মন্তব্য করুন
সারাদেশে আজ (১৩ জুন) থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি মিলিয়ে মোট ২০ দিনের ছুটি শুরু হয়েছে। ১৩ জুন থেকে শুরু হওয়া ছুটি শেষ হবে আগামী ২ জুলাই। তবে কলেজ পর্যায়ের কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আজও ক্লাস হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে আগামীকাল শুক্রবার (১৪ জুন) থেকে আনুষ্ঠানিক ছুটি শুরু হয়ে শেষ হবে ২ জুলাই।
এছাড়া কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৭ দিনের ছুটি দেওয়া হয়েছে। সেসব স্কুলে আগামী ২৯ জুন পর্যন্ত ছুটি থাকবে।
এদিকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা জানান, গ্রীষ্মকালীন ছুটি সাধারণত জুন মাসে হয়ে থাকে। এবার ঈদুল আজহার ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে দেওয়া হয়েছে। এ বছর শীত ও গরমের কারণে স্কুল অনেক দিন বন্ধ থাকায় গ্রীষ্মকালীন ছুটি কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ চাইলে ঈদের ছুটি এবং গ্রীষ্মকালীন ছুটি আলাদা করে দিতে পারেন।
মন্তব্য করুন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আবাসিক হলগুলোর প্রভোস্ট কমিটির নতুন সভাপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. ছায়েদুর রহমান।
বুধবার (১২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়েছে, ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রচলিত পালাক্রম নীতি অনুযায়ী ফজিলতুন্নেসা হলের প্রভোস্টকে, প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি নিয়োগ করা হলো।
নতুন দায়িত্বের বিষয়ে অধ্যাপক ড. ছায়েদুর রহমান বলেন,“সবসময়ই স্টুডেন্টদের নিয়ে পজিটিভ চিন্তা করি। পূর্বের দায়িত্বগুলোর মতো এ দায়িত্বও গুরুত্বের সঙ্গে পালনের চেষ্টা করবো। প্রভোস্ট কমিটির সভাপতির দায়িত্ব রুটিন কাজ। সব প্রভোস্টের পক্ষ থেকে কাজগুলোকে সমন্বয় করা, খেলাধুলা, শিক্ষার্থীদের হলের সিট বণ্টন নিশ্চিত করা এবং উপাচার্য মহোদয়কে কাজগুলোর কথা মনে করিয়ে দেওয়া এগুলোই মূলত এই দায়িত্বের কাজ। আমি সব প্রভোস্টের সহায়তা নিয়ে চলমান কাজগুলোকে কীভাবে ত্বরান্বিত করা যায় সেই চেষ্টা করবো।”
অধ্যাপক ছায়েদুর রহমান বর্তমানে ফজিলাতুন্নেছা হলের প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করছেন। ইতিপূর্বে তিনি সফলতার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও পরিবহন অফিসের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া গত বছর ৩০৫ ভোট পেয়ে সিনেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। ক্লিন ইমেজ ও শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর পরিচিতি রয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি ছায়েদুর রহমান
মন্তব্য করুন
আসন্ন শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) শেষ হবে। আজ রাত আটটা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে কলেজে ভর্তিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা। গত ২৬ মে শুরু হয় এ আবেদন। এদিকে পুনঃনিরীক্ষণের মাধ্যমে পরিবর্তিত ফলাফল পাওয়া শিক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। আর পেমেন্ট সংক্রান্ত সমস্যা দাখিলের ফর্মটি লিঙ্কে আবার চালু করা হয়েছে।
আগের মতো এবারও একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে কোনো বাছাই পরীক্ষা হবে না। এসএসসি ও সমমানের ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ১৫০ টাকা আবেদন ফি জমা দিয়ে সর্বনিম্ন ৫টি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করতে পারছে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।
এবার তিন ধাপে আবেদন নেওয়া হবে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নির্ধারণ করা হয়েছে কলেজে সর্বোচ্চ ভর্তি ফি। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিগরি সহায়তায় কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভর্তির কাজটি হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রকাশিত একাদশ শ্রেণির ভর্তি নীতিমালায় বলা হয়েছে, চলতি বছর অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে একাদশ শ্রেণির ভর্তির আবেদনের কার্যক্রম চলবে। অনলাইন ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ম্যানুয়ালি ভর্তির আবেদন নেওয়া হবে না। ১৫০ টাকা আবেদন ফি দিয়ে শিক্ষার্থীদের সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে পছন্দক্রম দিতে হবে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, এগুলোর মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটিমাত্র কলেজে ভর্তির অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট শূন্য আসনের ৯৩ শতাংশ মেধা কোটা হিসেবে বিবেচিত হবে। এসব শূন্য আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বাকি ৭ শতাংশের মধ্যে ৫ শতাংশ আগের মতোই বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। অবশিষ্ট ২ শতাংশের ১ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ১ শতাংশ মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর-সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য রাখা হয়েছে। আগের মতো এবারও এসব আসনে শিক্ষার্থী না থাকলে তা মেধা কোটায় বিবেচিত হবে। কোটার ক্ষেত্রে আবেদনকারী সংখ্যা বেশি হলে মেধার ভিত্তিতে তালিকা করা হবে।
ভর্তির যোগ্যতা ও গ্রুপ নির্বাচন যেভাবে
পূর্ববর্তী তিন বছরে দেশের যেকোনো শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নীতিমালার অন্য বিধানাবলি সাপেক্ষে কোনো কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে। এ ছাড়া উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণসহ অন্যান্য বছরের শিক্ষার্থীরাও ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে। বিদেশি কোনো বোর্ড বা অনুরূপ কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড তার সনদের মান নির্ধারণের পর ভর্তির যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
বিজ্ঞান গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনোটি; মানবিক গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনোটি এবং ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক গ্রুপের যেকোনোটিতে আবেদন করতে পাবরে।
আর যেকোনো গ্রুপ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ইসলামি শিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ও সংগীত গ্রুপের যেকোনোটি; মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে বিজ্ঞান গ্রুপে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনোটি এবং সাধারণ ও মুজাব্বিদ মাহির গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান গ্রুপ ব্যতীত যেকোনোটিতে আবেদন করতে পারবে।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের যেকোনো গ্রুপে ভর্তির আবেদন করতে পারবে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা বোর্ড প্রতিবছর নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বরাবর ভর্তির আবেদন, ফল প্রকাশ, ভর্তি ও ক্লাস শুরুসংক্রান্ত শিডিউলের বিষয়ে প্রস্তাব প্রেরণপূর্বক অনুমোদন গ্রহণ করবে এবং তা প্রতিবছর বিজ্ঞপ্তি আকারে জারি করবে।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের পূর্বানুমতি ছাড়া একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃত কোন ছাত্রছাত্রীর ছাড়পত্র ইস্যু করা যাবে না। কিংবা বোর্ডের পূর্বানুমতি ব্যতীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইস্যুকৃত ছাড়পত্রের বরাতে ভর্তি করা যাবে না। ছাড়পত্রের (টিসি) মাধ্যমে ভর্তির ক্ষেত্রে কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রী ভর্তির ১৫ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন ফিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে জমা দিতে হবে।
ভর্তি ফি সর্বোচ্চ ৮৫০০ টাকা
এবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সর্বোচ্চ ফি ৮ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ইংরেজি ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো এ হারে ভর্তি ফি নিতে পারবে। আর ঢাকা মেট্রোপলিটনের বাংলা ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো একাদশে ভর্তিতে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৫০০ টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে।
ঢাকা ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকার বাংলা ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো সর্বোচ্চ ৬ হাজার টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে। জেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো ৩ হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো ৪ হাজার টাকা ফি নিতে পারবে। আর উপজেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সন নন-এমপিও কলেজ ২ হাজার ৫০০ টাকা ও ইংরেজি ভার্সন নন-এমপিও কলেজ ৩ হাজার টাকা ফি নিতে পারবে।
অন্যদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটনের এমপিওভুক্ত কলেজগুলো বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে ভর্তির ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার টাকা। ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকার বাংলা ভার্সনের এমপিওভুক্ত কলেজগুলো ও ইংরেজি ভার্সনের এমপিওভুক্ত সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে। জেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সনের এমপিওভুক্ত কলেজ ও ইংরেজি ভার্সনে এমপিওভুক্ত কলেজ ২ হাজার টাকা ফি নিতে পারবে। আর উপজেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সনে এমপিওভুক্ত কলেজ ১ হাজার ৫০০ টাকা ও ইংরেজি ভার্সন এমপিওভুক্ত কলেজ ১ হাজার ৫০০ টাকা ফি নিতে পারবে।
ঢাকার নটর ডেম কলেজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে কোনো বাছাই পরীক্ষা হয় না। এসএসসি ও সমমানের ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হয়।
গত মাসে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। সারা দেশে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিযোগ্য আসন আছে ২৫ লাখের মতো। সব শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও একাদশ শ্রেণিতে ৮ লাখের বেশি আসন ফাঁকা থাকবে এবার। তাই এবার ফল ভালো হলেও শিক্ষার্থীর সংকটে পড়বে অনেক কলেজ।
মন্তব্য করুন
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা-প্রতিষ্ঠান কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডস (কিউএস) ‘কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং’ প্রকাশ করেছে চলতি মাসে। এই র্যাঙ্কিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৫৫৪তম অবস্থানে রয়েছে। গত বছর প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ৬৯১ থেকে ৭০০-এর মধ্যে। এক বছরের ব্যবধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে গেছে প্রায় ১৪০ ধাপ।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ‘এমপ্লয়মেন্ট আউটকাম’ ক্যাটাগরিতে ভূতুড়ে স্কোরের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে উল্লম্ফন ঘটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। কারণ, গত বছরের প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে এমপ্লয়মেন্ট আউটকাম ক্যাটাগরিতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কোর ছিল ৩০ দশমিক ৩। অথচ চলতি বছরে এ ক্যাটাগরিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কোর হয়েছে ৯৩ দশমিক ৭ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে অস্বাভাবিক এমন স্কোর বৃদ্ধির কারণেই এগিয়ে গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাঙ্কিংও।
তথ্যমতে, কয়েকটি সূচকের ভিত্তিতে এ র্যাঙ্কিং করে থাকে কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডস। এই সূচকগুলো হলো- একাডেমিক খ্যাতি (একাডেমিক রেপুটেশন), চাকরির বাজারে সুনাম (এমপ্লয়ার রেপুটেশন), শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত (ফ্যাকাল্টি-স্টুডেন্ট রেশিও), শিক্ষকপ্রতি গবেষণা-উদ্ধৃতি (সাইটেশনস পার ফ্যাকাল্টি), আন্তর্জাতিক শিক্ষক অনুপাত (ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাকাল্টি রেশিও), আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী অনুপাত (ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট রেশিও), আন্তর্জাতিক গবেষণা নেটওয়ার্ক (ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ নেটওয়ার্ক), কর্মসংস্থান (এমপ্লয়মেন্ট আউটকামস), ও স্থায়িত্ব (সাসটেইনেবিলিটি)।
র্যাঙ্কিং তথ্যমতে, চলতি বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গড় স্কোর ২২ দশমিক ৪। বিশ্ববিদ্যালয়টির একাডেমিক রেপুটেশনে স্কোর ২৩, এমপ্লয়ার রেপুটেশনে ৪৫ দশমিক ৬, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে ১১ দশমিক ২, শিক্ষকপ্রতি গবেষণা-উদ্ধৃতিতে ২ দশমিক ৯, আন্তর্জাতিক শিক্ষক অনুপাতে ১ দশমিক ৬, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী অনুপাতে ১, আন্তর্জাতিক গবেষণা নেটওয়ার্কে ৫২, স্থায়িত্বে স্কোর ১১ দশমিক ৮। আর কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে পেয়েছে ৯৩ দশমিক ৭ স্কোর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩ দশমিক ৭ শতাংশ এমপ্লয়মেন্ট আউটকামস স্কোরকে অস্বাভাবিক ও অবিশ্বাস্য বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা। কারণ, গত বছর প্রকাশিত কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এমপ্লয়মেন্ট আউটকাম ক্যাটাগরিতে পেয়েছিল মাত্র ৩০ দশমিক ৩ স্কোর। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে এই ক্যাটাগরিতে ৬৩ স্কোরের বেশি এগিয়ে যাওয়াকে অসম্ভব বলে মনে করছেন শিক্ষা-সংশ্লিষ্টরা। কারণ চলতি বছরের র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এ ক্যাটাগরিতে পেয়েছে মাত্র ২২ দশমিক ২ স্কোর।
এ ছাড়া চলতি বছরের কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে দেখা গেছে, দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন এমপ্লয়মেন্ট আউটকাম ক্যাটাগরিতে পেয়েছে ৯৩ দশমিক ৪ স্কোর, নবম স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যের ইউসিএল ইউনিভার্সিটি এ ক্যাটাগরিতে পেয়েছে ৭০ দশমিক ৩ স্কোর। অর্থাৎ, এমপ্লয়মেন্ট আউটকাম ক্যাটাগরিতে শীর্ষে থাকা এসব বিশ্ববিদ্যালয়কেও ছাড়িয়ে গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন উল্লম্ফন সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, কিউএস র্যাঙ্কিং তৈরির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো তথ্য চাওয়া হয় না। তারা নিজেরাই বিভিন্ন সোর্স থেকে তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিবেদন তৈরি করে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমপ্লয়মেন্ট আউটকাম ক্যাটাগরিতে উল্লেখ করা ৯৩ দশমিক ৭ স্কোরের সত্যতা রয়েছে বলে দাবি করেন উপাচার্য।
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, এমপ্লয়মেন্ট আউটকাম ক্যাটাগরিতে এক বছরে ৬৩ স্কোর বৃদ্ধি পাওয়ার কথা নয়। এটি অস্বাভাবিক ও অবিশ্বাস্য বলে মনে হয়। এখানে তথ্যগত গরমিল থাকতে পারে।
লন্ডন ইম্পেরিয়াল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
মন্তব্য করুন
ছুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঈদুল আজহা গ্রীষ্মকালীন ছুটি
মন্তব্য করুন
সারাদেশে আজ (১৩ জুন) থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি মিলিয়ে মোট ২০ দিনের ছুটি শুরু হয়েছে। ১৩ জুন থেকে শুরু হওয়া ছুটি শেষ হবে আগামী ২ জুলাই। তবে কলেজ পর্যায়ের কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আজও ক্লাস হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে আগামীকাল শুক্রবার (১৪ জুন) থেকে আনুষ্ঠানিক ছুটি শুরু হয়ে শেষ হবে ২ জুলাই।
আসন্ন শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) শেষ হবে। আজ রাত আটটা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে কলেজে ভর্তিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা। গত ২৬ মে শুরু হয় এ আবেদন। এদিকে পুনঃনিরীক্ষণের মাধ্যমে পরিবর্তিত ফলাফল পাওয়া শিক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। আর পেমেন্ট সংক্রান্ত সমস্যা দাখিলের ফর্মটি লিঙ্কে আবার চালু করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা-প্রতিষ্ঠান কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডস (কিউএস) ‘কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং’ প্রকাশ করেছে চলতি মাসে। এই র্যাঙ্কিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৫৫৪তম অবস্থানে রয়েছে। গত বছর প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ৬৯১ থেকে ৭০০-এর মধ্যে। এক বছরের ব্যবধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে গেছে প্রায় ১৪০ ধাপ।