ইনসাইড বাংলাদেশ

পাকিস্তানের চেয়েও কি দুর্নীতিবাজ বাংলাদেশ?

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৫ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail পাকিস্তানের চেয়েও কি দুর্নীতিবাজ বাংলাদেশ?

প্রতি বছরের মত এবারো জার্মানির বার্লিন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করে। তাদের প্রকাশিত দুর্নীতির ধারণা সূচকের (সিপিআই) ঊর্ধ্বক্রম অনুযায়ী (ভাল থেকে খারাপ) বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এবার ১৪৭ নম্বরে। গতবার এ তালিকায় বাংলাদেশর অবস্থান ছিল ১৪৬ নম্বরে। ১০০ ভিত্তিতে এই সূচকে বাংলাদেশের স্কোর গত তিন বছরের মত এবারও ২৬। এই স্কেলে শূন্য স্কোরকে দুর্নীতির ব্যাপকতার ধারণায় সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ১০০ স্কোরকে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত বা সর্বোচ্চ সুশাসনের দেশ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এ তালিকায় ২৮ স্কোর নিয়ে ১৪০তম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান।

শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত দেশ পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বাংলাদেশও তার বিপরীত নয়। কিন্তু মজার ব্যাপার এই যে, দুর্নীতি এবং অরাজকতার রোল মডেল হিসেবে যেখানে পাকিস্তান পুরো বিশ্বের কাছে প্রতিষ্ঠিত সেখানে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রকাশিত তালিকায় পাকিস্তানের অবস্থান বাংলাদেশের উপরে। বাংলাদেশের থেকেও অধিক দুর্নীতিগ্রস্ত পাকিস্তান যদি তালিকায় বাংলাদেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে থাকে তাহলে এমন তালিকা কতটা গ্রহণযোগ্য সে প্রশ্ন আসাটা অস্বাভাবিক নয়।

পাকিস্তানে যখন যারা ক্ষমতায় আসে তারাই সম্পদের যে বিপুল পাহাড় গড়ে তোলে। বাংলাদেশের ফরেন রিজার্ভ আজ পাকিস্তানের দ্বিগুণের চেয়েও বেশি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, রাজনীতিবিদদের লুটপাটের কারণে পাকিস্তানের অর্থনীতি আজ ধ্বংস হয়ে গেছে। পাকিস্তানের টাকার মূল্যও আজ বাংলাদেশের অর্ধেক। অর্থনৈতিক এবং উন্নয়ন প্রতিটি ক্ষেত্রেই আজ পাকিস্তান বাংলাদেশের থেকে পিছিয়ে। এরকম একটা দেশ যখন বাংলাদেশের ঊর্ধ্বে থাকে তখন টিআই এর গবেষণা নিয়ে প্রশ্ন উঠা অযৌক্তিক নয়।

সাম্প্রতিক সময়ে ভারতেও দুর্নীতির কথাও ব্যাপকভাবে বলা হচ্ছে। স্কুলে ভর্তি হওয়া থেকে শুরু করে চাকরি পাওয়া এমন কোথাও নেই যেখানে দুর্নীতি হয় না। ভারতের সুশীল সমাজ গণমাধ্যমে বলছে, ভারতে দুর্নীতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সেই ভারত ৪০ পয়েন্ট নিয়ে ৮৫ তে অবস্থান করছে। তাহলে ভারতের চেয়ে কি বাংলাদেশের দুর্নীতি বেশি? এমন তথ্য কি আদৌ বিশ্বাসযোগ্য?

টিআই এর এই তালিকায় বাংলাদেশের উপরে থাকা অনেক দেশের বড় বড় রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ীর নাম প্রকাশ হয় প্যান্ডোরা পেপারসে। ব্রাজিল এবং পানামার মন অর্থনৈতিক বৈষম্য ও জালিয়াতিতে শীর্ষে থাকা দেশগুলোও টিআই এর এই তালিকার বাংলাদেশের থেকে এগিয়ে। অন্যদিকে ইরানের মতো দেশ যারা কিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করেও টিআই এর এই তালিকায় ১৫০তম অবস্থানে রয়েছে। তাই টিআই এর এই তালিকার স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন মহলে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মন্ত্রী-এমপিদের ফেসবুক আইডি ‘ভেরিফায়েড’ করে দিবে সরকার

প্রকাশ: ০৭:৪০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফেক আইডি দিয়ে অপপ্রচার বন্ধে মন্ত্রী-এমপিদের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফায়েড করার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এমপি-মন্ত্রীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফায়েড করার জন্য পাঠালে আমরা ফেরিফাই করে দেবো। ফলে ফেক আইডি দিয়ে আপনার নামে কেউ অপপ্রচার করতে পারবে না।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রশ্নোত্তরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ফেক (ভুয়া) ফেসবুক আইডি খুলে জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ীদের চরিত্র হনন করা হচ্ছে। ইউটিউব চ্যানেল খুলে মানুষের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। এসব বন্ধে মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ কী তা জানতে চান।

এর জবাবে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ বলেন, ‘আপনারা ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফায়েডের (যাচাইকৃত) জন্য পাঠালে আমরা ভেরিফাই (যাচাই) করে দেব। ফলে ফেক আইডি দিয়ে আপনার নামে কেউ অপপ্রচার করতে পারবে না।’

প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের পর বিষয়টি নিয়ে বিটিআরসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানায়, তারা ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড করার জন্য আবেদন করতে পারে এবং সে অনুযায়ী ভেরিফায়েড হয়ে থাকে। তবে এটা শুধু মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ইতিমধ্যে বেশ কিছু সংসদ সদস্যের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসির উদ্যোগে তাঁদের অ্যাকাউন্টগুলো ভেরিফায়েড করা হয়েছে।

মেটা প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড করার নিয়ম

মেটা বলছে, দুইভাবে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করা হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে, ভেরিফায়েড ব্যাজ। অর্থাৎ আবেদনকারী যেসব তথ্য দেন, সেগুলো এবং তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বা ফেসবুক পেজে যেসব কর্মকাণ্ড করা হয়ে থাকে, সেগুলো যাচাই–বাছাই করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরেকটি হচ্ছে, মেটা ভেরিফায়েড। এটা টাকা দিয়ে মাসিক সাবস্ক্রিপশনের ভিত্তিতে ভেরিফায়েড। এতে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পরিচালনা–সংক্রান্ত নানা সেবা, সুরক্ষাসহ বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায়। তবে এ ভেরিফিকেশন শুধু ফেসবুক অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে হয়, কোনো পেজের জন্য নয়।

দুই পদ্ধতির যেভাবে ভেরিফায়েড হোক না কেন, উভয় ক্ষেত্রেই অ্যাকাউন্টের পাশে ব্লু টিক (নীল চিহ্ন) থাকে।

ভেরিফায়েড ব্যাজ পেতে অ্যাকাউন্টধারীকে অবশ্যই মেটার শর্ত ও কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডস মেনে চলতে হবে। এতে অবশ্যই মেটার নীতি অনুযায়ী প্রোফাইল, কভার ফটো ও নাম থাকতে হবে। অ্যাকাউন্ট অবশ্যই প্রকৃত ব্যবহারকারীর হতে হবে। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি, ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিধিত্ব করতে হবে। একটি সঠিক বায়ো (পরিচিতি) এবং অন্তত একটি পোস্ট থাকতে হবে। অ্যাকাউন্টটি সুপরিচিত, অনেক বেশি অনুসন্ধান করা ব্যক্তি, ব্র্যান্ড বা কোনো প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিধিত্ব করবে।

ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশনের আবেদনের জন্য পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো সরকারি কোনো পরিচয়পত্র দিতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে একটি ফোন নম্বর বা পরিষেবা বিলের অনুলিপি, নিবন্ধন নম্বর বা করের কাগজ, প্রতিষ্ঠানের গঠনতন্ত্রের অনুলিপি লাগবে।

আবেদনের সঙ্গে এসব কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর ফেসবুক কর্তৃপক্ষ যদি আবেদন বাতিল করে, তাহলে ৩০ দিন পর আবার আবেদন করা যাবে। এভাবে অ্যাকাউন্ট/পেজ ভেরিফায়েড করতে কোনো টাকা লাগে না।

অন্যদিকে মেটা ভেরিফায়েড সেবা শুধু কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য। এর জন্যও সরকারি পরিচয়পত্র লাগবে। পাশাপাশি ভেরিফায়েড হওয়ার জন্য কিছু যোগ্যতা লাগবে, যার মাপকাঠি ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের জন্য আলাদা।

মন্ত্রী-এমপি   ফেসবুক আইডি   ভেরিফায়েড আইডি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ডেভিড মিল কী বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির পরিবর্তন আনবেন?

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

শেষ পর্যন্ত শেষ হয়ে যাচ্ছে পিটার ডি হাসের অধ্যায়। বাংলাদেশে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলের নাম মনোনয়ন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এখন এটি সিনেটের অনুমোদন হলে ডেভিড মিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসাবে আবির্ভূত হবেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিদায় নিচ্ছেন পিটার ডি হাস। অর্থাৎ এটি সুস্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের ব্যাপারে যে মার্কিন নীতি অনুসরণ করছিল সেই নীতিতে পরিবর্তন আসছে। নিশ্চয়ই ডেভিড মিল একটি নতুন মিশন নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন। আর এ কারণেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সরিয়ে নেওয়া হল পিটার ডি হাসকে।

প্রশ্ন উঠেছে যে, নতুন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে মার্কিন নীতির কী পরিবর্তন করবেন, তার নীতি কী ধরনের হবে? একজন রাষ্ট্রদূতকে যখন মনোনয়ন দেওয়া হয় তখন প্রথমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ওই দেশে তাদের পররাষ্ট্রনীতির কৌশলপত্র চূড়ান্ত করে। আর ওই কৌশল বাস্তবায়নের জন্য যাকে যোগ্য মনে করা হয় তাকে মনোনয়ন দেয়।

পিটার ডি হাসকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল এমন এক সময়ে যখন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায়নি, বাংলাদেশের র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটি সুস্পষ্ট চাপ দিচ্ছিল। এই চাপকে আরও বাড়ানোর জন্যই পিটার ডি হাস বাংলাদেশে এসেছিলেন। তার দায়িত্ব পালনকালে সুস্পষ্টভাবে তিনি তার অবস্থান প্রকাশ করেছিলেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব দেখানোর লক্ষ্যেই নির্বাচন নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের দৌড়ঝাঁপ করেছিলেন এবং সরকারের বিরুদ্ধে প্রায় প্রকাশ্য অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পিটার ডি হাস মিশন ব্যর্থ হয়েছে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের পর নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তাও দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে পিটার ডি হাসের সরে যাওয়াটা ছিল অবধারিত। অবশেষে সেটাই ঘটল।

এখন ডেভিড মিল বাংলাদেশে কী করবেন? প্রথমত, ডেভিড মিলের কূটনৈতিক ক্যারিয়ার যদি আমরা পর্যবেক্ষণ করি তাহলে দেখব যে, তার কূটনৈতিক ক্যারিয়ার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দেয়। একই সাথে বাংলাদেশে চীনকে মোকাবেলা করার জন্য মার্কিন কৌশলেরও একটি ইঙ্গিত বহন করে। ডেভিড মিল বাংলাদেশে উপ-রাষ্ট্রদূত হিসাবে বা ডেপুটি চিফ অফ মিশন হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কাজেই বাংলাদেশ তার পরিচিত। বাংলাদেশের রাজনীতি, বাংলাদেশের মানুষের মন মানসিকতা এবং বাংলাদেশে কীভাবে কাজ আদায় করতে হয় ইত্যাদি কলাকৌশল সম্পর্কে তাকে নতুন করে শিখতে হবে না। এটি ডেভিড মিলের জন্য একটি ইতিবাচক দিক। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এটি বিবেচনা করেই সম্ভবত ডেভিড মিলকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন।

দ্বিতীয়ত, ডেভিড মিল এখন এই মুহূর্তে চীনের বেজিংয়ে মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ মিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি মার্কিন-চীন সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষার জন্য কাজ করেছেন। শুধু তাই নয়, ডেভিড মিল চীনের রাজনীতি এবং চীনের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে অনেক পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ ধারণা রাখেন।

বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়গুলোতে অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ চীনের উপর অর্থনৈতিকভাবে অনেকখানি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। আর এর প্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এমন একজন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছেন যিনি চীনের রাজনীতির অভ্যন্তরীণ বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে ওয়াকিবহাল। বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূরত্বের একটি বড় বিষয় হল, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বেশি মাখামাখির সম্পর্ক। আর এ কারণেই চীনের কূটনীতিতে অভিজ্ঞ এবং চীনের কূটনীতি অলিগলি চেনা ডেভিড মিলকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে বলে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।

ডেভিড মিলের নিয়োগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে একটি বার্তা সুস্পষ্ট হয়েছে। তা হল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছে। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সুসম্পর্ক, বিশেষ করে অর্থনৈতিক-বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও প্রসারিত করতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য বাংলাদেশ সম্পর্কে অভিজ্ঞ এবং বাংলাদেশে কাজ করা একজন ব্যক্তিকে পাঠানো হয়েছে। তৃতীয়ত বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের লাগাম টেনে ধরতে পারে এজন্য চীনের কূটনীতি সম্পর্কে জ্ঞান রয়েছে এমন একজন কূটনৈতিককে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। এখন দেখা যাক, ডেভিড মিলের বাংলাদেশ মিশন কতটুকু সফল হয়।


ডেভিড মিল   বাংলাদেশ   যুক্তরাষ্ট্র   কূটনীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

বর্তমানে রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলাচল করছে মেট্রোরেল। তবে এই লাইন বধিত হচ্ছে নতুন নকশায়। যা দিয়াবাড়ি থেকে সাভারের আশুলিয়া নয়, বর্ধিত হবে টঙ্গী পর্যন্ত।

এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। মেট্রোরেল এখন চলছে উত্তরা থেকে মতিঝিল। বর্ধিতাংশ আসছে বছর কমলাপুরে পর্যন্ত চালু হবে।

এদিকে এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের সময়ই দিয়াবাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পথ তৈরি করে রাখা হয়েছে ভবিষ্যতের কথা ভেবে। পরিকল্পনা ছিল পথটি আশুলিয়া পর্যন্ত নেয়ার। তবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে কর্তৃপক্ষ।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টঙ্গী পর্যন্ত নেয়া হবে এ রেলপথ; পরিকল্পনা টঙ্গী রেলস্টেশন পর্যন্ত যুক্ত করার।

উত্তরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত পথ তৈরি হয়েছে বিআরটি। সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ঢাকা-আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে। ফলে এ পথে নতুন করে আরো একটি উড়াল রেলপথ বের করা অসম্ভব। যার জন্য রুট কোনটি হবে তা নিয়ে চলছে পরিকল্পনা।

মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, এখন টঙ্গী রেলস্টেশন পর্যন্ত এ পথটি যুক্ত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। মূলত টঙ্গী রেলস্টেশন এবং সড়ক জংশনকে যদি সংযুক্ত করতে পারি, তাহলে ঐ অঞ্চলের মানুষের সুবিধা বাড়বে।

তিনি বলেন, যদিও প্রাথমিক পরিকল্পনায় এখনই এ অংশের কাজে হাত দেওয়ার কথা ছিল না। তবে এবার দ্রুত এ পথে হাঁটতে চায় ডিএমটিসিএল। এরই মধ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শুরু হয়েছে। শিগগিরই চূড়ান্ত নকশা হবে। এ পথটি যুক্ত হলে টঙ্গী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে ৪৮ মিনিট।


মেট্রোরেল   বাংলাদেশ   ঢাকা   রাজধানী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মানিকগঞ্জে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন পাইলট অসিম জাওয়াদ

প্রকাশ: ০৩:৫৫ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত পাইলট অসিম জাওয়াদকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ মেবিকেল ৩টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলা শহরের সেওতা কবরস্থানে নানা মরহুম মোহাম্মদ রউফ খানের কবরে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নিহত পাইলট অসিম জাওয়াদের মরদেহ বহনকারী বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার মানিকগঞ্জের শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে অবতরণ করে। এর কিছুক্ষণ পর হেলিকপ্টার থেকে তার কফিনবন্দি মরদেহ কাঁধে করে নামিয়ে আনেন বিমানবাহিনী সদস্যরা। পরে নিহত অসিমকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। ছেলের কফিনবন্দি মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পরেন মা নিলুফা খানমসহ স্বজনরা।

পরে দুপুর ২টার দিকে শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে জুমার নামাজের পর পাইলট আসিম জাওয়াদের তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়। এর পর লাশবাহী গাড়িতে করে মরদেহ সেওতা কবরস্থানে নেওয়া হয়। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে নানা মরহুম মোহাম্মদ রউফ খানের কবরে দাফন করা হয় এই পাইলটকে।

এদিকে পাইলট অসিম জাওয়াদের মরদেহ শেষবারের মতো এক নজর দেখতে সকাল থেকেই স্টেডিয়ামে ভিড় করতে থাকেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষসহ তার স্বজনরা। অসিমের মরদেহ বহনকারী বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার করে তার বাবা আমানউল্লাহ, স্ত্রী অন্তরা আক্তার দুই সন্তানসহ স্বজনরা সেখানে নামেন। সময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

নিহত অসিম জাওয়াদের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের ডা. মোহাম্মদ আমানউল্লার ছেলে। তার মায়ের নাম নিলুফা খানম। নিহত পাইলট অসিম মৃত্যুকালে স্ত্রী, ছয় বছর বয়সী কন্যা আইজা এক পুত্র সন্তান রেখে গেছেন।


মানিকগঞ্জ   চিরনিদ্রায়   পাইলট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাইলট সন্তানকে হারিয়ে শোকে কাতর চিকিৎসক বাবা

প্রকাশ: ০৩:৩৭ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

একমাত্র সন্তান বৈমানিক অসিম জাওয়াদকে হারিয়ে শোকে কাতর চিকিৎসক বাবা আমান উল্লাহ। সন্তানের লাশ সামনে রেখে তিনি জানান, জীবনের ঝুঁকি জেনেও একমাত্র সন্তানকে তারা বিমান বাহিনীতে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের রেখে সন্তান এভাবে চলে যাবে- সেটা কখনো ভাবতে পারেননি। শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে তিনি এসব কথা বলেন ।

ড. আমান উল্লাহ বলেন, আমি তো ডাক্তার, আমি জানি কতটা জীবন ঝুঁকি আছে এ দায়িত্বে। ওর মাও নিষেধ করেছিল। কিন্তু আমি ওর পছন্দকে শ্রদ্ধা জানিয়ে, ঝুঁকি জেনেও বিমান বাহিনীতে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু আমি ভাবিনি যে, আমার ছেলে আমাকে ছেড়ে চলে যাবে। ও শুধু আমাদের ছেড়ে যায়নি। ওর ছোট্ট বাচ্চাগুলোকেও ছেড়ে গেল। আমি জানি না, ওর মতো করে বাচ্চাগুলোকে পালন করতে পারব কিনা।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা জহুরুল হক বিমান ঘাঁটির থেকে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়ন করে। এর কিছুক্ষণ পরই বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় এবং বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। 

কর্ণফুলী নদীতে ভূপাতিত হওয়ার আগেই বিমানে থাকা বৈমানিক উইং কমান্ডার সোহান ও বৈমানিক স্কোয়াড্রন লিডার অসীম জাওয়াদ প্যারাসুট দিয়ে নদীতে নামলেও দুজন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে পতেঙ্গা বিএনএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে বিমান বিধ্বস্তর ঘটনায় বৈমানিক অসীম জাওয়াদ বিএনএস পতেঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।  

শুক্রবার (১০ মে) বেলা আড়াইটার দিকে মানিকগঞ্জের শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার হাজারও মানুষ অংশ নেন। জানাজা শেষে পাইলট অসিম জাওয়াদ রিফাতের মরদেহ জেলা শহরের সেওতা কবরস্থানে দাফন করা হয়।




মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন