নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩২ পিএম, ১২ জানুয়ারী, ২০১৮
পুরান ঢাকার বকশী বাজারের অস্থায়ী আদালতে বেগম জিয়া তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদকে বলেন, ‘আপনি রাজনৈতিক বক্তৃতা দিচ্ছেন কেন? ল পয়েন্ট নিয়ে কথা বলেন।’ গত বৃহস্পতিবার নবম দিনের মতো বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হয়। ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারের পর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। যদিও আসামি পক্ষ থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য যে তালিকা দেয়া হয়েছিলো, সেই তালিকায় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের নাম ছিলো না। কিন্তু আদালতের বিশেষ অনুমতি নিয়ে তিনি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। মধ্যাহ্ন ও নামাজের বিরতি পর্যন্ত ব্যারিস্টার মওদুদ এই বিচারকে ‘ক্যামেরা ট্রায়াল’ এবং সামরিক আদালতে বিচারের সঙ্গে তুলনা করে বক্তব্য দেন। মধ্যাহ্ন বিরতিতে বেগম জিয়া ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদকে ডেকে বলেন, ‘আপনি ল পয়েন্ট বলছেন না কেন। আমার স্বাক্ষরে টাকা উঠে নি। জাল দলিল হয়েছে। ব্যাংকে টাকাও আছে এসব বলুন।’ ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘ম্যাডাম আামি বলবো।’ ঘটনার সাক্ষী একজন জুনিয়র আইনজীবী পরে মন্তব্য করেন, ‘মওদুদ স্যার এবার আর ক্যান্টনমেন্টের বাড়ির মামলার খেলা খেলতে পারবেন না। ম্যাডাম এখন ল’ বোঝে।’ উপস্থিত অন্যান্য বিএনপি পন্থী আইনজীবীরা এ কথায় হেসে উঠেন।
বাংলা ইনসাইডার/টিবি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।
আজ রোববার (১২ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।
এর আগে, শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে উপজেলার সানন্দবাড়ী এলাকার পাটাধোয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ শামিম হোসেনকে (১৫) আটক করে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ওই কিশোর।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে মুজাহিদ তার বাবা-মায়ের অগোচরে ঘর থেকে ৫০০ টাকার একটি নোট নিয়ে পাশের এক দোকানে যায়। এসময় শামীম টাকার লোভে শিশু মুজাহিদের পিছু নেয় এবং টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য বেড়ানোর কথা বলে তাকে বাড়ির নিকটবর্তী ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মুজাহিদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা নিতে না পেরে শামীম জোরপূর্বক ৫শ’ টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে সানন্দবাড়ি ব্রহ্মপুত্র নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে শামিম গা ঢাকা দেয়। পরে নিখোঁজ মুজাহিদের স্বজনরা শামিমকে সন্দেহ করে পুলিশকে জানালে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে তাকে আটক করা হয়।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, শামিমকে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে আটক করা হয়েছে। শনিবার ঘটনাস্থলে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মুজাহিদকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে। ছোট ছেলে মুজাহিদ, সাঁতার জানে না। ধারণা করা হচ্ছে, মুজাহিদের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হলে আদালতে প্রেরণ করা হয় শামিমকে।
ব্রহ্মপুত্র নদ ৫শ’টাকার লোভ শিশু কিশোর
মন্তব্য করুন
ভারতের হাইকমিশনার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।