ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তবে কি সারা বিশ্বে খাদ্য সংকট আসন্ন?

প্রকাশ: ১২:০২ পিএম, ২৩ মে, ২০২২


Thumbnail তবে কি সারা বিশ্বে খাদ্য সংকট আসন্ন?

বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষেরই হয়ত জানা নেই খাদ্য দ্রব্য উৎপাদন এবং তা রপ্তানিতে ইউক্রেন ও রাশিয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিংবা করোনায় বিশ্বব্যাপী কি পরিমাণ ক্ষতির শিকার হয়েছেন কৃষকেরা। বেশিরভাগ মানুষ শুধু তার বাসার বাজারেই তেলের দাম কিংবা ময়দার কেজি নিয়েই দোকানির সাথে তর্ক করেই ক্ষান্ত। কিন্তু এই সব অজানা তথ্য হয়ত সাধারণের জন্য সরাসরি কোন কাজে না আসলেও তা মানুষকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করবে নিশ্চিত। 

অনাবৃষ্টি এবং অত্যধিক ভারী বৃষ্টিপাতের মতো কারণে এমনিতেই ২০১১ সাল থেকে খাদ্য দ্রব্যর দাম রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছে ছিলো। সেই সাথে করোনা মহামারী ও সর্বশেষ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বের খাদ্য বাজারে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি করে। এরই মধ্যে দেশে দেশে দেখা দিয়েছে রেকর্ড মূল্যস্ফীতি। বেড়ে গেছে জীবনযাত্রার ব্যয়। গমের দাম, বছরের শুরু থেকে বেড়েছে ৫৩ শতাংশ। ভারত যখন ১৬ই মে তাদের দেশ থেকে গম রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে তখন এর দাম বৃদ্ধি পায় আরও ৬ শতাংশ। দ্যা ইকোনমিস্ট

এর আগে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে বিশ্বজুড়ে খাদ্য ঘাটতি দেখা যাবে।‘

চীনের উহানে ২০২০ সালে করোনা ভাইরাস শনাক্তের পর সারা বিশ্বে ৮৫ কোটি মানুষ সরাসরি খাদ্য নিরাপত্তাহিনতার মাঝে ছিলো। কিন্তু এই পরিস্থিতি আরো পাল্টে যায় রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর। এই যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং মুহূর্ত তৈরি করে। 

সারা বিশ্বের মোট খাদ্য রপ্তানির ১০ শতাংশ একাই রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে রপ্তানি হয়ে থাকে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার অধীনে সারা বিশ্বের ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য যাওয়া বেশির ভাগ খাবার একাই রপ্তানি হয়ে থাকে ইউক্রেন থেকে। এই যুদ্ধের ফলে সেখান থেকে খাদ্য রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। ইউক্রেনে প্রতিটি বন্দর এখন হামলার প্রধান টার্গেট।     

বিশ্বের খাদ্য রপ্তানির জন্য ইউক্রেন ও রাশিয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা একটি পরিসংখ্যানে খেয়াল করলেই বোঝা যাবে। বিশ্বের মোট সূর্যমুখী তেলের ৬০ শতাংশ, গমের ৩০ শতাংশ, বার্লির ২৫ শতাংশ, তিসির ২৪ শতাংশ, ভুট্টার ১৪ শতাংশ যেখানে ইউক্রেন থেকে একাই ১৩ শতাংশ, সূর্যমুখী বীজের ১৩ শতাংশ, খাদ্য উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত সারের ১৪ শতাংশ রপ্তানি হয় দেশ দুটি থেকে। বিশ্বের কমপক্ষে ২৬টি দেশের কোটি কোটি জনগণ তাদের অর্ধেকেরও বেশি খাদ্যশস্যের জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেনের ওপর সরাসরি নির্ভরশীল। ভক্স নিউজ। 



মিশর এবং তুরস্ক তাদের গম সরবরাহের ৭০ শতাংশের জন্য সম্মিলিতভাবে রাশিয়ান-ইউক্রেনীয়দের উপর নির্ভর করে। ২০২০ সালে ইউক্রেনের ৯৫ শতাংশ গম রপ্তানি হয়েছিল শুধুমাত্র এশিয়া (মধ্যপ্রাচ্য সহ) ও আফ্রিকায়। এমনকি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি, যেমন ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মত দেশগুলো এই অঞ্চলের গমের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। 

রপ্তানিতে এই বাধাগুলি সম্ভবত এই দেশগুলির খাদ্য নিরাপত্তাহীনতাকে আরো বাড়িয়ে তুলছে। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের-এর মতে, ইয়েমেনের ৩ কোটি মানুষের প্রায় অর্ধেকই অপর্যাপ্ত খাবার পায়। বাংলাদেশের প্রায় ৩ কোটি মানুষ অপর্যাপ্ত খাদ্য পায়, এবং ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের ৩০ শতাংশের বেশি দীর্ঘস্থায়ীভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে। ইন্দোনেশিয়া এবং মিশরে যথাক্রমে আড়াই কোটি এবং ১ কোটি লোক অপর্যাপ্ত খাদ্য পায়, যেখানে নাইজেরিয়ার জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশেরও বেশি ৫.৫ কোটি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তায় ভুগছে।

সারা বিশ্বের খাদ্য উৎপাদনে সারের গুরুত্ব অপরিসীম। আর এই সার উৎপাদনে একা রাশিয়া বিশ্বে নিজেকে নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে নিয়ে গেছে। রাশিয়ার সারের উপর ইউরোপের কৃষি ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। সেই সাথে এশিয়ার দেশগুলোর জন্যও কম দামে রাশিয়ার সার বেশ উৎকৃষ্ট। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতি পুরো পরিবেশকেই ভারি করে তুলেছে। 

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) অর্থনীতিবিদ শার্লি মুস্তাফার মতে, রাশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম সার রপ্তানিকারক। যুদ্ধ পরিস্থিতির পর সারের দাম বেড়েছে, ইতিমধ্যেই যা খাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে। সার উৎপাদন বা রপ্তানিতে আরও ব্যাঘাত ঘটলে ইউরোপে কৃষির ক্ষতি হবে, সম্ভাব্যভাবে সারা বিশ্বের খাদ্যে উৎপাদন কমবে যা দাম বাড়বে আরো বেশি, সংকট ঘনীভূত হবে আরো দৃঢ়ভাবে। 

খাদ্যর দাম বিশ্বব্যাপী ২০২০ সাল থেকে ক্রমাগত ভাবে বেড়ে চলেছে। ফুড এন্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশনের বিশ্বব্যাপী খাদ্যর মূল্য সূচকে এখন তা ২০১১ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। যুদ্ধ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে আবহাওয়ার পরিবর্তনগুলো বেশ ভালো ভাবে ভুগাচ্ছে বিশ্বের খাদ্য সরবরাহতে। যেখানে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলো খুব বেশি পরিমাণ অনাবৃষ্টিতে ভুগছে সেখান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে অতিবৃষ্টি নষ্ট করছে অনেক ফসল। করোনার কারণে এমনিতেই খাদ্য উৎপাদনে যে ঘাটতি দেখা দিয়েছিলো তার মাঝে গম উৎপাদনে বিশ্বে অতি গুরুত্বপূর্ণ দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় খরা তাদের উৎপাদন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। 

অন্যদিকে রাশিয়া আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের (ইএইইউ) বাইরে গম, রাই, যব ও ভুট্টা রপ্তানি সীমাবদ্ধ করেছে। অন্যদিকে ইউক্রেন ওডেসাতে তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা একমাত্র অবশিষ্ট বন্দর বন্ধ করে দিয়েছে।

তাছাড়া কাজাখিস্তানসহ কয়েকটি প্রধান শস্য সরবরাহকারী দেশ যখন রপ্তানি বন্ধ করে দেয় তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। মূলত অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতেই দেশগুলো এমন সিদ্ধান্ত নেয়।

এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারে না এমন মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ১৬০ কোটি। দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে প্রায় ২৫ কোটি। পাশাপাশি আরও কয়েক কোটি মানুষ দারিদ্র্যতার মধ্যে পড়তে পারে।

এদিকে বিশ্ব সম্প্রদায়কে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ইউক্রেনের কৃষিনীতি ও খাদ্যমন্ত্রী মাইকোলা সলস্কি বলেন, চলতি বছর প্রতি টন গমের দাম বেড়ে ৭০০ ডলারে দাঁড়াতে পারে, যা বর্তমানের চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি। এখন প্রতি টন গম বিক্রি হচ্ছে ৪৩০ ডলারে। 

শুধু মাত্র যুদ্ধ পরিস্থিতিই খাদ্য দাম বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে না। এটি একটি বড় উপলক্ষ মাত্র। কিন্তু গত কয়েক দশক ধরে চলমান জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা ভাইরাস আর এখন নতুন করে শুরু হওয়া যুদ্ধ বিশ্বকে খাদ্যর যোগান মেটানোর ক্ষেত্রে এক সংকটময় পরিস্থিতির মাঝে দাঁড় করিয়েছে। সংঘাতের ফলে বিশ্ব রাজনীতিতে যে নতুন মোড় তৈরি হয়েছে সেই মোড়ে বিশ্ব বাজারে অনেক দেশের অধিক মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি করছে খাদ্য পণ্য দাম। আর এই সব কিছু মিলিয়ে বিশ্ববাসী আগামীর দিনগুলোতে খাদ্য পণ্য নিয়ে যে এক অস্থির সময় পার করবে তা বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়।  

মূল্যস্ফীতি   খাদ্য সংকট   রাশিয়া   ইউক্রেন   যুদ্ধ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় আমরা জড়িত নই: ইসরায়েল

প্রকাশ: ০৭:৫১ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর ঘটনায় ইসরায়েলের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা। 

তিনি বলেছেন, ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌'দুর্ঘটনার পেছনে আমরা নেই।' তবে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যুতে তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলি সরকারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। 

ইসরায়েলের বিরোধী দল বেতেনু পার্টির চেয়ারম্যান এম কে আভিগদোর লিবারম্যান বলেছেন, রাইসির মৃত্যু এই অঞ্চলে ইরানের নীতিতে কোনও পার্থক্য আনবে বলে ইসরায়েল আশা করে না।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেইটকে তিনি বলেছেন, 'আমাদের জন্য, এটা কোনও বিষয় নয়। এই ঘটনা ইসরায়েলের (ইরানের প্রতি) মনোভাবে কোনও প্রভাব ফেলবে না। ইরানের নীতি দেশটির সর্বোচ্চ নেতার (আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি) মাধ্যমে নির্ধারিত হয়।'

তিনি আরও বলেন, 'ইরানের প্রেসিডেন্ট যে একজন নিষ্ঠুর লোক ছিলেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই। আমরা তার জন্য একফোঁটা চোখের পানিও ফেলব না।'

ইসরায়েলের অতি-রক্ষণশীল নোয়াম পার্টির নেতা এম কে আভিগদোর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, 'এক মাসেরও কম সময় আগে রাইসি হুমকি দিয়েছিলেন যে, ইসরায়েল আক্রমণ চালালে এর কোনও কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। আর এখন তিনিই ইতিহাসের ধূলিকণা।'

উল্লেখ্য, রোববার প্রতিবেশি দেশ আজারবাইজানের সাথে যৌথ অর্থায়নে নির্মিত কিজ কালাসি বাঁধের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা। পরে সেখান থেকে ইরানের তাবরিজ শহরে আরেকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করতে যাওয়ার সময় ভারজাকান অঞ্চলের দিজামারের পার্বত্য এলাকায় প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।  

কয়েক ঘণ্টার দীর্ঘ তল্লাশি অভিযানের পর সোমবার দিজামারের উজি ও পীর গ্রামের মধ্যবর্তী এলাকায় বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ শনাক্ত করা হয়। সেখান থেকে ইরানের উদ্ধারকারী দলের কর্মকর্তারা প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করেন।

রাইসির মৃত্যুর পর ইরানের নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবেরের নাম ঘোষণা করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। 

এছাড়াও, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনায় ৫ দিনের রাষ্ট্রীয় শোকও ঘোষণা করেছেন তিনি। 


ইব্রাহিম রাইসি   মৃত্যু   মধ্যপ্রাচ্য   রাজনীতি   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসির মৃত্যু: বদলে যাবে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি?

প্রকাশ: ০৭:০৯ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

রহস্যজনকভাবে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যুতে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে কোন পরিবর্তন আসবে কিনা বা এটার প্রভাব কেমন হতে পারে! এটাই এখন বিশ্বরাজনীতির আলোচিত বিষয়।   

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রভাবশালী এই দুই নেতার মৃত্যুতে অনেকটাই পাল্টে যেতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক সমীকরণ। আর রাইসির মৃত্যু থেকে এখন ইসরায়েলই সবচেয়ে লাভবান হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। 

বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইব্রাহিম রাইসি ও হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যু মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চলমান সংঘাতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। 

গত কয়েক দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছিল তেহরান। বিশেষ করে লেবানন, সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন, বাহরাইন ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অর্থ ও সমরাস্ত্রের অন্যতম যোগানদাতা ছিল ইরানের ইসলামী বিপ্লবী রক্ষীবাহিনী। 

আর এসব গোষ্ঠী মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকা ও ইসরায়েলের স্বার্থের জন্য ক্রামাগত হুমকি তৈরি করে আসছিল।

 গত মাসে ইব্রাহিম রাইসির সরকার সরাসরি ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলও ইরানের ইস্ফাহান শহরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এই ঘটনার আগে কেউ কখনো কল্পনাই করতে পারেনি মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ ইসরায়েলের হামলার সাহস করতে পারে, সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখিয়েছিলেন ইব্রাহিম রাইসি।

শুধু এ হামলা নয়, কয়েক দশক ধরে ইরানের পরমাণু কার্যক্রম নিয়ে বেশ অসন্তুষ্ট ইসরায়েল ও পশ্চিমা দেশগুলো। এমনকি এ তালিকায় রয়েছে সুন্নি প্রধান দেশ সৌদি আরবও। আর পশ্চিমা শক্তির কোনো তোয়াক্কা না করে পরমাণু কর্মসূচিতে জোরদার ভূমিকা পালন করেছেন ইব্রাহিম রাইসি। এমনকি বেশ কয়েকবার ইসরায়েলকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার হুমকিও দিয়েছিলেন সদ্য নিহত ইরানি প্রেসিডেন্ট। এ কারণে বিশ্লেষকরা বলছে, রাইসির মৃত্যু প্রভাব ফেলতে পারে দেশটির পরমাণু কর্মসূচিতেও।  

এছাড়া, রাইসির মৃত্যু শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয় বরং মধ্য এশিয়া ও ইউরোপীয় ভূরাজনীতিতেও  প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে রুশ বাহিনীকে যে বিপুল পরিমাণ ড্রোন ও সমরাস্ত্র সরবরাহ করেছিল তেহরান এখন সেই পদক্ষেপ কতটা ধারাবাহিক থাকবে সে প্রশ্ন উঠেতে শুরু করেছে অনেক মহলে। এছাড়াও রাইসির নেতৃত্বে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সংঘাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল তেহরান।


ইব্রাহিম রাইসি   মৃত্যু   মধ্যপ্রাচ্য   রাজনীতি   সৌদি আরব  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসির মৃত্যুতে ইসরায়েলি নেতাদের উচ্ছ্বাস

প্রকাশ: ০৬:৫১ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তার মৃত্যুতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে কয়েকজন ইহুদি ধর্মীয় নেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় রাইসিকে নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট করেছেন। ইসরায়েল সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না বললেও ইহুদি ধর্মীয় নেতারা রাইসির মৃত্যুর পর তার প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন।

ঘন কুয়াশার কারণে রোববার ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। সফরসঙ্গীসহ রাইসি নিহত হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর বিশ্বের বিভিন্ন নেতারা শোক প্রকাশ করছেন। তার বিপরীতের ইহুদি ধর্মীয় নেতারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি ইহুদি ধর্মীয় নেতা দাবি করেছেন, এটা ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপ ছিল।

রাইসিকে ‘তেহরানের জল্লাদ’ উল্লেখ করেছেন রাবি মেইর আবুতবুল। ফেসবুকে এক পোস্ট করে তিনি রীতিমতো রাইসির সমালোচনা করেছেন। ইসরায়েল ও ইহুদিদের প্রতি রাইসির মনোভাবের কঠোর নিন্দা জানান আবুতবুল। তার ভাষায়, এই হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনা ঐশ্বরিক শাস্তি। খুব নোংরা ভাষায় আবুতবুল লেখেন, সে ইহুদিদের ঝুলাতে চেয়েছিল, তাই ঈশ্বর তাকে এবং তার সঙ্গে থাকা ইসরায়েল বিরোধী ক্রুকে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত করে বাতাসে বিক্ষিপ্ত করে দিয়েছেন।

ইরানের সদ্য প্রয়াত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিষবাষ্প উগড়ে দিয়েছেন রাবি নির বেন আর্টজিও। এ ঘটনাকে ঈশ্বরের অসন্তোষ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। এক ফেসবুক পোস্টে এই রাবি লেখেন, নিজের প্রতি জুলুম করো না, ঈশ্বর বলেছেন, যথেষ্ট হয়েছে। আপনি ঈশ্বরকে রাগান্তিত করেছেন। রাইসি ও তার প্রশাসনের পদক্ষেপের দিকে ইঙ্গিত করে এমন মন্তব্য করেন বেন আর্টজি।

ইহুদি আরেক ধর্মীয় নেতা রাবি ইৎজ-চাক বাৎজরি আরও এক কাঠি সরেস। তিনি রাইসিকে ফেরাউনের দোসর হামানের সঙ্গে তুলনা করেছেন। রাইসির মৃত্যুর খবর আসার আগে বাৎজরি ফেসবুকে এক পোস্টে লেখেন, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে দুষ্টু হামান। নিজের পোস্টে বাইবেলের একটি লাইনও জুড়ে দেন এই রাবি।

ইরানের উত্তরাঞ্চলে মর্মান্তিক ওই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় রাইসিসহ আরোহী ৯ জনের কেউ প্রাণে বাঁচেননি। প্রায় ১৫ ঘণ্টার অভিযান শেষে দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকারীরা কারও জীবনের চিহ্নই খুঁজে পাননি। ইরানের সরকার জানিয়েছে, হার্ড ল্যান্ডিং কারণে এই দুর্ঘটনার ঘটেছে। তবে দুর্ঘটনার আগে হেলিকপ্টার থেকে একবার যোগাযোগ করা হয়, সেই ছিল শেষ কথা।

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা   ইরানের প্রেসিডেন্ট   ইব্রাহিম রাইসি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসির মৃত্যুতে ইসরায়েল কি জড়িত

প্রকাশ: ০৬:১৩ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ সব আরোহী। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম প্রেস টিভিসহ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

রোববার (১৯ মে) ইরানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় এক পার্বত্য অঞ্চলে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। কিন্তু কী কারণে এমন মর্মান্তিক পরিণতি হলো হেলিকপ্টারটির? কেন বা কীভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়লো সেটি? এটি কি নিছকই দুর্ঘটনা নাকি এর পেছনে রয়েছে বিশাল কোনো ষড়যন্ত্র—এখন সব প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে সবার মনে।

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের সুনির্দিষ্ট কারণ জানতে এখনও হয়তো বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ঘন মেঘ, কুয়াশা ও জলীয় বাষ্পের কারণেই হয়তো এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে এই দুর্ঘটনায় শত্রুপক্ষের জড়িত থাকার সম্ভাবনা নিয়েও জল্পনা ছড়িয়েছে। প্রেসিডেন্ট রাইসির মেয়াদ ও ইরানের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক চ্যালেঞ্জের পরিপ্রেক্ষিতে দেশীয় শত্রু, এমনকি ইসরায়েলের মতো বহিরাগত ক্রীড়ানকদের সম্ভাব্য জড়িত থাকার বিষয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চলমান সংঘাতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে ইব্রাহিম রাইসি ও হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যু। গেল কয়েক দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছিল তেহরান। বিশেষ করে লেবানন, সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন, বাহরাইন ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অর্থ ও সমরাস্ত্রের অন্যতম যোগানদাতা ছিল ইরানের ইসলামী বিপ্লবী রক্ষীবাহিনী। নতুন প্রেসিডেন্ট এতটা আগ্রাসী হয়ে উঠবেন কি না সেটা এখন বড় প্রশ্ন এসব সশস্ত্র গোষ্ঠীর কাছে।

জানা গেল রাইসির দাফন কোথায়, কবে

এসব গোষ্ঠী মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকা ও ইসরায়েলের স্বার্থের জন্য ক্রামাগত হুমকি তৈরি করে আসছিল। এর মধ্যেই গত মাসে ইব্রাহিম রাইসির সরকার সরাসরি ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলও ইরানের ইস্ফাহান শহরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এই ঘটনার আগে কেউ কখনো কল্পনাই করতে পারেনি মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ ইসরায়েলের হামলার সাহস করতে পারে, সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখিয়েছিলেন ইব্রাহিম রাইসি।

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ইসরায়েল জড়িত?

এটি যদি নিছক দুর্ঘটনাও হয়, তবুও ইরানিরা তা ভাববে না। কারণ, তারা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বিশ্বাসে অভ্যস্ত। রাইসির ক্ষেত্রে তা ঘটতে পারে। কারণ, ইরানের সঙ্গে ইসরায়েল প্রথম প্রকাশ্য সামরিক সংঘর্ষের পরই হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হলো। এমন প্রেক্ষাপটে অনেক ইরানি ও সম্ভবত সরকার নিজেও হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ইসরায়েলকে দোষারোপ করতে পারে।

ইরানের স্বার্থের বিরুদ্ধে চোরাগোপ্তা এবং নিখুঁত অভিযান চালানোর জন্য ইসরায়েলের দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের ব্যাপক পরিচিতি আছে। যদিও ইসরায়েলি এই গোয়েন্দা সংস্থা কখনই কোনো রাষ্ট্রের প্রধানকে লক্ষ্যবস্তু বানায়নি। তবে বিশেষজ্ঞরা রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় সন্দেহবাদীদের ইসরায়েলি সংশ্লিষ্টতার তত্ত্ব নাকচ করে দিয়েছেন।

তারা বলেছেন, ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টকে হত্যার ঘটনা সরাসরি যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটাবে। এমনকি ইরানের পক্ষ থেকে নজিরবিহীন প্রতিক্রিয়া আসবে। যদিও ঐতিহ্য বিবেচনায় ইসরায়েলের কৌশলগত অবস্থান উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের পরিবর্তে সামরিক এবং পারমাণবিক লক্ষ্যবস্তুতেই রয়েছে।

‘ইসরায়েল জড়িত নয়’, দাবি এক কর্মকর্তার

ইরানের প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় পড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন সিনেটর ও রাজনীতিবিদ কথা বলেছেন। সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার জানান, মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সাথে তার কথা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত কোনো সন্দেহ করার মতো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’

এক সংবাদ সম্মেলনে শুমার বলেন, ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের যে স্থানে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে, সেখানকার আবহাওয়া অত্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন ও খারাপ ছিল। তাই এটিকে একটি দুর্ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে। তবে বিষয়টি পুরোপুরি তদন্তাধীন।

ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

তবে রয়টার্সের কাছে একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা দাবি করেছেন, রাইসির মৃত্যুর সঙ্গে ইসরায়েল জড়িত নয়। যদিও এ তথ্যের পক্ষে-বিপক্ষে আর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি বার্তা সংস্থাটির ওয়েবসাইটে।


হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা   ইরানের প্রেসিডেন্ট   ইব্রাহিম রাইসি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাঘেরি কানি

প্রকাশ: ০৫:৫৫ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাঘেরি কানিকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে নিহত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি।

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যুর পরে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পুনর্বন্টন করে দেশটির মন্ত্রিসভা। সোমবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

নির্বাহী, সংসদ ও বিচার, সরকারের তিন বিভাগের এক বৈঠকের পর ঘোষণাটি আসে। সোমবার ইরান সরকারের মুখপাত্র আলি বাহাদোরি জাহরোমি সোমবার এ ঘোষণা দেন।

আলি বাঘেরি কানি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ২০০৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের ডেপুটি সেক্রেটারি ছিলেন।

এর আগে, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আলি খামেনি জানিয়েছেন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মোখবারকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পাঁচ দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেন তিনি।

আলি খামেনির বরাত দিয়ে ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম ইরনা আরও জানায়, মোখবার দেশের নিয়ন্ত্রণভার গ্রহণ করবেন এবং দুই মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবেন।

ইরান   পররাষ্ট্রমন্ত্রী   আলি বাঘেরি কানি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন