ইনসাইড গ্রাউন্ড

টাইগারদের এই হতশ্রী পারফরমেন্সের শেষ কোথায়?


Thumbnail টাইগারদের এই হতশ্রী পারফরমেন্সের শেষ কোথায়?

বাংলাদেশ দল এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করছে। সেখানে তারা একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে। এরই মধ্যে গতকাল অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্ট শুরু হয়ে গিয়েছে। এই ম্যাচ থেকে বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। অনেকে আশায় বুক বেঁধেছিল যে, সাকিব আল হাসান এখন অধিনায়ক। ফলে ভালো একটা কিছু তো বাংলাদেশ করবেই। কিন্তু অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম দিনে সেই আশার গুড়ে বালি। অ্যান্টিগায় টেস্টও বাংলাদেশের হতশ্রী পারফরমেন্সই ধরা দিয়েছে। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৩ রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ দল। ছন্নছাড়া ব্যাটিং যাকে বলে আর কি। তবে উইন্ডিজের পেসাররা যেমন দাপট দেখিয়েছেন, পরে বল করতে নেমে একইরকমভাবে চোখ রাঙিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান-এবাদত হোসেনরা। তবে দিন শেষে ব্যাটিং ব্যর্থতার সঙ্গে আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে একাধিক ক্যাচ মিসের জন্য। শুধু তাই নয়, এই ম্যাচেও বাংলাদেশ শূন্যের রেকর্ড করেছে। ফলে এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে এই হতশ্রী পারফরমেন্সের শেষ কোথায়?

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ। তবে শুরুটা একদম ভালো করতে পারেনি টাইগাররা। একের পর এক উইকেট হারিয়ে বিপাকে সাকিব বাহিনী। ৪৫ রানেই ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৩২ ওভার ৫ বলে ১০৩ রান করতেই সব উইকেট হারিয়ে ফেলে টাইগাররা। ১০ ব্যাটারের মধ্যে মাত্র তিনজন দুই অঙ্কের রানের দেখা পান।  বাকি সাত ব্যাটারের মধ্যে এক অঙ্কের ঘরে মাঠ ছেড়েছেন ছয়জন। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ৫টি দলের এক ইনিংসে ৬ ব্যাটারের ডাক মারার ঘটনা রয়েছে। তবে লজ্জাটা সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশের। কারণ, বাংলাদেশের সঙ্গে ৩ বার এমন ঘটনা ঘটেছে। তাও আবার ব্যাক টু ব্যাক ২ টেস্টে। বাংলাদেশ ছাড়া বিশ্বের আর কোনো দলই একাধিকবার এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়নি। মজার বিষয় হলো প্রতিপক্ষকে সবেচেয়ে বেশি এমন লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে ফেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এখন পর্যন্ত ক্যারিবীয়রা দুই দলকে তিনবার এমন বাজে পরিস্থিতির সামনে দাঁড় করিয়েছে। তিনবারের ভেতর দুবার বাংলাদেশ। ১৯৮০ সালে প্রথম দল হিসেবে এই রেকর্ডের দাবিদার হয় পাকিস্তান। প্রতিপক্ষ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

এই হতশ্রী পরফরমেন্সে ক্ষোভও ঝেড়েছেন নতুন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এমন হতশ্রী ব্যাটিংয়ের ব্যাখ্যা নেই অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। জানালেন, আসলে ব্যাটসম্যানদেরই দায়িত্ব নিতে হবে। তাদের কাজটা তাদেরই করতে হবে। কেউ এসে তাদের মুখে তুলে খাইয়ে দিয়ে যাবে না। সাকিব বলেন, কোনোভাবে ব্যাখ্যা করার কোনো সুযোগই দেখি না। আমার কাছে কোনো ব্যাখ্যা নেই। আমি জানি না অন্য কারো কাছে আছে কি না। সাধারনত যেটা হয়, কোচ-অধিনায়কের কাজটা সহজ। ধরুন কেউ পারফর্ম করল না, তাকে বাদ দিয়ে দেই। সবচেয়ে সহজ কাজ কোচ, অধিনায়ক ও নির্বাচকদের। তুমি পারফর্ম করছ না, বাদ দিয়ে দিলাম। এতেই বোঝা যাচ্ছে এই হতশ্রী ব্যাটিং তিনিও নিতে পারছেন না। 

ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মতে, এটা আসলেই বাংলাদেশ দলের জন্য লজ্জার। কারণ ব্যাক টু ব্যাক ২ টেস্টে ৬ জন ব্যাটার ০ রানের আউট হয়েছে। তাও আবার টেস্টে। এটা মেনে নেওয়া কঠিন। এছাড়াও ক্যাচ মিসও করেছে বাংলাদেশ। নইলে হয়তো দিন শেষে ভালো অবস্থানে থাকতে পারতো টাইগাররা। কিন্তু এখন বিষয়টিকে কোনোভাবেই ভালো বলা যাচ্ছে না। কেউই ব্যাটিং এ ভালো করতে পারছেন না। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। ‘গোল্ডের ডাক’ সঙ্গী করে ফেরেন এই ডানহাতি। অফ ফর্মে ভোগা নাজমুল হাসান শান্তর পরিণতি একই। ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতে নেতৃত্ব ছাড়া মুমিনুল হকও বৃত্ত ভেঙে বের হতে পারেননি, আগের দুইজনের মতো শূন্য হাতে সাজঘরে ফেরেন। বিষয়গুলোতে আরও নজর দিতে হবে কোচদের। কারণ এই বিষয়গুলো ঠিক করার জন্য তাদেরই সবথেকে বেশি কাজ করতে হবে। তাহলেই এই হতশ্রী পারফরমেন্সের শেষ দেখতে পাবে বাংলাদেশ। 


টাইগার   ব্যাটিং ব্যর্থতা   পারফরমেন্স  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপ খেলতে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে শান্ত-তাসকিনরা

প্রকাশ: ১০:৩০ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

লম্বা-ভ্রমণের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। শুক্রবার (১৭ মে) ভোরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া বিভাগ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গণমাধ্যমে পাঠানো খুদে বার্তায় বলা হয়, হিউস্টেনের জর্জ বুশ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করেছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা।

প্রতিবারই বড় স্বপ্ন আর প্রত্যাশা নিয়ে ইন্টারন্যাশনার ক্রিকেট কাউন্সিল-আইসিসির বৈশ্বিক আসর খেলতে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। পেছনে থাকে ১৭ কোটি মানুষের আশা-ভালোবাসা আর প্রার্থনা। এবারও সেই একই ভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে গেল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

গত বুধবার (১৫ মে) মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে বিশ্বকাপের জন্য শেষবারের মতো অনুশীলন করে চন্ডিকা হাতুরুসিংহের শিষ্যরা। এরপর অংশ নেয় অফিসিয়াল ফটোশ্যূটে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে পুরো দলের ছবি তোলার পর শেষ হয় আনুষ্ঠানিকতা।

বিশ্বকাপ শুরু আগে সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিন ম্যাচে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। হিউস্টনে ২১, ২৩ ২৫ মে হবে ম্যাচগুলো।

পরে আগামী জুন নিউইয়র্কে বিশ্বকাপের অফিশিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে গ্রুপপর্বের প্রথম দুই ম্যাচ বাংলাদেশ খেলবে ডালাস নিউইয়র্কে। জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন। এরপর ১০ জুন বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।

এরপর গ্রুপপর্বের বাকি দুই ম্যাচ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাবেন শান্তরা। সেখানে সেন্ট ভিনসেন্টে ১৩ জুন টাইগারদের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। আর ১৭ জুন একই ভেন্যুতে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ লড়বে নেপালের বিপক্ষে।


বিশ্বকাপ   যুক্তরাষ্ট্র   শান্ত   তাসকিন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিন নম্বরে নাজমুল না সাকিব?

প্রকাশ: ০৯:৪৭ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত বছরের নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের সর্বশেষ ম্যাচে সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দিতে হয়েছিল নাজমুলকে, সেই সূত্রে ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনেও তিনিই এলেন। পুরো আসরে বাংলাদেশ দলের ৯ ম্যাচের ৭টিতেই হেরে যাওয়ার পেছনে টপ অর্ডারে ব্যাপক মাত্রার অদলবদলের প্রশ্নে নাজমুলের জবাবে ছিল দায় স্বীকারের প্রকাশ, ‘অনেক বেশি হয়ে গেছে। না করলেই ভালো।’

ওয়ানডে বিশ্বকাপের ছয় মাস পর সেটি টি-টোয়েন্টির সংস্করণের বাংলাদেশ দল যখন আরেকটি বিশ্বকাপের সামনে দাঁড়িয়ে, তখন আবারও আলোচনায় ব্যাটিং অর্ডারের অদলবদল প্রসঙ্গ। এবারও কি ব্যাটিংয়ের ওপরের দিকে, বিশেষ করে ৩ নম্বর পজিশনে ওলট-পালট চলবে? এটা স্পষ্ট যে ওয়ানডে বিশ্বকাপে এই ব্যবস্থা কাজে দেয়নি, নাজমুলও এর প্রবল সমর্থক ছিলেন না। তবু প্রশ্নটা উঠছে ৩ নম্বর পজিশনে গত দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা ও কন্ডিশন এবং সাম্প্রতিক সময়ে সৃষ্ট পার্থক্যের কারণে। অর্থাৎ সাবেক অধিনায়ক সাকিব আর বর্তমান অধিনায়ক নাজমুলের ৩ নম্বরে ব্যাটিং-খতিয়ানই তুলছে প্রশ্নটা।

নাজমুল তার ৩৬ টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ারে ১৮টি ম্যাচই খেলেছেন ৩ নম্বরে। এর বেশির ভাগই গত এক বছরের মধ্যে। কিন্তু মার্চে শ্রীলঙ্কা ও চলতি মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে খুব একটা ছন্দে দেখা যায়নি তাকে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ৩৬ রানের পরও সিরিজের চার ইনিংসে রান মোটে ৮১। কম রানের পাশাপাশি নাজমুলের ব্যাটিংয়ে অস্বস্তির আরেক দিক—স্ট্রাইক রেটের দুর্দশা। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮১ রান করতে খেলেছেন ৭৮ বল, স্ট্রাইক রেট ১০৩.৮৪। শুধু জিম্বাবুয়ে সিরিজে নয়, নাজমুলের টি-টোয়েন্টি স্ট্রাইক রেটই দৃষ্টিকটু রকমের কম (১১১.১৬)। এবারের বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়া ২০ অধিনায়কের মধ্যে যা ১৯তম।

নাজমুলের আগে অধিনায়ক থাকার সময় সাকিবও তিনে ব্যাট করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। টি-টোয়েন্টিতে তার ব্যাটে সবচেয়ে বেশি রানও এ পজিশনেই—৪২ ইনিংসে ১০৮৫। ক্যারিয়ারের ১২ ফিফটির ৭টিও করেছেন তিনে নেমে। সাকিব তিনে খেলে হাজারের বেশি রান করেছেন ২৯.৩২ গড় আর ১২৩.১৫ স্ট্রাইক রেটে। অবশ্য শুধু স্ট্রাইক রেট বিবেচনা করলে সাকিবের সেরা পজিশন ৪ নম্বর। এখন পর্যন্ত ৪৫ ইনিংসে চারে ব্যাট করে ১২৭.১৬ স্ট্রাইকে ৮৮০ রান তাঁর (৬ নম্বরে নেমে ৬ ইনিংসে স্ট্রাইক রেট ১৩০)। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক ম্যাচ ছাড়া বাকিগুলোতে ৪ নম্বর পজিশনেই ব্যাট করেছেন ৩৭ বছর বয়সী অলরাউন্ডার।

তবে মোটের ওপর রানসংখ্যা, গড় ও স্ট্রাইক রেট বিবেচনায় সাকিব তিনেই বেশি সফল। এবারের বিশ্বকাপের দুই ভেন্যু ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর পারফরম্যান্স তো ক্যারিয়ার–গড়ের চেয়েও বেশি। ক্যারিবীয় অঞ্চলে খেলা ৭ ইনিংসে সাকিবের গড় ৩৫.৫০ (মোট ২১৩ রান), স্ট্রাইক রেট ১৩৭.৪১। আর যুক্তরাষ্ট্রে খেলা দুই টি-টোয়েন্টিতে ৪২ গড় ও ১৪০ স্ট্রাইক রেটে রান ৮৪।

নির্দিষ্ট কন্ডিশন ও ৩ নম্বরের অভিজ্ঞতা ও সাফল্যে সাকিবই যে এগিয়ে, সেটি এসব পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে। তবে এসব বিবেচনায় নিয়ে সাকিবকে তিনে ফেরানো মানে আবারও ব্যাটিং অর্ডারে অদলবদল। সেটার সম্ভাবনা কেমন, বিশেষ করে গত বছর ভারত বিশ্বকাপে তেতো অভিজ্ঞতার পর—এমন প্রশ্নই উঠেছিল দেশ ছাড়ার আগে বাংলাদেশ দলের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে।

মজার বিষয় হচ্ছে, কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তো বটেই, অধিনায়ক নাজমুলও এই বিশ্বকাপে আরেকটি ওলট-পালটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। হাথুরুর জবাব ছিল সোজাসাপটা, ‘হ্যাঁ, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তিত হবে। এটা ক্রিকেটে স্বাভাবিক ব্যপার। এটা আসলে আপনি কোথায় ব্যাট করছেন এবং কতটা সেরা ব্যাটিং করছেন, তার ওপর নির্ভর করে।’

আর অধিনায়ক নাজমুল, যিনি নিজেই ওয়ানডে বিশ্বকাপে ওলট-পালট বেশি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার জায়গায় তিনে সাকিবের খেলার সম্ভাবনায় দিয়েছেন কূটনৈতিক জবাব, ‘এটা নির্ভর করবে কন্ডিশন এবং প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তার ওপর।’

যার অর্থ, আগামী ১ জুন যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে অদলবদলের সম্ভাবনা ভালোভাবেই থাকছে।


টি-টোয়েন্টি   বিশ্বকাপ   নাজমুল হাসান শান্ত   সাকিব আল হাসান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অবসান ঘটতে চলেছে দেশের ক্রিকেটের পঞ্চপাণ্ডব যুগের?

প্রকাশ: ০৯:০১ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

আর মাত্র ১৫ দিন। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শুরু হবে ব্যাটে-বলের সেই লড়াই। যেখানে চার-ছক্কার জোর যার বেশি, দাপটটাও তাদেরই বেশি। আর তাই এবার আসন্ন এই টি-২০ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রতিটি দলই তাদের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়েই দল সাজিয়েছে।

ইতোমধ্যেই প্রায় প্রতিটি দল তাদের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে একমাত্র পাকিস্তান ছাড়া। ২০ দলের এই টুর্নামেন্টে ১৯তম দল হিসেবে গত মঙ্গলবার দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ। যেখানে অভিজ্ঞদের সাথে তারুণ্যের মিশেলে সাজানো হয়েছে এবারের স্কোয়াড। বাংলাদেশও রয়েছে সেই তালিকায়। 

তবে এবারের টাইগারদের বিশ্বকাপ দলের কিছু প্লেয়ারের জন্য হতে চলেছে নিজেদের ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ। যেমন, দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও সাইলেন্ট কিলার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনই হয়তো বাংলাদেশের জার্সিতে নিজেদের ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ খেলতে চলেছেন এটা প্রায় নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।

যার জন্য ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে প্রায় সবখানেই চলছে এ নিয়ে আলোচনা। অনেকে বলছেন, পঞ্চপাণ্ডব যুগের অবসান ঘটতে চলেছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। শুধু তাই নয় আন্তর্জাতিক কোন ট্রফি না জেতায় অনেকে আবেগী পোস্ট ও করেছেন। 

শুধু তাই নয়, অধিনায়ক শান্তও বলেছেন যে, ধারণা করা হচ্ছে এটাই তাদের শেষ বিশ্বকাপ। শান্তর ভাষ্য, ‘আমি নিশ্চিত নই, এটা সাকিব ও মাহমুদউল্লাহর শেষ বিশ্বকাপ কি না; কিন্তু এটি ধারণা করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন তারা। এজন্য আমরা তরুণ খেলোয়াড়রা তাদের ভালো কিছু উপহার দিতে চাই। এটা অবশ্যই তরুণ খেলোয়াড়দের গুরুদায়িত্ব।’

তবে আসন্ন এই বিশ্বকাপের মধ্য দিয়ে দেশের ক্রিকেটের এই দুই মহাতারকা কিছু রেকর্ড ও গড়ছেন। যেমন, সাকিব আল হাসান। বিশ্বের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে সবকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাচ্ছেন বাংলাদেশের এই তারকা। ২০০৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এই ফরম্যাটের সব বিশ্বকাপেই ছিলেন সাকিব। এমনকি ২০১০ এবং ২০২২ আসরে পালন করেছেন অধিনায়কের দায়িত্বও। 

অন্যদিকে বাংলাদেশের আরেক তারকা খেলোয়াড় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একটা আসর বিরতি দিয়ে আবারও ফিরেছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে। তবে ২০২২ সালের আসরে অংশগ্রহণ না করায় সাকিবের সঙ্গে রেকর্ডবুকে জায়গা করে নিতে পারেননি তিনি। তাই এবার ক্রীড়াঙ্গন জুড়ে প্রশ্ন উঠেছে তবে কি বিশ্বকাপের এই স্কোয়াড দেখে কিঞ্চিৎ আক্ষেপ করছেন মাহমুদউল্লাহ?

এদিকে সাকিব ছাড়া এমন রেকর্ডে নিজের নাম লিখিয়েছেন কেবল রোহিত শর্মা। কারণ ৯ বিশ্বকাপের ৯ টিতেই ছিলেন বাংলাদেশ এবং ভারতের শুধু এই দুই তারকাই। 

অন্যদিকে তাদের চেয়ে মাত্র একটা বিশ্বকাপ কম খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের সহ-অধিনায়ক ছিলেন রিয়াদ। আর ২০২১ সালে খেলেছেন অধিনায়ক হিসেবে।

নাজমুল হোসেন শান্ত ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুই ম্যাচে দায়িত্ব পেলেও, বৈশ্বিক পর্যায়ে এটাই তার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। আর তাসকিন আহমেদ চলতি বছরের বিপিএলে দুর্দান্ত ঢাকার অধিনায়ক হয়েছিলেন। সেটাও অবশ্য কয়েক ম্যাচ যাওয়ার পর। 

তাই বলা যায় এই বিশ্বকাপে তারুণ্য নির্ভর দল পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। এমনকি এই তারুণ্যের মিছিলে আছেন এমন ৬ মুখ যারা কখনোই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাননি। তারা হলেন-  ওপেনিং ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিম, ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়, উইকেটরক্ষক জাকের আলী অনিক, দুই স্পিনার তানভীর ইসলাম ও রিশাদ হোসেন এবং পেসার তানজিম হাসান সাকিব। 

এই তরুণ ক্রিকেটারের মধ্যে তানজিদ তামিম গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলেছেন সবকটি ম্যাচ। তানজিম সাকিব সুযোগ পেয়েছিলেন দুই ম্যাচে। তাওহীদ হৃদয় বিগত দুই বছরে বাংলাদেশ দলের নিয়মিত পারফর্মার। ২০২৩ বিশ্বকাপেও ছিলেন তিনি। তবে বাকি তিনজনের এটাই দেশের জার্সিতে প্রথম বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট। 

দ্বিতীয়বারের মতো ২০ ওভারের বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার শেখ মাহেদী হাসান। লিটন দাস ও শরীফুল ইসলাম খেলতে যাচ্ছেন নিজেদের তৃতীয় বিশ্বকাপ। আর সৌম্য সরকার এবং মুস্তাফিজের জন্য এটি চতুর্থ বিশ্বকাপ। 

এদিকে অধিনায়ক হিসেবে শান্তর এটাই প্রথম বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট। আর সহ-অধিনায়ক হিসেবে তাসকিনের প্রথম টুর্নামেন্ট এটি। তবে খেলোয়াড় হিসেবে ২০১৪ সাল থেকেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নিয়মিত মুখ তিনি।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইউরোতে জার্মানির স্কোয়াডে চমকের ছড়াছড়ি

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী জুনে বসছে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের আসর। স্বাগতিক দেশ হওয়ায় জার্মানিকে এবারের ইউরোর বাছাই পর্ব খেলতে হয়নি। তাই প্রীতি ম্যাচ খেলেই নিজেদের প্রস্তুতি সেরেছে তিনবারের ইউরোপসেরারা।

আসন্ন ইউরোতে চতুর্থ শিরোপার সন্ধানেই মাঠে নামবে ডাইমানশ্যাফট খ্যাত দলটি। এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে ২৭ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন জার্মান কোচ নাগেলসম্যান।

নাগেলসম্যানের দলে সুযোগ হয়নি বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠা ম্যাট হ্যামেলস, জুলিয়ান ব্রান্ডট, করিম আদেয়েমি ও নিকোলাস সুলের। এমনকি জায়গা পাননি বায়ার্ন মিউনিখের মিডফিল্ডার লিওন গোরেৎস্কাও।

নাগেলসম্যান ইউরোর দলে ডাকার ক্ষেত্রে বুন্দেসলিগার চলতি মৌসুমের পারফরম্যান্সকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। দলে ডাক পেয়েছেন ভিএফবি স্টুটগার্টের ফরোয়ার্ড দেনিজ উন্দাভ ও টিএসজি হফেনহেইমের ম্যাক্সিমিলান বেইয়ের। কোচের অনুরোধে অবসর ভেঙে ফেরা রিয়াল মাদ্রিদের মিডফিল্ডার টনি ক্রুস আছেন ইউরোর দলে।

জার্মানির ইউরো স্কোয়াড

গোলরক্ষক: ম্যানুয়েল ন্যুয়ার, টার স্টেগান, অ্যালেক্সান্ডার নুবেল, অলিভার বাউম্যান। ডিফেন্ডার: নিকো স্ক্লটারব্যাক, জোনাথান টাহ, রবিন কচ, ম্যাক্সিমিলান মিটেলস্ট্যাড, জশুয়া কিমিখ, অ্যান্টনি রুডিগার, ডেভিড রাম, ভালদেনার আন্টন, বেঞ্জামিন হেনরিখস।

মিডফিল্ডার: আলেকসান্ডার প্যাভলোভিচ, রবার্ট আন্ডরিচ, প্যাসকাল গ্রব, ইলকায় গুন্দোয়ান, ফ্লোরিয়ান রিটজ, জামাল মুসিয়ালা, টনি ক্রুস। ফরোয়ার্ড: নিকলাস ফুলক্রুগ, কাই হাভার্টজ, লেরয় সানে, দেনিজ উন্দাভ, টমাস মুলার, ম্যাক্সিমিলান বেইয়ের।


জার্মানি   ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ   ফুটবল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মুস্তাফিজকে শুভকামনা জানাল চেন্নাই

প্রকাশ: ০৮:০৯ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৭তম আসর। যেখানে এবার শুরু থেকেই চেন্নাইয়ের জার্সিতে দ্যুতি ছাড়িয়েছিলেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। তবে জাতীয় দলের ব্যস্ততার কারণে টুর্নামেন্টের মাঝপথেই দেশে ফিরতে হয়েছিল তাকে। এতে দলটির হয়ে বাকি ম্যাচগুলো মিস করেছেন কাটার মাস্টার।

দলের সঙ্গে না থাকলে কি হবে মুস্তাফিজকে মাঝেমধ্যেই মনে করে চেন্নাইয়ের মিডিয়া বিভাগ। আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য এই বাংলাদেশি পেসারকে শুভকামনা জানিয়েছে আইপিএলের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুস্তাফিজের একটি ছবি পোস্ট করেছে চেন্নাই। সেখানে তারা লিখেছে, ‘মিশন কাটার। সুইং স্ট্রং। তোমাকে শুভকামনা ফিজ।’

এবারের আসরে চেন্নাইয়ের হয়ে ৯ ম্যাচ খেলেছেন মুস্তাফিজ। যেখানে নিজের ঝুলিতে ভরেছেন ১৪টি উইকেট। দলটির হয়ে বাকি ম্যাচগুলো খেললে হয়তো আইপিএলে নিজের করা ২০১৬ সালের রেকর্ডটি ভাঙতে পারতেন এই পেসার। সেবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ১৭ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে ইমার্জিং ক্রিকেটারের পুরস্কারও জিতেছিলেন।

এদিকে আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপ খেলতে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে উড়াল দিয়েছে বাংলাদেশ দল। সতীর্থদের সঙ্গে সেখানে পাড়ি দিয়েছেন দ্য ফিজও।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন