ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যেভাবে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল পাকিস্তানের পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রীরা


Thumbnail যেভাবে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল পাকিস্তানের পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রীরা

চলতি বছরের আগস্টে পাকিস্তানের ৭৫ বছর পূর্ণ হবে। এই দেশটির রাজনীতির গতিপথ অনুমান করা কঠিন। এ কারণেই দেশটির ইতিহাসে এখন পর্যন্ত কোনো প্রধানমন্ত্রী তাদের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। ১৯৪৭ সাল থেকে প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রী যদি তার ৫ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারতেন তাহলে ইমরান খান পাকিস্তানের ১৫তম প্রধানমন্ত্রী হতেন। কিন্তু, ইমরান খান ছিলেন দেশটির ২২তম প্রধানমন্ত্রী। তার একমাত্র কারণ নির্ধারিত মেয়াদের আগেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীদের নানা কারণে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হয়েছে। 

শনিবার (৯ এপ্রিল) দিনভর নানা নাটকীয়তার পর মধ্যরা‌তে সংস‌দের স্পিকার, ডেপু‌টি স্পিকা‌রের পদত্যা‌গের পর অনাস্থা ভো‌টে হে‌রে পা‌কিস্তা‌নের প্রধানমন্ত্রীর পদ হারা‌ন ইমরান খান। শনিবার মধ্যরাতে পা‌কিস্তান মুসলিম লী‌গ-নওয়া‌জের (পিএমএল-এন) জ্যেষ্ঠ সাংসদ ও প্যা‌নেল স্পিকার আয়াজ সা‌দি‌কের সভাপ‌তি‌ত্বে অনাস্থা ভো‌টে হে‌রে পা‌কিস্তা‌নের সাত দশ‌কের কো‌নো প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মেয়াদ পূর্ণ কর‌তে না পারার ইতিহাসের অংশ হ‌লেন সা‌বেক এ ক্রি‌কেট তারকা। পার্লামেন্টে জাতীয় পরিষদে ১৭৪ জন সদস্য তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছে জিও নিউজ। ভোট শেষে ফল ঘোষণা করেন নতুন স্পিকারের দায়িত্ব নেওয়া সরদার আয়াজ সাদিক।

পাকিস্তানের আর্থিক দুরবস্থা ও ভুল পররাষ্ট্রনীতির অভিযোগে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিরোধী দলগুলো। তবে এ প্রস্তাবকে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে ৩ এপ্রিল তা খারিজ করে দেন জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। সেদিনই প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এ পরিস্থিতিতে স্বপ্রণোদিত হয়ে নোটিশ দেন সুপ্রিম কোর্ট। বিরোধীরাও আদালতের দ্বারস্থ হন। টানা পাঁচ দিন শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্ট ৭ এপ্রিল অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ ও জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেন এবং অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোট আয়োজনের নির্দেশ দেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা মেনে দেশটির সংসদের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সারের সভাপতিত্বে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় অধিবেশন শুরু হয়। দিনভর চলে নাটকীয়তা। কয়েক দফায় অধিবেশন স্থগিত করা হয়। 

এ তো গেলো ইমরান খানের ঘটনা। সম্প্রতি জিও নিউজ পাকিস্তানে ক্ষমতা থেকে পূর্ববর্তী সকল সরকার প্রধানকে কিভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল তার একটি প্রতিবেদন করেছে। সেখানে ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে প্রতিটি সরকার প্রধানের মেয়াদকাল এবং ক্ষমতাচ্যুতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলো এখন তুলে ধরা হলো।

লিয়াকত আলী খান: ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট-১৯৫১ সালের ১৬ অক্টোবর (৪ বছর)

পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট নির্বাচিত হন। ১৯৫১ সালের ১৬ অক্টোবর রাওয়ালপিন্ডিতে আততায়ীর গুলিতে তিনি নিহত হন। মৃত্যুর আগে ৪ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

খাজা নাজিমুদ্দিন: ১৯৫১ সালের ১৭ অক্টোবর-১৯৫৩ সালের ১৭ এপ্রিল (২ বছরের কম)

লিয়াকত আলী খান নিহত হওয়ার একদিন পর ১৯৫১ সালের ১৭ অক্টোবর দায়িত্ব গ্রহণ করেন খাজা নাজিমুদ্দিন। কিন্তু, ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলোর দাঙ্গার কারণে নাজিমুদ্দিনকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন তৎকালীন গভর্নর জেনারেল গোলাম মুহাম্মদ। কিন্তু, তিনি সেই নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর ১৯৫৩ সালের ১৭ এপ্রিল নাজিমুদ্দিনকে গভর্নর জেনারেল প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেন।

মোহাম্মদ আলী বগড়া: ১৯৫৩ সালের ১৭ এপ্রিল-১৯৫৫ সালের ১২ আগস্ট (২ বছর)

১৯৫৩ সালের ১৭ এপ্রিল গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী বগড়াকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। কিন্তু, ১৯৫৫ সালের ১২ আগস্ট আঞ্চলিক ইস্যুতে দ্বন্দ্ব এবং পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার না থাকায় ভারপ্রাপ্ত গভর্নর-জেনারেল ইস্কান্দার মির্জা তাকে সরিয়ে দেন।

চৌধুরী মোহাম্মদ আলী: ১৯৫৫ সালের ১২ আগস্ট-১৯৫৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর (১ বছর)

চৌধুরী মোহাম্মদ আলীকে ১৯৫৫ সালের ১২ আগস্ট পাকিস্তানের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেন ভারপ্রাপ্ত গভর্নর-জেনারেল ইস্কান্দার মির্জা। ১৯৫৬ সালের সংবিধানে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য পাকিস্তানে চৌধুরী মোহাম্মদ আলীর নাম এখনো উচ্চারিত হয়। কিন্তু, ১৯৫৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর দলের সদস্যদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে এবং আইয়ুব খানের একনায়কতন্ত্র নিয়ে স্পষ্টবাদী হওয়ার কারণে চাপের মুখে পড়েন তিনি। এরপর তিনি পদত্যাগ করেন।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী: ১৯৫৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর-১৯৫৭ সালের ১৭ অক্টোবর (১ বছর)

প্রগতিশীল হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৯৫৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেন। কিন্তু, ইস্কান্দার মির্জার সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে ১৯৫৭ সালের ১৭ অক্টোবর তিনি পদত্যাগ করেন।

ইব্রাহিম ইসমাইল চুন্দ্রিগার: ১৯৫৭ সালের ১৭ অক্টোবর-১৯৫৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর (২ মাস)

ইব্রাহিম ইসমাইল চুন্দ্রিগার ১৯৫৭ সালের ১৭ অক্টোবর ৬ষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি ক্ষমতায় ছিলেন মাত্র ২ মাস।

ফিরোজ খান নুন: ১৯৫৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর-১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর (১ বছরের কম)

১৯৫৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর ফিরোজ খান নুনকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদে উন্নীত করেন ইস্কান্দার মির্জা। কিন্তু, ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর জেনারেল আইয়ুব খান সামরিক আইন জারির সময় নুনকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করেন।

নুরুল আমিন: ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর-১৯৭১ সালের ২০ ডিসেম্বর (১৩ দিন)

দীর্ঘ ১৩ বছর সামরিক আইন জারির পর স্বৈরশাসক ইয়াহিয়া খানের প্রশাসনের অধীনে নুরুল আমিনকে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী করা হয়। দায়িত্ব পালনের ১৩ দিনের মাথায় ১৯৭১ সালের ২০ ডিসেম্বর আমিনকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

জুলফিকার আলী ভুট্টো

জুলফিকার আলী ভুট্টো ১৯৭৩ সালের ১৪ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী হন। তিনি ১৯৭৭ সালে পুনরায় সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং জয়ী হন। কিন্তু, স্বৈরশাসক জেনারেল মুহাম্মদ জিয়া উল হক তাকে কারাবন্দী করেন। ১৯৭৯ সালে ভুট্টোর ফাঁসি হয়।

মুহাম্মদ খান জুনেজো: ১৯৮৫ সালের ২৩ মার্চ-১৯৮৮ সালের ২৯ মে (৩ বছর)

মুহাম্মদ খান জুনেজো ১৯৮৫ সালের ২৩ মার্চ সামরিক একনায়কতন্ত্রের শাসনামলে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তবে, ১৯৮৮ সালের ২৯ মে জুনেজোর সরকার বরখাস্ত করা হয়।

বেনজির ভুট্টো: ১৯৮৮ সাল-১৯৯০ সালের ৬ আগস্ট (২ বছর)

পাকিস্তানে জেনারেল জিয়া-উল-হকের বছরের পর বছর সামরিক শাসনের পর বেনজির ভুট্টো ১৯৮৮ সালে পাকিস্তানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে তার দল অভিশংসন থেকে বেঁচে যায়। কিন্তু, তার সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি এবং ১৯৯০ সালের ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি গুলাম ইসহাক খান তাকে সরিয়ে দেন।

নওয়াজ শরীফ: ১৯৯০ সাল-১৯৯৩ সালের ১৮ জুলাই (৩ বছরের কম)

নওয়াজ শরীফ ১৯৯০ সালে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন। কিন্তু, ১৯৯৩ সালে আবারও রাষ্ট্রপতি গুলাম ইসহাক খান একটি নির্বাচিত সরকারকে বরখাস্ত করেন। পরে সুপ্রিম কোর্ট শরীফের সরকারকে পুনর্বহাল করেন। কিন্তু, সেনাবাহিনীর তৎকালীন প্রধান ওয়াহিদ কাকার ১৯৯৩ সালের ১৮ জুলাই নওয়াজ শরীফ এবং গুলাম ইসহাক খানকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন।

বেনজির ভুট্টো: ১৯৯৩ সাল-১৯৯৬ সালের নভেম্বর (৩ বছর)

বেনজির ভুট্টো ১৯৯৩ সালে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হন। কিন্তু, এবারও তিনি তার মেয়াদ শেষ করতে পারেননি। কারণ রাষ্ট্রপতি ফারুক লেঘারি ১৯৯৬ সালের নভেম্বরে তার সরকারকে বরখাস্ত করেন।

নওয়াজ শরীফ: ১৯৯৭ সাল-১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর (২ বছর)

নওয়াজ শরীফ ১৯৯৭ সালের নির্বাচনের পর পুনরায় প্রধানমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত হন। তবে, তার পূর্বসূরির মতো তিনিও ৫ বছরের মেয়াদ শেষ করতে পারেননি। ১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর জেনারেল পারভেজ মোশাররফ দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন এবং নওয়াজ শরীফকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেন।

মীর জাফরুল্লাহ খান জামালি: ১৯ মাস

জাফরুল্লাহ খান জামালি স্বৈরশাসক পারভেজ মোশারফের অধীনে প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু, মোশাররফ তাকে বরখাস্ত করার আগে তিনি মাত্র ১৯ মাস দায়িত্ব পালন করেন।

চৌধুরী সুজাত: ২০০৪ সালের ৩০ জুন-২০০৪ সালের ৩০ আগস্ট (২ মাস)

চৌধুরী সুজাত ২০০৪ সালের ৩০ জুন পার্লামেন্ট নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী হন। শওকত আজিজ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন সুজাত।

শওকত আজিজ: ২০০৪ সালের ২৮ আগস্ট-২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর (৩ বছর)

শওকত আজিজ ২০০৪ সালের ২৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন। পার্লামেন্টের মেয়াদ শেষ করে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর তিনি দায়িত্ব ত্যাগ করেন।

ইউসুফ রাজা গিলানি: ২০০৮ সাল-২০১২ সাল (৪ বছর)

ইউসুফ রাজা গিলানি ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর ১৮তম প্রধানমন্ত্রী হন। তার দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) জাতীয় পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন অর্জন করে। কিন্তু, ২০১২ সালে শীর্ষ আদালত অবমাননার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

রাজা পারভেজ আশরাফ: ২০১২ সালের ২২ জুন-২০১৩ সালের ২৪ মার্চ (১ বছরের কম)

পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) সরকারের অবশিষ্ট মেয়াদ শেষ করতে গিলানির কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন রাজা পারভেজ আশরাফ। ২০১২ সালের ২২ জুন থেকে ২০১৩ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত তিনি এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

নওয়াজ শরীফ: ২০১৩ সালের জুন-২০১৭ সালের ২৮ জুলাই (৪ বছরের বেশি)

নওয়াজ শরীফ ২০১৩ সালের জুনে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফিরে আসেন। পাকিস্তানের পূর্ববর্তী সব প্রধানমন্ত্রীর তুলনায় এখন পর্যন্ত তিনি সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৭ সালের ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক অভিশংসিত হওয়ার আগে তিনি ৪ বছর ৫৩ দিন ক্ষমতায় ছিলেন।

শাহীদ খাকান আব্বাসি: ২০১৭ সালের আগস্ট-২০১৮ সালের ৩১ মে (১ বছরের কম)

নওয়াজ শরীফকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরে শাহীদ খাকান আব্বাসিকে ২১তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের আগস্টে তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কিন্তু, ২০১৮ সালের ৩১ মে তার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। কারণ নতুন নির্বাচনের জন্য পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়।

ইমরান খান: আগস্ট ১৮, ২০১৮-এপ্রিল ১০, ২০২২ (৩ বছরের বেশি)

২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ইমরান খান। কিন্তু, ইমরান খানও নিজের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। ২০২২ সালের ১০ এপ্রিল জাতীয় পরিষদে বিরোধীদের অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা হারান ইমরান খান।

সূত্র: জিও নিউজ

প্রধানমন্ত্রী   ইমরান খান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মোদী ফের প্রধানমন্ত্রী হলে ভারতের সর্বনাশ হবে: কংগ্রেস

প্রকাশ: ০৮:৪৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আবারও নরেন্দ্র মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলে একনায়ক হয়ে দেশকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেবেন। দেশটিতে মানুষের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, তা নষ্ট করে ফেলবেন, হিন্দু-মুসলিম লড়াই বাধিয়ে দেবেন বলে দাবি করেছেন জাতীয় কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি ও 'ইন্ডিয়া' জোটের মুখ মল্লিকার্জুন খাড়গে। 

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে ইতিমধ্যে দুই দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ৭ মে তৃতীয় দফায় মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ। তার আগে রোববার (৫ মে) মালদার সুজাপুর হাতিমারি ময়দানে আয়োজিত জনসভায় উত্তর মালদা ও দক্ষিণ মালদা আসনগুলোতে বামফ্রন্ট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম এবং ইশা খান চৌধুরীর সমর্থনে ভাষণ দেন মল্লিকার্জুন খাড়গে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে খাবার খান, তা হজম করার জন্য কংগ্রেসের নামে কু-কথা বলতে হয়। কু-কথা না বললে তার খাবার হজম হয় না।

কংগ্রেস সভাপতি বলেন, কংগ্রেস সরকার মনরেগার ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প তৈরি করেছে, গরিবদের পেট ভরার জন্য ফুড সিকিউরিটি অ্যাক্ট'র মাধ্যমে বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করেছে। নরেন্দ্র মোদী কি এ ধরনের কোনো প্রকল্প দিয়েছেন? আমাদের সরকার শিক্ষা সুরক্ষার জন্য কাজ করছে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী ভারতে অশিক্ষার আলো জ্বালাতে চান। গরিবকে আরও গরিব করে রাখতে চান। এ ধরনের মানুষ তিনি।

মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ভাই এবং বোনেরা বলা ছাড়া নরেন্দ্র মোদী দেশের জন্য কিছুই করেননি। এখানে এসে বলেছিলেন, কংগ্রেসের নেতারা বিদেশে বেআইনি অর্থ রেখেছেন, সেই অর্থ আমি সুইস ব্যাংক থেকে আনবো, আর ভারতের প্রত্যেক নাগরিকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ রুপি দেওয়া হবে। কোথায় গেলো সেইসব অর্থ?

এরপর বিজেপি নেতাকে কটাক্ষ করে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, প্রতি বছর দুই কোটি যুবককে চাকরি দেবো। ১০ বছরে কত চাকরি হওয়ার কথা ছিল? ২০ কোটি। ভারতে বেকার যুবকরা কি ২০ কোটি চাকরি পেয়েছে? পায়নি।

তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদী জনগণকে কখনো সত্যি কথা বলেন না। এ কারণেই বলতে হয়, মোদীজি, আপনি মিথ্যাবাদীদের সর্দার।

ইন্ডিয়া জোটের প্রধান আরও বলেন, এখন নরেন্দ্র মোদী আরও একটি মিথ্যা কথা বলছেন যে, জাতীয় কংগ্রেস জনগণনা প্রকল্পের মাধ্যমে জনগণের সম্পত্তি ভাগ করে দিতে চায়। আর সেই সম্পত্তি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের দিতে চায়। কিন্তু আমি নরেন্দ্র মোদীকে বলবো, আপনি জেনে রাখুন, ভারতের সংবিধানে রয়েছে, সবার সমান অধিকার। মুসলিমদের যেমন সমান অধিকার, তেমনি হিন্দুদেরও সমান অধিকার। শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান- সবার জন্য সমান অধিকার, যা বাবা সাহেব বিআর আম্বেদকর লিখে গেছেন।

কংগ্রেসের বর্ষীয়ান এ নেতা বলেন, আমরা সবসময় দেশকে একজোট করে রাখতে চাই। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী কখনোই দেশকে একজোট করে রাখতে চান না। কখনো জাতির নামে, কখনো হিন্দু-মুসলিমদের নামে, কখনো নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের নামে দেশকে ভাগাভাগি করতে চান। তিনি আরও একবার প্রধানমন্ত্রী হলে একনায়ক হয়ে দেশকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেবেন। দেশে জাতিগুলোর মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, তা নষ্ট করে ফেলবেন, হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে লড়াই বাধিয়ে দেবেন। কিন্তু জাতীয় কংগ্রেস কখনো দেশকে ভাঙতে দেবে না। আমরা সবাই এক হয়ে লড়াই করবো দেশের জন্য।


নরেন্দ্র মোদী   ভারত   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আল জাজিরা বন্ধ করতে ইসরায়েলের সংসদে ভোট

প্রকাশ: ০৮:২২ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা ইসরায়েলে আল জাজিরার কার্যক্রম বন্ধ করার পক্ষে সর্বসম্মতভাবে ভোট দিয়েছে। একটি সরকারি বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। 

চলমান গাজা যুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত বিদেশি টিভি চ্যানেল অস্থায়ীভাবে বন্ধ করার অনুমতি চেয়ে একটি আইন পাস করেছিল ইসরায়েলের সংসদ। এরপরই রবিবার দেশটির মন্ত্রিসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুমোদিত আইন অনুযায়ী নেতানিয়াহু ও নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ৪৫ দিনের জন্য ইসরায়েলে বিদেশি টিভির কার্যালয় বন্ধ করতে পারবে, যা নবায়নযোগ্য। এটি জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত বা গাজায় বড় সামরিক অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত বজায় থাকবে।

নেতানিয়াহু আল জাজিরাকে উস্কানিমূলক গণমাধ্যম বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলে উস্কানিমূলক চ্যানেল আল জাজিরা বন্ধ করে দেওয়া হবে। 


আল জাজিরা   বন্ধ   ইসরায়েল   সংসদ   ভোট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কেনিয়ায় বন্যা, প্রাণহানি বেড়ে ২২৮

প্রকাশ: ০৬:৫০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ২২৮ জনে পৌঁছেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে গত কয়েকদিনে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটেছে বলে রোববার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিপাতে কেনিয়াজুড়ে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে। দেশটিতে মে মাসে আরও খারাপ আবহাওয়া পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

এক বিবৃতিতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বন্যায় আরও নিচু, নদী তীরবর্তী এলাকা ও শহরাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এ সময় খাড়া ঢালু, উঁচু পাহাড় ও গিরিখাত এলাকায় ভূমিধস অথবা কাদা ধস ঘটতে পারে।

বন্যায় পূর্ব আফ্রিকার বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটিতে অনেক বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, সেতু এবং অন্যান্য অবকাঠামো ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈরী আবহাওয়ায় আরও কমপক্ষে ১৬৪ জন আহত ও ২ লাখ ১৩ হাজার ৬৩০ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।


কেনিয়া   বন্যা   প্রাণহানি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেনের কয়েক অঞ্চলে রাশিয়ার হামলা

প্রকাশ: ০৬:৩৪ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেনের খারকিভ ও দিনপ্রো ও ওডিশায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ হামলা দুইজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং একটি খাদ্য কারখানায় আগুন ধরে যায়। তাছাড়া বেশ কিছু বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনের পাশাপাশি অন্যান্য অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, হামলায় বিভিন্ন ধরনের আটটি ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রায় ৭০টি গাইডেড এরিয়াল বোম ব্যবহার করা হয়েছে।

এর আগে ইউক্রেনের এয়ার ফোর্স খারকিভ ও দিনপ্রো লক্ষ্য করে ছোড়া ১৩টি শাহেদ ড্রোন ভূপাতিত করে।

সম্প্রতি ইউক্রেনের জন্য সহায়তা বিল পাস হয়েছে মার্কিন সিনেটে। এরপরই কিয়েভের বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া।


ইউক্রেন   রাশিয়া   হামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নিউইয়র্কে বাংলাদেশি হত্যার ভিডিও প্রকাশ (ভিডিও)

প্রকাশ: ০৬:২০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

নিউইয়র্কে নিজ বাড়ির রান্নাঘরে বাংলাদেশি উইন রোজারিও (১৯) নামের বাংলাদেশি তরুণকে দুই পুলিশ গুলি করে হত্যা করার ৩৬ দিন পর ৩ মে পুলিশের বডি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ করেছেন নিউইয়র্ক স্টেটের অ্যাটর্নি জেনারেল (এজি) লেটিশা জেমস। 

সেই ভিডিও ফুটেজ দেখার পর ডুকরে কাঁদতে কাঁদতে উইনের মা নট্যান আভা কোস্টা, বাবা ফ্রান্সিস রোজারিও এবং ছোটভাই উৎস রোজারিও বলেছেন, ‘প্রতিটি দিনক্ষণ আমরা উইনের অনুপস্থিতি গভীর বেদনার সঙ্গে অনুভব করছি। এমন নিদারুন কষ্ট থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছি না। এ অবস্থায় আমরা আশা করছি সেই ফুটেজ জনসমক্ষে প্রকাশের কোনো প্রয়োজন নেই। ফুটেজ স্পষ্ট করেছে যে, উইনের বেঁচে থাকা উচিত ছিল। কিন্তু পুলিশ এসে তাকে হত্যা করেছে। আমাদের এবং উইনের সুরক্ষার পরিবর্তে পুলিশ অফিসাররা উইনকে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় গুলি করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন। তাই আমরা চাচ্ছি সেই দুই পুলিশ অফিসারকে বরখাস্ত করে যত দ্রুত সম্ভব তাদের বিচারে সোপর্দ করা হোক।’  

উল্লেখ্য, উইন রোজারিও ছিল মানসিক রোগী। গত ২৭ মার্চ দুপুরে নিউইয়র্ক সিটির ওজোনপার্কে তার মা এবং ভাইয়ের সঙ্গে কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করলে ৯১১-এ ফোন করে পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়। নিউইয়র্ক পুলিশের দুই অফিসার বাসায় এসে উইনকে নিবৃত্ত করার চেষ্টার একপর্যায়ে টেজার (এক ধরনের অস্ত্র, যা বিদ্ধ করে উত্তেজিত/অবাধ্য লোকদের নিস্তেজ করা যায়) ছোঁড়া হয়। সে সময়ে উইনের মা উইনকে জড়িয়ে ধরে পুলিশের প্রতি আকুতি জানাচ্ছিলেন গুলি না করার জন্য। তবুও পুলিশ সাড়া দেওয়ার পরিবর্তে উপর্যুপরি টেজার ছোড়ার আতঙ্কে মানসিক বিকারগ্রস্ত উইন চেয়ারের ওপরে রাখা মাছ/মাংস কাটার কেঁচি হাতে নিয়ে পুলিশের প্রতি ধেয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেই উভয় অফিসার কয়েক রাউন্ড গুলিতে উইনকে ধরাশায়ী করেন। ফুটেজে তা স্পষ্ট হয়েছে। 

ফুটেজ দেখে সুস্থ মস্তিষ্কের অনেকেই বলছেন যে, টেজার ছোড়ার পর উইনকে গুলি করার প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু পুলিশ অফিসারদ্বয় সে চেষ্টা করেননি। উইন হত্যাকান্ডের পর থেকেই পরিবার এবং কমিউনিটির পক্ষ থেকে দাবি জানানো হচ্ছিল বডি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশের জন্য। কিন্তু নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট তা আমলে না নেওয়ায় স্টেটের অ্যাটর্নি জেনারেল তা প্রকাশ করল। 


নিউইয়র্ক   বাংলাদেশি হত্যা   উইন রোজারিও  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন