ইনসাইড হেলথ

দরিদ্র কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে: ডা. জাফরুল্লাহ

প্রকাশ: ০৩:৫৫ পিএম, ১০ মার্চ, ২০২২


Thumbnail দরিদ্র কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে: ডা. জাফরুল্লাহ

অতি দরিদ্র কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বিশ্ব কিডনি দিব।

এবারের কিডনি দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘কিডনি স্বাস্থ্য উন্নয়নে জ্ঞানের বিকল্প নেই’।
কিডনি রোগের একেবারে শেষ পরিণতি হচ্ছে কিডনি বিকল হয়ে যাওয়া। কিডনি বিকল হয়ে গেলে একমাত্র উপায় কিডনি প্রতিস্থাপন অথবা ডায়ালাইসিস। কিন্তু এই চিকিৎসা এতটাই ব্যয়বহুল যে প্রায় ৯০ শতাংশ রোগী বিনা চিকিৎসায় অথবা আংশিক চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেন।

কিডনি রোগের চিকিৎসা ব্যয় কীভাবে কমানো যায় জানতে চাইলে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, কিডনি ডায়ালাইসিসে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে। একবার কিডনি ডায়ালাইসিস করতে ২২০০ টাকা খরচ হয়। একজন রোগীর সপ্তাহে কমপক্ষে দুইবার ডায়ালাইসিস করতে হয়, তিনবার করলে ভালো। এরসঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন রকমের ওষুধ পত্র, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এক্ষেত্রে সরকারকে ১৯৮২ সালের ঔষধ নীতি অনুযায়ী ঔষধের দাম নির্ধারণ করতে হবে। এতে ওষুধের দাম কমে অর্ধেক হয়ে যাবে, কিন্তু ঔষধ কোম্পানির লাভ কমবে না। সরকার ইচ্ছা করলেই ওষুধের দাম কমানো সম্ভব।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ডায়ালাইসিসের জন্য দরিদ্র নিম্নবিত্তদের সরকারকে রোগী প্রতি এক হাজার থেকে ১৫০০ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দরিদ্রদের জন্য দিনের বেলা ৭০০ টাকা, রাতের বেলা ৫০০ টাকায় ডায়ালাইসিস সেবা প্রদান করি। আবার কেউ এক সপ্তাহের তিন বারের ডায়ালাইসিসের টাকা একবারে জমা দিলে, তার জন্য ১২০০ টাকা। সরকার আমাদের এই পদ্ধতিগুলো গ্রহণ করতে পারে।

প্রবীণ এই চিকিৎসক আরও বলেন, আমরা দুই বছর থেকে একটা ট্রেনিং ইনস্টিটিউট করার কথা বলছি। সরকারের কাছে আমরা আবেদন করেছি, কিন্তু সরকার এখনো অনুমোদন দেয় নাই। মানিকগঞ্জে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এলাকায়, মেশিন রয়েছে তবে সেটা চালু হয়নি, কারণ সেখানে ইঞ্জিনিয়ার এবং টেকনিশিয়ান নেই। সেই জন্যই আমরা বলেছিলাম, একটি কোর্স করেন, আমরা গণস্বাস্থ্যের পক্ষ থেকে সেটা করে দিব। আমরা প্রতিদিন ৩০০ লোকের ডায়ালাইসিস করে থাকি। ফলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া অনেক সহজ।

কিডনি প্রতিস্থাপন প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই বছর অতিবাহিত হয়েছে, হাইকোর্ট রায় দিয়েছে যে কোনো ব্যক্তি কিডনি দান করতে পারবেন। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সেটা কার্যকর করেনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে নিকট-আত্মীয়র কথা, এক্ষেত্রে নিকটাত্মীয় পাওয়া মুশকিল। ইরানে যে কেউ কিডনি দান করতে পারে। ইরানে কেউ কিডনি দান করলে সরকার তাকে চাকরিসহ বিভিন্ন ধরনের পুরস্কার দেয়। ফলে সবচেয়ে বেশি কিডনি প্রতিস্থাপন হয় ইরানে। কিডনি দানকারীর কোনো খরচ হয় না বরং সে অনেক সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে।

দরিদ্র   কিডনি   রোগী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

তাপপ্রবাহে বাড়ছে অন্তঃসত্ত্বাদের ঝুঁকি

প্রকাশ: ১০:৪৪ এএম, ৩১ মে, ২০২৪


Thumbnail

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় প্রবল ঝুঁকিতে পড়ছেন অন্তঃসত্ত্বা নারীরা। উচ্চ তাপপ্রবাহের ফলে অন্তঃসত্ত্বা নারীর শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে তা গর্ভজাত শিশুর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে বলে বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে।

গবেষকরা বলছেন, অন্তঃসত্ত্বাদের ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতা থাকে। এর চেয়ে বেশি তাপপ্রবাহ হলেই ঝুঁকি বাড়তে থাকে। বিশেষ করে পরিবেশের তাপমাত্রা অন্তঃসত্ত্বার শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে বেশি বা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে পৌঁছলে রক্তপ্রবাহ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়তে পারে। এতে গর্ভের শিশুর পুষ্টি অক্সিজেনে ঘাটতি তৈরি হতে পারে।

অন্যদিকে গর্ভধারণের পর ১২ সপ্তাহের মধ্যে মায়ের শরীরের তাপমাত্রা ৩৯. ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে শিশুর জন্মগত ত্রুটির ঝুঁকি বাড়ে। ছাড়া অতিরিক্ত তাপে পানিশূন্যতা কিংবা হরমোনের ভারসাম্যহীনতা হলে অকাল প্রসবের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

বারডেম জেনারেল হাসপাতালের গাইনি অবসের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সামছাদ জাহান শেলী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘উচ্চ তাপমাত্রা অন্তঃসত্ত্বার শরীরের তাপমাত্রার চেয়ে বেশি হলে রক্তের ভারসাম্যহীন প্রবাহ গর্ভের শিশুর পুষ্টি অক্সিজেনে ঘাটতি সৃষ্টি করতে পারে। পানিশূন্যতা (ডিহাইড্রেশন), হরমোন পরিবর্তনের (প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন অক্সিটোসিন) ভারসাম্যহীনতা অকালে প্রসবের সম্ভাব্য সূত্রপাত ঘটায়। উচ্চ তাপমাত্রার কারণে অন্তঃসত্ত্বারা ঠিকমতো বিশ্রাম নিতে পারেন না। এতে উচ্চ রক্তচাপ বাড়লে খিঁচুনি দেখা দেয়। সেইসঙ্গে ইনফেকশন, পানিশূন্যতা ইত্যাদি সমস্যাও দেখা দেয়। ফলে গর্ভাবস্থায় সন্তানের মৃত্যু হয়। আবার কখনো কখনো পানি ভেঙে গর্ভে প্রিম্যাচিউর শিশুর জন্ম হয়।

২০২০ সালে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, উচ্চ তাপমাত্রার সংস্পর্শে থাকা নারীদের অকাল প্রসব এবং মৃত সন্তান প্রসব হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাপমাত্রায় প্রতি ডিগ্রি বৃদ্ধির জন্য অকাল প্রসবের আশঙ্কা বাড়ে শতাংশ, উচ্চ তাপপ্রবাহের সময় ঝুঁকি বাড়ে ১৬ শতাংশ।

কক্সবাজারের চকরিয়ায় অন্তঃসত্ত্বাদের ওপর আইসিডিডিআর,বির এক গবেষণায় দেখা যায়, উচ্চ তাপপ্রবাহের কারণে ওই এলাকায় গর্ভপাতের হার বেশি। ছাড়া খাবার পানিতে লবণাক্ততার কারণে অন্তঃসত্ত্বাদের উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বৃদ্ধি পায় এবং গর্ভপাতের সংখ্যাও বাড়ে।

দ্য রিস্ক অব মিসক্যারেজ ইজ অ্যাসোসিয়েটেড উইথ অ্যামবিনেট টেম্পারেচার: এভিডেন্স ফর্ম কোস্টাল বাংলাদেশশীর্ষক ওই গবেষণায় চকরিয়া উপজেলার ১৩ হাজার ৩৭৬ বিবাহিত নারীর ১০ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। ২০১২ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ওই নারীরা সর্বমোট ২৩ হাজার ৪৮২ বার গর্ভধারণ করেন। এর মধ্যে হাজার ৪২২টি গর্ভপাতের ঘটনা ঘটেছে, যা মোট গর্ভধারণের ১১ শতাংশ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গর্ভবতী হওয়ার পর থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত হয়েছে গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

শুধু কক্সবাজার নয়, রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশেই বেড়েছে তাপমাত্রা। সেইসঙ্গে ঝুঁকির মুখে পড়ছেন অন্তঃসত্ত্বারা। ঢাকায় গত ২৮ এপ্রিল তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস। মে ছিল ৩২ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস। সময়টায় উচ্চ তাপপ্রবাহের কারণে ঢাকা শহরে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অনেকেরই গর্ভপাত হয়েছে।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের এমসিএইচ ইউনিটের প্রকল্প ব্যবস্থাপক (কৈশোরকালীন এবং প্রজনন স্বাস্থ্য) ডা. মনজুর হোসেন বলেন, ‘অন্তঃসত্ত্বার পূর্ণ বিশ্রাম দরকার। দিনের বেলা দুই ঘণ্টা এবং রাতে পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। কিন্তু তাপপ্রবাহ বৃদ্ধির কারণে এবং বিদ্যুৎ না থাকলে অন্তঃসত্ত্বারা বিশ্রাম নিতে পারেন না। এতে তারা মানসিক দুশ্চিন্তায় থাকেন। হতাশাগ্রস্ত থাকেন। এর প্রভাবে কম ওজনের সন্তান জন্ম হতে পারে। ৩৭ থেকে ৪২ সপ্তাহের মধ্যে সন্তান জন্ম না হয়ে প্রিম্যাচিউর ডেলিভারিও হতে পারে। মায়ের মানসিক দুশ্চিন্তা গর্ভের সন্তানের ওপর প্রভাব ফেলে। তাপমাত্রা জ্বলীয় বাষ্প বাড়লে প্রজনন স্বাস্থ্যের ঝুঁকি, কম ওজনের শিশু, প্রিম্যাচিউর শিশু জন্মের ঝুঁকি বেড়ে যায়।’ 


তাপপ্রবাহ   অন্তঃসত্ত্বা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

বাড়ছে প্রাণঘাতী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা

প্রকাশ: ০১:১৮ পিএম, ২৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

কিছুদিন আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছিল, দ্রুতগতিতেঅ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স’ (এএমআর) তৈরি হচ্ছে। অ্যান্টিবায়োটিকে আর কাজ হচ্ছে না, ফলে প্রাণঘাতী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এবার সেই সতর্কবার্তারই পুনর্ব্যক্ত করা হলো একটি ভারতীয় গবেষণাপত্রে।

গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছেল্যানসেট রিজিওনাল হেল্থ-সাউথইস্ট এশিয়ানামক জার্নালে। এতে বলা হয়েছে, এমনিতেই নতুন ওষুধের অভাব, তার মধ্যে পুরোনো অ্যান্টিবায়োটিকগুলি আর কাজ দিচ্ছে না। ফলে চিকিৎসা খাতে জটিল পরিস্থিতির সৃষ্ট হয়েছে।

ভারতীয় গবেষণা সংস্থাইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’ (আইসিএমআর)-এর এএমআর সার্ভেল্যান্স নেটওয়ার্কভুক্ত ২১টি কেন্দ্র থেকে মোট বছরের তথ্য সংগ্রহ করে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) বিশ্লেষণ করে দেখা হয়েছে। অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল ওষুধ যখন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক অন্যান্য পরজীবীর সংক্রমণ কমাতে আর কাজ করে না, সেই পরিস্থিতিকে বলেঅ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স এতে রোগীর সংক্রমণ আরও বাড়তে থাকে, এমনটি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।


ব্যাকটেরিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

হাসপাতালের অনুমোদনহীন ক্যান্টিন-ফার্মেসি বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশ: ০৬:৩৫ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

সরকারি হাসপাতালের ভেতরে অবৈধভাবে তৈরি করা অনুমোদনহীন ক্যান্টিন, মেয়াদোত্তীর্ণ প্রতিষ্ঠানের (ফার্মেসি) কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। 

শুক্রবার (১০ মে) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।

এতে বলা হয়, দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর, জেনারেল হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থিত অবৈধ, অনুমোদনহীন, ইজারা দেয়া মেয়াদোত্তীর্ণ ফার্মেসি, ক্যান্টিন বা ক্যাফেটেরিয়ার কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। তবে সরকারি বকেয়া বা পাওনা থাকলে তা আদায়ের ব্যবস্থা করে নির্দেশনা মানতে হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, সরকারি হাসপাতালের ভেতরে নতুনভাবে কোনো ফার্মেসি, ক্যান্টিন বা ক্যাফেটেরিয়া স্থাপনের অনুমতি প্রদান করা যাবে না। এ ছাড়া ইতোমধ্যে স্থাপিত ফার্মেসি-ক্যান্টিনের অনুমোদন নবায়ন না করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খতিয়ে দেখার নির্দেশ

প্রকাশ: ০১:০৩ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকা গ্রহণের কারণে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগে বিশ্বজুড়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশে এই টিকা যারা নিয়েছেন তাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে কি না, তা খুঁজে দেখতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

বুধবার (৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণে টিকাদান কর্মসূচিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় মন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন।

সামন্ত লাল সেন বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। কিছু দেশে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গেছে। আমরাও যেহেতু অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা গ্রহণ করেছি, আমাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে কি না, তা খুঁজে দেখতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে এই বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। 


স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন   অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

বিয়ের আগে থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ে জেনে নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৯:২৬ এএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তস্বল্পতাজনিত দুরারোগ্য ব্যাধি। এ রোগ প্রতিরোধে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বাংলাদেশে এই রোগের জিন বাহকের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। বাহকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা দেশের সার্বিক সুস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। বাহকে-বাহকে বিয়ে হলে দম্পতির সন্তান থ্যালাসেমিয়া রোগী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বিধায় বিয়ের আগে এই রোগের জিন বাহক কি না তা জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

বুধবার (৮ মে) বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এই আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্য খাতে ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা সক্ষম হব, ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে এবং জনসাধারণকে সুলভে মানসম্মত স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার কল্যাণ (এইচএনপি) সেবা দেওয়ার মাধ্যমে একটি সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। আমরা একটি গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করে যুগোপযোগী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন নতুন হাসপাতাল, নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে হাসপাতালগুলোর শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধিসহ চিকিৎসক, নার্স, সাপোর্ট স্টাফের সংখ্যাও বৃদ্ধি করেছি। গ্রামপর্যায়ে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সারা দেশে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ফ্রি স্বাস্থ্য, পরিবার কল্যাণ ও পুষ্টি সেবা দেওয়া হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল থেকে মোবাইল ফোন ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা চালু করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে গত ১৫ বছরে স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ মাতৃমৃত্যু, নবজাতকের মৃত্যু ও অনূর্ধ্ব ৫ বছর বয়সী শিশুমৃত্যু হার, অপুষ্টি, খর্বতা, কম ওজন ইত্যাদি হ্রাসে ক্রমাগত উন্নতি হচ্ছে। সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এমডিজি লক্ষ্য অর্জনে অসাধারণ সফলতা দেখিয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টগুলো (এসডিজি) অর্জনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।


প্রধানমন্ত্রী   থ্যালাসেমিয়া  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন