলাদেশ সরকার এ ধরনের কথা অস্বীকার করেছে। কিন্তু ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের মধ্যে নানা রকম টানাপোড়েন যে চলছে এটি অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। আর এই সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ সরকার নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আগামী মাসে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন ভারত সফরে যাবেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শংকর টেলিফোনে তাকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, এখন আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণের অপেক্ষায়।

একটি সূত্র বলছে যে, এই সফরটি হবে মূলত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের প্রস্তুতিমূলক সফর। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী মার্চের কোন এক সময় ভারতে যাবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই সফরের সময় প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময়সূচী চূড়ান্ত করা হবে বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে। ভারত বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী এবং অনেক বিষয়ে দুই দেশ পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল। আর নির্বাচনের আগে এ দুই দেশের সম্পর্ককে যেন তৃতীয়পক্ষ ব্যবহার করতে না পারে এজন্যই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ বলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানাচ্ছে।

বাংলাদেশ   ভারত   কূটনীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাবনায় র‌্যাবের অভিযানে অজ্ঞান পার্টির সদস্য আটক

প্রকাশ: ১০:০৯ এএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাবনায় অভিযান চালিয়ে অজ্ঞান পার্টির এক সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব। সোমবার (১৪ মে) রাতে পাবনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।  

 

আটককৃত কাছেম সরদার ওরফে কাশেম (৪৫) বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের মৃত কাদের সরদারের ছেলে। 

 

র‌্যাব-১২, সিপিসি-২, পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান জানান, অজ্ঞান পার্টির কতিপয় সদস্য পাবনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় ঢাকাগামী বাসের যাত্রীদের অজ্ঞান করে তাদের কাছ থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করছিল।

 

সেই তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১২, পাবনা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল সোমবার রাতে পাবনা পৌর সদরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় অভিযান চালায়।

 

অভিযানে অজ্ঞান পার্টির একজন সক্রিয় সদস্য কাছেম সরদার ওরফে কাশেম কে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে তিন পিস অস্বাস্থ্যকর চেতনানাশক ঔষধ, দুটি মোবাইল ফোন, তিনটি সিমকার্ড এবং নগদ ১১০০ টাকা জব্দ করা হয়।

 

র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক কাশেম জানায়, তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন জেলায় অস্বাস্থ্যকর চেতনা নাশক ঔষধ দিয়ে যাত্রীদের অজ্ঞান করে তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নিয়ে আসছিলেন। 

 

এ ঘটনায় মামলা দায়ের করে জব্দকৃত আলামতসহ আটক কাশেম কে পাবনা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র‌্যাব কমান্ডার।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশনা আলী জানান, আটক অজ্ঞান পার্টির সদস্য কাশেম কে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) আদালতে সোপর্দ করা হবে।


অজ্ঞান পার্টি   র‌্যাব   চেতনা নাশক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিএনপির সঙ্গে দেখা করবেন তো ডোনাল্ড লু!

প্রকাশ: ১০:০১ এএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

আজ ঢাকা সফরে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটিই মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উচ্চপর্যায়ের কোন কর্মকর্তার প্রথম সফর।

ডোনাল্ড লু’র এই সফরকে ঘিরে কয়েকদিন থেকেই বেশ সরব রয়েছে দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পাড়া। তবে জানা গেছে, এবারের সফরে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কোন বৈঠক করবে না মার্কিন এই কর্মকর্তা। 

অবশ্য মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস সচিব বেদান্ত প্যাটেল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করেন। 

সোমবার (১৩ মে) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস সচিব বেদান্ত প্যাটেল বিএনপসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সফররত মার্কিন সহকারী সচিব লু’ কোন বৈঠক করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্যাটেল বলেন, আমাদের সরকারি কর্মকর্তারা কাদের সঙ্গে মিলিত হবেন বা হবেন না, তার মধ্যে অনেকগুলো কারণ রয়েছে- এর মধ্যে সফরের সময়সূচিসহ অন্যান্য অনেক বিষয় থাকে।

তিনি আরও বলেন, সহকারী সেক্রেটারি লু দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ – বিশেষ করে ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশে যাচ্ছেন। তিনি প্রতিটি দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার এবং একটি মুক্ত, উন্মুক্ত এবং সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য মার্কিন সমর্থনের বিষয়টি প্রদর্শন করছেন।

বাংলাদেশে তিনি সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের নেতা এবং অন্যান্য নাগরিকের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সহযোগিতাকে কীভাবে আরও গভীর করার যায় সে বিষয়ে কথা বলবেন। যার মাধ্যমে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও গভীর করা সহ জলবায়ু সমস্যা মোকাবিলায় আমরা আরও সহযোগিতা করতে পারব।

উল্লেখ্য, ডোনল্ড লু এর আগে গত বছরের জুলইয়ে সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরে আসেন। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এবং মার্কিন ভিসানীতিসহ নানামুখী তৎপরতার মধ্য দিয়ে সেই সফরটি আলোচিত ছিল।

ডোনাল্ড লু’র এই সফর নিয়ে আবারও রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে আলোচনা। আওয়ামী লীগ বলছে, এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। অন্যদিকে এই সফর নিয়ে তাদের কোন আগ্রহ নেই বলে দাবি করেছে বিএনপি। 

তবে তার এবারের সফর যতটা না রাজনৈতিক তার চেয়েও বেশি কূটনৈতিক বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। এই সফরে জলবায়ু সংকট ও দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে ও সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন লু।


বিএনপি   ডোনাল্ড লু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আজ ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশ: ০৯:৩০ এএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারত ও শ্রীলঙ্কা হয়ে দুইদিনের সফরে আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) ঢাকায় আসছেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের দক্ষিণ এশিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। 

গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফরটি হতে যাচ্ছে উচ্চপর্যায়ের প্রথম সফর।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ডোনাল্ড লু আজ দুইদিনের সফরে ঢাকায় আসবেন। এ সফরে তিনি সরকারি ও বেসরকারি নানা পর্যায়ে কয়েকটি বৈঠক ও মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন।

দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর চারবার বাংলাদেশ সফর করেছেন লু। এর আগে গত জুলাইতে তিনি সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন। সে সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার সঙ্গী হয়ে ঢাকায় আসেন। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এবং মার্কিন ভিসানীতিসহ নানামুখী তৎপরতার মধ্য দিয়ে সেই সফরটি আলোচিত ছিল

এই সফরকে ঘিরে আবারও সরগরম রাজনৈতিক অঙ্গন। আওয়ামী লীগ বলছে, দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে এ সফর গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে ডোনাল্ড লু'র এই সফর নিয়ে কোনো আগ্রহই নেই, এমন দাবি বিএনপির।

তবে তার এবারের সফর যতটা না রাজনৈতিক তার চেয়েও বেশি কূটনৈতিক বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। আলোচনা হবে জলবায়ু সংকট ও দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি।

ঢাকা সফরের সময় ডোনাল্ড লু পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের কথা রয়েছে লু’র।


ঢাকা   ডোনাল্ড লু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দীর্ঘ অপেক্ষার পর, ঘরে ফিরবেন এমভি আবদুল্লাহর নাবিকরা

প্রকাশ: ০৮:৪৭ এএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার একমাস পর দেশে পৌঁছালো বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। দীর্ঘ যাত্রা শেষে সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে জাহাজটি। 

মঙ্গলবার(১৪ মে) সব প্রক্রিয়া শেষ করে জাহাজটির ২৩ নাবিকের ঘরে ফেরার কথা রয়েছে।

কুতুবদিয়ায় চুনাপাথরের কিছু চালান খালাস করে জাহাজটি ১৫ মে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে। সেখানে বাকি মালামাল খালাস করার পর বন্দর জেটিতে আসবে এমভি আব্দুল্লাহ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, 'এমভি আবদুল্লাহ বর্তমানে কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে। জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত নাবিকদের লাইটার জাহাজে মঙ্গলবার সরাসরি সদরঘাট কেএসআরএম জেটিতে নিয়ে আসা হবে। সেখানেই তাদের বরণ করা হবে। নাবিকদের জেটিতে বরণ করার জন্য কেএসআরএমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। নাবিকদের স্বজনদের কেউ কেউ এসময় জেটিতে উপস্থিত থাকবেন বলেও জানা গেছে। তারা  নাবিকদের বরণ করে নেবেন।

গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয় এমভি আবদুল্লাহ। ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন এই জাহাজ ছিনতাই করেছিল সোমালিয়ার দস্যুরা। মুক্তিপণ দিয়ে ৩৩ দিনের মাথায় ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে জাহাজটি মুক্ত হয়। এরপর জাহাজটি প্রথমে আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে পণ্য খালাস শেষে আরেকটি বন্দর থেকে চুনাপাথর বোঝাই করে চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়েছিল জাহাজটি। এ হিসাবে আমিরাত থেকে ১৩ দিনের মাথায় জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছাল।

এর ৩২ দিন পর গত ১৪ এপ্রিল জাহাজটি মুক্ত করে দেয় জলদস্যুরা। এর পরই সেটি সোমালিয়া উপকূল থেকে আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। টানা এক সপ্তাহের সমুদ্রযাত্রা শেষে ২১ এপ্রিল বিকেলে জাহাজটি আল হামরিয়াহ বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়।


এমভি আবদুল্লাহ   নাবিক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে নয়নাভিরাম শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন সংগ্রহশালা

প্রকাশ: ০৮:২৭ এএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত বাঙালি চিত্রশিল্পী শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন। পূর্ববঙ্গের প্রথম প্রজন্মের শিল্পীদের পুরোধা ব্যক্তিত্ব। বাংলাদেশে চিত্রশিল্প বিষয়ক শিক্ষার প্রসারে আমৃত্যু সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন তিনি।

খুব ছোটবেলা থেকেই তিনি ছবি আঁকতে পছন্দ করতেন। পাখির বাসা, পাখি, মাছ, গরু-ছাগল, ফুল-ফল এঁকে মা-বাবাকে দেখাতেন। ছেলেবেলা থেকেই শিল্পকলার প্রতি তার গভীর আগ্রহ ছিল। মাত্র ষোল বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে তিনি বন্ধুদের সাথে কলকাতায় গিয়েছিলেন শুধু গভর্নমেন্ট স্কুল অব আর্টস দেখার জন্য। আর্টস স্কুল ঘুরে আসার পর সাধারণ পড়াশোনায় জয়নুল আবেদিনের মন বসছিল না। তাই ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে ম্যাট্রিক পরীক্ষার আগেই স্কুলের পড়ালেখা বাদ দিয়ে কলকাতায় চলে যান এবং মায়ের অনুসমর্থনে গভর্নমেন্ট স্কুল অব আর্টস-এ ভর্তি হন। তাঁর মা জয়নুল আবেদিনের আগ্রহ দেখে নিজের গলার হার বিক্রি করে ছেলেকে কলকাতার তখনকার আর্ট স্কুলে ভর্তি হতে সাহায্য করেন। জয়নুল আবেদিন ১৯৩৩ থেকে ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত কলকাতার সরকারি আর্ট স্কুলে পড়েন। ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার গভর্নমেন্ট স্কুল অব আর্টসের ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের স্মৃতি ধারণ করে ময়মনসিংহ শহরে ব্রহ্মপুত্রের নদের পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন সংগ্রহশালা। ৭০ টি চিত্রকর্ম নিয়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ এপ্রিল এর শুভসূচনা হয়৷ বর্তমানে এ সংগ্রহশালায় ৬২ চিত্রকর্ম ও ৬৯ টি স্মৃতিময় নিদর্শন প্রদর্শিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র নদ, নদের পাড়ে উদ্যান ও পাশেই চিত্রকর্মের শৈল্পিক সৌন্দর্যে আপনি মুগ্ধ হবেন।

ত্রিশের দশকে পাশ্চাত্য ধারায় আঁকা নিসর্গের জল রং চিত্র, চল্লিশের দশকে প্রকাশবাদী বাস্তবতার ধারায় আঁকা দুর্ভিক্ষের স্কেচ, পঞ্চাশের দশকে আধুনিক বাঙালি ঢং এ কাগজে টেম্পারা মাধ্যমে আঁকা বিভিন্ন চিত্র এবং বাস্তবধর্মী আঙ্গিকে আঁকা জল রং চিত্র, ষাটের দশকে আঁকা নবান্ন ও সত্তর দশকে আঁকা মনপুরা-৭০ জয়নুল আবেদীনের মেধা ও মননের অসাধারণ সৃষ্টি। 

এ সংগ্রহশালায় আপনি দেখতে পাবেন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত শম্ভুগঞ্জ ব্রিজ। সেই শম্ভুগঞ্জ ব্রিজ ও শম্ভুগঞ্জ ঘাটের ছবি এঁকেছেন জয়নুল আবেদীন। এছাড়া বাস্তুহারা, মহিষের বাচ্চা, কংকালসার, কাজী নজরুল ইসলাম, সাপুড়ে মেয়ে, জীবন সংগ্রাম, চিন্তা, মনপুরা-৭০, স্নান শেষে, কলসী কাঁখে, প্রতীক্ষা (ঘাটে), মা ও শিশু-১, ২, ৩, রমনী-১,২, তিন রমণী, বাস্তুহারা, দুটি মুখ, দুটি গরু, পত্রহীন বৃক্ষ, মেক্সিকান রমণী, মেষ পালিকা, গাঁদার পিঠে, অপেরা হাউজ, মেক্সিকো, প্রতিকৃতি (মোস্তফা), মেক্সিকান, জাপানি মেয়ের মুখ, প্রতিকৃতি (কায়রো), আলফাত্তা, স্কেচ (জর্ডান-১,২), মুখ, দুর্ভিক্ষ-৫, ৪, ৩, ২, ১ প্রভৃতি শিল্পকর্ম আপনার মননে নতুন ভাবনার পুলক জাগাবে। চিত্রকর্মের বাইরে রয়েছে শিল্পাচার্যের ব্যবহার্য জিনিসপত্রের প্রদর্শনী।

বিশ্বের প্রাচীনতম ও সর্ববৃহৎ ব্রিটিশ নিলামকারী প্রতিষ্ঠান বনহামসে তার স্কেচ বিক্রয় হয়েছে। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন ১৯৫৮ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের সবচেয়ে বড় খেতাব হেলাল-ই-ইমতিয়াজ, ১৯৬৮ সালে ঢাকা আর্ট কলেজের ছাত্রদের তরফ থেকে 'শিল্পার্চায' উপাধি এবং ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে জাতীয় অধ্যাপক সম্মান লাভ করেন। 

ঢাকার পাশে ময়মনসিংহ শহরে গেলে আপনি নিঃসন্দেহে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে গড়ে উঠা শিল্পাচার্যের সংগ্রহশালায় বেড়িয়ে আসতে পারেন। তুলির আঁচড়ে জীবনের রং বদলের ভাবনা জাগবে হৃদয়ে।


ব্রহ্মপুত্র   নয়নাভিরাম   শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন