কালার ইনসাইড

সাবিনা-কৃষ্ণা-রুপনাদের নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ হবে কবে?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail সাবিনা-কৃষ্ণা-রুপনাদের নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ হবে কবে?

সাতক্ষীরার মেয়ে মাসুরা পারভীন, ফুটবল খেলাই যার নেশা। সাতক্ষীরা পিটিআই স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াকালীন সময়ে তিনি খেলাধুলা শুরু করে। তার বাবা ভ্যানচালক রজব আলী। উপার্জনের একমাত্র সম্বল ভ্যানটিও ভেঙেচুরে নষ্ট হয়ে বাড়ির উঠানে পড়ে রয়েছে। বাড়িটি তৈরি টিনের ছাউনি দিয়ে । রজব আলী এখন অসুস্থ হওয়ায় কাজও করতে পারছেন না। মাসুরা যখন প্রথমদিকে খেলতে শুরু করেছিলেন, বিষয়টিকে ভালোভাবে নেননি তার বাবা। বাধার মুখে পড়েছিলেন পদে পদে।

মাসুরার বাড়ি সাতক্ষীরা সদরের বিনেরপোতা এলাকায়, সরকারিভাবে দেওয়া আট শতক জমিতে থাকে মাসুরার পরিবার। মা ফাতেমা বেগম, দুই বোন সুরাইয়া পারভীন ও সুমাইয়া ইয়াসমিনকে নিয়ে তার পরিবার। সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপনা দাবি করে ওই বাড়িতে ক্রস চিহ্ন দেন সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এরপর ভেঙে ফেলা হতে পারে বলে শঙ্কায় ছিলো তাঁদের পুরো পরিবার। তবে সব কিছু ছাপিয়ে সেই মাসুরা আজ দেশের গর্ব। সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের ডিফেন্ডার মাসুরা। যাকে নিয়ে আজ সারাদেশে মাতামাতি।

গোল করেই আকাশের দিকে তাকালেন। এরপর প্রার্থনার ভঙ্গিতে বিড়বিড়িয়ে কিছু একটা বললেন ঋতুপর্ণা চাকমা। যেন গোলটা পাওয়ার অপেক্ষাতেই ছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার। নেপালে মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে দুই ম্যাচের কোনোটিতেই একাদশে ছিলেন না ঋতুপর্ণা।

মালদ্বীপের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বদলি নেমেও তিনি গোল পাননি। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামতেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন তিনি। ততক্ষণে অবশ্য বাংলাদেশ পাঁচটি গোল দিয়েছে পাকিস্তানের জালে, জয়ও নিশ্চিত। পরে দলের হয়ে ৬ নম্বর গোলটা করেছেন ঋতুপর্ণা।

গোলটা ঋতুপর্ণা উৎসর্গ করেছেন অকালপ্রয়াত ভাই পার্বণ চাকমাকে। গত ২৯ জুন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন পার্বণ। ভাই হারানোর শোক এখনো লেগে আছে ঋতুপর্ণার চেহারায়। জাতীয় দলের সবচেয়ে প্রাণোচ্ছল আর হাসিখুশি মেয়েটাই এখন সারাক্ষণ মনমরা হয়ে থাকেন। পরশু তিনি গোল পাওয়ার পর টিম বাসে উঠেও অনেকক্ষণ কেঁদেছেন। টিম হোটেলে গিয়েও রাতে কান্নাকাটি করেছেন। কাঠমান্ডুর আর্মি হেডকোয়ার্টার মাঠে গতকাল অনুশীলনের সময় সতীর্থরা হাসি–আড্ডায় মেতে থাকলেও ঋতুপর্ণাকে দেখা গেছে বিষণ্ণ।

বাবা ব্রজবাসী চাকমা ক্যানসারে ভুগে মারা গেছেন ২০১৫ সালে। বড় তিন বোন, ভারতী চাকমা, পামপি চাকমা ও পুতুলি চাকমার বিয়ে হয়ে গেছে। চার বোনের এক ভাই হওয়ায় সবচেয়ে আদরের ছিলেন পার্বণ। সেই আদরের ভাইকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন ঋতুপর্ণা।

পার্বণের দুই বছরের বড় ঋতুপর্ণা। পিঠেপিঠি ভাই–বোন হওয়ায় দুজনের সম্পর্ক ছিল বন্ধুর মতো। ২০১৭ সালে জাতীয় বয়সভিত্তিক দলে ডাক পাওয়ার পর থেকে ঋতুপর্ণার সব ম্যাচ দেখেছেন পার্বণ। পাকিস্তানের বিপক্ষে গোলের পর তাই সবার আগে ছোট ভাইয়ের কথা মনে পড়ে ঋতুপর্ণার।

এই দুইটি গল্প কোন সিনেমার চিত্রনাট্য নয়। মাঝে মাঝে সিনেমার গল্পকেও হাড় মানায় বাস্তব কিছু গল্প। ঠিক তেমনি কিছু গল্প রয়েছে সদ্য দৃষ্টিনন্দন, শৈল্পিক এবং একই সাথে শ্বাসরুদ্ধকর ফুটবলের পসরা সাজিয়ে প্রথমবারের মতো সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ঐতিহাসিক কীর্তিগাথা রচনা করে আসা বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের প্রতিটি খেলোয়াড়রে। ব্যক্তি জীবনের সব দুঃখ, কষ্টকে পিছনে ফেলে দেশের জন্য লড়ে গিয়েছেন নিজেদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে। সাফের ট্রফি নিয়ে দেশে এসেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। বুধবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন সাবিনারা। তাদের বরণ করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। উপস্থিত ছিল বাফুফের প্রতিনিধিদলও।বিমানবন্দর থেকে শহর ঘুরে বাফুফে কার্যালয়ে সাবিনাদের নিয়ে যাওয়া হয় ছাদখোলা বাসে করে।

ফুটবল নিয়ে এই উন্মাদনা আজ থেকে নয়। বহু বছর আগে থেকেই চলছে এই উন্মাদনা। এমনকি ফুটবল নিয়ে হলিউড, বলিউড, ঢালিউডে নির্মিত হয়েছে অনেক চলচ্চিত্র। ফুটবল নিয়ে খুব একটা বড় বাজেটের সিনেমা নির্মাণ হয়নি। বড় বাজেট না হলেও আলোচিত বেশ কিছু সিনেমা রয়েছে ফুটবল নিয়ে।  হলিউড থেকে শুরু করে বলিউডেও অনেক সিনেমা নির্মিত হয়েছে ফুটবলকে নিয়ে।

সর্বকালের সেরা ফুটবলার পেলেকে নিয়ে ২০১৬ সালে হলিউডে নির্মিত হয় ছবি ‘পেলে-বার্থ অফ অ্যা লিজেন্ড’। ছবিটি দেখলে পেলের বেড়ে ওঠার পুরো ব্যাপারটা ভালো করে বোঝা যাবে।

এছাড়াও মদের নেশায় আসক্ত সাবেক এক ফুটবলারের জীবনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘ইয়েস্টারডেস হিরো’। ১৯৭৯ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিটি মন ছুঁয়েছে অনেকেরই। ফুটবল ম্যানেজারের জীবন নিয়ে নির্মিত সিনেমা ‘এ শট অ্যাট গ্লোরি’ সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০০০ সালে।

ডেভিড বেকহ্যাম তখন সুপার ফর্মে। তখনই ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরিচালক গুরিন্দর চাঁদা নির্মাণ করলেন ‘বেন্ড ইট লাইক বেকহ্যাম’।

গ্রেগরিস গার্ল (১৯৮১) ফুটবল নিয়ে ব্রিটিশ রোমান্টিক কমেডি আছে অনেকেরই পছন্দের তালিকায়। দেখতে পারেন ফুটবল নিয়ে হংকংয়ের অ্যাকশন কমেডি ছবি শাওলিন সকার। আরও দেখতে পারেন রুডো এন্ড কার্সি (২০০৮), ড্যামনেড ইউনাইটেড, হোয়েন স্যাটারদে কামস, মিন মেশিন, গ্রেসি ছবিগুলো।

ক্রিকেটের দেশ বলিউডে ফুটবল নিয়ে সিনেমা নেই বললেই চলে। কোন কোন সিনেমায় একটা কিংবা দুইটা দৃশ্য রাখা হয় ফুটবলের। যেমন ‘কাভি আলভিদা না কেহনা’য় শাহরুখের দৃশ্য। সেক্ষেত্রে ‘ধান ধানা ধান গোল গোল’ ছবিটাকে পূর্ণ মাত্রার সিনেমা বলা চলে। ‘সিকান্দার’ ছবিরও অনেকটা জুড়ে ছিল ফুটবল।

শুধু ফুটবল নয় ক্রিকেট নিয়েও কম দিনেমা নির্মাণ হয়নি। লাগান ছবি ক্রিকেট সম্পর্কিত ছবিগুলির মধ্যে একটি। অভিনেতা আমির এর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দর্শকদের মন কেড়ে নিয়েছিল। পরাধীন ভারতবর্ষের গ্রামের লোকজন তাদের জীবনযাত্রা এবং ইংরেজ সরকারের ব্যবহার তাদের প্রতি এই নিয়েই গল্প ছিল ওই ছবিটির। লাগান নামে একটি ক্রিকেট দল ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সেখানে কর্ম করার জন্য ক্রিকেট খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

মহেন্দ্র সিং ধোনির জীবন কাহিনী কে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালে ক্রিকেট নিয়ে ছবি তৈরি হয়েছিল। আত্মঘাতী অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত সেই ছবিটিতে অভিনয় করেছিলেন। ধোনির ক্রিকেট নিয়ে জীবন সংগ্রাম এবং ২০১১ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয় কে কেন্দ্র করে ছবিটি গড়ে উঠেছিল। তার ওই ছবিটি সুপার হিট হয়েছিল।

নব্বইয়ের দশকের সময় ভারতীয় অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের জীবনী নিয়ে তৈরি হয় ক্রিকেট মূলক ছবি আজহার, ইমরান হাশমি সেই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। ভারতীয় ক্রিকেটের খাওয়ার সময় এবং ম্যাচ ফিক্সিং সম্পর্কে সব কিছু ঘটনা ওই ছবিতে দেখানো হয়েছিল। তিনি তার সময়ে দুরন্ত ব্যাটিং করতেন কিন্তু ম্যাচ গড়াপেটা তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তার ব্যক্তিগত জীবনে অশান্তির নানাদিক সেই ছবিতে তুলে ধরা হয়েছিল।

বাংলাদেশে প্রেক্ষাপটে তেমন ভাবে ফুটবল, ক্রিকেট কিংবা ক্রীড়া ভিত্তিক কোন খেলোয়াড় দিয়ে তেমন কোন চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়নি। যদিও ২০১০ সালে নির্মাতা খিজির হায়াৎ খান ফুটবল খেলা নিয়ে নির্মাণ করে ছিলেন জাগো নামের চলচ্চিত্র। এরপর তার তেমন ভাবে ক্রীড়া ভিত্তিক কোন চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়নি।

চলচ্চিত্র একটি দেশকে আন্তর্জাতিক ভাবে পরিচিত করিয়ে দেয়। দেশের শিল্প-সংস্কৃতি, খেলেধূলা সম্পর্কে বিশ্বকে জানান দেয়। হলিউড থেকে শুরু করে বলিউডের অনেক ক্রীড়া ভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়েছে। পাশাপাশি নামীদামী অনেক খেলোয়াড়দের জীবন নিয়েও নির্মিত হয়েছে বায়োপিক। যেগুলো বিশ্ব দরাবারেও প্রশংসিত হয়েছে। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। 

যে মানুষগুলো তাঁদের ব্যক্তিজীবনের সব দুঃখ, কষ্টকে পিছনে ফেলে দেশের জন্য লড়ে জয় ছিনিয়ে আনছেন তাঁদের হয়তো আমরা সাময়িক কিছু সম্মাননা দিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করছি কিন্তু তাদের সংগ্রামী জীবনের অনেক কথাই আড়ালে থেকে যাচ্ছে। কখনো কী তাঁদের সেই সংগ্রামী জীবনের গল্প ফুটে উঠবে সেলুলয়েডের পর্দা?


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

নেটিজেনদের মন্তব্যের কড়া জবাব দিলেন স্বস্তিকা

প্রকাশ: ০৯:২১ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। জীবনটা নিজের শর্তে উপভোগ করেন এই অভিনেত্রী। ঠোঁটকাটা স্বভাব, সমাজের বাঁকা দৃষ্টিকে পাত্তা না দেওয়ায় বছর জুড়েই আলোচনায় থাকেন। আবার সমকালীন বিষয় নিয়ে কথা বলেও বহুবার সমালোচিত হয়েছেন স্বস্তিকা।

জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। গেল এপ্রিল থেকেই এখানে প্রচণ্ড দাবদাহ দেখা যাচ্ছে। শুধু এপার বাংলা নয়, ওপার বাংলার মানুষও হাঁসফাঁস করছেন তীব্র দাবদাহে।

পরিবেশ বাঁচাতে বিজ্ঞানীরা যেমন গাছ লাগানোর কথা বলছেন, তেমনি তারকাদের মধ্যেও অনেকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু এ প্রসঙ্গে কথা বলে নেটিজেনদের কটাক্ষের মুখে পড়েছেন স্বস্তিকা। তবে তিনিও কম যান না। রীতিমতো নেটিজেনদের এক হাত নিলেন তিনি।

বুধবার (১ মে) নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন স্বস্তিকা। ক্যাপশনে অভিনেত্রী লেখেন, ‘আরও গাছ কাটো/ আরও পুকুর বোজাও/ কংক্রিটের জঙ্গলে বাস করবে মানুষের লাশ।’

আর এতেই খেপে গিয়ে স্বস্তিকার দিকে প্রশ্নের তীর ছোড়া শুরু করেন তারা। সুপ্রিয়া নামের একজন লিখেছেন, ‘আপনি থাকেন কোথায়? কয়টা গাছ লাগিয়েছেন এই পর্যন্ত? ফ্ল্যাট কেনা নেই তো একটাও?’

প্রশ্নগুলো দেখে থেমে থাকেননি স্বস্তিকাও। সুপ্রিয়ার সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। অভিনেত্রী লেখেন, ‘হ্যাঁ, গাছ লাগিয়েছি। আমাদের বাড়ির গলিতে যত গাছ আছে সবগুলো আমি এবং আমার বাবা দুজনে মিলে লাগিয়েছি। আর আমার ফ্ল্যাট কেনা নেই। আমি আমার বাবার বাড়িতে থাকি। আর মুম্বাইতে থাকি ভাড়া বাসায়।

জবাবে অভিনেত্রী আরও লেখেন, ফেসবুকে এসে কাউকে আক্রমণ করার আগে চেক করে নিবেন আমার কয়টা ফ্ল্যাট আছে। আর গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের দায় আমাদের সবার। আমাকে তীর ছুড়ে প্রকৃতির কোনো সুরাহা হবে না।

অন্যদিকে সায়ন্তন ঘোষ লেখেন, ‘দিদি ভাই কংক্রিটের ফ্ল্যাটে বসে এবং এসিতে বসে বসে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।’ এই মন্তব্যেরও কড়া জবাব দিয়েছেন স্বস্তিকা। তিনি লেখেন, ফুটপাতে বসে স্ট্যাটাস দিতে পারব না দাদা। আমি গত ৪ দিন ধরে রাস্তায় কাজ করছি। পোর্টবেল এসি তো পাওয়া যায় না, পাওয়া গেলে না হয় সঙ্গে নিয়ে আসতাম।

আরেক নেটিজেন লিখেছেন, ‘এসি ঘরে বসে জ্ঞান দিচ্ছেন।’ এর জবাবে স্বস্তিকা লেখেন, ‘কী করে জানলেন আমি এসি ঘরে বসে জ্ঞান দিচ্ছি?’

এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে স্বস্তিকার কমেন্টসবক্সে। আর কেউ কেউ তো আবার স্বস্তিকার বাসার ছবিই চেয়ে বসেছেন। তারা আসলে দেখতে চান স্বস্তিকা এসি ঘরে বসে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন কিনা। মূলত এসব বিষয় নিয়ে জোর চর্চা চলছে নেটদুনিয়ায়।

স্বস্তিকা মুখার্জি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন আনুশকা

প্রকাশ: ০৫:১০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত বেশ কিছু হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। নিজের অভিনয়গুণে খুব অল্প সময়েই দর্শকদের নজর কাড়েন এই অভিনেত্রী। তবে জানেন কি? অভিনেত্রী নয় সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন আনুশকা।

জানা গেছে, সবসময়ই একজন সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন অনুশকা। কিন্তু ভাগ্যের টানে হয়ে গেলেন অভিনেত্রী। সংবাদকর্মী হিসেবে কাজ করার বদলে নিজেই একজন পেজ থ্রির নিউজে থাকেন। আর অভিনেত্রীর এই সফরটাই তখন শুরু হয় যখন ফ্যাশন ডিজাইনার ভেন্ট্রেল রড্রিকস তাকে একটি শপিং মলে দেখেন।

আনুশকাকে সেখানে দেখার পর একটি ফ্যাশন শোতে হাঁটার জন্য বলেন ভেন্ট্রেল রড্রিকস। সেই থেকে শুরু হলো আনুশকার শোবিজে পথ চলা। প্রথমে মডেলিং, পরে সেখান থেকে বলিউড যাত্রা।

২০০৮ সালে ‘রাব নে বানা দি জোড়ি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় আনুশকার। আর ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমাতেই শাহরুখ খানের সঙ্গে কাজ করেন তিনি। এরপর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর ২০১৭ সালে ক্রিকেটার বিরাট কোহলির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন আনুশকা। তাদের সংসারে রয়েছে দুটি সন্তান। মেয়ে ভামিকা এবং ছেলে অকায়। বর্তমানে স্বামী-সন্তান নিয়ে বেশ সুখেই দিন পার করছেন এই অভিনেত্রী।

বলিউড   আনুশকা শর্মা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সালমান খানের বাড়িতে হামলায় অভিযুক্তদের রহস্যময় মৃত্যু

প্রকাশ: ০১:৪৯ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।

বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায় বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।

গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।

সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।

গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।


সালমান খান   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মধ্যরাতে ফেসবুকে তানজিন তিশার রহস্য ঘেরা পোস্ট

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যরাতে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দেওয়া বা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানোটা যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে দেশের বিনোদন অঙ্গনের তারকাদের। এর আগে পরীমণি, মাহিয়া মাহিকে মাঝরাতে এরকম করতে দেখা গেছে। এবার তালিকায় নাম উঠল তানজিন তিশার। দুপুর রাতে নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে দিলেন কড়া হুঁশিয়ারি। 

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে তিশা নিজের ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি চাইলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একজন অপরাধীর গল্প শেয়ার করতে পারি। সেই সাহস এবং প্রমাণ আমার আছে।’ 

এরপর অভিনেত্রী লেখেন, ‘মনে রেখো আমি তোমার খারাপ কাজের জন্য তোমাকে সবার সামনে রক্ষা করেছি। বিখ্যাত অভিনেতা হওয়ার আগে একজন ভালো ও বিশ্বস্ত মানুষ হওয়া খুব প্রয়োজন।’

তিশার এমন উত্তপ্ত পোস্ট দেখে নড়েচড়ে বসেন নেটিজেনরা। কাকে এমন হুমকি দিলেন নায়িকা এমনটা যখন ভাবছিলেন অনেকে তখন দেখা যায় ওই পোস্টটি আর নেই। নিজের ফেসবুক থেকে মুছে দিয়েছেন তিনি।

এর আগে মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় তুলকালাম বাঁধিয়েছিলেন তিশা। পরে মিটেও যায় তা। অনেকের ধারণা ফের হয়তো তাকে ঘিরেই রাত দুপুরে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে রাতের আঁধারেই পোস্ট মুছে দিয়ে বিরত রইলেন অপরাধীর গল্প বলা থেকে। 

বলে রাখা ভালো, মাঝে এই প্রেমজনিত কারণেই ঢাকা মেডিকেলেও ভর্তি হতে হয়েছিল মধ্যরাতে। জানা গেছে, সেই যাত্রায় তিনি আত্মহননের চেষ্টা চালিয়েছিলেন। তখনও উঠে আসে সহশিল্পী মুশফিক আর ফারহানের নাম।

তানজিন তিশা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে তাহসান-ফারিণের গান

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। ২০১৭ সালে মায়ের ইচ্ছায় অভিনয়ে নাম লেখান। তারপর অংসখ্য নাটক-টেলিফিল্মে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী।

গত ঈদুল ফিতরে গায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন তাসনিয়া ফারিণ। ‘রঙে রঙে রঙিন হব’ শিরোনামের গানটি দ্বৈতভাবে কণ্ঠে তুলেন তাহসান খান ও ফারিণ। গানটি ‘ইত্যাদি’-তে প্রচারের পর গত ১৬ এপ্রিল ইউটিউবে মুক্তি পায়। তারপর গানটি যেন লুফে নেন শ্রোতারা।

এখন পর্যন্ত গানটির মোট ভিউ দাঁড়িয়েছে ৯৫ লাখ ৭২ হাজারের বেশি। দর্শক-শ্রোতারা গানটির ভূয়সী প্রশংসা করছেন। শুধু তাই নয়, বর্তমানে বাংলাদেশ অংশে (মিউজিক) ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের তালিকার শীর্ষে রয়েছে গানটি।

বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বসিত উপস্থাপক হানিফ সংকেত। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লেখেন, “প্রিয় দর্শক, ঈদ উপলক্ষে ঈদের বিশেষ ইত্যাদিতে প্রচারিত সবগুলো গানই আপনারা পছন্দ করেছেন জেনে আমরা আনন্দিত। গানটির মধ্যে শিল্পী তাহসান ও তাসনিয়া ফারিণের গাওয়া ‘রঙে রঙে রঙিন হব’ গানটি আপনাদের বিচারে সেরা গান নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশ থেকে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে মিউজিক বিভাগে এক নম্বর স্থানে উঠে আসে, যা এখনো অটুট আছে।”

গায়িকা হিসেবে ফারিণকে দর্শক এখন চিনলেও অনেক আগে থেকেই গানের চর্চা করেন তিনি। এ বিষয়ে ফারিণ বলেন, ‘আমি কিন্তু নায়িকার আগে গায়িকা। যশোর থেকে ঢাকায় এসেও গানের চর্চা করেছি। দিনের পর দিন গান শিখেছি। জাতীয়, বিভাগীয় পর্যায়ে গান করেছি। গান গেয়ে অনেক পুরস্কার পেয়েছি। কিন্তু অভিনয়ের কারণে গানের প্রতিভা এতদিন কেউ জানতে পারেনি।’

‘রঙে রঙে রঙিন হব’ শিরোনামে গানের কথা লিখেছেন কবির বকুল। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন ইমরান মাহমুদুল।

তাসনিয়া ফারিণ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন