ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিপিএল: জাতীয় দলে ফেরার মঞ্চ হতে পারে যাদের জন্য

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৫ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail বিপিএল: জাতীয় দলে ফেরার মঞ্চ হতে পারে যাদের জন্য

দেশের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট বিপিএল চলছে। ইতিমধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়েছে ৬টি ম্যাচ। এই বছর রয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আর তাই এবারের বিপিএল অনেক ক্রিকেটারের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যারা টি-টোয়েন্টির জন্য জনপ্রিয় এবং যারা জাতীয় দলে পূর্বে খেলেছে তাদের জন্য জাতীয় দলে পুনরায় ফেরার মঞ্চ হতে পারে এই বিপিএল। এবারের বিপিএলে অনেকের উপরই বিশেষ নজর থাকছে ক্রিকেট প্রেমীদের। তবে চার ক্রিকেটারের উপর হয়তো আলাদা করেই নজর থাকবে সকলের। কারণ, এই চার ক্রিকেটারের জন্য জাতীয় দলের দরজা হয়তো আবার খুলে যেতে পারে বিপিএলে ধারাবাহিক পারফর্ম করতে পারলে। সেই চার ক্রিকেটার হলেন:

১। সাব্বির রহমান: বাংলার ক্রিকেটে ঝড়ে পড়া তারাদের একজন হলেন সাব্বির রহমান। এক সময় জাতীয় দলে নিয়মিত মুখ ছিলেন সাব্বির। অপার সম্ভাবনা নিয়ে দলে এসেছিলেন। এক সময়ের সম্ভাবনা জাগানো এই ক্রিকেটার এখন যেন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। জাতীয় দল তো দূর, ঘরোয়াতেও হয়ে পড়েন অনিয়মিত। এমনকি পেটের দায়ে 'খ্যাপ' পর্যন্ত খেলেছেন পাড়ার ক্রিকেটে। মাঠে দর্শককে পেটাতে যাওয়া, সতীর্থের গায়ে হাত তোলা, নারী কেলেংকারী ইত্যাদি নানা কারণে হয়েছেন বিতর্কিত। অথচ বিপিএলে তিনি পঞ্চম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। সব বিতর্ককে ঝেড়ে ফেলতে চান 'ব্যাড বয়' তকমা পাওয়া এই ক্রিকেটার। বিতর্ককে পিছনে ফেলে তিনি নতুন করে শুরু করতে বদ্ধপরিকর। তাই এবারের বিপিএল হতে পারে তার জন্য ফিরে আসার বড় সুযোগ। ইতিমধ্যেই শেষ দুই ম্যাচে রানের দেখা পেয়ে নিজেকে ফিরে পাওয়ার ইঙ্গিত যেনো দিয়েছেন তিনি। আগামী ম্যাচ গুলোতে বড় ইনিংস খেলে সব সম্ভাবনাকে শংকায় পরিণত করা সাব্বির কি পারবেন আবার ঘুরে দাঁড়াতে? 

২। এনামুল হক বিজয়: দেশের ক্রিকেটে আরেক আফসোসের নাম এনামুল হক বিজয়। বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছেন তিনি। একসময় তাকে ভাবা হতো মুশফিকের বিকল্প। অথচ তিনিও খেই হারিয়ে ফেলেছেন। দায়টা বেশিভাগ তার নিজেরই। আশার বেলুন যে নিজেই ফুটো করে দিয়েছেন। অল্প বয়সে পেয়ে যাওয়া তারকাখ্যাতি সামলাতে পারেন নি। দলে জায়গা ধরে রাখতে পারেন নি। তাকে নিয়ে আফসোসটা আরো বাড়ে কারণ ২০১২ সালের যুব বিশ্বকাপে তিনি ছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। অথচ সেই আসরেরই বাবর আজম এখন দাপট দেখিয়ে বেড়াচ্ছেন ক্রিকেটবিশ্বে। আর বিজয় যেন হারিয়ে গেলেন অতলে! নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে আরেকটু সাবধানে পা ফেললে হয়তো এখনো জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ থাকতেন এই উইকেট-কীপার ব্যাটার। এবারের বিপিএলে বিজয় খেলছেন সিলেট সানরাইজার্সের হয়ে। নিজের নামের প্রতি এখনও সুবিচার করতে পারেননি তিনি। বাকি ম্যাচগুলোতে পারফর্ম করে আবারও জাতীয় দলের জন্য বিবেচিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে তার সামনেও। 

৩। রুবেল হোসেন: অনেক দিন ধরেই ফর্ম ও ইনজুরির কারণে জাতীয় দলে নিয়মিত হতে পারছেন না তারকা পেসার রুবেল হোসেন। এবারের বিপিএল হয়তো ৩১ বছর বয়সী এই পেসারকে আবারো জাতীয় দলে ফিরতে সাহায্য করতে পারে। সুযোগটা রুবেলের জন্যও দারুণ চ্যালেঞ্জের। সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রাখা হয়েছিল দেশের ওয়ানডে ক্রিকেটের এ সফল পেসারকে। কিন্তু একটি ম্যাচও খেলার সুযোগ হয়নি তার। এ বছরই আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসছে। রুবেল চাইবেন এবার মূল একাদশে জায়গা করে নিতে। তাই রুবেল নিজেও জানেন নির্বাচকদের নজরে আসতে এবারের বিপিএলে পারফর্ম করাটা তার জন্য কতোটা গুরুত্বপূর্ণ।

৪। ইমরুল কায়েস: জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ ২০১৯ সালে খেলেছেন ইমরুল কায়েস। জাতীয় দলে কখনোই নিয়মিত না হওয়া ক্রিকেটার ইমরুল কায়েসকে ফেরার লড়াই করতে হয়েছে ক্যারিয়ারজুড়ে। নিজেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে ‘দুর্ভাগা’ ক্রিকেটার হিসেবেও দাবি করেন। প্রতিবার জেদ করেই ফিরে এসেছেন। সদ্য শেষ হওয়া স্বাধীনতা কাপে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোনের হয়ে ব্যাট হাতে ছিলেন দারুণ ছন্দে। বিপিএলে তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক হিসেবে খেলছেন। বিপিএলকে নিজের জন্য একটা প্রমাণের মঞ্চ হিসেবে নিয়েছেন এবার। নির্বাচকদের মন জয় করতে পারবেন কিনা, তা সময়ই বলে দেবে।

সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি এই ক্রিকেটারদের। এখনো রয়েছে জ্বলে উঠার এবং পারফরম্যান্স করে আবার দলে ফেরার সুযোগ। আশার আলো এখনো নিভে যায়নি।  নিজেদেরকে চেনাতে তারা কতোটা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

বিপিএল   সাব্বির রহমান   বিজয়   রুবেল   ইমরুল কায়েস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

হায়দ্রাবাদকে উড়িয়ে চেন্নাইয়ের বড় জয়

প্রকাশ: ০১:১৬ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আইপিএলের এবারের আসরে রীতিমতো উড়ছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। তবে হাইভোল্টেজ ম্যাচে অরেঞ্জ আর্মিদের গুঁড়িয়ে বড় জয় পেয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস।

এদিন চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২১২ রান করে চেন্নাই। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৮.৫ ওভারে ১৩৪ রানে গুটিয়ে গেছে হায়দরাবাদ। চেন্নাইয়ের জয় ৭৮ রানে। আর এই জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এসেছে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের দল।

চেন্নাইয়ের দেওয়া লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালোই করেছিল হায়দরাবাদ। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা। ব্যাট হাতে উড়ন্ত শুরু করে এ জুটি। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই এ জুটিতে আঘাত করেন তুষার দেশপান্ডে।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে হেডকে সাজঘরের পথ দেখান দেশপান্ডে। আউট হওয়ার আগে ১৩ করেন তিনি। এরপর ক্রিজে এসেই উইকেট বিলিয়ে দেন আমলপ্রিত সিং। শূন্য রানে ফেরেন তিনি।

পরে ব্যাট হাতে আশা দেখিয়েও ব্যক্তিগত ইনিংস লম্বা করতে পারেননি অভিষেক। ১৫ রানে তাকে থামিয়েছেন দেশপান্ডে। এরপরেই খেই হারিয়ে ফেলে এই আসরে উড়তে থাকা দলটি।

এইডেন মার্করাম ছাড়া কেউই ৩০ এর কোটা পেরোতে পারেননি। পাথিরানার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২৬ বলে ৩২ করেন এ প্রোটিয়া ব্যাটার।

তার বিদায়ের পর শুধু আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত ১৩৪ রানে থামে তারা।

চেন্নাইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন তুষার দেশপান্ডে। এছাড়া দুটি করে উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজুর রহমান ও মাথিশা পাথিরানা


মুস্তাফিজ   বাংলাদেশ   চেন্নাই   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

চমক রেখে জিম্বাবুয়ে সিরিজের দল ঘোষণা করল বিসিবি

প্রকাশ: ০৮:৫৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আর মাস খানেক পরেই পর্দা উঠতে যাচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। যার জন্য ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। শুধু তাই নয় দল গঠনেও উঠেপড়ে লেগেছে তারা। যেহেতু এবারের আসর যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেহেতু পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে নিজেদের অথবা প্রতিপক্ষের মাঠে একে অপরের সাথে সিরিজ খেলছে দলগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় রয়েছে বাংলাদেশও।

আসন্ন বিশ্বকাপের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আর এই সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

চোটের কারণে লম্বা সময় জাতীয় দলের বাইরে আছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। চোট কাটিয়ে সর্বশেষ বিপিএল দিয়ে খেলায় ফেরেন তিনি। খেলছেন চলমান ডিপিএলেও। এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ফিরতে যাচ্ছেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।

১৫ সদস্যের এই দলে ফিরেছেন সাইফউদ্দিন ছাড়াও ফিরেছেন আফিফ হোসেন। এই মিডল অর্ডার ব্যাটার মূলত অফ ফর্মের কারণে বাদ পড়েছিলেন। তবে সম্প্রতি ডিপিএলে ভালো করায় তাকে দলে ফিরিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।

ডিপিএলে পারফর্ম করায় সুযোগ মিলেছে পারভেজ হোসেন ইমনেরও। এই তরুণ ওপেনার ডিপিএলে ধারবাহিক রান পেয়েছেন। তাছাড়া প্রথমবার টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পেয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম।

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিনটি ম্যাচ হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। বাকি দুটি হবে মিরপুর শের-ই-বাংলায়। আগামী ৩ মে শুরু হবে দুই দলের মাঠের লড়াই। চট্টগ্রামে বাকি দুই ম্যাচ হবে ৫ ও ৭ মে। মিরপুরে সিরিজের শেষ দুই টি-টোয়েন্টি হবে ১০ ও ১২ মে।

বাংলাদেশ স্কোয়াড
বাংলাদেশ দল নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, পারভেজ হোসাইন ইমন, তানভির ইসলাম, আফিফ হোসাইন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ডিপিএলে নারী আম্পায়ার বিতর্ক নিয়ে যা বললেন বিসিবি সভাপতি

প্রকাশ: ০৭:৪৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে গত বৃহস্পতিবার মুখোমুখি হয় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। কিন্তু তিনদিন আগে হয়ে যাওয়া দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের এই ম্যাচ নিয়ে এখনো চলছে আলোচনা। মূলত এই ম্যাচে নারী আম্পায়ারের অধীনে ম্যাচ খেলতে না চাওয়া নিয়ে চলছে বিতর্ক। ঘটনাটা নিয়ে রীতিমতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।

জানা গেছে, নারী আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসির উপস্থিতিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার সিক্স পর্বের ম্যাচ খেলতে আপত্তি জানিয়েছিল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব এবং মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু এর কারণ কী?

পুরো ব্যাপারটি নিয়েই ছিল ব্যাপক ধোঁয়াশা। শুরুতে দাবি করা হয়েছিল, কেবল নারী বলেই আম্পায়ার জেসি থাকাকালে ম্যাচে নামতে চায়নি বড় দুই ক্লাব। কিন্তু দিন গড়াতেই জানা যায়, নারী আম্পায়ার নয়,  বরং ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতার কথা বিবেচনা করেই মূলত আপত্তি জানিয়েছিল তারা।  

ম্যাচটিতে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব ছিলেন এ আই এম মনিরুজ্জামান ও সাথিরা জাকির জেসি। মনিরুজ্জামান আগে থেকেই লিস্ট ‘এ’ শ্রেণির ম্যাচ পরিচালনা করলেও, জেসিসহ দুজন নারী আম্পায়ার এবার প্রথম এমন দায়িত্ব পেয়েছেন। অবশ্য জেসির আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। তবুও তাকে নিয়ে সংশয়ের বেড়াজালে আটকে ছিল দুই ক্লাবই।   

এদিকে দেশের ক্রিকেটের এমন উত্তপ্ত অবস্থার মাঝেও নারী আম্পায়ার ইস্যুতে কোনো মন্তব্য করেননি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাপন বলেন, “আমি আসলে এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। আম্পায়ার্স কমিটির সাথে কথা হলো, এ ব্যাপারে তারা তো আমাকে কিছুই জানায়নি। আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় নাই, তাই এ ধরনের কোনো কিছুই আমি জানি না।”

আম্পায়ার জেসিকে নিয়ে বিতর্কের পর দুই ক্লাবের কর্মকর্তারাই জানালেন জেসিকে নিয়ে সংশয়ের কারণেই মূলত এমন ঘটনার সূত্রপাত।

মোহামেডানের ক্রিকেট সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম টিটু জানিয়েছেন, ‘আমরা আসলে আপত্তি তুলিনি। আমরা এমনিতে বলাবলি করছিলাম যে ম্যাচের মেরিট অনুযায়ী তো এত বড় ম্যাচে জেসি আম্পায়ার হতে পারে না। আমরা বলছিলাম এত বড় ম্যাচে আরও ভালো আম্পায়ার দরকার ছিলো। আমরা অফিসিয়ালি অভিযোগ করিনি, অফিসিয়ালি অভিযোগ করব কেন। আমরা ওরকমভাবে রিপোর্ট টিপোর্ট করিনি। আমাদের ধারণা ছিল তিনি নতুন আম্পায়ার, লিস্ট-এ ক্রিকেটে এ বছরই প্রথম খেলা পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে। তাই অভিজ্ঞতা কম। আমরা সাধারণত এসব ম্যাচে সিনিয়র আম্পায়ার চাই।’

প্রাইম ব্যাংক ম্যানেজার শিকদার আবুল হাশেম কঙ্কন বলেন, ‘মহিলা আম্পায়ার দেবে এটা তো জানি না আমরা। বাংলাদেশে মহিলা আম্পায়ারের অভিজ্ঞতা কেমন এটা তো আমরা সবাই জানি। আপত্তি করি না। যেহেতু এটা বড় ম্যাচ, এখানে নিয়মিত যারা করে তাদের আশা করছিলাম। মহিলা আম্পায়ার দেখেন যেটা এলবিডব্লিউ সেটা দেয় নাই, যেটা হয় নাই সেটা দিছে। আমরা ম্যাচ শুরুর আগেও কিছু বলিনি। এমনিতে নিজেরা আলাপ করেছি। সিসিডিএমের কাউকে বলিনি। নিজেরাই আলাপ করেছি। সেটা তার অনভিজ্ঞতার জন্যই।’


নারী ক্রিকেট   এশিয়া কাপ   বাংলাদেশ   আম্পায়ারিং   সাথিরা জাকির জেসি   ডিপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অধিনায়ক জ্যোতির হাফ সেঞ্চুরি, তবুও ভারতের কাছে বাংলাদেশের হার

প্রকাশ: ০৭:৩৬ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দারুণ বোলিংয়ের মধ্য দিয়ে ভারতকে দেড়শর মধ্যেই আটকে রেখেছিলেন বোলাররা। তবে লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটাররা যেন অসহায়ের মত ধরা দিলেন। তবুও স্বস্তির দেখা মিলেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাট থেকে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-২০তে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। যেখানে ভারতের কাছে ৪৫ রানে হেরেছে টাইগ্রেসরা।

এদিন আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৪৫ রান করে ভারত। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে ১০১ রান করে বাংলাদেশ। এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া।

নতুন বলে মারুফার ওপর আস্থা রেখেছিলেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। প্রথম ওভারেই দুই বাউন্ডারিতে এই পেসারকে সেট হতে দেননি শেফালি ভার্মা। অবশ্য পরের ওভারেই উইকেটের দেখা পেতে পারতো বাংলাদেশ।

সুলতানাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দেন স্মৃতি মান্দানা। কিন্তু সেটা হাতে জমাতে পারেননি ফারিহা তৃষ্ণা। অবশ্য সেই তৃষ্ণাই পরের ওভারে দলকে ব্রেকথ্রু এনে দেন। তার করা অফ স্টাম্পের বাইরের বল টেনে খেলতে গিয়ে ইনসাইড এজে বোল্ড হন স্মৃতি।

অন্যপ্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করেছেন আরেক ওপেনার শেফালি ভার্মা। ২২ বলে ৩১ রান করেছেন ভার্মা। ভারতের মিডল অর্ডার ব্যাটাররাও রানের দেখা পেয়েছেন। ইয়শতিকা ভাটিয়া করেছেন ২৯ বলে ৩৬ রান।

চারে নেমে হারমানপ্রীত করেছেন ২২ বলে ৩০ রান। তাছাড়া রিকা ঘোষের ব্যাট থেকে এসেছে ২৩ রান। বাংলাদেশের হয়ে ২৩ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন রাবেয়া খান। তাছাড়া ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন মারুফা আক্তার।


বাংলাদেশ   ভারত   নারী ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে গেল ম্যানইউ

প্রকাশ: ০৫:২৫ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গেল ম্যাচে শেফিল্ড ইউনাইটেডের সাথে পিছিয়ে পড়ার পরই শঙ্কা জেগেছিল আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ার। তবে সে ম্যাচে দারুণভাবেই ফিরে এসেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু বার্নলির বিপক্ষে হেরে আটকে গেল রাশফোর্ড-ক্যাসেমিরোরা। এতে করে পরের মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে পড়ল ম্যানইউ।

ওল্ড ট্রাফোর্ডে শনিবার রাতে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ইউনাইটেড ড্র করেছে ১-১ গোলে। আর এই ফলাফলই তাদের আটকে দিয়েছে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা থেকে। তবে ইউরোপা লিগে খেলার স্বপ্নটা এখনো টিকে আছে এরিক টেন হাগের দল।

৩৪ ম্যাচ খেলা ইউনাইটেডের পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৫৪। ম্যাচ বাকি আছে আর চারটা। চতুর্থ স্থানে থাকা অ্যাস্টন ভিলার পয়েন্ট ৬৭। বাকী ৪ ম্যাচ জিতলেও যে ভিলাকে টপকাতে পারবে না ইউনাইটেড।

চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেললেও তাতে হতাশই ইউনাইটেড।। গ্রুপ পর্ব থেকে নিয়েছিল বিদায়। শেষ করেছিল পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে।

তবে সুযোগ আছে টটেনহামকে টপকে পাঁচে থেকে শেষ করার। অবশ্য সে কাজটাও বেশ কঠিন। নর্থ লন্ডনের ক্লাবটার ৩২ ম্যাচ শেষে পয়েন্ট ৬০। দুই ম্যাচ কম খেলেও তারা ইউনাইটেড থেকে বেশ ৬ পয়েন্টে এগিয়ে আছে।


ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড   এফএ কাপ   ফুটবল   চ্যাম্পিয়ন্স লিগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন