ক্লাব ইনসাইড

ঢাবিতে ডুসারের নবীনবরণ ও কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা

প্রকাশ: ০৮:৩২ এএম, ১১ এপ্রিল, ২০২২


Thumbnail ঢাবিতে ডুসারের নবীনবরণ ও কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা

রোববার (১০ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব রায়পুরার (ডুসার) নবীনবরণ, কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে একই উপজেলার ২৬ জন নবীন শিক্ষার্থীকে ফুল ও স্মারক দিয়ে বরণ করা হয়। পাশাপাশি স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ে মেধাস্থান অর্জন করায় তিন শিক্ষার্থীকে শুভেচ্ছা স্মারক দেওয়া হয়। একই সঙ্গে নতুন চাকরিতে প্রবেশ করা সংগঠনের তিন সদস্যকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের ক্যাফেটেরিয়ায় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট ভাষাবিদ অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান। এসময় তিনি বলেন, সৃষ্টিশীল কাজ করে প্রথম শ্রেণির মানুষ। বিশ্ববিদ্যালয় একটি উন্মুক্ত জায়গা। এখানে জ্ঞানের যেমন অবারিত ক্ষেত্র আছে, তেমনি নিজেকে গড়ার কাজও করতে হবে। নরসিংদীর রায়পুরার একটা ঐতিহ্য আছে। শামসুর রাহমান, আলাউদ্দিন আল আজাদ, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের জন্ম সেখানে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এলাকার সেই ঐতিহ্যগুলো সংরক্ষণ করার চেষ্টা করতে হবে। রায়পুরার যে ঐতিহ্য রয়েছে সেটাকে ধারণ ও সংরক্ষণ করতে হবে। ডুসার সেটি নিয়ে কাজ করবে বলে আশা করি।

সারা দেশে উচ্চশিক্ষিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করা অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব ও পে ইট ফরওয়ার্ড, বাংলাদেশের নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেন নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনেক দ্বার উন্মোচন করে দেয়। এই সময়টা তোমাদের জন্য মজা করারও! মজা করবে, উপভোগ করবে, তবে লক্ষ্যচ্যুত হবে না। একটা লক্ষ্য যদি ঠিক থাকে এবং সে অনুযায়ী যদি কাজ করো তবেই সফল হবে। বর্তমান সময়ে শুধু বিসিএস ক্যাডার হতে হবে তা নয়। কেউ শিক্ষক, কেউ আমলা, কেউ ব্যবসায়ী, কেউ সাংবাদিক বা অন্য যাই হোক লক্ষ্যটা স্থির করো। তবে বিশেষ হতে হবে এমনটি নয়। সবাই যদি বিশেষ হয় তাহলে বিশেষের মর্যাদা থাকে না।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সাইফুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি জায়গায় আজ ঘুরেছি। ছাত্রজীবনের নানা স্মৃতি মনে পড়েছে এখানে এসে। এই বিশ্ববিদ্যালয় অনেক আবেগের জায়গা। এখান থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের চেয়ারপারসন তাওহিদা জাহান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় একটি উন্মুক্ত জায়গা। এখানে নানা পথ খুঁজে পাবে। তবে জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তোলা যায় এমন পথের অনুসন্ধান করবে। তোমাদের অগ্রজদের কাছে সেই পরামর্শ নিবে এবং তারাও তোমাদের সেই পরামর্শ দিবে বলেই প্রত্যাশা করি।


এরআগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ সেশনে রায়পুরা উপজেলা থেকে ভর্তি হওয়া ২৬ জন নবীন শিক্ষার্থীকে ফুল ও স্মারক দিয়ে বরণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে অনার্সে প্রথম স্থান অর্জন করায় ডুসারের সাবেক সহ-সভাপতি নাহিদা আক্তার, বাংলা বিভাগে অনার্সে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করায় সাবেক সহ-সভাপতি সূচনা ইসলাম এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগে অনার্সে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করায় মাহফুজা আক্তার সুপাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এছাড়াও মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির সহকারী পরিচালক পদে যোগ দেওয়ায় ডুসারের সাবেক সভাপতি মো. আল-আমিন, রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে যোগ দেওয়ায় ডুসারের ছাত্র উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের কন্সালটেন্ট (জুনিয়র) পদে যোগ দেওয়ায় মো. সিরাজুল ইসলাম মিলনকে শুভেচ্ছা স্মারক দেওয়া হয়।

ডুসারের সভাপতি জাহিদ হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক পরিচালক আব্দুল আজিজ ভূঁইয়া, বাংলা ভিশনের প্রধান সম্পাদক ড. আব্দুল হাই সিদ্দিক, সিগমা বাংলাদেশের সিইও মো. আনোয়ার হোসেন, ডুসারের ছাত্র উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসাইন, সাইফুল ইসলাম, বিদায়ী সভাপতি ছগির আহমাদ, বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মো. শাহীন মিয়া প্রমুখ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়   ডুসার  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

লেখাপড়া শিখে অকেজো থাকা যাবে না: ইবি ভিসি


Thumbnail

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি অধ্যাপক . শেখ আবদুস সালাম বলেছেন, লেখাপড়া তো করতেই হবে। কিন্তু লেখাপড়া শিখে অকেজো থাকা যাবে না। বাজারে অবস্থান তৈরি করার জন্য নিজেকে যোগ্য করে তুলতে হবে। আর এজন্য জ্ঞান, প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তির সঠিক সমন্বয় ঘটিয়ে যোগ্য তৈরি হতে হবে। 

 

রোববার (১৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি এসব কথা বলেন। সকাল সাড়ে ১০টায় এই অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।

 

অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে ছিলেন আইসিটি ডিভিশনের ইডিজিই (এনহেন্সিং ডিজিটাল গাভার্ণমেন্ট এন্ড ইকোনমি) প্রজেক্টের পরিচালক এবং যুগ্ম-সচিব সাখাওয়াত হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভিসি . মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার . আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রামের সমন্বয়ক . ফারুকুজ্জামান খান এবং ইডিজিই প্রজেক্টের স্মার্ট লিডারশীপ একাডেমির স্পেশালিস্ট . মাজহারুল হক। ইবি ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রামের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি . রবিউল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সফট বিডি লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আতিকুল ইসলাম খান স্পেশালিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ইডিজিই (এনহেন্সিং ডিজিটাল গাভার্ণমেন্ট এন্ড ইকোনমি) প্রোজেক্টের অধীনে ৮০ হাজার শিক্ষার্থীকে এমপাওয়ারড্ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই ট্রেনিংয়ের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা জরুরি বিভিন্ন কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি জব মার্কেট, কার্যকরী ব্যবসায়িক যোগাযোগ, প্রফেশনাল ওয়ার্কপ্লেস নর্মস সম্পর্কে জানবে।


ইবি   ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রাম   প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তি  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

ইবিতে র্কমচারীদরে দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ র্কমশালা


Thumbnail

ইসলামী বশ্বিবদ্যিালয়ে (ইবি) ‘র্কমচারীদরে দক্ষতা বৃদ্ধিতে শুদ্ধাচাররে ভূমকিা’ র্শীষক প্রশিক্ষণ র্কমশালা অনুষ্ঠতি হয়ছে। রববিার (১৯ মে) সকাল ১০টায় প্রশাসন ভবনরে ৩য় তলার সভাকক্ষে সহায়ক র্কমচারীদরে অংশগ্রহণে এই কর্মশালা শুরু হয়। 

 

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম কর্মশালার শুভ উদ্বোধন করেন। এপিএ টিমের আহবায়ক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো: মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ও রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো: আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ.এম. আলী হাসান। রিসোর্স পার্সন ছিলেন উপ-রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) ও এপিএ ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা চন্দন কুমার দাস।

 

কর্মশালায় বক্তারা কর্মচারীদের সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার তাগিদ দেন।


ইবি   দক্ষতা বৃদ্ধি   কর্মশালা  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

অধ্যক্ষের রুমে ঢুকে শিক্ষক পেটানো ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৮:৪৫ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রামের গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের রুমে ঢুকে শিক্ষক পেটানোর ঘটনায় কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মোঃ সাফাতুন নুর চৌধুরীকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

শুক্রবার (১৭ মে) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা মর্যাদা পরিপন্থি এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে মো. সাফাতুন নুর চৌধুরীকে (যুগ্ম-আহ্বায়ক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ শাখা) বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে কলেজের কার্যক্রম চলা অবস্থায় ফ্যান নষ্ট থাকার জের ধরে অধ্যক্ষের কক্ষে ঢুকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক . কে এম আতিকুর রহমানের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হন ছাত্রলীগ নেতা। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শিক্ষককে কিল-ঘুষি-লাথি মেরে আহত করেন তিনি।


ছাত্রলীগ   শিক্ষক পেটানো   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

বহিষ্কার হওয়ার পর যা বললেন রাবির সেই চার ছাত্রলীগ নেতা

প্রকাশ: ০৬:২১ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ৪ ছাত্র নেতাকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ। তবে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা নেই দাবি একাধিক ছাত্রনেতার। এমনকি ঘটনা দ্বিপাক্ষিক হলেও একপাক্ষিকভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দাবি বহিস্কৃত ছাত্রনেতাদের।  

 

বহিস্কৃত ছাত্রনেতারা বলছেন, ঘটনার সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতা নেই। হলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখার দাবি তাদের। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এমন সিদ্ধান্ত একপাক্ষিক হয়েছে বলে দাবি করেন তারা। ঘটনায় পত্রিকা বা গণমাধ্যমে নাম না উঠলেও বিনা কারণে বহিস্কৃত হয়েছেন।

 

বহিষ্কৃত ছাত্রনেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল সরকার ডন বলেন, ‘কি থেকে কি হয়েছে আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা চার জনের মধ্যে আমার নাম উল্লেখ থাকলেও প্রকৃতপক্ষে ঘটনার সাথে আমার কোনো ধরণের সংশ্লিষ্টতা নেই। ঘটনায় হলের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করলে আমাকে পাওয়া যাবে না। এমন সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ আমার বিরুদ্ধে গিয়েছে। ৭ দিন সময় দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। ঘটনার সাথে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই এবং আমি নির্দোষ এ বিষয়টি ঢাকায় গিয়ে সরাসরি কথা বলবো।’ 

 

শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, ‘ঘটনাগুলো দ্বিপাক্ষিক হলেও শুধু আমাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। ওই দলের বিরুদ্ধে (বাবু-গালিব) এখন পর্যন্ত সাংগঠনিকভাবে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখিনি। আমাদের কারণ নির্দেশনার জন্য সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে কিন্তু ঢাকা যাবো কিনা এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। আজ (১৫ মে) ছিনতাইয়ের অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে উঠেছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যাচার। তা রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনের পূর্ব পরিকল্পিত। আমি আতিকের (হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি এবং হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা) রুমে যায়ই নি। তাহলে আমি তার রুমে ভাঙচুর কিভাবে করব অথবা টাকা কিভাবে হাতিয়ে নিবো? এগুলা আমার বিরুদ্ধে সাজানো একটা নাটক এবং পূর্বপরিকল্পিত।’ 

 

আরেক বহিস্কৃত ছাত্রনেতা ও শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু বলেন, ‘খুবই একটি বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি। এ ঘটনায় পত্রিকা বা গণমাধ্যমে কোথাও আমার নামে অভিযোগ না আসলেও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিসের ভিত্তিতে বহিষ্কার করা হয়েছে এটা আমার জানা নেই। তবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যে সিদ্ধান্ত নিবে আমি তা মাথা পেতে নেব। আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতি করি। ক্যাম্পাসের কারও রাজনীতি করিনা। এছাড়া ঢাকায় গিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাথে কথা বলে বিষয়টা সমাধান করার চেষ্টা করবেন বলে জানান এই ছাত্রনেতা।’

 

বহিষ্কৃত নেতা শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিরুজ্জামান রুহুল বলেন, ‘ঘটনা যাই হোক আমাদের সর্বোচ্চ অভিভাবক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ থেকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে রাজি নই। ছাত্রলীগের কর্মী হিসাবে আমরা তাদের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য। তবে আমি গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পেরেছি পান্থ ভাই নাকি (কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক) বলেছেন আমরা নির্দোষ হলে অবশ্যই আমাদের বহিষ্কারাদেশ বাতিল করা হবে। তাই ঢাকায় গিয়ে আমরা লিখিতভাবে আমাদের অবস্থান ব্যক্ত করবো।’

 

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তত্বাবধায়ক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-শিক্ষা ও পাঠ্যক্রম সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রলীগের কোন নেতা-কর্মী নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে জড়ালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। আমরা শীঘ্রই সাংগঠনিক সফরে এসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করব।’ 

 

প্রসঙ্গত, এর আগে ১১ মে রাতে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে গেস্ট রুমে বসাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দু'পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল বিষ্ফোরণ ও অস্ত্রের ঝনঝনানিতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ক্যাম্পাস। সোহরাওয়ার্দী হল সহ আশেপাশের হলগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করে। ঘটনার এক দিন পর ১৩ মে রাতে পুনরায় একই স্থানে অস্ত্রের মহড়া দিতে দেখা যায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। 

এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১৪ মে) সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদ রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল সরকার ডন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু এবং  সাংগঠনিক সম্পাদক কাব্বিরুজ্জামান রুহুল এই চার নেতা কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব আগামী ৭ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। 


ছাত্রলীগ   রাবি বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

রাবি শাখা ছাত্রলীগের ৪ নেতা বহিষ্কার

প্রকাশ: ১২:৫০ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চার ছাত্রলীগ নেতাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সাথে তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব আগামী সাত দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হলো।

 

মঙ্গলবার (১৪ মে) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই চার ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়। 

 

বহিষ্কার হওয়া ছাত্রলীগ নেতারা হলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল সরকার ডন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু, এবং শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিরুজ্জামান রুহুল।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে শাহিনুল সরকার ডন (সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা), নিয়াজ মোর্শেদ (যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা), আশিকুর রহমান অপু (যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) ও কাবিরুজ্জামান রুহুল (সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো এবং তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব উল্লেখিত ব্যক্তিদের আগামী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হলো।


রাবি   ছাত্রলীগ   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন