আজ ৯ আগস্ট
আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস। আমাদের দেশে দিবসটি আন্তর্জাতিক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী দিবস হিসেবে
পালন করা হয়। বিশ্বব্যাপী পৃথিবীর প্রায় ৯০টি দেশে ৩৭০ মিলিয়ন আদিবাসী জনগোষ্ঠী এ দিবসটিকে
তাদের নিজেদের স্বতন্ত্র সংস্কৃতি উপস্থাপনের পাশাপাশি তাদের নানান দাবি-দাওয়া নিজ
নিজ রাষ্ট্রের সামনে এবং বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেন।
বাংলাদেশে
‘আদিবাসী’ বলতে কাদেরকে বোঝায় এখনো পর্যন্ত সে বিতর্ক অমীমাংসিত রয়ে
গেছে। আদিবাসী শব্দটির প্রকৃত সংজ্ঞা ও তাদের জাতীয় পরিচয় ও অধিকার নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক
পর্যায়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে।
সাধারণত কোনও
একটি নির্দিষ্ট এলাকায় অনুপ্রবেশকারী বা দখলদার জনগোষ্ঠীর আগমনের পূর্বে যারা বসবাস
করত , যাদের নিজস্ব ও আলাদা সংস্কৃতি, রীতিনীতি ও মূল্যবোধ রয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে
যারা সমাজে সংখ্যালঘু হিসেবে পরিগণিত তারাই আদিবাসী।
জাতিসংঘ ১৯৯৩
সালকে আদিবাসী বর্ষ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আদিবাসী’র সংজ্ঞা দিয়েছে এভাবে, “Indigenous
people are such population groups as we are, who from old age times have
inhabited the lands when we live, who are awere of having a characters of our
own, with social tradition and means of expression that are linked to the
country inhabited from our ancesters, with a language or our own and having
certain essential and unique characteristics which confer upon us the strong
conviction of belonging to a people,who have an identity in ourselves and
should be thus regarded by others (1993)”
সাংবিধানিক
কাঠামোতে বাঙালি ছাড়া অন্য কোনও জাতিসত্তার মানুষকে বাংলাদেশের নাগরিক বলে স্বীকার
করে না, কারণটা হলো বাংলাদেশের সংবিধানের আর্টিক্যাল ৬(২)-এ উল্লেখ আছে, ‘বাংলাদেশের
জনগণ জাতি হিসাবে বাঙালি এবং নাগরিকগণ বাংলাদেশী বলিয়া পরিচিত হইবেন’।
তবে, সংবিধানের
আটিক্যাল ২৩-এ গিয়ে এসব জাতিগোষ্ঠীকে জাতি হিসাবে নয় বরং অন্য নামে এক ধরনের স্বীকৃতি
দেওয়া হয়েছে।
বাঙালি ছাড়া
ভিন্ন জাতিসত্তার যেসব মানুষ বাংলাদেশে বাস করে তারা রাষ্ট্রের ভাষায় ‘বিভিন্ন উপজাতি,
ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃগোষ্ঠী, এবং সম্প্রদায়’ (বাংলাদেশ সংবিধান ২৩/ক) হিসাবে পরিচিত।
প্রতিবছর আদিবাসী দিবস উপলক্ষে একটি প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
তবে এসব প্রতিপাদ্যের আলোকে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর
জীবনমানের কতটুকু উন্নতি হয়েছে, তা পরিমাপের কি কোনো সূচক আছে?
পার্বত্য চট্টগ্রামসহ
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে হোটেল-রিসোর্ট, ইকো পার্ক, পর্যটনসহ বিভিন্ন উন্নয়নের নামে
আদিবাসীদের ভূমি বেদখল করে তাদেরকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। উগ্র ইসলামি সম্প্রসারণবাদের
মাধ্যমে আদিবাসীদের ধর্মান্তরিত করে জাতিগতভাবে নিমূলীকরণ করা হচ্ছে। লাভ জিহাদের ফাঁদে
ফেলে আদিবাসী নারীদের ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে। আদিবাসী নারীদের উপর যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের
মত ঘটনা প্রতিনিয়ত সংঘটিত করা হচ্ছে। বিহার-মন্দিরে হামলা, আদিবাসী গ্রামে হামলা করে
গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে আদিবাসীরা দেশান্তরী হতে বাধ্য
হচ্ছে।
দেশ স্বাধীনের পর জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা এই চার মূল নীতির উপর ভিত্তি করে সংবিধান রচনা করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে নির্বাচিত তৎকালীন নির্বাচিত গণ পরিষদ সদস্য মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা প্রশ্ন করেছিলেন, “এই চার মূল নীতির মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের ভিন্ন ভাষাভাষী মানুষ ও সমতলের বাঙালি ভিন্ন অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীগুলোর অবস্থান কোথায় হবে।“ সে সময়ও আদিবাসীদের কথা, নারীদের কথা, পার্বত্য চট্টগ্রামে যুগ যুগ ধরে চলে আসা শাসন ব্যবস্থার কথা, কৃষক, শ্রমিক, রিক্সাওয়ালা, মেথর, কুলিদের কথা সংবিধানে লিপিবদ্ধ করা হয়নি। যার কারণে সেদিন তিনি প্রতিবাদস্বরুপ সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেছিলেন। গণতান্ত্রিক পন্থায় পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের গণ মানুষকে সাথে নিয়ে সশস্ত্র আন্দোলনের পথে পা বাড়ান মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা। আন্দোলনের এক পর্যায়ে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির’র মধ্যে সম্পাদিত হয় ঐতিহাসিক পার্বত্য চুক্তি। যা আজ ২৩ বছর অতিক্রান্ত হলেও চুক্তির মৌলিক ধারাগুলো আজো অবাস্তবায়িত। যা পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতিকে দিন দিন অস্থিতিশীল করে তুলছে।
ভূমি আদিবাসীদের প্রাণ, প্রকৃতির খুব কাছাকাছি থাকে বলেই তাদেরকে প্রকৃতির সন্তান বলতেও অসুবিধা নেই। পার্বত্য চট্টগ্রামের মূল সমস্যা ভূমি সমস্যা।
জিয়াউর রহমান
ও এরশাদ সরকারের আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জনগোষ্ঠীদের জাতিগতভাবে নির্মূলীকরণের
উদ্দেশ্যে সমতল থেকে ৪-৫ লাখ ছিন্নমূল বাঙালিকে পাহাড়ে এনে আদিবাসীদের বিরুদ্ধে মানবঢাল
হিসেবে ব্যবহার করে ও আদিবাসীদের ভূমিতে তাদের বসতি গড়ে দেয়। ফলশ্রুতিতে পার্বত্য
চট্টগ্রামে ভূমি সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে। যার ফলাফল এখনো ভোগ করতে হচ্ছে আদিবাসীদের।
বাংলাদেশে অবস্থানরত
যাদের আমরা এখন ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী বলি তাদের ভূমি সমস্যা সমাধান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য,
মানবাধিকার, মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রশ্ন তো দূরে থাক, ‘আদিবাসী’
হিসাবে নিজেদের এখনও স্বীকৃতি পর্যন্ত মেলেনি।
মন্তব্য করুন
অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক
কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
সোমবার (৬ মে) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে
এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে, গত (২ মে) তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী
আরাফাতের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য
প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাথে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত দশটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
সিদ্ধান্তগুলো হলো..
১) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত
সেবা প্রদানকারীরাই সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলসমূহ গ্রাহকের নিকট বিতরণ
করতে পারবে।
২) ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল
ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না।
৩) সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না।
৪) টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিংয়ের অ্যাপসসমূহ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে
প্রচারণা করা কিংবা এ ধরনের অ্যাপস সেট-টপ-বক্সে ইনস্টল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে
অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৫) বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির
স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের
উদ্দেশ্যে যেকোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক,
টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ
গ্রহণ করবে।
৬) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(১) ধারা অনুযায়ী,
কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকার অনুমোদিত
চ্যানেল ব্যতীত অন্য কোনও চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার
করতে পারবে না। এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান
ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে বিধায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান
ক্লিনফিড ব্যতীত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।
৭) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী,
কোনও ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত নিজস্ব কোনও অনুষ্ঠান
যেমন- ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডি এর মাধ্যমে অথবা অন্য কোনও উপায়ে কোনও চ্যানেল বাংলাদেশে
বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারবে না। আইন অমান্য করে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান
দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনও চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে
পারবে না।
৮) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী,
লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হয়ে কোনও ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসেবে কার্যক্রম
পরিচালনা করতে পারবে না। তাই লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী ব্যতীত
অন্য কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে
পারবে না।
৯) অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটররা এ সিদ্ধান্তসমূহ তাদের বিদেশি টিভি
চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে।
১০) আইন/নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে
জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে গত বৃহস্পতিবার (২ মে) সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের
চিঠি দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় লাইসেন্সবিহীন টিভি চ্যানেল
মন্তব্য করুন
পূর্ব সুন্দরবনের লতিফের সিলা এলাকায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
সোমবার (০৬ মে) সকালে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অপারেশন ও মেইনটেনেন্স লে. কর্নেল তাজুল
ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, বেলা ১০টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। গতকাল রবিবার (০৫ মে) সকাল ৬টা
থেকে টানা ২৮ ঘণ্টা
চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, বনবিভাগ, বিমানবাহিনী
ও স্থানীয় শতশত স্বেচ্ছাসেবক।
শনিবার (৪ মে) দুপুরে আমরবুনিয়া ফরেস্ট ক্যাম্পের অধীন লতিফের সিলা
এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের খবর পান বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তা কমান্ডার মো. বাশারুল ইসলাম, চাঁদপাই রেঞ্জের
সহকারী বন সংরক্ষক(এসিএফ) রানা দেব, মোরেলগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো৷
আশিকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম তারেক সুলতান, থানার ওসি মোহাম্মদ
সামসুদ্দীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক আরও বলেন, আগুন এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে।
কোথাও আগুনোর ফুলকি বা ধোঁয়া নেই। তবে, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আরও ২ দিন কাজ করবে
কালো ছাই সাদা করার জন্য। এরপর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বন ত্যাগ করবে।
মন্তব্য করুন
চারপাশে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। মাঝখানে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে একটি ব্রিজ। ব্রিজের ওপর ওঠার জন্য নেই কোনো সংযোগ সড়ক। নির্মাণের এক যুগ পরও সংযোগ সড়ক নির্মিত না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে।
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা ইউনিয়নের গাড়-দহ ও বোয়ালিয়ার চর খালের উপর ২০১২-১৩ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে প্রায় ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজের নির্মাণ হলেও হয়নি সংযোগ সড়ক। ফলে ব্রিজের ওপর দিয়ে কোনো ধরনের যানবাহন ও মানুষ চলাচল করতে পারে না। গাড়-দহ ও বোয়ালিয়ার চর গ্রামের মানুষ এ ব্রিজের ওপর দিয়ে না গিয়ে নিচের জমির ওপর দিয়ে তৈরি একটি সরু রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। আর বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি ডুবে গেলে নৌকা দিয়ে চলাচল করেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা আজ
এরান্দহ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাই অভিযোগ করে বলেন, ব্রিজটি নির্মাণ করলেও জনগণের কোনো উপকারে আসছে না। অবিলম্বে সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে মানুষের চলাচল উপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার নলকা ইউনিয়নের এরান্দহ, বোয়ালিয়ার চর, কাঁঠালবাড়ীয়া সহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন।
ওই এলাকার আব্দুল আলীম নামের স্থানীয় এক মুদির দোকানদার বলেন, সেতুর সঙ্গে কোনো রাস্তা না থাকায় বাজার থেকে দোকানের মালামাল সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নেওয়া যায় না। মাথায় করে বাড়িতে আনতে হয়।
আরও পড়ুন: আন্দোলন ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার
স্থানীয় বোয়ালিয়ার চর সরকারি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা জানান, তারা প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে স্কুলে যান। এই ব্রিজে সংযোগ সড়ক না থাকায় বিকল্প রাস্তায় চলাচল করতে হয়। এতে প্রায় ৭/৮ কিলোমিটার রাস্তা বেশি অতিক্রম করতে হয়।
নলকা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, জনগণের জন্য ব্রিজটি নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় মানুষ সুফল পাচ্ছেন না।'
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী বলেন, এ বছর বরাদ্দ দিয়ে সেতুটির এপ্রোজের মাটি ভরাট করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, ত্রাণের অধিকাংশ সেতুর এপ্রোজের মাটি নেই। সেতুর তালিকা করে বরাদ্দ দিয়ে অচিরেই মাটি ভরাট করা হবে। বোয়ালিয়ার চর খালের উপর নির্মিত সেতুটি লোকজনের যাতায়াতের জন্য জরুরি। এ ব্যাপারে অচিরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) চ্যান্সেলর
মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বঙ্গভবনে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাউবির উপাচার্য অধ্যাপক
ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার।
বাউবির তথ্য ও গণসংযোগ বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. আ.ফ.ম.
মেজবাহ উদ্দিন রবিবার (০৫ মে) রাতে এই তথ্য জানান।
সাক্ষাৎকালে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবনী ও কর্মমূখী শিক্ষা
কার্যক্রম, শিক্ষার্থী বান্ধব প্রযুক্তি সহায়তা, বহিঃবাংলাদেশে বাউবির প্রসারসহ সার্বিক
অগ্রগতি তুলে ধরেন।
এসময় রাষ্ট্রপতিকে উপাচার্য বাউবির নতুন লোগো, ক্রেস্ট, বার্ষিক
প্রতিবেদন, পরিক্রমা, ডায়েরি ও ক্যালেন্ডার তার হাতে তুলে দেন।
রাষ্ট্রপতি উপাচার্যের বিভিন্ন কথা গুরুত্ব সহকারে শোনেন এবং আগামীর
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দিক নির্দেশনা দেন।
রাষ্ট্রপতি বাউবি উপাচার্য সাক্ষাৎ
মন্তব্য করুন
শেরপুরের নকলার পিপড়ি গ্রামে আব্দুর রহমান পচন (৫৫) নামের এক কৃষক ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। রবিবার (৫ মে) দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে। এঘটনায় নিহত আব্দুর রহমান পচন উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের পিপড়ি গ্রামের মৃত জনাব আলীর ছেলে।
জানা গেছে, পিপড়ি গ্রামের নিহত আব্দুর রহমান পচনের ছেলে মোখলেসুর রহমান তার ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চার্জ দিয়েছিলো। এতে অটোরিকশাটি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যায়। মোখলেসুর রহমান অটোরিকশাটি বের করতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে সে। বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে। ছেলের আহত অবস্থা দেখে তাকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য বাবা আব্দুর রহমান পচন ওই অটোরিকশা বের করতে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পিতা পুত্রকে নকলা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পচনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং ছেলে মোখলেসকে শেরপুর জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত আব্দুর রহমান পচনের পরিবারের পক্ষ থেকে তার লাশ বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তীতে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন