কালার ইনসাইড

ভার্চুয়াল বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে চলচ্চিত্রের ক্ষতি করছি নাতো?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৫ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail ভার্চুয়াল বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে চলচ্চিত্রের ক্ষতি করছি নাতো?

বেশ লম্বা সময় ধরেই চলচ্চিত্রের অবস্থা বেশ খারাপ। নেই ভালো মানের সিনেমা, দর্শক হচ্ছেন হল বিমুখ। একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সিনেমা হলগুলো। সবকিছু মিলিয়ে এক ক্রান্তিকাল পার করছে ঢাকাই চলচ্চিত্র। তবে এইবার ঈদে অন্ধকারে কিছুটা আলোর দেখা মিলেছে। এবার ঈদে ছবি মুক্তির পর বেশ আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে দর্শক মহলে।

প্রেক্ষাগৃহগুলো অধিকাংশই হাউজ ফুল। টিকেট বুকিং হয়ে থাকছে অগ্রিম। অনেকেই টিকিট না পেয়ে ব্ল্যাকেও টিকেট কিনছেন। সিনে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বাংলা সিনেমার সুদিন ফিরে আসছে। তবে এত আনন্দের মাঝে দেখা দিয়েছে হতাশা। সিনেমার এই সুসময়কে অনেকাংশেই ম্লান করে দিচ্ছে ভার্চুয়াল বাকবিতণ্ডা। গত রোজার ঈদে চলচ্চিত্রের নানা ফেসবুক গ্রুপে ভক্তদের বাকবিতণ্ডা থাকলেও এবার সেই কাতারে নাম লিখিয়েছেন তারকারাও।

দীর্ঘ আট বছর পর অনন্ত জলিল ও বর্ষা জুটি নতুন সিনেমা নিয়ে হাজির হয়েছেন। গত ১০ জুলাই দেশের ১১৫টি হলে মুক্তি পেয়েছে তাদের অভিনীত ‘দিন দ্য ডে’ সিনেমাটি। মুক্তির পর থেকেই প্রতিদিন বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে ঘুরে বেড়িয়েছেন তারা। সিনেমাটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কম হয়নি। অনন্তের প্রতিটি সিনেমার নায়িকা কেন বর্ষা, এ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। আর সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বর্ষা বলেন, কী টাইপের নায়িকা আপনাদের পছন্দ? সেই নায়িকা পছন্দ- যারা পেটে সন্তান নিয়ে কিংবা সন্তান প্রসব করে হাইডে (আড়ালে) থাকে? নাকি যারা হিরোইন, ফেনসিডিল, মদ, গাঁজা নিয়ে ধরা পড়ে পুলিশের হেফাজতে থাকে? যেসব নায়িকা বিয়ের শাড়িটাও স্পন্সর নিয়ে পরে তাদের পছন্দ? তাদেরকে অনন্ত জলিলের সঙ্গে মানাবে? আমি সেই গ্রেডের নায়িকা না। আমি আমার জায়গায় আছি।

বর্ষার এমন মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সেই কাতারে ছিলেন ‘পরাণ’ সিনেমার নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। তিনি বলেন, প্রথমেই বলে রাখি আমার বিয়ের ড্রেস আমার নিজের টাকায় কেনা। আমি মনে করি ইন্ডাস্ট্রিতে যারা কাজ করে তাদের নিয়ে কিছু বলতে গেলে ভেবেচিন্তে বলতে হয়।

তিনি আরও বলেন, সকল কো-আর্টিস্টকে সম্মান দিয়ে কথা বলা শিখতে হয়। এটাই আসল বিষয়। সবাইকে একসঙ্গে মিলে কাজ করতে হবে। আমি আপনার বদনাম করলাম, আপনি আরেকজনের বদনাম করলেন। এটা তো ঠিক না। আমি আমার পরিবার থেকে এসব শিক্ষা পাইনি।

এদিকে, ঈদের পর মুক্তি পেয়েছে নতুন চলচ্চিত্র 'হাওয়া'। এই ছবির মূল অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী নিজেও জড়িয়েছেন বাকবিতণ্ডায়। তিনি সিনেমা মুক্তির দিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘হাওয়া’ পিওর বাংলাদেশের সিনেমা। বাংলাদেশে বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ নকল সিনেমা তৈরি হয়েছে। এখনও সেই স্টাইল ফলো করে অনেকে নির্মাণ করছেন। ‘হওয়া’ যারা দেখবেন, আপনারা সত্যি সত্যি যদি সিনেমা বুঝেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে, ‘হাওয়া’ সিনেমা পিওর বাংলাদেশের সিনেমা।

নিজের সিনেমার প্রশংসা করতে গিয়ে ছোট পর্দার এই অভিনেতার বড় পর্দার সব সিনেমা নিয়ে আক্রমণমূলক মন্তব্যে বেশ সরব হয়ে উঠেন অনেকেই। বড় পর্দার সব সিনেমা নিয়ে নেতিবাচক বক্তব্য দিয়ে তোপের মুখে পড়েছেন তিনি। চঞ্চলের এমন মন্তব্য নিন্দা জানিয়েছেন অনেক চলচ্চিত্র নির্মাতা।

চঞ্চল চৌধুরীর বক্তব্যর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাতা সায়মন তারিক এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, কাউকে ছোট করে বড় হওয়া যায় না। গত দুদিন আগে টেলিভিশন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ‘হাওয়া’ সিনেমা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, এত দিন এদেশে নকল সিনেমা নির্মাণ হত। নকলের যুগ শেষ। ‘হাওয়া’ সম্পূর্ণ নতুন গল্পের সিনেমা। এই রকম সাবজেক্ট নিয়ে এদেশে আর কোন সিনেমা নির্মাণ হয়নি। আমি সবিনয়ে চঞ্চল চৌধুরীর এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাই। ‘হাওয়া’ নতুন কোন গল্পের সিনেমা নয়। আশির দশকে নায়ক রাজ রাজ্জাক ‘অভিযান’ নামে যে সিনেমাটি নির্মাণ করেছিলেন ‘হাওয়া’ সিনেমাটি তারই কপি গল্প। ‘অভিযান’ সিনেমাটির পুরো গল্প ছিল ট্রলারে। মৎস্যজীবীদের নিয়ে। তাদের জালেই ধরা পরে রোজিনা। রোজিনাকে ঘিরেই গল্প এগিয়ে চলে। ‘হাওয়া’ সেই গল্পের অনুকরণে নির্মিত সিনেমা।

তিনি আরও লিখেন, আজ সুমন যে ‘হাওয়া’ বানিয়েছেন তার অনেক আগেই রাজ্জাক সাহেব এমন সিনেমা বানিয়ে দেখিয়েছেন। চঞ্চল চৌধুরীর মতো অভিজ্ঞ অভিনেতার কাছে এমন মন্তব্য আশা করিনি। নিজের অভিনীত সিনেমার প্রচারণা করতে গিয়ে দেশের মুক্তিপ্রাপ্ত সব সিনেমাকে ছোট করে কথা বলা নেহায়েতই হীনমন্যতার প্রকাশ।

চলচ্চিত্র নির্মাতা দেওয়ান নাজমুল বলেন, চঞ্চল চৌধুরী কে? এমন প্রশ্ন আসলে লক্ষ কোটি মানুষ বলবে সে নাটকের মানুষ। এটাই তার পরিচয়। হঠাৎ করে সিনেমায় নাম লেখিয়ে ২-৪টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তবুও দর্শক কিন্তু এখনও তাকে নাটকের লোকই বলেন। চঞ্চল চৌধুরী একজন নন্দিত নাটকের নায়ক, পুরস্কারপ্রাপ্ত একজন অভিনেতা। আপনার কাছে আমরা নন্দিত কথা আশা করব।

প্রশ্ন রেখে তিনি আরো বলেন, আপনার আগের সিনেমাগুলো কি নকল ছিল? আপনার সিনেমা ছাড়া অন্য কারো সিনেমা কি আপনি দেখেন? দয়া করে আমাদের নায়ক রাজ রাজ্জাক স্যারের ‘অভিযান’ দেখবেন। তা হলে আপনার কথার সত্যতা খুঁজে পাবেন। দয়া করে নিজেকে বড় করতে গিয়ে চলচ্চিত্রের অন্যকে ছোট না করার অনুরোধ রাখছি।

চলচ্চিত্র নির্মাতা এম.এন ইস্পাহানী, সৈকত নাসির, চিত্রনাট্যকার, কাহিনীকার, সংলাপকার আবদুল্লাহ জাহির বাবু সহ আরো অনেক চলচ্চিত্র নির্মাতা চঞ্চল চৌধুরীর কথার প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসে দিয়েছেন।

এ ছাড়া ‘হাওয়া’র অভিনয়শিল্পী সুমন আনোয়ার ফেসবুকে লেখেন, মেধাশূন্য আর দখলদারিত্বের রাজত্বে নতুন হাওয়া বইছে, বাংলার আপামর মানুষ মেধাবীদের বুকে টেনে নিয়েছে, পরচর্চা আর ঈর্ষান্বিত না হয়ে আপনার মেধার বিকাশ ঘটান।

তার এমন স্ট্যাটাসের পরিপ্রেক্ষিতে চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী ফেসবুকে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, মেধাশূন্য কাদের বলেছেন আর দখলদারিত্বের কথা কাকে বলেছেন সেটা হয়তো অনেকের বুঝতে অসুবিধা হবে না! আপনারা নিজেদের সুশীল বলে বলে গলা ফাটিয়ে এই তার নমুনা!

তিনি আরও লিখেছেন, এমন অহংকার করে অন্যদের ছোট করে কথা আমরা চলচ্চিত্রের লোকেরা কখনও বলি না। আর এটা ভুলে যাবেন না, যে চলচ্চিত্রটি নিয়ে গর্ব করছেন সেটাও গতানুগতিক একটি বাংলা চলচ্চিত্রের প্রোডাকশন হাউস থেকেই রিলিজ করেছেন। না হলে ঘরে বসে চা খেতে খেতে দেখতে হতো আপনার সিনেমাটা।

এই সব বাকবিতণ্ডার মাঝেই নতুন করে যুক্ত হন ‘হাওয়া’ সিনেমার চিত্রনায়িকা নাজিফা তুষি। মুক্তির প্রথম দিন থেকে সিনেমার প্রচারে হাওয়া টিমের সঙ্গে বিভিন্ন হলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নাজিফা তুষি। সেই ধারাবাহিকতায় শ্যামলী স্কয়ারে যান তিনি। সেখানে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন নাজিফা তুষি। কিন্তু কথা বলার আগে তিনি পাশে থাকা ‘পরাণ’ ও ‘দিন : দ্য ডে’ সিনেমার পোস্টার সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। কেবল নিজের সিনেমা ‘হাওয়া’র পোস্টারের সামনে দাঁড়িয়েই তিনি কথা বলবেন বলে জানান। এরপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তার এমন কর্মকাণ্ডে সমালোচনা করছেন। শোবিজের মানুষেরাও বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছেন। এমনকি নায়িকা পরীমনিও তার ফেসবুকে লিখেছেন প্রতিবাদ জানিয়ে।

বিষয়টি নিয়ে তুষি বলেন, আমি ভাবতেও পারছি না একটা ছোট্ট এবং সহজ বিষয়কে এভাবে প্রকাশ করা হবে এবং এ ধরনের রিঅ্যাক্ট আসবে। আমি ইনটেনশনালি কিছু করিনি। সিম্পল জিনিসকে কোথায় নিয়ে দাঁড় করিয়েছে লোকজন! আমি সত্যি অবাক এগুলো দেখে।

ভার্চুয়াল এমন বাকবিতণ্ডায় চলচ্চিত্রের অনেক ক্ষতি হচ্ছে বলে মনে করছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। নিজেদের মাঝে একাত্মতা ও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার মন মানসিকতা না থাকলে চলচ্চিত্রের অবস্থা কখনোই ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব না বলে মনে করছেন তাঁরা।


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

পদ্মশ্রী পুরস্কার পাওয়ায় রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে সংবর্ধনা

প্রকাশ: ০৫:২৩ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ভারতের বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী পুরস্কার পাওয়ায় সংবর্ধনা দিয়েছে রাবেয়া খাতুন ফাউন্ডেশন।

রোববার (৫ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের ক্রিস্টাল বলরুমে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় বক্তব্য রাখতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন এই গুণী শিল্পী।

অনুষ্ঠানে বন্যাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ফরিদুর রেজা সাগর ও শাইখ সিরাজ। এ সময় রাবেয়া খাতুন ফাউন্ডেশনের সভাপতি শিশুসাহিত্যিক আমীরুল ইসলাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পক্ষ থেকে গোলাম কুদ্দুছ, জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি ড. মুহাম্মদ সামাদ ও কবি তারিক সুজাত ও ‘মাত্রা’ পরিবারসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, মাহফুজ আনাম, সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ, সৌমিত্র শেখর, কবি কামাল চৌধুরী, শাহীন সামাদ, রফিকুল আলম, আবিদা সুলতানা, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজহার খান, ইফ্ফাত আরা দেওয়ান, দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য শিল্পী কলাকুশলীসহ দেশের খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গ।

এ সময় বক্তারা তাদের বক্তব্যে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার এই অর্জনকে বাংলাদেশের অর্জন বলে অভিহিত করেন। প্রতিক্রিয়ায় রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বক্তব্য রাখতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।

উল্লেখ্য, সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছ থেকে চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী পুরস্কার গ্রহণ করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

পদ্মশ্রী পুরস্কার   রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ঝড়ের মধ্যেই নির্বাচনী প্রচারণা, অল্পের জন্য বেঁচে গেল সায়নী

প্রকাশ: ০৩:১৩ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন টালিউট অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। সোমবার (৬ মে) নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে এক প্রকার বিপদে পড়েন এই অভিনেত্রী। প্রচারণাকালীন সময়ে তার গাড়ির সামনে ভেঙ্গে পড়ে গাছের ডাল। এতে অল্পের জন্য বেঁচে যান এই অভিনেত্রী। তবে এ ঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনে কঙ্গনার বিরুদ্ধে লড়তে চান রাখি সাওয়ান্ত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, সোমবার ঝড়ের মধ্যেই গাড়ি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বের হন সায়নী। এরপর তৃণমূলের র‌্যালির সামনেই ভেঙ্গে পড়ে গাছের ডাল। এসময় নেতা-কর্মীরা সতর্কতার সাথে সরিয়ে নেন অভিনেত্রীকে এবং গাছের ডাল সরিয়ে আবারও প্রচারণায় বের হতে দেখা যায় তাদের।

উল্লেখ্য, ভারতে এবার লোকসভা নির্বাচনে ৫৪৩টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে সাত দফায়। সে অনুযায়ী গত ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় দেশটির ১৭টি রাজ্য ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ১০২টি আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ভোট শুরু হয় ২৬ এপ্রিল। মে মঙ্গলবার তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলছে। দফায় ভোট নেওয়া হচ্ছে ১০টি রাজ্য একটি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের মোট ৯৩টি কেন্দ্রে।


লোকসভা নির্বাচন   সায়নী ঘোষ   তৃণমূল  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচনে কঙ্গনার বিরুদ্ধে লড়তে চান রাখি সাওয়ান্ত

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনে বলিউড তারকা প্রার্থীদের ছড়াছড়ি। বিভিন্ন দল থেকে প্রার্থী হয়েছেন হেমা মালিনী, অরুণ গোভিল ছাড়াও টালিউড অভিনেতা দেব, রবি কিষান, অভিনেত্রী রূপালি গঙ্গোপাধ্যায় রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এর মত তারকারা। এবার সেই তালিকায় নাম লেখাতে যাচ্ছেন বলিউডেরআইটেম গার্লখ্যাত রাখি সাওয়ান্তও। কংগ্রেসের হয়ে লোকসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাইছেন তিনি। বিজেপি সমর্থিত আরেক তারকা প্রার্থী কঙ্গণার বিরুদ্ধে লড়তে চান তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বলিউড এই তারকার আশা ছিল নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির হয়ে লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়া। কিন্তু তা হয়নি। তাই তিনি কংগ্রেসের কাছে দ্বারস্থ হয়েছেন। তাকে নির্বাচনের টিকেট দিতে কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীর কাছে আবদারও করেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। গত ১৯ এপ্রিল নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ হয়, যা চলবে আগামী জুন পর্যন্ত। সাত দফার নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার দেশটির ১৩ রাজ্যের ৮৯টি লোকসভা আসনের ভোটগ্রহণ হয়ে গেছে, এবং তৃতীয় দফায় আজ ( মে) ১২ রাজ্যের ৯৪ টি লোকসভার ভোটগ্রহণ চলছে।


লোকসভা নির্বাচন   রাখি সাওয়ান্ত   কঙ্গনা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

টাইটানিক: মারা গেছেন সিনেমাটির অভিনেতা বার্নার্ড হিল

প্রকাশ: ০৩:৪১ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

হলিউডের জনপ্রিয় সিনেমা ‘টাইটানিক’ ও ‘লর্ড অব দ্য রিংস’ খ্যাত অভিনেতা বার্নার্ড হিল মারা গেছেন। রোববার (৫ মে) ভোরে মৃত্যু হয়েছে তার। মৃত্যুকালে ৭৯ বছর বয়স হয়েছিল এ অভিনেতার। স্কটিশ লোক সংগীতশিল্পী বারবারা ডিকসন টুইটারে বার্নার্ডের মৃত্যুর খবর জানান।

অভিনেতার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ও থিয়েটারে। টাইটানিক সিনেমায় ক্যাপ্টেন এডওয়ার্ড জে স্মিথ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বড় পরিচিত পান তিনি।

বার্নার্ড হিলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন বারবারা ডিকসন টুইট করেছেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, বার্নার্ড হিলের মৃত্যুর খবর। আমরা জন পল জর্জ রিঙ্গো এবং বার্ট, উইলি রাসেলের এই দুর্দান্ত শো-তে ১৯৭৪-১৯৭- এ একসঙ্গে কাজ করেছি। সত্যিই অসাধারণ একজন অভিনেতা। তার সঙ্গে পথ অতিক্রম করার সৌভাগ্য হয়েছিল। 


বর্ষীয়ান অভিনেতার মৃত্যুর খবর জানতে পেরে শোক প্রকাশ করেছেন অনুরাগীরা। টাইটানিক ও দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস-এ তার অভিনয়ের প্রশংসা করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সিনেমাপ্রেমীরা। অনেক ব্যবহারকারী ব্রিটিশ মিনি সিরিজ ‘বয়েজ ফ্রম দ্য ব্ল্যাকস্টাফ’-এ ইয়োসার হিউজের মতো একটি জটিল চরিত্রের চিত্রায়নের জন্য প্রশংসা করেছেন প্রয়াত অভিনেতার। দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস-এ কিং থিওডেনের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল বার্নার্ড-কে, যা ছিল বহুল চর্চিত। 


বার্নার্ড জেমস ক্যামেরনের টাইটানিক সিনেমায় ব্রিটিশ ক্যাপ্টেন ও নৌ কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন এডওয়ার্ড জে স্মিথের ভূমিকায় অভিনয় করেন। নৌকাডুবির সময় তার সেই শান্ত-সৌম্য চেহারা, এখনও ভুলতে পারেনি দর্শকরা। যেভাবে সবাইকে বাঁচিয়ে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন সমুদ্র বুকে, তা ভোলার নয়। 

বার্নার্ড একমাত্র অভিনেতা, যার একাধিক সিনেমা ১১টি একাডেমি পুরস্কার জিতেছিল।


টাইটানিক   অভিনেতা বার্নার্ড হিল   হলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

দুই বছর পর এক ফ্রেমে জোভান-তিশা জুটি

প্রকাশ: ০৩:১৫ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের জনপ্রিয় জুটি ফারহান আহমেদ জোভান ও তানজিন তিশা। টানা দুই বছর দেখা যায়নি নতুন কোনও নাটকে। এবার ইমরোজ শাওনের পরিচালনায় ফিরলেন এই জুটি।

তরুণ নির্মাতা ইমরোজ শাওন পরিচালিত, যোবায়েদ আহসানের রচনায় সিএমভি’র ব্যানারে নির্মিত বিশেষ নাটক নাম ‘কাপল অব দ্য ক্যাম্পাস’ এর মাধ্যমে ফিরছেন তারা।

সদ্য শুটিং শেষ হওয়া এই নাটকে জোভান অভিনয় করেছেন রাকিব চরিত্রে আর তিশারে নাম রিদা। দু’জনে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস ক্লাবের নেতৃত্বে অন্যজন সাংস্কৃতিক ক্লাবের।

নির্মাতা বলেন, ‘তার মানে এই নয়, দুটি দলের প্রধান বলে তাদের মধ্যে মধুর বা প্রেমময় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। গল্পে মূলত তাদের দেখা যাবে বিরোধী অবস্থানে। এমনকি দুর্ঘটনাও ঘটে তাদের এই বিরোধের জেরে। গল্পটা প্রেমের বটে, তবে এটি দেখলে মূলত ক্যাম্পাস জীবনে ফিরে যাবেন দর্শকরা।’  

প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, ‘কাপল অব দ্য ক্যাম্পাস’ নাটকটি শিগগিরই উন্মুক্ত হবে সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে।


ফারহান আহমেদ জোভান   তানজিন তিশা   বাংলা নাটক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন