করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে সৌদি আরব ১৬ টি দেশে তাদের নাগরিকদের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করেছে।
সৌদি পাসপোর্ট অফিসের ডিরেক্টর জানিয়েছে, ১৬টি দেশে সৌদি আরবের নাগরিকদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেগুলি হল:
লেবানন, সিরিয়া, তুরস্ক, ইরান, আফগানিস্তান, ভারত, ইয়েমেন, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো, লিবিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, আর্মেনিয়া, রাশিয়া বেলারুশ, এবং ভেনিজুয়েলা।
পাসপোর্ট অধিদপ্তর আরও স্পষ্ট করেছে যে বৈধ পাসপোর্টে আরব দেশগুলিতে ভ্রমণের সময় তিন মাসের বেশি এবং অন্যান্য দেশে ছয় মাসের বেশি হওয়া উচিত।
অন্যদিকে, বেইজিং শনিবার বিকালে ৬৩ টি নতুন অভ্যন্তরীণ কোভিড-১৯ সংক্রমণের খবর জানিয়েছেন চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা।
সূত্রঃ গালফ টুডে
মন্তব্য করুন
পরমাণু শক্তি চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বেনি গান্টজ
মন্তব্য করুন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মুসলিমদের ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন। এক বাণীতে তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে আহ্বান জানিয়েছেন।
বাইডেন বলেন, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান ভয়াবহ যুদ্ধ থেকে বেসামরিক মানুষদের রক্ষার এটাই সর্বোত্তম সময়।
গাজা প্রসঙ্গে বাইডেন বলেন, ‘হাজারো শিশুসহ বহু নিরীহ মানুষ নিহত হচ্ছেন। পরিবারগুলো ঘর হারাচ্ছে। স্থানীয় লোকজন দেখছেন, কীভাবে আশপাশের মানুষ ধ্বংস হচ্ছে। তাদের যন্ত্রণা সীমাহীন।’
বাইডেন আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত হয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, গাজায় ভয়াবহতা বন্ধ করা ও যুদ্ধ থামাতে এটাই সবচেয়ে ভালো কৌশল।’
এ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে নিতে ও বাস্তবায়ন করতে হামাস ও ইসরায়েল—দুই পক্ষকেই চাপ দিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। গত সপ্তাহে নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটিতে পাস হওয়া প্রস্তাবটিতে প্রাথমিকভাবে ছয় সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে।
মিয়ানমার, চীনের উইঘুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নিপীড়নের মুখে থাকা মুসলমানদের অধিকারের পক্ষে ওয়াশিংটনের প্রচেষ্টার কথা বিবৃতিতে তুলে ধরেন জো বাইডেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমরা সুদানে ভয়ংকর সংঘাতের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কাজ করছি।’
মন্তব্য করুন
রাশিয়া ও চীনের ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবিলায় নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডারে থাকা পারমাণবিক বোমা মোতায়েন ও প্রস্তুত রাখার বিষয়ে আলোচনা করছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। সোমবার (১৭ জুন) এক সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফকে এই কথা জানিয়েছেন সামরিক জোটটির প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ।
এর আগে গত সপ্তাহে স্টলটেনবার্গ বলেছিলেন, পারমাণবিক অস্ত্র ন্যাটোর চূড়ান্ত নিরাপত্তা গ্যারান্টি এবং বিশ্বে শান্তি রক্ষার একটি উপায়।
জেনস স্টলটেনবার্গ জানান, ন্যাটোর পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে এর সদস্যদের মধ্যে সরাসরি আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, কতগুলো পারমাণবিক ওয়ারহেড মোতায়েন করা হবে এবং কতগুলো সংরক্ষণ করা হবে, সে সম্পর্কে আমি বিস্তারিত আলাপে যাব না। তবে আমাদের এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে হবে। আমরা ঠিক এটাই করছি।
ন্যাটো প্রধান বলেন, স্বচ্ছতা সরাসরি বার্তা বিনিময়ে সাহায্য করে। আর হ্যা, আমরা অবশ্যই একটি পারমাণবিক জোট।
তিনি আরও বলেন, ন্যাটোর লক্ষ্য অবশ্যই পারমাণবিক অস্ত্রবিহীন একটি বিশ্ব। কিন্তু যতদিন পারমাণবিক অস্ত্র থাকবে আমরা তত দিন একটি পারমাণবিক জোট হিসেবে থাকব। কারণ রাশিয়া, চীন ও উত্তর কোরিয়ার কাছে পারমাণবিক অস্ত্র থাকবে আর ন্যাটোর কাছে না থাকলে, বিশ্ব আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।
ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বহুবার সতর্ক করে বলেছেন, চরম পরিস্থিতিতে আত্মরক্ষার জন্য রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। মস্কোর অভিযোগ, ইউক্রেনকে শত শত কোটি ডলারের অস্ত্র দিয়ে পশ্চিমারা বিশ্বকে পারমাণবিক সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
এদিকে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে পারমাণবিক বোমা মোতায়েন করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই বিষয়ে খুব কম কথাই বলে ন্যাটো।
মন্তব্য করুন
গ্রিসের কোস্টগার্ডের কারণে গত তিন বছরে ভূমধ্যসাগরে বহু অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে জোরপূর্বক সাগরে ছুড়ে ফেলায় অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শীদের।
বিবিসির বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, এই ৯ জনসহ ৪০ জনের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে জোরপূর্বক গ্রিক জলসীমা থেকে বের করে দেওয়া, গ্রিস নিয়ন্ত্রিত দ্বীপে পৌঁছানোর পরও জোরপূর্বক সাগরে ঠেলে দেওয়ার জেরে।
তবে গ্রিসের কোস্টগার্ড অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, তাদের নিজস্ব অনুসন্ধানে বেআইনি কাজে যুক্ত থাকার কোনো অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
বিবিসির পক্ষ থেকে গ্রিসের কোস্টগার্ডের ‘বেআইনি’ কার্যক্রমের ১৫টি ঘটনা যাচাই করেছে। ২০২০ সালের মে থেকে ২০২৩ সালের মে মাসের মধ্যে এসব ঘটনা ঘটেছে। ৪৩ জনের মৃত্যু ঘটেছে এসব ঘটনায়। মূলত স্থানীয় সংবাদমাধ্যম, বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ও তুরস্কের কোস্টগার্ডের কাছ থেকে এসব তথ্য পেয়েছে বিবিসি।
প্রাপ্ত তথ্যগুলো নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা বেশ কঠিন ছিল। কেননা, প্রত্যক্ষদর্শীদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত এর মধ্যে চারটি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলতে সক্ষম হয় বিবিসি। এ অনুসন্ধান নিয়ে ‘ডেড কাম: কিলিং ইন দ্য মেড?’ শিরোনামে তথ্যচিত্র বানিয়েছে বিবিসি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, গ্রিসের কোস্টগার্ডের সদস্যরা তাঁদের সাগরে ছুড়ে ফেলেছিলেন। চারটি ঘটনায় গ্রিসের দ্বীপে পৌঁছে যাওয়ার পরও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কয়েকটি ঘটনায়, ইঞ্জিনবিহীন ডিঙিতে চাপিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সাগরে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুনের এক ব্যক্তি জানান, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি গ্রিসের সামোস দ্বীপের উপকূলে পৌঁছে গিয়েছিলেন। দেশটিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। তিনি বলেন, ‘পাঁচজন পুলিশ এসে আমাদের পাকরাও করে। দুজন কালো পোশাকে আর বাকি তিনজন বেসামরিক পোশাকে ছিলেন। মুখে মাস্ক পরায় শুধু চোখ দেখা যাচ্ছিল তাঁদের।
ক্যামেরুনের ওই ব্যক্তির সঙ্গে আরও দুজন ছিলেন। তাঁদের একজনের বাড়ি ক্যামেরুনে, অন্যজনের আইভরি কোস্টে। পরে তাঁদের কোস্টগার্ডের নৌকায় তুলে দেওয়া হয়। ওই ব্যক্তি জানান, আইভরি কোস্টের ওই ব্যক্তিকে সাগরে ছুড়ে ফেলেন কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
তাঁর হাত শুধু পানির ওপরে ছিল। পুরো শরীর পানির নিচে। তিনি বাঁচার জন্য চিৎকার করছিলেন। ধীরে ধীরে তিনি পানিতে তলিয়ে যান। এভাবেই ঘটনার বর্ণনা করেন প্রত্যক্ষদর্শী ওই ব্যক্তি। এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীর দুই সঙ্গী মারা যান। আর তাঁকে লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই তুরস্কের দিকে ঠেলে দেয় গ্রিসের কোস্টগার্ড।
কোস্টগার্ড ভূমধ্যসাগর জোরপূর্বক
মন্তব্য করুন