কালার ইনসাইড

ইউটিউবারদের দৌরাত্ম্য: এফডিসি বিমুখ তারকারা

প্রকাশ: ০১:৪৩ পিএম, ২২ জুন, ২০২২


Thumbnail ইউটিউবারদের দৌরাত্ম্যে: এফডিসি তারকারা

জাতির জনকের হাতে গড়া এফডিসিকে যখন একদল অদম্য মেধাবীরা নিজেদের সৃষ্টি দিয়ে কোটি কোটি দর্শক তৈরি করে গেছেন, তখন সেই কোটি কোটি দর্শকদের অশ্রাব্য ভাষায় গুটি কয়েক লোক আমাদের শিল্পীসহ নানা প্রসঙ্গে অপ্রকাশযোগ্য ভাষায় টেনে কথা বলে পূর্বপুরুষদের অপমান করে নিজেদের গর্বিত ভাবছেন। আর আমরা দেখেও না দেখার ভান করছি। 

কানাডায় গেছি সেখানেও এসব নিয়ে অসংখ্যবার প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছি। এতে করে দিন দিন এসব ইউটিউব বক্তারা যেমন ব্যস্ত তখন প্রকৃত শিল্পীরা একটু সম্মান পাওয়ার আশায় এফডিসি থেকে দূরে। এরা সমিতির নামধারী কিছু অসাধু। যাদের উদ্দেশ্য বেফাঁস কথা বলে ভিউ বাড়িয়ে টাকা ইনকাম করা। এই দুষ্টুদের অবশ্যই এফডিসি থেকে বের করে দিতে হবে।  ইউটিউবাদের উপর বিরক্ত হয়ে এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস।

তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রযুক্তি। আর এই প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ইউটিউবে অনেকেই অসত্য তথ্য প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। এর প্রভাব পড়েছে ঢালিউডের চলচ্চিত্রে। সাম্প্রতিক সময়ে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন ইস্যুতে ইউটিউবে এমন অসংখ্য অসত্য প্রকাশের অভিযোগ রয়েছে। আরও অভিযোগ রয়েছে চলচ্চিত্রের বিতর্কিত ইস্যুতে শিল্পীদের নিয়ে লাগামহীন বক্তব্যে সরব এফডিসির বেশ কয়েকজন এক্সট্রা শিল্পী।

বিএফডিসির জৌলুসের সময় গেটের কাছে ঘেঁষতেই দারোয়ানের ভয়ে তটস্থ থাকতো দর্শনার্থীদের। এখন আগের সেই জৌলুস নেই, তবে আছে কনটেন্টের উপযুক্ত বিতর্কিত সব উপাত্য। আর সেই উপাত্য সংগ্রহে অনেকেই বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ান। প্রযুক্তির কল্যাণে হাতের মুঠোয় সেল ফোনে ধারণ করে ছেড়ে দেন নিজেদের মতো করে শিরোনাম দিয়ে। 

ইউটিউবারদের সঙ্গে বিভিন্ন সমিতির লোকজনের সখ্যতার অভিযোগও পাওয়া গেছে। আর এসব কারণে দীর্ঘদিন এফডিসিপাড়ায় ঢোকেন না চলচ্চিত্র নির্মাতা দেওয়ান নজরুল, বজলুর রাশেদ চৌধুরী, এম এন ইস্পানিসহ অনেকেই। শিল্পী সমিতির কার্যকরী সদস্য ও সিনিয়র অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান, অরুণা বিশ্বাসরাও বিরক্ত এই ইউটিউবারদের দৌরাত্ম্যে।

এফডিসিতে ইউটিউবারদের উপস্থিতি নতুন কিছু নয়। এর আগেও শিল্পী ও কুশলীদের হেয় করেছেন কিছু কিছু ইউটিউবার। তবে এদের এফডিসিতে প্রবেশের বিষয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে কতিপয় প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পীরাই দায়ী! অভিযোগ প্রতিপক্ষকে হেয় করতে নিজেরাই ইউটিউবারদের এফডিসিতে প্রবেশ করান।

এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দোস্ত দুশমন’খ্যাত পরিচালক দেওয়ান নজরুল। তিনি বলেন, যেখানেই যাই ইউটিউবে এফডিসিতে ভুঁইফোড় কিছু লোকজন কথা বলছে। মনে হয় তারাই ইন্ডাস্ট্রির সবকিছু। এরা যে বলে যাচ্ছে অবিরাম তাদের থামানোর কেউ নেই। কেউ থামাচ্ছে না। এর কারণ কী? তিনি বলেন, এখানে এখন কেউ কাউকে সম্মান দেন না। যেখানে সম্মান পাই না সেখানে গিয়ে অসম্মানিত হওয়ার দরকার কী?

পরিচালক বজলুর রাশেদ চৌধুরী বলেন, আমি দীর্ঘ পাঁচ মাস হয় এফডিসি যাই না। অথচ আমার জীবনের অর্ধেক সময় সেখানেই কেটেছে। এখনো সেখানকার মানুষগুলোর সঙ্গে আমার ওঠাবসা। কিন্তু যেভাবে ভিউয়ের আশায় যাচ্ছেতাই লোকজন ইউটিউবে অপ্রকাশযোগ্য কথাবার্তা বলে বেড়ান তা শুনে রুচিতে বাধে, তাই প্রয়োজন ছাড়া যাই না। এদের এখনই সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে। এ ব্যাপারে সাংবাদিক ভাইয়েরা আশা করছি উদ্যোগ নেবেন।

অপরদিকে পরিচালক এম এন ইস্পাহানি বলেন, মন চাইলেই এফডিসিতে গিয়ে আড্ডা মারতে পারি না। যেখানেই যাই ইউটিউবারদের দৌরাত্ম। গেলেই কেউ না কেউ এসে বুম ধরে বসে বিব্রতকর বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করে বসে। কোনো সেন্সর নেই। যদিও অনেকে সাক্ষাতকার দিয়ে নিজেকে বিজিত ভাবছেন। সত্যি বলতে এরা পরিচালক সমিতি, প্রযোজক, শিল্পী সমিতি সবার মধ্যে বিদ্যমান। সম্প্রতি মৌসুমী ইস্যুতে এদের কয়েকজন যে ভাষায় ইউটিউবে অশালীন কথাবার্তা ছড়িয়েছেন তাতে করে বাড়িতেও কথা শুনতে হচ্ছে আমাদের। অথচ আমাদের সমিতিগুলো নিশ্চুপ। এফডিসি কর্তৃপক্ষ চোখ বুঝে আছে। তাই খুব কাজ না থাকলে ওমুখী হই না। শুধু ইউটিউবার নয়, যারা ইউটিউবে নিম্নমানের কুরুচিপূর্ণ সাক্ষাতকার দেয় তাদেরও এফডিসিতে প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া উচিত।

সিনিয়র অভিনেত্রী অঞ্জনা বলেছেন, সত্যি বলতে আমি মহাবিরক্ত। মঙ্গলবার (২১ জুন, বিকাল চারটায়) আমাদের শিল্পী সমিতির মিটিং ছিল। যেতে পারিনি; তবে, যুগ্ম মহাসচিব সাইমন সাদিককে ফোনে বলেছি শিল্পী সমিতির তিন সদস্য (সাদিয়া মির্জা, মিজান এবং জামাল পাটোয়ারী) ইন্ডাস্ট্রিকে সমাজে জঘন্যভাবে হেয় করেছে। একজন শিল্পী হিসেবে আমিও অপমানিত হয়েছি। রাস্তাঘাটে কথা শুনতে হয়। এদের ব্যাপারে সমিতি যেন কঠোর অবস্থান নেয়। শিল্পী সমিতি কেন এসব জঘন্যদের আশ্রয় দিয়ে বিতর্কিত হবে?

ইউটিউবাদের উপর বিরক্ত পরিচালক এস এ হক অলিকও। তিনি বলেন, সম্প্রতি চিত্রনায়িকা মৌসুমী প্রসঙ্গে বেশ কয়েক জনকে দেখলাম ইউটিউবে কথা বলতে। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসে তারা চলচ্চিত্রের কারা? চাইলেই কি একজন মৌসুমীকে নিয়ে যাচ্ছেতাই বলা সম্ভব? তাদের এত সাহস দেয় কে? বলার আগে চিন্তা করা দরকার আমি কে, আমার ওজন কতটুকু। সত্যি এটি খুবই দুঃখজনক। সময় থাকতে এদের থামানো উচিত। না হলে ভবিষ্যতে অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন থেকেই আলোচনায় বিএফডিসি। বেশ কয়েকটি ইস্যুতে কাঠগড়ায় শিল্পীরা। এ প্রসঙ্গে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া বলেন, সবকিছুর আগে আমাদের কাজ হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি বেশি বেশি সিনেমা নির্মাণ ও কাজ করি তাহলে ভবিষ্যতে এসব বিষয়ে মনে হয় আর কখনোই প্রশ্ন আসবে না। নায়িকার ভাষায়, কাজ নেই বলেই এমনটি হচ্ছে।

চলচ্চিত্রের এ ধরনের অপ্রীতিকার ঘটনা ঘটলেই কিছু অসাধু লোক এসব নিয়ে সিনেমার মানুষদের চরিত্র হননে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তারা ফেসবুক লাইভ বা ইউটিউবে তুচ্ছ বিষয়গুলো নিয়ে নিজের মতো করে শিল্পীদের চরিত্র নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেন। তাদের বেফাঁস মন্তব্যে পুরো শিল্পী সমাজ তো বটেই চলচ্চিত্রের বদনাম হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন চিত্রনায়ক ওমর সানী।গত শনিবার (১৮ জুন) রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি শিল্পী সমিতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

চলচ্চিত্রের চলমান তর্ক-বিতর্কে কতিপয় ফেসবুক কিংবা ইউটিউবার নানা ধরনের কুরুচিপূর্ণ ভিডিও অডিও ইডিট করে তা আপলোড দেয়। এতে মূল ঘটনা থেকে সরে গিয়ে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনায় ওমর সানী কিংবা মৌসুমীর বদনাম হতে থাকে। এবার সেই সব মানসিকতা নিয়ে মানুষদের একহাত নিলেন ওমর সানী। মঙ্গলবার (২১ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি ছবিসহ একটি পোস্ট দেন।

সেই পোস্টে তিনি লেখেন, কতগুলো অথর্ব কানা বেয়াদব, ছাগল-পাগল যা ইচ্ছা বলছে ইউটিউবে, শুধু কয়েকটা ডলারের লোভে। সবাই নয় (শিল্পী ছাড়া আর কোনো সাবজেক্ট নেই)। সবাইকে ইতিবাচক হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। 

ওমর সানী   চলচ্চিত্র   ইউটিউবার   অঞ্জনা   অরুণা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন আনুশকা

প্রকাশ: ০৫:১০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত বেশ কিছু হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। নিজের অভিনয়গুণে খুব অল্প সময়েই দর্শকদের নজর কাড়েন এই অভিনেত্রী। তবে জানেন কি? অভিনেত্রী নয় সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন আনুশকা।

জানা গেছে, সবসময়ই একজন সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন অনুশকা। কিন্তু ভাগ্যের টানে হয়ে গেলেন অভিনেত্রী। সংবাদকর্মী হিসেবে কাজ করার বদলে নিজেই একজন পেজ থ্রির নিউজে থাকেন। আর অভিনেত্রীর এই সফরটাই তখন শুরু হয় যখন ফ্যাশন ডিজাইনার ভেন্ট্রেল রড্রিকস তাকে একটি শপিং মলে দেখেন।

আনুশকাকে সেখানে দেখার পর একটি ফ্যাশন শোতে হাঁটার জন্য বলেন ভেন্ট্রেল রড্রিকস। সেই থেকে শুরু হলো আনুশকার শোবিজে পথ চলা। প্রথমে মডেলিং, পরে সেখান থেকে বলিউড যাত্রা।

২০০৮ সালে ‘রাব নে বানা দি জোড়ি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় আনুশকার। আর ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমাতেই শাহরুখ খানের সঙ্গে কাজ করেন তিনি। এরপর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর ২০১৭ সালে ক্রিকেটার বিরাট কোহলির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন আনুশকা। তাদের সংসারে রয়েছে দুটি সন্তান। মেয়ে ভামিকা এবং ছেলে অকায়। বর্তমানে স্বামী-সন্তান নিয়ে বেশ সুখেই দিন পার করছেন এই অভিনেত্রী।

বলিউড   আনুশকা শর্মা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সালমান খানের বাড়িতে হামলায় অভিযুক্তদের রহস্যময় মৃত্যু

প্রকাশ: ০১:৪৯ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।

বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায় বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।

গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।

সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।

গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।


সালমান খান   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মধ্যরাতে ফেসবুকে তানজিন তিশার রহস্য ঘেরা পোস্ট

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যরাতে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দেওয়া বা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানোটা যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে দেশের বিনোদন অঙ্গনের তারকাদের। এর আগে পরীমণি, মাহিয়া মাহিকে মাঝরাতে এরকম করতে দেখা গেছে। এবার তালিকায় নাম উঠল তানজিন তিশার। দুপুর রাতে নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে দিলেন কড়া হুঁশিয়ারি। 

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে তিশা নিজের ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি চাইলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একজন অপরাধীর গল্প শেয়ার করতে পারি। সেই সাহস এবং প্রমাণ আমার আছে।’ 

এরপর অভিনেত্রী লেখেন, ‘মনে রেখো আমি তোমার খারাপ কাজের জন্য তোমাকে সবার সামনে রক্ষা করেছি। বিখ্যাত অভিনেতা হওয়ার আগে একজন ভালো ও বিশ্বস্ত মানুষ হওয়া খুব প্রয়োজন।’

তিশার এমন উত্তপ্ত পোস্ট দেখে নড়েচড়ে বসেন নেটিজেনরা। কাকে এমন হুমকি দিলেন নায়িকা এমনটা যখন ভাবছিলেন অনেকে তখন দেখা যায় ওই পোস্টটি আর নেই। নিজের ফেসবুক থেকে মুছে দিয়েছেন তিনি।

এর আগে মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় তুলকালাম বাঁধিয়েছিলেন তিশা। পরে মিটেও যায় তা। অনেকের ধারণা ফের হয়তো তাকে ঘিরেই রাত দুপুরে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে রাতের আঁধারেই পোস্ট মুছে দিয়ে বিরত রইলেন অপরাধীর গল্প বলা থেকে। 

বলে রাখা ভালো, মাঝে এই প্রেমজনিত কারণেই ঢাকা মেডিকেলেও ভর্তি হতে হয়েছিল মধ্যরাতে। জানা গেছে, সেই যাত্রায় তিনি আত্মহননের চেষ্টা চালিয়েছিলেন। তখনও উঠে আসে সহশিল্পী মুশফিক আর ফারহানের নাম।

তানজিন তিশা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে তাহসান-ফারিণের গান

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। ২০১৭ সালে মায়ের ইচ্ছায় অভিনয়ে নাম লেখান। তারপর অংসখ্য নাটক-টেলিফিল্মে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী।

গত ঈদুল ফিতরে গায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন তাসনিয়া ফারিণ। ‘রঙে রঙে রঙিন হব’ শিরোনামের গানটি দ্বৈতভাবে কণ্ঠে তুলেন তাহসান খান ও ফারিণ। গানটি ‘ইত্যাদি’-তে প্রচারের পর গত ১৬ এপ্রিল ইউটিউবে মুক্তি পায়। তারপর গানটি যেন লুফে নেন শ্রোতারা।

এখন পর্যন্ত গানটির মোট ভিউ দাঁড়িয়েছে ৯৫ লাখ ৭২ হাজারের বেশি। দর্শক-শ্রোতারা গানটির ভূয়সী প্রশংসা করছেন। শুধু তাই নয়, বর্তমানে বাংলাদেশ অংশে (মিউজিক) ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের তালিকার শীর্ষে রয়েছে গানটি।

বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বসিত উপস্থাপক হানিফ সংকেত। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লেখেন, “প্রিয় দর্শক, ঈদ উপলক্ষে ঈদের বিশেষ ইত্যাদিতে প্রচারিত সবগুলো গানই আপনারা পছন্দ করেছেন জেনে আমরা আনন্দিত। গানটির মধ্যে শিল্পী তাহসান ও তাসনিয়া ফারিণের গাওয়া ‘রঙে রঙে রঙিন হব’ গানটি আপনাদের বিচারে সেরা গান নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশ থেকে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে মিউজিক বিভাগে এক নম্বর স্থানে উঠে আসে, যা এখনো অটুট আছে।”

গায়িকা হিসেবে ফারিণকে দর্শক এখন চিনলেও অনেক আগে থেকেই গানের চর্চা করেন তিনি। এ বিষয়ে ফারিণ বলেন, ‘আমি কিন্তু নায়িকার আগে গায়িকা। যশোর থেকে ঢাকায় এসেও গানের চর্চা করেছি। দিনের পর দিন গান শিখেছি। জাতীয়, বিভাগীয় পর্যায়ে গান করেছি। গান গেয়ে অনেক পুরস্কার পেয়েছি। কিন্তু অভিনয়ের কারণে গানের প্রতিভা এতদিন কেউ জানতে পারেনি।’

‘রঙে রঙে রঙিন হব’ শিরোনামে গানের কথা লিখেছেন কবির বকুল। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন ইমরান মাহমুদুল।

তাসনিয়া ফারিণ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন সাকিব

প্রকাশ: ০৮:২৮ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান প্রজন্মের আলোচিত-সমালোচিত নায়ক জায়েদ খান। বিভিন্ন সময় তার নানান কর্মকাণ্ডের জন্য সমালোচিত হতে হয়। অন্যদিকে বিভিন্ন ঘটনায় অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে হঠাৎ নিজের মেজাজ হারাতে দেখা গেছে। এবার তাকে দেখা গেছে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়তে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কয়েক সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপে সাকিবের ক্ষোভের বিষয়টি দেখা গেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, সুইমিংপুলের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে যাচ্ছিলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তার ঠিক পাশেই দাঁড়ানো ছিল চিত্রনায়ক জায়েদ খান। হঠাৎ দেখা যায়, সাকিব তার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি সুইমিংপুলে ছুড়ে ফেলে দিয়ে হেঁটে চলে যান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সাকিবের এমন আচরণে হতভম্ব হয়ে যান জায়েদ খান। ধারণা করা হচ্ছে, পানিতে ছুড়ে ফেলা ফোনটি জায়েদ খানের।

ধারণা করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। সেকারণেই হয়তো জায়েদ খানের ওপর চটেছেন সাকিব আল হাসান। শেষমেশ মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পেরে হাতে থাকা ফোনটি পানিতে ছুঁড়ে মারেন। 

ভিডিওটি ঠিক কোন জায়গায় ধারণ করা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তবে ভিডিওটির বিশ্লেষণে অনুমান করা যায়, সেটি কোনো রিসোর্ট কিংবা হোটেলের সুইমিংপুল হতে পারে।

জানা গেছে, ব্যক্তিগত কাজে গিয়ে সেখানে সাকিবের সঙ্গে দেখা হয় জায়েদ খানের। তখন একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের মাঝেই ঘটে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।

যদিও এই ঘটনার রেশ ধরে এখনো তাদের কেউই প্রকাশ্যে কথা বলেননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘটনা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন।

জায়েদ খান   সাকিব আল হাসান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন