ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অনুমোদন ছাড়া হজ্ব পালনে জরিমানার সিদ্ধান্ত সৌদির

প্রকাশ: ০৫:২৫ পিএম, ২৯ জুন, ২০২২


Thumbnail অনুমোদন ছাড়া হজ্ব পালনে জরিমানার সিদ্ধান্ত সৌদির

যথাযথভাবে সরকারের অনুমোদন না নিয়ে হজ্ব পালনে জরিমানা গুনতে হবে হাজিদের। এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। 

বুধবার (২৯ জুন) দেশটির হজ্ব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কেউ যদি অনুমোদন ছাড়া হজ্ব করতে যায় তাকে ১০ হাজার রিয়াল জরিমানা করা হবে। 

একটি টুইট বার্তায় মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সামি বিন মোহাম্মদ আল শুওয়াইরখ জোর দিয়ে জানিয়েছেন যারা হজ্ব করতে ইচ্ছুক তাদের প্রথমে সরকারি অনুমতি নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, মক্কার গ্রান্ড মসজিদে যাওয়ার পথের নিরাপত্তায় কর্মকর্তারা থাকবেন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। তাছাড়া পবিত্র স্থানে নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের প্রতিরোধ করা হবে বলেও জানানা তিনি।

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই হজ্ব অনুষ্ঠিত হবে। এবার বাংলাদেশের সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ্বযাত্রীর কোটা ৪ হাজার ১১৫ জন। অন্যদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় কোটা ৫৫ হাজার ৮৮৫ জন।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সৌদি সরকারের বিধিনিষেধের মুখে গত দুই বছর বিদেশিরা হজ্ব পালন করতে পারেননি। এ বছর দেশি-বিদেশি মোট ১০ লাখ মানুষকে হজ্ব করার অনুমোদন দিয়েছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরব   হজ্ব   অনুমোদন   জরিমানা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশ কতটা পিছনে ফেলল পাকিস্তানকে?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে পাকিস্তানকে পরাজিত করে স্বাধীনতা লাভ করেছিল বাংলাদেশ। সেই পাকিস্তানকে পিছনে ফেলে সমৃদ্ধি আর উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে অর্থনীতির নানা ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। 

বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন চোখ এড়িয়ে যায় নি পাকিস্তানেরও। বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে।

সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ করাচিতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেছেন, 'অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নতি করেছে, বাংলাদেশের দিকে তাকালে এখন লজ্জিত হই।'

শাহবাজ শরিফ আরও বলেন, 'যখন আমি ছোট ছিলাম, তখন পূর্ব পাকিস্তানকে পাকিস্তানের ওপর বোঝা হিসেবে দেখা হতো। কিন্তু শিল্প প্রবৃদ্ধিতে তারা এখন অসাধারণ অগ্রগতি সাধন করেছে। আর তাদের এ উন্নতির দিকে তাকালে এখন আমাদের লজ্জা লাগে।'

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, স্বল্পোন্নত দেশ(এলডিসি) থেকে বের হয়ে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের পথে। বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি গ্রামীণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। এছাড়া, তৈরি পোশাক খাত ও রেমিট্যান্স বড় ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশের সামনে যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশের মর্যদা পাবে বাংলাদেশ। তখন বিশ্বদরবারে দেশটির গুরুত্ব আরও বেড়ে যাবে।

অন্যদিকে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, পাকিস্তানের রাজনীতিতে কমবেশি সবসময়ই অস্থিরতা ছিল। সেখানে গণতন্ত্র প্রায় অনুপস্থিত থাকায় দেশটির অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে এটি কোনোভাবেই সাহায্য করেনি। যেখানে, নব্বইয়ের দশকের পর থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় একধরনের স্থিতিশীলতা ছিল, যা অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে পেরেছে।

সামাজিক ক্ষেত্রে যেসব সূচকে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে সেগুলো হলো- 

১. মাথাপিছু আয়: পরিসংখ্যান অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের মানুষের গড় মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৫৮০ টাকা, যা তৎকালীন ৯৪ মার্কিন ডলারের সমান। নব্বইয়ের দশকের পর বাংলাদেশের উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হয় এবং মাথাপিছু আয় বাড়তে থাকে। 

বর্তমানে, বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৬৫ ডলার। আর পাকিস্তানে ১ হাজার ৪৭১ ডলার।

২. জিডিপির প্রবৃদ্ধি: বাংলাদেশে এক দশক ধরে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার গড়ে ৬ থেকে ৭ শতাংশ অর্জন। অন্যদিকে, একই সময়ে পাকিস্তানে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে গড়ে মাত্র ৩ থেকে ৪ শতাংশ। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের জিডিপির ৬ থেকে ৭ শতাংশ আসত শিল্প খাত থেকে। তখন পাকিস্তানে শিল্পের অবদান ছিল ২০ শতাংশ। 

বর্তমানে, বাংলাদেশে শিল্প খাতের অবদান জিডিপির ২৯ শতাংশ। বাংলাদেশে জিডিপির আকার ৪৬০ বিলিয়ন ডলার। আর পাকিস্তানের ৩৪৮ বিলিয়ন ডলার।

৩. রপ্তানি আয়: রপ্তানি আয়েও পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এখন পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয়। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ রেকর্ড পরিমাণ ৫ হাজার ৫৫৬ (৫৫.৫৬ বিলিয়ন) কোটি ডলারের পণ্য ও সেবা রপ্তানি করেছে। 

অন্যদিকে, পাকিস্তান গত অর্থবছরে ৩ হাজার ২৫০ (৩২.৫০ বিলিয়ন) কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় এখন ৬০ শতাংশ বেশি।

৪. মূল্যস্ফীতি: কোভিড মহামারি ও এর পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, ইউক্রেন যুদ্ধ সব মিলিয়ে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ও উৎপাদনব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে। ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ার কারণেও মারাত্মক সমস্যায় পড়ে বিভিন্ন দেশ। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানও এর ব্যতিক্রম নয়। ফলে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ দুই দেশেই আছে।

কিন্তু এত কিছুর পরেও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, মার্চ মাসের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশে।

অন্যদিকে, পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতি এখন অতিমাত্রায় বেশি। মূল্যস্ফীতির চাপে পাকিস্তানের মানুষ পিষ্ট। শুধু মার্চ মাসেই দেশটিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ২৭ শতাংশের বেশি।

৫. রির্জাভ: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন বাংলাদেশ- পাকিস্তান দুই দেশেই আলোচিত। ডলারসংকট ও আন্তর্জাতিক বাজার থেকে বেশি মূল্যে পণ্য আমদানি করতে গিয়ে রিজার্ভে টান পড়েছে সবার। তবে, পাকিস্তানের রিজার্ভ ফুরিয়ে যাচ্ছে দ্রুত। পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৫৪৫ কোটি বা ৫.৪৫ বিলিয়ন ডলারে। 

অন্যদিকে, বাংলাদেশের রিজার্ভ আছে পাকিস্তানের প্রায় চার গুণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, রিজার্ভের পরিমাণ ২ হাজার কোটি বা ২০ বিলিয়ন ডলার।

৬. জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার: স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি সাফল্য দেখিয়েছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে। বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ, যেখানে পাকিস্তানে ২ দশমিক ২৩ শতাংশ। 

৭. শ্রমশক্তিতে নারীদের অবদান: শ্রমশক্তিতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীদের অবদানেও পাকিস্তানের চেয়ে অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রতি ৩ জনের ১ জন নারী কাজ করেন। 

অন্যদিকে, পাকিস্তানে প্রতি ৫ জনের ১ জন কর্মক্ষম নারী। অর্থাৎ কর্মক্ষম মানুষের মধ্যে বাংলাদেশের ৩৫ শতাংশ নারী, যা পাকিস্তানে ২০ শতাংশ।

৮. মানব উন্নয়ন সূচক: মানব উন্নয়ন সূচকেও পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশে গড় আয়ুও বেশি। 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের গড় আয়ু ৭২ দশমিক ৩ বছর। যেখানে পাকিস্তানে মাত্র ৬৯ বছর। 

৯. শিশুমৃত্যু: আবার, শিশুমৃত্যুর হার বাংলাদেশে হাজারে ৩৩। আর, পাকিস্তানে এই সংখ্যা ৭০-এর বেশি। 

১০. প্রাথমিক শিক্ষা: প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রেও আমাদের সাফল্য প্রায় শতভাগ। বাংলাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষার হার ৪২ শতাংশ। অন্যদিকে, পাকিস্তানে এই হার অর্ধেকেরও কম ১৫ শতাংশ।

বাংলাদেশে লম্বা সময় ধরে গণতান্ত্রিক সরকার থাকার কারনে উন্নয়ন এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখাতে সুবিধা হয়েছে। যেখানে, পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক সরকার কম সময় ছিল। ফলে সেখানে উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কেনিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতে বাঁধ ভেঙে ৪২ জন নিহত

প্রকাশ: ০৫:৩৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির উত্তরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতে বাঁধ ভেঙে অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় দেশটির অনেক অঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। 

সোমবার (২৯ এপ্রিল) এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 

কেনিয়ার নাকুরু কাউন্টির গভর্নর সুসান কিহিকা বলেন, বাঁধ ভেঙে পানি বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে পড়েছে। এতে অন্তত ৪২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কাদায় এখনও আরও অনেকে আটকা পড়েছেন। আমরা তাদের উদ্ধারের কাজ করছি।

মাই মাহিউর শহরের রিফ্ট ভ্যালির কাছের একটি বাঁধ পানির প্রবল চাপের কারণে হঠাৎ করেই ভেঙে যায়। এতে অনেক ঘরবাড়ি ও যানবাহন ভেসে গেছে। ওই এলাকায় চলাচলের একটি রাস্তাও ভেঙে গেছে। এতে শহরটির সাথে যান চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

উল্লেখ্য, দেশটির কর্মকর্তারা বরেছেন, এল নিনো ধাঁচের আবহাওয়ার কারণে পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটিতে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গত মার্চ থেকে কেনিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাত এবং বন্যায় অন্তত ৭৬ জন নিহত হয়েছেন।


কেনিয়া   বৃষ্টিপাত   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর বানাচ্ছে দুবাই

প্রকাশ: ০৫:১৪ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর বানাচ্ছে দুবাই। যার নামকরণ করা হয়েছে আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার । ধারণা করা হচ্ছে, এ বিমানবন্দরের ধারণক্ষমতা হবে ২৬ কোটি। নির্মাণ কাজ শেষ হলে এটি হবে বিশ্বের বড় এবং বেশি মানুষ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন বিমানবন্দর টার্মিনাল।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুবাইয়ের প্রধানমন্ত্রী এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম রোববার জানিয়েছেন, নতুন টার্মিনালটি বর্তমান দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আকারের পাঁচগুণ হবে এবং বছরে ২৬ কোটি যাত্রী পরিচালনা করবে। আগামী বছরগুলোতে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সব কার্যকলাপ নতুন আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থানান্তরিত হবে বলেও জানান তিনি। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তায় শেখ মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা দক্ষিণ দুবাইয়ের এই বিমানবন্দরের চারপাশে একটি সম্পূর্ণ শহর তৈরি করেছি, যা ১০ লাখ মানুষের আবাসন চাহিদা পূরণ করবে। এটি লজিস্টিক এবং এয়ার ট্রান্সপোর্ট সেক্টরে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সংস্থাগুলোকে হোস্ট করবে।’

দুবাইয়ের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নতুন প্রকল্প তৈরি করছি। আমাদের সন্তানদের এবং তাদের সন্তানদের জন্য ক্রমাগত এবং স্থিতিশীল বিকাশ নিশ্চিত করছি। দুবাই হবে বিশ্বের বিমানবন্দর, বন্দর, শহুরে হাব এবং এগুলোর নতুন বৈশ্বিক কেন্দ্র।’

আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি সম্পন্ন হলে এটি হবে ফ্ল্যাগশিপ ক্যারিয়ার এমিরেটসের নতুন ঠিকানা এবং এতে থাকবে ৫টি সমান্তরাল রানওয়ে এবং ৪০০টি বিমানের গেট। এটি একটি নেতৃস্থানীয় বিমান চলাচল কেন্দ্র হিসেবে দুবাইয়ের অবস্থানকে মজবুত করবে বলেই জানিয়েছেন দুবাই এয়ারপোর্টের সিইও পল গ্রিফিথস।

এক বিবৃতিতে গ্রিফিথস বলেন, ‘দুবাইয়ের সমৃদ্ধি সবসময়ই এর বিমান পরিকাঠামো বৃদ্ধির সঙ্গে জুড়ে রয়েছে এবং আজ আমরা সেই যাত্রায় আরেকটি সাহসী পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি।’

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট টানা ১০ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দরে পরিণত হয়েছে, যা এখন সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাসহ ধারণক্ষমতাকে চাপের মধ্যে ফেলেছে। 

জানা যায়, গত বছর প্রায় ৮৭ মিলিয়ন যাত্রী এই ট্রানজিট হাব ব্যবহার করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশ ২০২৩ সালে রেকর্ড ১৭ দশমিক ১৫ মিলিয়ন আন্তর্জাতিক যাত্রীর ট্রানজিট ঘোষণা করে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ বেশি।


বিমানবন্দর   দুবাই  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নারীর পোশাক পরায় যুবক গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৩:২৩ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নারীদের পোশাক পরে ট্রেনে যাত্রা করছিলেন এক যুবক। এক লিঙ্গের হয়ে অন্য লিঙ্গের পোশাক পরে বাইরে বের হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আলোচিত এই ঘটনা ঘটেছে সৌদি আরবে। এই খবর জানিয়েছে গালফ নিউজ।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, নারীদের পোশাক পরায় রাজধানী রিয়াদ থেকে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে সৌদির নিরাপত্তা বাহিনী। ওই যুবকের একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি নারীদের পোশাক পরে ট্রেনে করে যাচ্ছেন। এরপরই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এক লিঙ্গের হয়ে অন্য লিঙ্গের পোশাক পরে বাইরে বের হলে সৌদি আরবে তিন বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

দেশটিতে পুরুষ হয়ে নারীদের পোশাক পরা একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ছাড়া এই আইনে ‘অনুপযুক্ত’ পোশাক পরা, প্রকাশ্যে নৈতিকতা বিরোধী কাজ করা এবং আবাসিক এলাকায় জোরে গান বাজানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সৌদির আইনানুযায়ী, যারা এসব অপরাধ করবেন তাদের বিরুদ্ধে ৫০ রিয়াল থেকে ৩ হাজার রিয়াল পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরবে কথিত আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। তবে এখনো দেশটিতে নারী ও পুরুষের শালীন পোশাক পরার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে।


সৌদি আরব   নারীর পোশাক   যুবক গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আদালতে থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিচারক অপহরণ

প্রকাশ: ০৩:০১ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের জেলা ও দায়রা জজ শাকিরুল্লাহ মারওয়াতকে আদালত থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণ করেছেন অস্ত্রধারীরা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) তাকে দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়ার ট্যাঙ্ক ও ডেরা ইসমাইল খানের সীমান্ত এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়। তবে অপহরণের একদিনের মাথায় তাকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। খবর জিও নিউজের।

প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মুহাম্মদ আলী সাইফ জিও নিউজের কাছে বিচারক শাকিরুল্লাহকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিক করেছেন। তাকে নিরাপদে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ব্যারিস্টার সাইফ বলেন, এই ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

পুলিশ বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনী গতকাল রাতে ডিআই খানের কুলাচি এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। যার ফলে ওই বিচারককে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের আদালেতে নিয়োজিত এই বিচারককে ট্যাঙ্ক ও ডিআই খানের মধ্যবর্তী সীমান্ত এলাকা বাগওয়াল গ্রাম থেকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। ডিআই খানের উপ-পুলিশ সুপার (ডিএসপি) মোহাম্মদ আদনান জানান, শাকিরুল্লাহ আদালত থেকে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। এরপরই কাউন্টার-টেরোরিজম ডিপার্টমেন্টেঅজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর করেন বিচারকের গাড়ি চালক শের আলী।

এফআইআর দায়ের করার আগে ওই বিচারককে দ্রুত উদ্ধার করতে একটি উচ্চ-স্তরের বিশেষ দল গঠন করে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ। তার আগে ৬৩ সেকেন্ডের এক ভিডিও বার্তায় বিচারক শাকিরুল্লাহ জানান, অস্ত্রধারী ব্যক্তিদের সরকারের কাছে কিছু দাবি রয়েছে। তাদের দাবি পূরণ করা হলেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।


পাকিস্তান   জেলা ও দায়রা জজ   শাকিরুল্লাহ মারওয়াত   অপহরণ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন