আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, সরকারের বিপক্ষে কথা বলার একমাত্র মাইক হলো মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কারণ রাষ্ট্রে সরকারের এতো সফলতার পরও এ যাবৎ কোনো একটা ক্ষেত্রেও তিনি ভালো কথা বলেছেন বলে দেখা যায়নি।
সম্প্রতি সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের সমালোচনা করে যে বক্তব্য দিয়েছেন সে ব্যাপারে আওয়ামী লীগের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এ কথা বলেন। পাঠকদের জন্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।
আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, দেশের সংকটকালে এবং মানুষের বিপদের সময় সহানুভূতি প্রকাশ করার মতো মন মানসিকতা মির্জা ফখরুলের এখনো হয়নি। উনি নিজেকে এখনো সেই মানসিকতায় তৈরি করতে পারেননি। একজন বিবেকবান মানুষ হিসেবে উনি উনার দলের নেতাকর্মীদের এই বিপদের সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলতে পারতেন, কিন্তু উনি সেটা করেননি। আমরা এটাকে একটা দুর্ঘটনা হিসেবেই দেখতে চাই, এটা নিয়ে রাজনীতি করার কোনোই মন মানসিকতা আমাদের নাই।
তিনি বলেন, হয়তো কোনো ক্রটি-বিচ্যুতি থাকতে পারে। কিন্তু এর চেয়ে বড় ব্যাপার হলো এই দুর্ঘটনায় মানুষের যে জানমালের ক্ষতি হলো সেটা নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই, যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যারা নিহত হয়েছেন এবং বিভিন্নভাবে হতাহত হয়েছেন আমরা তাদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই। এই র্দুঘটনার জন্য কেউ দায়ী থাকলে অবশ্যই সেটা তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে এবং সেটা তো পরবর্তী বিষয়। কিন্তু এই মুর্হূতে করণীয় কি সে ব্যাপারে মির্জা ফখরুল বা বিএনপি এখনো কোনো কথা বলেন নি। এটা দেশবাসীর জন্য হতাশার এবং লজ্জার।
আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম আরও বলেন, তাদের এধরনের রাজনীতি বাংলাদেশের মানুষের কাছে এখন পরিত্যক্ত হয়ে গেছে। এটা প্রত্যাখিত হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত রাজনীতির সাথে যারা সম্পৃক্ত এদেরকে মানুষ এখন শুধু অবজ্ঞাই নয় ধীরে ধীরে প্রত্যাখান করে এখন ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখছে। বিএনপি মানুষের বিপদ নিয়ে, মানুষের দুর্দশা নিয়ে সরকারের ব্যর্থতার সঙ্গে মিলিয়ে ফেলে। তারা সব কিছু সরকারের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু নিজেরা কি করতে পারে সেটা তারা বলতে পারেন না। তারা জাতিকে কোনো পথ দেখাতে পারছেন না। সব কিছু সরকারের ব্যর্থতার সঙ্গে তুলনা করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করে থাকে। মির্জা ফখরুল সীতাকুণ্ডের ঘটনা দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চান। তিনি রাজনৈতিক সুবিধা নিতে এ ঘটনার সঙ্গে সরকারের ব্যর্থতার কথা বলেছেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।