শিশুশিল্পী হিসেবে বড় পর্দায় পা রাখেন অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনবার অর্জন করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এখনো দর্শকদের চোখে ভাসে সেই ছোট্ট দীঘির অভিনয় আর কানে বাজে তার মিষ্টি সংলাপ। দীঘি এখন আর শিশুশিল্পী নেই, দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে নায়িকা হিসেবে চলচ্চিত্রে নাম লেখিয়েছেন।
নায়িকা হিসেবে দিঘীর প্রথম চলচ্চিত্র ‘তুমি আছো তুমি নেই’। ছবিটি নির্মাণ করেছিলেন নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। ছবিটি মুক্তির পর বেশ সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিলো দিঘীকে। নায়িকা হিসেবে প্রথম চলচ্চিত্র দিয়ে দর্শকদের প্রত্যাশা মেটাতে ব্যার্থ হন তিনি। তবে বসে থাকেননি, কাজ করেছেন আরও বেশ কিছু চলচ্চিত্রে। তবে কিছুতেই যেনো কিছু হচ্ছিলো না তাঁর।
চলচিত্রের পর বেশ কিছু মিউজিক ভিডিওতেও কাজ করেছেন দিঘী। এবার ঈদে মুক্তি পাওয়া তার একটি মিউজিক ভিডিও বেশ সাড়া ফেলেছে। তবে নিজেকে জাহির করতে, নিজের কাজ যাচাইয়ের জন্য এবার দিঘী পা রেখেছেন ওটিটি মাধ্যমে। প্রথমবারের নতুন মাধ্যম ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে দেখা যাবে প্রার্থনা ফারদিন দীঘিকে। সুমন ধর পরিচালিত 'শেষ চিঠি' মুক্তি পাচ্ছে আজ ২ জুন রাত ৮টায়।
নতুন এই কাজ নিয়ে দীঘি বলেন, এই মুহূর্তে আমি চেষ্টা করছি বেছে বেছে ভালো কাজ করার। শেষ চিঠি কাজটি তেমনই। গল্পটি আমার খুব পছন্দের। এই কাজটি দিয়ে ওয়েবে আমার ডেব্যু হচ্ছে। দর্শকরা নতুন কিছু পাবে বলে আমার বিশ্বাস।
তিনি আরাও বলেন,গল্পটা প্রথম যেদিন শুনেছিলাম সেদিন থেকেই মাথায় গেঁথে গিয়েছিল। সব সময় মনে হয়েছে কবে শুটিং করব! গত বছর আমরা উত্তরার একটি শুটিং হাউস ও ৩০০ ফুট এলাকায় শুটিং করেছিলাম। এর মধ্যে আরও কয়েকটি ওয়েব ছবির প্রস্তাব পেয়েছিলাম। তবে প্রথমটি মুক্তির আগে কোনো ওয়েবের কাজ হাতে নিতে চাইনি।
এদিকে দিঘীর প্রথম ওয়েব সিরিজ নিয়ে বেশ আশাবাদী এই অভিনেত্রীর ভক্তরা। সম্প্রতি চরকিতে প্রকাশ পাওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায় তাঁর ভক্তরা তাকে নিয়ে অনেক আশার কথা বলেছেন। সব কিছু মিলিয়ে নতুন এক চ্যালেঞ্জ সামনে এসে দাঁড়িয়েছে দিঘীর।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে দীঘিকে ‘শেষ চিঠি’র গল্প শুনিয়েছিলেন নির্মাতা সুমন ধর। তখন একটি ইউটিউব চ্যানেল ছবিটি প্রযোজনার ইচ্ছা প্রকাশ করে। তবে সুমন ধর ও দীঘির ইচ্ছা ছিল ইউটিউবে নয়, অনলাইন প্ল্যাটফরমের জন্য ছবিটি করার। অনলাইন প্ল্যাটফরম ‘চরকি’ ছবিটি নির্মাণে আগ্রহী হলে সুমন ধর বাকি চরিত্রগুলোর জন্য শিল্পী নির্বাচন শুরু করেন। এরপর শুটিং ও সম্পাদনা।
নিত্যনতুন অভাব, সম্পর্কের টানাপড়েন, লাল-নীল স্বপ্ন নিয়েই প্রতিটি চরিত্র বেড়ে উঠেছে ‘শেষ চিঠি’। এতে দিঘীর সাথে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গুঞ্জন সত্যি হলো। আর সারপ্রাইজ নয় অবশেষে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা চলে আসলো। বলিউডের নতুন জুটি হতে যাচ্ছেন বলিউড ভাইজান সালমান খান ও দক্ষিণ ভারতীয় জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা।
সালমান খানের পরবর্তী সিনেমা ‘সিকান্দার’-এ অভিনেতার বিপরীতে দেখা যাবে দক্ষিণের এই তারকাকে। সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা প্রযোজিত এবং এ আর মুরুগাদোস পরিচালিত সিনেমাটি মুক্তি পাবে আগামী বছরের ঈদে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ বৃহস্পতিবার ( ৯ মে) সকালে এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে। যেখানে সালমান আগে থেকেই নিশ্চিত ছিলেন।
এরপর রাশমিকার নাম প্রকাশ করে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের পোস্ট শেয়ার করে ক্যাপশনে এই নায়িকা লিখেছেন, ‘অনেকদিন ধরেই সবাই আমার নতুন কাজের খবর জানতে চেয়েছিলেন। খবর ছিল না দেখে আমি কিছুই জানাতে পারছিলাম না। এবার জানাচ্ছি। আপনাদের জন্য এটাই ছিল বড় চমক। ‘সিকান্দার’-এ আমি সালমান খানের বিপরীতে কাজ করছি। এমন একটি দুর্দান্ত কাজে আমাকে যুক্ত করার জন্য আমি কৃতজ্ঞ এবং সম্মানিত।’ সিনেমার শুটিং শুরু হবে এ বছরের শেষের দিকে।
বর্তমানে রাশমিকা তার ‘পুষ্পা ২’ সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এই সিনেমার কাজ শেষ হওয়ার পরেই তার নতুন সিনেমার শুটিং শুরু হবে।
মন্তব্য করুন
সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘হীরামাণ্ডি’ সিরিজের কাস্টিং, প্রেক্ষাপট নিয়ে চর্চা ও বিতর্কের কমতি নেই। তবে হাজারো সমালোচনা থাকলেও নতুন মাইলফলক গড়েছে বনশালির এই ওয়েব সিরিজ। বলা হচ্ছে, পুরো বিশ্বে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশিবার দেখা ভারতীয় সিরিজের খেতাব পেয়েছে ‘হীরামাণ্ডি’। ৪৩টি দেশের নীরিখে সেরা দশে নাম তুলে ফেলেছে ‘হীরামাণ্ডি’।
বুধবার
(৮ মে) সন্ধ্যায় সিনেবাণিজ্য
বিশ্লেষক তরণ আদর্শ ইনস্টা
পোস্টে জানান, সঞ্জয় লীলা বনশালির ডেবিউ
ওয়েব সিরিজ ‘হীরামাণ্ডি’ এযাবৎকালের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী
সবথেকে বেশি দেখা ভারতীয়
সিরিজের শীর্ষস্থান অধিকার করেছে। মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহা, রিচা চাড্ডা, অদিতি
রাও হায়দরি, শেখর সুমন, অধ্যয়ন
সুমন ও ফারদিন খানের
মতো তাবড় কাস্টিং নিয়ে তৈরি ‘হীরামাণ্ডি’।
গত পয়লা মে নেটফ্লিক্সে
মুক্তি পেয়েছে ‘হীরামাণ্ডি’। বনশালির ১৮
বছরের স্বপ্নের প্রজেক্ট ‘হীরামাণ্ডি’। কোনওরকম কসরত
বাকি রাখেননি পরিচালক-প্রযোজক। কারণ, বনশালি মানেই ‘লার্জার দ্যন লাইফ’ সেট,
সাজপোশাক। এই সিরিজে কোটি
কোটি টাকার শুধু গয়নাই ব্যবহৃত
হয়েছে।
সিরিজে
‘লাহোর বলে লখনউ দেখানো
আর রিসার্চ ছাড়াই গল্প সাজানোতে ক্ষোভে
ফুঁসছে পাকিস্তান। আবার নিজের দেশেও
সিরিজ মেকিং নিয়ে প্রতিপদে চর্চার
মুখে পড়তে হচ্ছে বানশালিকে। কারও দাবি, ঐতিহাসিক
তথ্যে ভুল করেছেন নির্মাতা।
তো কেউ বা আবার
কাস্টিংয়ের জন্য স্বজনপোষণের অভিযোগ
তুলেছেন। এমনকি সিরিজের সংলাপে ব্যবহৃত উর্দু নিয়েও আপত্তি তুলেছেন দর্শকদের একাংশ।
মন্তব্য করুন
নব্বই দশকের চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) । ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী এ রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে ২৯ এপ্রিল ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার (৯ মে) ধার্য করেন।
১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে
সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান
থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এ হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক
ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।
মামলার আসামিরা হলেন ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে
বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম
খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, ফারুক আব্বাসী, আদনান সিদ্দিকী, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী
সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ
ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা
করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাকে
ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে
লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।
মামলার তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী
কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর
ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর
দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে
পাঠানো হয়।
মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি
আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট
২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন।
বিচারপতি মো. রূহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন
ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া
হয় এবং হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
মন্তব্য করুন
সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘হীরামাণ্ডি’ সিরিজের কাস্টিং, প্রেক্ষাপট নিয়ে চর্চা ও বিতর্কের কমতি নেই। তবে হাজারো সমালোচনা থাকলেও নতুন মাইলফলক গড়েছে বনশালির এই ওয়েব সিরিজ। বলা হচ্ছে, পুরো বিশ্বে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশিবার দেখা ভারতীয় সিরিজের খেতাব পেয়েছে ‘হীরামাণ্ডি’। ৪৩টি দেশের নীরিখে সেরা দশে নাম তুলে ফেলেছে ‘হীরামাণ্ডি’।
নব্বই দশকের চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) । ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী এ রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে ২৯ এপ্রিল ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার (৯ মে) ধার্য করেন।