ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিতর্ক সৃষ্টি করে ক্রিকেটেই ফিরলেন সাকিব

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১২ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail বিতর্ক সৃষ্টি করে ক্রিকেটেই ফিরলেন সাকিব

আগামী ২৭ আগস্ট দুবাইয়ে শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তানের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এশিয়া কাপ। এশিয়া মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই শুরু হতে হাতে সময় বাকি খুব কম। ভারত-পাকিস্তান নিজেদের দল ঘোষণা করে দিয়েছে আগেই। কিন্তু এখন পর্যন্ত স্কোয়াড চূড়ান্ত করতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সাকিব ও বেটিং প্রতিষ্ঠান বেটউইনারের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ক্রীড়া বিষয়ক সংবাদমাধ্যম বেটউইনার নিউজের পণ্যদূত হওয়ার চূক্তির কারণেই এতটা বিলম্ব। কেননা অধিনায়কত্ব পাবার তালিকায় তার নামও রয়েছে। এর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের ইনজুরি সমস্যা তো আছেই। সব মিলিয়ে দল দিতে এত সময়ক্ষেপণ। বোর্ড প্রধান জানিয়েছিলেন, বেটউইনারের সাথে চুক্তি বাতিল না করলে এশিয়া কাপ এর পাশাপাশি বাংলাদেশ ক্রিকেটে থেকে নিষিদ্ধ হতে পারেন সাকিব। বেঁধে দিয়েছিলেন নিয়ম-আজকের মধ্যে উত্তর জানাতে হবে। হয় বেটিং, নয়তো দেশের ক্রিকেট যে কোনো একটা বেছে নেয়ার মধ্যে অবশেষে ক্রিকেটকেই বেছে নিলেন এই তারকা অলরাউন্ডার। বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে বিসিবিকে চুক্তি বাতিল করার কথা জানান তিনি।

এই চুক্তি নিয়ে বিগত কয়েকদিনে জন্ম হয়েছে বিতর্ক ও নানা আলোচনা-সমালোচনার। তবে, সাকিবকে ঘিরে বিতর্ক তো এই প্রথম নয়। এর আগেও নানা সময়ে তিনি জড়িয়েছেন নানা বিতর্কে। সাকিবের চেয়ে তো কোনো দল ছোট নয়, দলের চেয়ে দেশ ছোট নয়। কিন্তু সাকিব তার নিজের কাজে-কর্মে কী প্রমাণ করছেন? যাবতীয় নিয়ম-কানুন থোড়াই কেয়ার করছেন। যেন আইন-কানুন তৈরিই হয় অন্যদের জন্য, সাকিবের জন্য নয়। তিনি যেন অনায়াসেই আইন ভাঙার অধিকার পেয়ে যান। আইন ভাঙলে, নিয়ম ভাঙলেও তাকে কোনো শাস্তির মুখোমুখি হতে হয় না, জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হয় না। সাকিব যেন সব আইন-কানুন আর নিয়মের ঊর্ধ্বে। একবার নয়, বারবার এমন কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে যাচ্ছেন এবং ছাড়ও পেয়ে যাচ্ছেন। সাকিবের ঊর্ধ্বতন নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এ বিষয়টা নিয়ে কী ভাবছে, তারাই হয়তো ভালো জানেন। কিন্তু দেশবাসী এ নিয়ে পুরোপুরি অন্ধকারে।

২০১৯ বিশ্বকাপের আগের সেই ঘটনার কথা নিশ্চয়ই সবার মনে আছে। বিশ্বকাপ খেলতে দল যাবে ইংল্যান্ডে। তার আগে অফিসিয়াল ফটোসেশনে বিশ্বকাপের জার্সি গায়ে টিম বাংলাদেশ মিরপুর স্টেডিয়ামে হাজির হলো গ্রুপ ছবি তোলার জন্য। কিন্তু নেই তিনি। সাকিব আল হাসান থাকতে পারবেন না। একজন সচেতন ক্রিকেটার হিসেবে সাকিবের এসব জানার কথা। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেই কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ভাঙতে দেখা যায় তাকে। এই ছবি তোলার চেয়েও তার জরুরি কাজ পড়ে গেছে। তিনি চলে গেছেন বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং করতে। একটা জাতীয় স্বার্থ, অন্যটা নিজের স্বার্থ। সাকিবের নিজের স্বার্থের সামনে জাতীয় স্বার্থ সেদিন জলাঞ্জলি হয়ে গেছে। ২০১৯ এর বিশ্বকাপের অফিসিয়াল ফটোতে নেই সাকিব। দেশের একজন সেরা পারফরমার, একাদশের অপরিহার্য খেলোয়াড়। তাকে ছাড়াই বিশ্বকাপে দেশের পরিচিতি দাঁড়ালো।

আবার ওই একই সময় জাতীয় দলের স্পন্সর হিসেবে একটি ফোন কোম্পানির আসার কথা ছিল; কিন্তু সেখানে সাকিব একাই গিয়ে সেই কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে গেলেন। যে কারণে, জাতীয় ক্রিকেট দল কিংবা বোর্ডের (বিসিবি) স্বার্থ জলাঞ্জলি হলো একটি ব্যক্তিস্বার্থের সামনে।

মানুষ বেমালুম ভুলে গেলো সাকিবের এই ঔদ্ধত্যের কথা। কারণ, বিশ্বকাপে তিনিই বাংলাদেশ দলের একমাত্র পারফরমার। ব্যাট হাতে ৬০৬ রান, বল হাতে ১১ উইকেট। বাংলাদেশ কেন, বিশ্বের ইতিহাসেই তো এমন অলরাউন্ড নৈপুণ্য আর কারো নেই। যে ইতিহাস রচনা করে এসেছেন তিনি, তা আর কেউ কখনো ভাঙতে পারবে কি না সন্দেহ।

বিশ্বকাপের পরপর ক্রিকেটারদের বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেওয়া থেকে শুরু করে অনেক ঘটনারই জন্ম দিয়েছেন তিনি। কিন্তু কথায় বলে না! পাপ বাপকেও ছাড়ে না। ফিক্সারদের প্রস্তাবের কথা গোপন করায় আইসিসির পক্ষ থেকে এক বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তির খড়গে পড়তে হলো সাকিবকে। এরই মধ্যে এসে গেলো করোনা মহামারি। সাকিবের নিষেধাজ্ঞার সময়টাতে বাংলাদেশ দলেরও তেমন ক্রিকেট খেলা হলো না। করোনার কারণে সারা বিশ্বেই নতুন কিছু নিয়মের অবতারণা হলো। কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশন, বায়ো-বাবল - কত কিছুর সাথে মানুষের পরিচয় ঘটলো। এক দেশ থেকে আরেক দেশে গেলে নিয়ম অনুযায়ী কোয়ারেন্টাইন করতে হয়, আইসোলেশনে থাকতে হয়।

একজন সচেতন ক্রিকেটার হিসেবে সাকিবের এসব জানার কথা। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেই কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ভাঙতে দেখা যায় তাকে। কোয়ারেন্টাইন না করে তিনি কোনো এক শো রুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম থোড়াই কেয়ার করে তিনি সড়ক পথে চলে যান কলকাতায়। সেখানে পূজার অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে জন্ম দেন অনেক বড় বিতর্কের। জানা যায়, সেখানেও নাকি ছিল অর্থযোগ। শুধু তাই নয়, বেনাপোল স্থলবন্দরে উৎসুক ভক্ত-সমর্থকরা তার সঙ্গে ছবি তুলতে চাইলে তিনি ভক্তের ফোন ছুঁড়ে মারেন। যারা তাকে ভালোবেসে মাথায় তোলে, বারবার সাকিব তাদের লাথি দেন। ড্রেসিংরুমে বসে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন কিংবা দর্শককে মারার জন্য তেড়ে যান।

নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে আসার পর বাংলাদেশের ক্রিকেট সাকিবের কাছে হয়ে গেছে যেন ইচ্ছের পুতুল। মন চাইলে তিনি খেলবেন, নাহলে খেলবেন না। আইপিএল খেলার জন্য বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটকে ‘না’ করে দেবেন, নিউজিল্যান্ড সফরে ‘না’ করে দেবেন, জিম্বাবুয়ে সফরকে বাদ দিয়ে দেবেন- এসবই তার যেন ইচ্ছের খেল। আবার জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলনেও তার খুব একটা আগ্রহ কম। নিজের মত করে কিছু অনুশীলন করেন। প্রয়োজন মনে করলে করেন, প্রয়োজন না মনে করলে করেন না। মাঝে-মাঝে ইনজুরিতেও আক্রান্ত হন। যদিও ঠিকই ফ্রাঞ্জাইজি ক্রিকেটের মৌসুম এলে, বিশেষ করে আইপিএল-বিপিএল কিংবা সিপিএল, এসব এলেই সাকিব দিব্যি ইনজুরিমুক্ত হয়ে যান। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে তিনি অংশ নেন ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে। দুষ্টজনেরা সোশ্যাল মিডিয়া কাঁপায়, ‘আইপিএল এলো তো, সাকিব সুস্থ হয়ে গেলো।’

যদিও দুর্ভাগ্য, সাকিবকে এবার আর আইপিএলের কোনে দল নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেনি। ২ কোটি রুপি ভিত্তিমূল্যও যে ১০টি ফ্রাঞ্চাইজির সব মালিকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে! আইপিএলে সাকিবের আগের আসরগুলোর পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করে, এই অর্থ অযথা নষ্ট করার পথে কেউ হাঁটেনি। আইপিএলের নিলামের আগে জ্বল্পনা ছিল, সাকিব দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবেন কি না। কারণ, আইপিএলে সুযোগ পেলে দেশের হয়ে কেন খেলবেন তিনি? দেশের জার্সিতে তো ‘চিল!’ হয় না। টাকা কম, গ্ল্যামার কম, বিশ্বের নামি-দামি ক্রিকেটার, বলিউডি তারকাদের সঙ্গে ওঠা-বসা এসব তো আর জাতীয় দলের জার্সিতে খেললে হবে না। কিন্তু সাকিব হয়তো জানতেন না, মুদ্রার উল্টোপিঠও আছে। সময় সেই উল্টো পিঠ দেখিয়ে দেয়।

সাকিবের ঔদ্বত্যের শেষ তবুও হয়নি। বিপিএলে ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক। টানা ৫ ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়ে রেকর্ড গড়েছেন। নিশ্চিতভাবেই বৃহস্পতি তুঙ্গে। তো সন্দেহ নেই, এ সময় বিজ্ঞাপনের বাজারেও নিজের দামটা বেড়ে গেছে। সাকিবও সুযোগটা লুফে নিলেন। বিপিএল ফাইনালের ঠিক আগেরদিন তিনি চলে গেলেন বিজ্ঞাপন করতে। দুই ফাইনালিস্ট দলের অধিনায়কের ট্রফি ধরে অফিসিয়াল ফটোসেশন, অফিসিয়াল প্রেস মিট- এটা একটা নিয়ম। কিন্তু যিনি কোনো নিয়মেরই তোয়াক্কা করেন না, তার কাছে এই নিয়ম ভাঙা তো কোনো ব্যাপারই না। সুতরাং, কোনোটাতেই নেই সাকিব।

প্রথমে জানানো হলো, সাকিবের পেটের পীড়া। এ কারণে তিনি আসতে পারেননি। বিষয়টা এখানেই হয়তো থেমে যেতো। কিন্তু বরিশালের হয়ে এসব আনুষ্ঠানিকতা সারতে আসা নুরুল হাসান সোহান বলে দিলেন, সাকিবের অনুপস্থিতির কারণ তিনি কিছুই জানেন না। ম্যানেজমেন্ট জানেন, সাকিব জানেন। সন্দেহের তীর ছোড়া হলো সেখান থেকে। পরে জানা গেলো, বিজ্ঞাপনের শুটিং করতে গিয়েছেন সাকিব। স্বাভাবিক, বিজ্ঞাপন মানেই টাকা। আর টাকা যেখানে সাকিব সেখানে। এতে কার কী আসবে যাবে? যার যা যায় যাক, সাকিবের কাছে টাকাই আসল। এখানে ব্যক্তি স্বার্থের সামনে উপেক্ষিত হলো দলের স্বার্থ। বিদেশি মিডিয়ার কাছে জলাঞ্জলি হলো দেশের সম্মান। কারণ, বিদেশি মিডিয়াতে নিউজ হয়েছে, সব বাদ দিয়ে সাকিব চলে গেলেন বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং করতে।

বিপিএল ফাইনালের আগে সাকিবের এই অফিসিয়াল আনুষ্ঠানিকতায় যোগ না দেয়ায় দুটি আইন বা নিয়ম ভঙ হলো। একে তো অফিসিয়াল আনুষ্ঠানিকতায় তিনি বরাবরের মতই অনুপস্থিত, এই নিয়ম-কানুনকে তিনি থোড়াই কেয়ার করলেন। আরেকটা হলো তিনি করোনা বিধি লঙ্ঘন করেছেন। বিপিএলের জন্য যে বায়ো-বাবল সিস্টেম তৈরি করা হয়েছিল, তা তিনি ভেঙেছেন। আবার দেখুন, ঠিকই পরেরদিন ফাইনাল খেললেন সাকিব। করোনা বিধিটা আসলে কী? বায়ো-বাবলের নিয়মই বা কী? আমরা সাধারণত জানি, অন্য দেশে পালন করা হয়- কোনো খেলোয়াড় বায়ো-বাবল ভাঙলে তাকে অন্তত সাতদিন আইসোলেশন কিংবা কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়। এরপর আরটি-পিসিআর টেস্ট করে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে পুনরায় বায়ো-বাবলে প্রবেশ করতে হয়।

বায়ো-বাবল ভাঙার অপরাধে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিন শ্রীলংকান ক্রিকেটার। কুশল মেন্ডিস, দানুশকা গুনাথিলাকা, নিরোশান ডিকভেলার মতো ক্রিকেটারকে এক বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। গতবছর পিএসএলে বায়ো-বাবল ভেঙে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন পেশোয়ার জালমির দুই ক্রিকেটার হায়দার আলি ও উমাইদ আসিফ। যে কারণে তারা ফাইনাল পর্যন্ত খেলতে পারেননি। শুধু তাই নয়, ওমান-আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বায়ো-বাবল ভেঙে শাস্তি পেয়েছিলেন ইংলিশ আম্পায়ার মাইকেল গফ। সেখানে সাকিব আল হাসানকে কিছুই করতে হয়নি। স্রেফ ফাইনাল শুরুর আগে একটি আরটি-পিসিআর টেস্ট দিলেন। নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়েই নেমে গেলেন মাঠে। আইসোলেশন-কোয়ারেন্টাইনের কোনো ধার ধারলেন না।

তার বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশন পর্যন্ত নিতে পারলো না আমাদের প্রবল ক্ষমতাধর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। যদিও ফাইনাল শেষে সাকিবের দল ফরচুন বরিশালকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। অর্থাৎ এখানে ব্যক্তি সাকিবকে যেন ঘাঁটাতেই চায় না বিসিবি। নিয়ম ভঙ করেছে ব্যক্তি, জবাব দিতে হবে দলকে! উদোরপিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর মত অবস্থা। আর কারণ দর্শানোটাও যে শুধু কিছু আনুষ্ঠানিকতা করে সাকিবকে দায়মুক্তি দেয়া কিংবা এই বিষয়টাকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা, সেটা নিয়েও বিস্তর আলোচনা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

শেষ করতে চাই সাকিবের ফেসবুক পেজের একটি পোস্ট এবং সেখানে করা কয়েকটি মন্তব্য উল্লেখ করে। রুচি সসের একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশের আগে তার একটি প্রমো নিজের পেজে আপলোড করেছিলেন সাকিব। যেখানে দেখা যাচ্ছে বাগানের ভেতর তিনি দৌড়াচ্ছেন। তিনি ক্যাপশন লিখেছেন, ‘কিসের পেছনে দৌড়াচ্ছি বলুন তো?’ জনৈক ভক্ত সেখানে লিখেছেন, ‘টাকা’। আরেকজন লিখেছেন, ‘টাকা ছাড়া কোনো কিছুর পেছনে তুমি ছোটো না ভাই।’ ভক্ত-সমর্থকরাও এখন জেনে গেছেন, সাকিব ক্রিকেটের চেয়ে টাকার পেছনে কতটা বেশি ছোটেন। ক্রিকেটকে তিনি ব্যবহার করেন শুধু টাকা কামানোর হাতিয়ার হিসেবে। যখনই প্রয়োজন কিছু পারফর্ম করেন আর বিজ্ঞাপনের বাজারে নিজের মূল্য বাড়িয়ে নেন।

সাকিবের অফিসিয়াল ফেসবুজ পেজে ঢুকলেই দেখা যাবে, ক্রিকেটের চেয়ে সেখানে বিজ্ঞাপন কতটা স্থানজুড়ে রয়েছে। স্বর্ণ আমদানি, ব্রোকারেজ হাউজ, বিদ্যুৎ, ই-কমার্স এবং ব্যাংক ব্যবসা থেকে শুরু করে হেন কোনো ব্যবসা নেই, যেখানে সাকিব নাম লেখাননি। ক্রিকেটার সাকিবের চেয়ে তাকে ব্যবসায়ী সাকিব বলাই কি এখন বেশি যুক্তিযুক্ত না?

বিতর্ক   ক্রিকেট   সাকিব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বৃষ্টিবিঘ্নিত চতুর্থ টি-২০তেও ভারতের কাছে হারল বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৯:০২ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে ভারতের সাথে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। যার মধ্যে তিনটি ম্যাচে হেরে আগেই সিরিজ থেকে ছিটকে গেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে আজ চতুর্থ ম্যাচে সফরকারীদের মুখোমুখি হয়েছিল টাইগ্রেসরা। তবে বৃষ্টিবিঘ্নিত এই ম্যাচেও হেরেছে বাংলাদেশ।

এই ম্যাচে ভারতের দেওয়া ১২৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ১৪ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৬৮ রান করে স্বাগতিকরা। ৫৬ রানের এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-০তে এগিয়ে গেছে ভারত।

বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্য নির্ধারিত হয় ১২৫ রান। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে টাইগ্রেসরা। দিলারা-মুর্শিদা ওপেনিং জুটিতে দলকে ১৮ রান এনে দেন। অধিনায়ক নিগার সুলতানা ২ বলে ১ রান করে ফেরেন প্যাভিলিয়নে।

শেষ পর্যন্ত ৬৮ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২১ রান করেন দিলারা। এর আগে সোমবার (৬ মে) টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ১৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১২২ রান করে ভারত। সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর।

সাজানা ৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। স্মৃতি মান্ধানা ও হেমালতা সমান ২২ রান করে আউট হন। ২৪ রান করেন রিচা ঘোষ। অবশ্য দিনের শুরুতে বোলিংয়ে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। দ্বিতীয় ওভারেই শেফালি ভার্মাকে ফেরান শরীফা।

পঞ্চম ওভারে রাবেয়ার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মান্ধানা। ৫.৫ ওভারে নামে বৃষ্টি। এরপর ওভার কমে আবার খেলা শুরু হয়। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ ২টি করে উইকেট নেন মারুফা আক্তার ও রাবেয়া খান। ১টি উইকেট নেন শরীফা খাতুন।


বাংলাদেশ   ভারত   নারী ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ডিপিএলে সাকিবের রেকর্ডের দিনে রাজার নতুন কীর্তি

প্রকাশ: ০৮:৫০ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। যেখানে একের পর এক রেকর্ড গড়ছেন ক্রিকেটাররা। ঠিক তেমনই এক রেকর্ডের বন্যার ম্যাচে সাকিব আল হাসানের পাশাপাশি নতুন কীর্তি গড়েছেন রেজাউর রহমান রাজা।

সোমবার (৬ মে) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগের ম্যাচে ফতুল্লায় মুখোমুখি হয়েছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও প্রাইম ব্যাংক। যেখানে প্রথম ইনিংসে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৪০০ উইকেটের মাইলফলক গড়েন সাকিব আল হাসান। রাজ্জাক ও মাশরাফীর পর তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এই কীর্তি গড়েন তিনি।

আর সাকিবের এমন নজিরের দিনে মাত্র ২৩ রানে ৮ উইকেট নিয়ে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েছেন রেজাউর রহমান রাজা।  লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটাই বাংলাদেশি কোনো বোলারের সেরা বোলিং ফিগার। অবশ্য ১৪ রান কম দিলে বিশ্বরেকর্ডও গড়ে ফেলতে পারতেন প্রাইম ব্যাংকের এই পেসার। লিস্ট এ-তে সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ডটি ভারতের শাহবাজ নাদিমের দখলে।

প্রাইম ব্যাংকের রাজার তোপে ২৭১ রান তাড়ায় স্রেফ ৭১ রানে গুটিয়ে যায় সাকিবের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। তামিম-জাকিরদের জয় ১৯৯ রানের বড় ব্যবধানে। এদিন টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় প্রাইম ব্যাংক।

দলীয় ৫০ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার শাহাদাত হোসেন দিপু ও তামিম ইকবালকে হারিয়ে কিছুটা বিপদেই পড়েছিল প্রাইম ব্যাংক। তবে এরপরই দলের হাল ধরেন অধিনায়ক জাকির হাসান ও মুশফিকুর রহিম। দুজনে মিলে ৩য় উইকেটে গড়েন ১৩৩ রানের জুটি। দুজনই অবশ্য অল্পের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন।

সাকিবের বলে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে ৯৫ বলে ৮৫ রান করেন জাকির। এছাড়া ৯৪ বলে ৭৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। শেষদিকে ১০ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলেন হাসান মাহমুদ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে প্রাইম ব্যাংকের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৭০ রান।

১০ ওভার বল করে ৪২ রান খরচায় দুই উইকেট শিকার করেন সাকিব। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট শিকার করেন শফিকুল ইসলাম, আরিফ আহমেদ ও তাইবুর রহমানও। দ্বিতীয় ইনিংসে শেখ জামালের দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৈকত আলিকে ফিরিয়ে প্রাইম ব্যাংককে দারুণ শুরু এনে দেন হাসান মাহমুদ।

এরপর রাজত্ব শুরু করেন রাজা। আক্রমণে এসে প্রথম বলেই ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে ফেরান তিনি। একই ওভারের শেষ বলে গোল্ডেন ডাক হয়ে ফেরেন সাকিব আল হাসান। পরের ওভারে এসে ফের দুই উইকেট তুলে নেন রাজা।

এবার প্রথম বলে ক্যাচ দেন নুরুল হাসান সোহান। এক বল পর তাইবুর রহমানকে বোল্ড করেন রাজা। পরে রিপন মন্ডলকে ফিরিয়ে নিজের ফাইফার পূর্ণ করেন রাজা। এরপর শেখ জামালের বাকি তিন ব্যাটারকেও সাজঘরে পাঠিয়েছেন এ পেসার।


সাকিব আল হাসান   ডিপিএল   ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ   রাজা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল ভারত

প্রকাশ: ০৭:২৫ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে ভারতের সাথে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। যার মধ্যে আজ চতুর্থ ম্যাচে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মাঠে নেমেছে দুই দল। যেখানে বোলিংটা খুব একটা ভালো হয়নি বাংলাদেশ নারী দলের।

বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে দুই হাতে রান বিলিয়েছেন স্বাগতিক বোলাররা। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়েছে ভারত নারী দল। ফলে ব্যাটারদের জন্য কাজটা কঠিন হয়ে গেছে।

সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টি আইনে নির্ধারিত ১৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২২ রান করে ভারত। বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে ১২৫ রানের।

এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন শেফালি ভার্মা। ২ রান করা এই ওপেনার শরিফা খাতুনের বলে রিতু মনির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। তবে তিনে নেমে রানের চাকা সচল রাখেন হেমলতা। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৪ বলে ২২ রান।

আরেক ওপেনার স্মৃতি মান্দানাও দারুণ শুরু করেছিলেন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৮ বলে করেছেন ২২ রান। এরপর মিডল অর্ডার ব্যাটাররাও দ্রুত রান তোলেছেন। কারণ ৫ ওভার ৫ বলে খেলা শেষে ম্যাচে হানা দেয় বৃষ্টি। ঘণ্টা খানেক ম্যাচ বন্ধ ছিল। তাতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে। 

১৪ ওভারের ম্যাচ হওয়ায় আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করেছেন ব্যাটাররা। তাতে সফলও হয়েছেন। বিশেশ করে হারমানপ্রীত। অধিনায়ক ২৬ বলে করেছেন ৩৯ রান। শেষদিকে রিকা ঘোষ করেছেন ১৫ বলে ২৬ রান।


বাংলাদেশ   ভারত   নারী ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বায়ার্নের কোচ হওয়া বিষয়ে যা জানালেন জিদান

প্রকাশ: ০৬:২৩ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত ফেব্রুয়ারি থেকেই গুঞ্জন আছে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিথের কোচ হিসেবে জোগ দিবেন জিনেদিন জিদান। কিন্তু সম্প্রতি স্কাই স্পোর্টস জার্মানিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে এই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। এদিকে ফরাসি তারকা আশা প্রকাশ করেছেন, বায়ার্নকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলবে তার সাবেক ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ।

গত ফেব্রুয়ারি থেকেই গুঞ্জন উঠেছিল, আগামী মৌসেুম থেকে বায়ার্ন মিউনিথে যোগ দিতে যাচ্ছেন জিনেদিন জিদান। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভো তো ফরাসি এই তারকার সাথে বায়ার্নের চুক্তির পাকাপাকিও দেখে ফেলেছিল।

মুন্দো দেপোর্তিভো জানিয়েছিল, কাগজে কলমে কোন চুক্তি স্বাক্ষর না হলেও মৌখিক সমঝোতা হয়ে গেছে বায়ার্ন এবং জিদানের মধ্যে। তবে তবে সব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে স্কাই স্পোর্টস জার্মানিকে জিদান জানিয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বায়ার্নের বিপক্ষে রিয়ালকে সমর্থন দিতে মাঠে থাকবেন তিনি।

আগামী বুধবার ( মে) সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মুখোমুখি হবে বায়ার্ন-রিয়াল। জিদান বলেন, আমি বায়ার্ন মিউনিখের ভবিষ্যৎ কোচ হব কিনা? না, আমি (বায়ার্ন-রিয়াল) ম্যাচ দেখতে যাব। এটা কঠিন একটা ম্যাচ হবে। আমি আশাবাদী মাদ্রিদ জিতবে।

আগের লেগ - গোলে ড্র হওয়ায়, ম্যাচে জয়ী দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করবে।

ম্যাচে জিদানের মাদ্রিদকে বেছে নেয়ার কারণটাও স্পষ্ট। ২০০১ থেকে ২০০৬ খেলোয়াড় হিসেবে বার্নাব্যুতে আলো ছড়ানোর পর ২০১৬ থেকে ২০১৮ এবং ২০১৯ থেকে ২০২১; দুই মেয়াদে রিয়ালের ডাগআউট সামলেছেন তিনি। 

লস ব্লাঙ্কোদের টানা তিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ মোট ১১টি শিরোপা জিতিয়েছেন ফরাসি কিংবদন্তি। রিয়ালের দায়িত্ব ছাড়ার পর অবশ্য আর কোচিংয়ে দেখা যায়নি ৫১ বছর বয়সী মাস্টার মাইন্ডকে।


জিনেদিন জিদান   বায়ার্ন   রিয়াল মাদ্রিদ   কোচ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বেনফিকার করা ৫৯ বছরের রেকর্ড স্পর্শ করেছে ‘দ্য কোম্পানি ইলেভেন’

প্রকাশ: ০৫:২০ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বুন্দেসলিগায় যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে বায়ার লেভারকুসেন। দলটি চলতি বুন্দেসলিগার শিরোপা নিশ্চিত করেছে আগেই। গতকাল নিজেদের ৩২ তম ম্যাচে ফ্র্যাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে মাঠে নামে জাভি আলোনসোর শিষ্যরা। আর এ ম্যাচে তুলে নেই ৫-১ গোলের বিশাল জয়। আর এ জয়ে টানা ৪৮ ম্যাচ ধরে অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়েছে দলটি।

আরও পড়ুন: ভক্তকে সাকিবের চড় মারতে চাওয়ার গুঞ্জন, আসলে ঘটনা কী?

বায়ার লেভারকুসেন তাদের এই জয়ের মধ্যে দিয়ে ভাগ বসিয়েছে বেনফিকার করা ৫৯ বছর পুরোনো রেকর্ডে। সেই সাথে সুযোগ রয়েছে বেনফিকার করা ৫৯ বছর পুরোনো রেকর্ডটি ভাঙ্গারও। বৃহস্পতিবার ঘরের মাঠ বে অ্যারেনায় ইউরোপা লিগের দ্বিতীয় লেগে রোমার বিপক্ষে মাঠে নামবে লেভারকুসেন। প্রথম লেগে - এগ্রিগেটে এগিয়ে আছে লেভারকুসেন।

আরও পড়ুন: হুমকির মুখে টি-২০ বিশ্বকাপ, জঙ্গি হামলার আশঙ্কা

আরও পড়ুন: লিটন ফর্মে ফিরবেন কবে?

রবিবার (৫ মে) বুন্দেসলিগার ম্যাচে ফ্রাঙ্কফুর্টের ঘরের মাঠে মুখোমুখি হয়েছির লেভারকুসেন। ম্যাচটিতে শুরু থেকেই দাপট দেখায় লেভারকুসেন। ম্যাচের ১২ তম মিনিটে গ্রানিত শাকার করা গোলে এগিয়ে যায় দলটি। এরপরই শুরু হয় ‘দ্য কোম্পানি ইলেভেনের’ দাপট। একের পর এক আক্রমণে দিশেহারা হয় ফ্রাঙ্কফুর্টের রক্ষণভাগ।

শেষ পর্যন্ত ফ্র্যাঙ্কফুটের ঘরের মাঠে থেকে ৫-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জাভির শিষ্যরা। ম্যাচের ৩২ তম মিনিটে ফ্র্যাঙ্কফুটের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন হুগো এটিটি।


বুন্দেসলিগা   বায়ার লেভারকুসেন   রেকর্ড   দ্য কোম্পানি ইলেভেন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন