ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আদৌ কি রাশিয়া পিছু হটছে?

প্রকাশ: ১০:০২ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail আদৌ কি রাশিয়া পিছু হটছে?

বিগত ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ। সম্প্রতি খারকিভে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইউক্রেনের সেনারা। ক্রেমলিনের সেনারা পিছু হটছে বলেও দাবি ক্রেমলিনের। গত ৬ সেপ্টেম্বর পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইউক্রেন। দেশটির উত্তর-পূর্বে রুশ প্রতিরক্ষা বেড়াজাল গুড়িয়ে দিয়েছে তারা।

১১ সেপ্টেম্বর সকালে ইউক্রেনের সামরিক প্রধান ভ্যালেরি জালুঝনি ঘোষণা করেন যে দেশটির সেনা বাহিনী বিগত ১১ দিনে প্রায় ৩ হাজার বর্গকিলোমিটারেরও বেশি এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে। গত এপ্রিল থেকে এই এলাকা রাশিয়ার দখলে ছিলো। অন্য একটি পরিসংখ্যান বলছে, ৯ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা পুনরায় নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে ইউক্রেন, যেটি প্রায় সাইপ্রাসের আয়তনের সমান।

রাশিয়ার সেনারা আতঙ্কিত হয়ে পিছু হটছে। একই সঙ্গে ব্যাপক হারে সামরিক সরঞ্জাম পরিত্যক্ত অবস্থায় পপড়ে আছে এমন খবর ছড়িয়েছে সম্প্রতি। দুটি লজিস্টিক্যাল হাব, ইজিয়াম ও কুপিয়ানস্ক পুনরুদ্ধারের ফলে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় সমগ্র ডনবাসের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য রাশিয়ার মহাপরিকল্পনা নস্যাৎ হয়েছে। এটি ইউক্রেনের সেভেরোডোনেটস্কের মতো শহর পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনাও উন্মুক্ত করছে। যেখানে কয়েক মাস ধরে রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পরে রাশিয়ার হাত থেকে একটি অংশ চলে যায় ইউক্রেনের দখলে।

রাশিয়ার রসনা ইউনিটের বিচ্যুতি, যাকে ক্রেমলিন অপ্রত্যাশিতভাবে ‘পুনরায় দলবদ্ধকরণ’ বলে অভিহিত করেছে। তারা বলছে, যে সাত মাস পুরোনো এই যুদ্ধ সম্ভবত একটি টার্নিং পয়েন্টে পৌঁছেছে।



খারকিভ অঞ্চলে পাল্টা আক্রমণ নিশ্চয়ই রাশিয়ান হাইকমান্ডকে আশ্চর্য করেছিল। বালাকলিয়া শহর ঘেরাও করার পর দুই দিনের তীব্র আর্টিলারি ফায়ার ব্যবহার করে ৬ সেপ্টেম্বর শুরু হয় আসল অভিযান। পরে তিন দিনের মধ্যে ইউনিটগুলো পূর্ব দিকে কুপিয়ানস্ক, একটি বড় রেল জংশন ও রাস্তা দখলে নেয়, যেগুলো দিয়ে রুশ সেনাবাহিনীর সামরিক সরঞ্জামাদি নেওয়া হতো।

১০ সেপ্টেম্বর ইজিয়াম যেটি কাছাকাছি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র বেশিরভাগ রুশ সেনা পূর্ব থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরে সেটি ঘেরাও করা হয়। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমের তথ্য বলছে, এরই মধ্যে ইজিয়াম শহরটি পরিত্যক্ত করা হয়েছে। শুধু সেখানকার শহর থেকে নয়, অঞ্চল থেকেও সাধারণ রাশিয়ানরা পিছু হটছে বলে দাবি ইউক্রেনের।

১১ সেপ্টেম্বর সকাল পর্যন্ত যুদ্ধ অব্যাহত ছিল দু’পক্ষের মধ্যে। কিন্তু সেদিনের পর রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দ্বারা প্রকাশিত একটি মানচিত্র থেকে বোঝা যায় যে রুশ বাহিনী কার্যত খারকিভ প্রদেশের সম্পূর্ণ অংশ থেকে অসকিল নদীর ধারে একটি নতুন প্রতিরক্ষা লাইনে চলে গেছে। ইউক্রেনীয় ইউনিটগুলো এখনো পূর্ব দিকে অগ্রসর হলে এই নতুন লাইনটি কতক্ষণ স্থায়ী হতে পারে তা স্পষ্ট নয়।

ইউক্রেনের গোপন পাল্টা আক্রমণে রাশিয়ান বিমানের অবাধ চলাচল চিহ্নিত হতে পারে। একটি সামরিক সূত্র বলছে, আমেরিকার সরবরাহ করা নতুন অ্যান্টি-রাডার ক্ষেপণাস্ত্র, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিমান প্রতিরক্ষা অস্ত্রের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।

এদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, তারা নিজেরাই ইজিয়াম ও কুপিয়ানস্ক থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। দোনেৎস্কে লড়াইরত বাহিনীর শক্তি বাড়াতে বালাকলিয়া শহর থেকে সেখানে সেনা সরিয়ে নেওয়ার কথাও নিশ্চিত করে তারা। শুক্রবার বালাকলিয়া শহরে ১৫টি ট্যাঙ্ক নিয়ে প্রবেশ করে ইউক্রেনীয় বাহিনী।

প্রকৃতপক্ষে, এটি ইউক্রেনের এমন একটি কৌশল ছিল যে মনে হয়েছিল আক্রমণটি বিভ্রান্তিকর, যার উদ্দেশ্য ছিল শুধু রাশিয়ান বাহিনীকে প্রতিরোধ করা এবং খেরসন অঞ্চলে পাল্টা আক্রমণের বিরুদ্ধে রুশ সেনা মোতায়েন বিরত রাখা।
একপর্যায়ে, ইউক্রেনীয় ইউনিটগুলো দ্রুত অগ্রসর হচ্ছিল যে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনিশ্চিত ছিলেন যে তারা কতদূর পৌঁছেছে। ইউক্রেনের লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নর সের্হি হাইদাই বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে ইউক্রেনীয় সেনারা ডোনেট নদী পেরিয়ে লুহানস্ক অঞ্চলের উত্তরাঞ্চলের স্যাতোভ, রুবিঝনে, লিসিচানস্ক এবং সেভেরোডোনেটস্ক শহরে চলে যাওয়ার আগে এটি কেবল ‘সময়ের ব্যাপার’ হবে। যা রাশিয়া জুলাইয়ের শুরুতে সম্পূর্ণরূপে দখল করার গর্ব করেছিল।

তিনি বলেন, রাশিয়ান সেনারা এরই মধ্যে পিছু হটছে। তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যাচ্ছে। তবে ইউক্রেনের পরবর্তী পদক্ষেপগুলো ক্ষতি এড়াতে হিসেব কষে নিতে হবে।

ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফের এক সাবেক অপারেশনাল অফিসার ওলেহ ঝদানভ বলেন, ইউক্রেনের সামরিক নেতৃত্ব ধীর গতিতে হামলা চালানোর চেষ্টা করবে। ‘আমাদের পেছনে সমর্থন লাইন একত্রিত করতে হবে। খুব দ্রুত যাওয়া বিপজ্জনক’।
ইউক্রেন এখন অন্য কোথাও আঘাত হানার জন্য রাশিয়ার অস্থিরতাকে কাজে লাগাতে পারে কিনা তা নিয়ে কিছু জল্পনা-কল্পনা রয়েছে। হয় খেরসনে পাল্টা আক্রমণ জোরদার করতে পারে, যদিও ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে, অথবা অন্য কোথাও আক্রমণের তৃতীয় পথ খোলার মাধ্যমে।

ইউক্রেনের তৃতীয় সম্পূর্ণরূপে গঠিত সেনা ইউনিট প্রস্তুত আছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিচালনার করার জন্য শুরুতে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু পশ্চিমারা পর্যাপ্ত সরঞ্জাম দিয়েছে কিনা তা এখন খোলামেলা প্রশ্ন।
কেউ কেউ অনুমান করছেন যে ইউক্রেন জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে আরেকটি যুদ্ধফ্রন্ট খুলতে পারে। কিছু ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা শেষ পর্যন্ত খেরসন আক্রমণের জন্য আগে চাপ দিয়েছিলেন।

যুদ্ধপন্থী রাশিয়ান সামরিক ব্লগাররা রাশিয়ার অপমানে ক্ষুব্ধ। তারা রাশিয়ার জেনারেলদের দোষ দিচ্ছে এমন পরিস্থিতির জন্য। প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং পুতিন নিজেও দায়ী এতে বলছেন তারা। কারণ ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল থেকে সেনাবাহিনীর পিছু হটার হওয়ার পরেও নিশ্চুপ রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইগর গিরকিন, একজন অতি-জাতীয়তাবাদী যিনি ২০১৪ সালে ডনবাসে রাশিয়ার আক্রমণের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, রাশিয়ান সেনাদের সম্পূর্ণ পরাজয়ের পূর্বাভাস দিয়েছেন।

‘আমরা ইতিমধ্যে অনেক কিছু হারিয়ে ফেলেছি, বাকিটা সময়ের ব্যাপার’। তিনি টেলিগ্রামে তার প্রায় অর্ধ মিলিয়ন গ্রাহককে এমনটি বলেছিলেন। রাশিয়ান সামরিক পর্যবেক্ষকদের মধ্যে জনপ্রিয় একটি মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম এটি।

সিএনএ, একটি থিঙ্ক-ট্যাঙ্কের একজন বিশেষজ্ঞ মাইকেল কফম্যান উল্লেখ করেছেন যে ‘রাশিয়ান বাহিনীর গুণমান হ্রাস পাচ্ছে এবং যারা যুদ্ধে রয়েছে তাদের ক্লান্তি এড়াতে প্রায়শই ঘোরানো হচ্ছে না। তাদের এই যুদ্ধ টিকিয়ে রাখার মতো জনবল নেই’।

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এই সমস্যাগুলো সম্পর্কে উদাসীন বলে মনে হচ্ছে। ১০ সেপ্টেম্বর ইউক্রেনীয়রা ইজিয়ামে যাওয়ার পথে লড়াই করার সময়, তিনি মস্কোতে স্তালিন-যুগের থিম পার্ক এ একটি গ্র্যান্ড ফেরিস হুইল খোলার পরিকল্পনা চালিয়ে যান। ফেরিস হুইলটি ছিল ইউরোপে সবচেয়ে বড়, পুতিন বলেন, পারিবারিক অবসরের জন্য উপযুক্ত জায়গা।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসার আশা মস্কো কখনও পরিত্যাগ করেনি। তবে রাশিয়া বিশ্বাস করে আলোচনায় বসতে যত দেরি হবে তা থেকে সুফল পাওয়া তত বেশি দুরূহ হয়ে পড়বে। রাশিয়ার একটি নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

আপাতত, ইউক্রেনের নেতারা বিশ্বাস করেন যে যুদ্ধক্ষেত্রে আলোচনা সর্বোত্তমভাবে পরিচালিত হয়। তবে ১০ সেপ্টেম্বর ইয়াল্টা ইউরোপীয়ান নিরাপত্তা ফোরামে এক বক্তব্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বিরক্ত প্রকাশ করেন যে ‘কিছু পশ্চিমা নেতা আমাদের অতিরিক্ত আলিঙ্গনের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন’। তিনি আরও বলেন, না, আমরা নিজেদেরকে বিরত রাখতে পারি না’।

রাশিয়া   ইউক্রেন   সামরিক অভিযান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধান মিলেছে

প্রকাশ: ০২:০০ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি পাওয়া গেছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। কিন্তু প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং অন্যান্যদের অবস্থা সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

তবে ইরানের রেড ক্রিসেন্টের এক কর্মকর্তা, যিনি হেলিকপ্টারটির উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন, তিনি জানিয়েছেন হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়ার উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে। স্থানীয় কিছু সংবাদমাধ্যম বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার খুঁজে পাওয়ার ‘অসমর্থিত’ তথ্য প্রকাশ করেছে। খবর আল-জাজিরার

দেশটির রাষ্ট্রায়াত্ত টেলিভিশনের এক সাংবাদিক জ্বালানিমন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ানের বরাতে জানিয়েছেন, হেলিকপ্টার খুঁজে পাওয়ার কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।

কিন্তু ওই সাংবাদিক জানিয়েছেন, ধারণা করা হচ্ছে, যেখানে হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখান থেকে উদ্ধারকারীরা আর মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে রয়েছেন।

রোববার দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি আছড়ে পড়ে। ওই সময় এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছিলেন।

যেখানে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানে উদ্ধারকারীরা পায়ে হেঁটে যান। জায়গাটি এতটাই দুর্গম যে সেখানে পৌঁছাতে উদ্ধারকারীদের কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানিয়েছিলেন কর্মকর্তারা।

রোববার আজারবাইজানে একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা হেলিকপ্টারে করে তাবরিজে যাচ্ছিলেন। সেখানেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ইরানি বার্তাসংস্থা ইরনা নিউজ জানিয়েছে, সেখানকার স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন, তারা প্রচণ্ড জোরে কিছু আছড়ে পড়ার শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন।

প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার তথ্য জানার পরই ঘটনাস্থলে কমান্ডো বাহিনী ও উদ্ধারকারীদের পাঠানো হয়।


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইব্রাহিম রাইসির বেঁচে থাকা নিয়ে শঙ্কিত দেশটির কর্মকর্তারা

প্রকাশ: ০১:২৯ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। রোববার (১৯ মে) ইরানের প্রদেশ আজারবাইজান থেকে ফেরার পথে সীমান্ত এলাকায় প্রচণ্ড কুয়াশার কারণে এটি পাহাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্মকর্তারা। খবর রয়টার্সের

সরকারি ওই কর্মকর্তা বলেন, দুর্ঘটনার কারণে ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। তারপরও আমরা আশাবাদি। তবে সেখান থেকে যে খবর আসছে তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। 

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকর্মীদের উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে। একটি দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে। সেখানে প্রচণ্ড বৃষ্টি এবং ঠাণ্ডা পড়ছে। ফলে উদ্ধার কর্মীরা পৌঁছাতে পারছে না। 

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সব অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং রাইসির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে। যে এলাকায় হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে তার লাইভ সম্প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু এতে চারদিকে কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। 

২০২১ সালে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ৬৩ বছর বয়সী রাইসি। তার সময়ে দেশটিতে কঠোরভাবে নৈতিক আইন প্রয়োগ করা হয়। কঠোর নৈতিক আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে সরকার বিরোধী বিক্ষোভও তাকে সামাল দিতে হয়েছে। 


ইব্রাহিম রাইসি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসির আকস্মিক মৃত্যু হলে কে হবেন ইরানের প্রেসিডেন্ট?

প্রকাশ: ১০:৩৮ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনারকবলে পড়েছে। উত্তর-পশ্চিম ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা শহরে এটি নিয়ন্ত্রণহীনভাবে অবতরণ করে। হেলিকপ্টারে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নরসহ আরও বেশ কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তা ছিলেন।

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমির ভাহিদি জানিয়েছেন, একাধিক উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। তবে তাদের সেখানে পৌঁছাতে সময় লাগবে। কারণ বর্তমানে সেখানে প্রতিকূল আবহাওয়া বিরাজ করছে।

এদিকে কী কারণে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে তা এখনও স্পষ্ট করা যায়নি। দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

ইরানি বার্তাসংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী বহরে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। এর মধ্যে দুটি নিরাপদে অবতরণ করেছে।

প্রেসিডেন্টের আকস্মিক মৃত্যু হলে, ইরানের সংবিধান অনুযায়ী প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট সর্বোচ্চ নেতার অনুমোদনক্রমে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। বর্তমানে এ দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ মোখবার।

প্রশ্ন দেখা দিয়েছে রাইসির আকস্মিক মৃত্যু হলে কে হবেন ইরানের প্রেসিডেন্ট? ইরানের রাজনৈতিক শ্রেণিবিন্যাস অনুসারে, রাষ্ট্রের প্রধান হলেন সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনি এবং প্রেসিডেন্টকে সরকারের প্রধান সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

যখন সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মারা যান, তখন প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট দায়িত্বে থাকবেন এবং ৫০ দিনের মধ্যে দেশকে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য নির্বাচনে যেতে হবে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ইরানি প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারে না থাকা এবং হেলিকপ্টার থেকে যোগাযোগ করার যে তথ্য ছড়ানো হয়েছে সেগুলোর কোনোটিই সত্যি নয়। সত্য হলো রাইসি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন এবং তাকে খুঁজে পেতে অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ভাহিদি বলেছেন, বিভিন্ন উদ্ধারকারী দল হেলিকপ্টারটির সন্ধানে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে। খারাপ আবহাওয়া ও কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনাস্থলে যেতে সময় লাগবে।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং উদ্ধারকারী দল তাদের কাজ করছে। আমরা আশা করছি যত দ্রুত সম্ভব এটি সম্পন্ন হবে।

ইরান বিভিন্ন ধরনের হেলিকপ্টার ব্যবহার করে। তবে কয়েক দশক ধরে পশ্চিমা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখায় নতুন হেলিকপ্টার অথবা যন্ত্রাংশ ক্রয় করতে পারে না দেশটি। দেশটির সামরিক বাহিনীর অনেক হেলিকপ্টার ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের সময়েরও আগের।

উল্লেখ্য, ৬৩ বছর বয়সী ইব্রাহিম রাইসি ২০২১ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ইরানের রাজনীতিতে খুবই প্রভাবশালী এই নেতাকে দেশটির পরবর্তী সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হিসেবে দেখা হয়।

ইরানের প্রেসিডেন্ট   ইব্রাহিম রাইসি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

প্রকাশ: ১০:১৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ তাদের সঙ্গীদের। ঘটনাস্থলে বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজও ব্যাহত হচ্ছে।

রোববার দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেখানে ভারী বৃষ্টিপাত ও ঘন কুয়াশার কারণে ৫ মিটারের বেশি দূরত্বে কিছু দেখা যাচ্ছে না বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল জাজিরা।

হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতোল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে–হাশেম ছিলেন।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার খবরে বলা হয়েছে, যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেটি পার্বত্য অঞ্চল এবং বন–জঙ্গলে ঘেরা। ইরানের জরুরি সেবা সংস্থার মুখপাত্র বাবাক ইয়েকতাপারাস্ত ইরনাকে বলেছেন, ঘটনাস্থলের উদ্দেশে একটি উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। তবে ঘন কুয়াশার কারণে সেটি সেখানে পৌঁছাতে পারেনি।

ইরানের একটি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম টুইটারে বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে, উদ্ধারকারী কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। পূর্ব আজারবাইজানের রাজধানী তাবরিজ শহর থেকে নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য আহমদ আলী রেজা বেইগি বলেছেন, উদ্ধারকারীরা এখনো প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারের অবস্থান শনাক্ত করতে পারেননি। বৃষ্টি ও কুয়াশার কারণে উদ্ধাকাজ ব্যাহত হচ্ছে।

৪০টি উদ্ধারকারী দল উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আল–জাজিরার সাংবাদিক আলী হাশেম। উদ্ধারকারীদের সঙ্গে আটটি অ্যাম্বুলেন্স ও একাধিক ড্রোন রয়েছে।

এসব সত্ত্বেও হেলিকপ্টারটি না খুঁজে পাওয়ার কারণ সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফুয়াদ ইজাদি বলেছেন, ‘হয়তো দুর্ঘটনাটি খুবই মারাত্মক হয়েছে বা যেখানে দুর্ঘটনাটি হয়েছে সেখানে যোগাযোগের নেটওয়ার্ক নেই। তাই হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে।’

আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি জলাধার প্রকল্প উদ্বোধনের পর আজ হেলিকপ্টারটিতে করে ফিরছিলেন রাইসি। এ যাত্রায় প্রেসিডেন্টের বহরে থাকা অন্য দুটি হেলিকপ্টার অক্ষত রয়েছে।

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত   ইরানের প্রেসিডেন্ট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সৌদি আরবের বাদশাহ অসুস্থ

প্রকাশ: ০৯:৪১ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ। এক মাসের কম সময়ের মধ্যে তার স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা করানো হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিবৃতিতে সৌদি আরবের রয়্যাল কোর্ট আজ রোববার এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেদ্দার আল-সালামের একটি ক্লিনিকে বাদশাহ সালমানের স্বাস্থ্যের কয়েকটি পরীক্ষা করা হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাদশাহ সালমান জ্বর ও অস্থিসন্ধির ব্যথায় ভুগছেন। চিকিৎসকেরা তার স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা করবেন। এর মাধ্যমে তিনি সুস্থ্ আছেন কি না, সেটি নিশ্চিত করা হবে।

৮৮ বছর বয়সী বাদশাহ সালমান ২০১৫ সালে সৌদি আরবের সিংহাসনে বসেন। এর দুই বছর পর ২০১৭ সালের জুনে সিংহাসনের পরবর্তী উত্তরসূরি হিসেবে মনোনীত হন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (৩৮)। মূলত এর পর থেকেই তিনি সৌদির কার্যত নেতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন।

এর আগে ২০২২ সালের মে মাসে বাদশাহ সালমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ওই সময় তার কোলোনস্কপি করা হয়েছিল। 

সৌদি আরব   বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন