ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

কার টাকায় ইউনূস সেন্টার?

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail কার টাকায় ইউনূস সেন্টার?

গ্রামীণ টেলিকমের আর্থিক অনিয়ম এবং তিন হাজার কোটি টাকা অর্থপাচারের বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে ড. ইউনূসের প্রচারণার জন্য গঠিত প্রতিষ্ঠান ইউনূস সেন্টার নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। ঢাকায় অবস্থিত ইউনূস সেন্টারের অর্থ কোত্থেকে থেকে এলো, এনিয়ে এখন তদন্ত চলছে এবং তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য যে, গ্রামীণ ব্যাংক ভবনে ইউনূস সেন্টারের অফিস। বাংলাদেশের সামাজিক ব্যবসা সম্পর্কিত বিষয়গুলো তদারকির জন্য এটি একটি থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক। এটি দরিদ্র বিমোচন ও স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে কাজ করে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ইউনূস সেন্টার গঠনের প্রথম লক্ষ্য ছিল ড. ইউনূসের দর্শনের প্রচার এবং প্রসারের লক্ষ্যে সামাজিক ব্যবসার উপর বিশেষ মনোযোগ দেয়া। ইউনূস সেন্টারের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে আছেন লামিয়া মোর্শেদ।

২০০৬ সালে অক্টোবরে ড. মুহাম্মদ ইউনূস যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। এর পরপরই ড. ইউনূসের অধীনে ইউনূস সচিবালয় গঠিত হয়। সচিবালয়ের উদ্দেশ্য ছিল ড. ইউনূসের ইমেজ বৃদ্ধি, তাঁর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রচারণা এবং বিশ্ব তার সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যোগসূত্র করিয়ে দেওয়া। ২০০৮ সালের জুলাই মাসে ইউনূস সচিবালয় নাম পাল্টে একে ইউনূস সেন্টার করা হয়। নতুন সামাজিক ব্যবসার বিকাশ করা, সামাজিক ব্যবসা স্টার্টআপ গুলোকে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করে এবং এই বিষয়ে আগ্রহীদের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখাই এই প্রতিষ্ঠান উদ্দেশ্য বলে বক্তব্য রাখা হয়। কিন্তু ইউনূস সেন্টার যেভাবে গড়ে উঠেছে তাতে এর অর্থায়ন কে করলো, তা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে। প্রথমে ইউনূস সেন্টার একটি থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত করা হলেও এর বিপুল বিত্ত রয়েছে। সরকারের অনুমতি ছাড়াই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ বিশ্বের অন্তত ১২টি দেশে ইউনূস সেন্টারের শাখা খোলা হয়েছে। এই টাকা কোত্থেকে এলো সে সম্পর্কে ইউনূস সেন্টারের কোনো ব্যাখ্যা নেই। বিভিন্ন দেশে ইউনূস সেন্টার সম্মেলনের আয়োজন করে এবং এই সম্মেলনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সামাজিক ব্যবসা ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ে বিভিন্ন প্রচারণায় নেতৃত্ব দেন। এই সমস্ত সম্মেলন আয়োজনের খরচগুলো কোত্থেকে আসলো, সেটিও একটি বড় প্রশ্ন। ইউনূস সেন্টার এখন পর্যন্ত সহস্রাধিক প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে। সে অর্থায়নের টাকা কোত্থেকে আসলো, সে সম্পর্কেও ইউনূস সেন্টারের সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য নেই।

এই বিষয়গুলো অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা গেছে যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর বিভিন্ন রকম প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন। গ্রামীণ ব্যাংকের অর্থায়নে ড. মুহাম্মদ ইউনূস একাধিক অঙ্গপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন যেটির মালিকানা ড. ইউনূসের একার। অথচ তিনি সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে এই টাকাগুলো গ্রহণ করেছেন। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে গ্রামীণ ট্রাস্ট, গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট, গ্রামীণ ফান্ড, গ্রামীণ কমিউনিকেশনস, গ্রামীণ শক্তি, গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ শিক্ষা, গ্রামীণ মৎস্য ফাউন্ডেশন, গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশন, গ্রামীণ ব্যবসা বিকাশ, গ্রামীণ সফটওয়্যার লিমিটেড, গ্রামীণ সাইবারনেট লিমিটেডসহ আরও অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে উঠেছিল গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায়। একজন চাকরিজীবী ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রামীণ ব্যাংকের অর্থ দিয়ে ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান কিভাবে গড়লেন, সে নিয়ে বিভিন্ন রকম প্রশ্ন উঠেছে। এর পাশাপাশি ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার পর ইউনূস সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন গ্রামীণ ব্যাংকের অর্থ নিয়ে।

গ্রামীণ টেলিকমের কাগজপত্রে দেখা যায় যে, গ্রামীণ টেলিকম থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ইউনূস সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়েছে। গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস, যেটি গ্রামীণ ব্যাংকের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানা ঋণগ্রহীতাদের। কিন্তু বাস্তবে এই গ্রামীণ ব্যাংকের যাবতীয় লভ্যাংশের টাকা ড. ইউনূস বিভিন্ন খাতে ব্যবহার করেছেন বলে জানা গেছে এবং সেই সমস্ত ব্যবহারের কোনো খতিয়ান নেই। প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, গ্রামীণ ব্যাংক বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিষ্ঠান থেকে ইউনূস সেন্টারে অন্তত আট হাজার কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে ২০০৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত। আর এখানে প্রশ্ন উঠেছে, এই টাকা কতটা বৈধ পথে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত অনুসন্ধানে এ সম্পর্কে আরও জানা যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস   ইউনূস সেন্টার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

দুবাইতে বাংলাদেশের কারা সম্পদের পাহাড় গড়েছেন?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি ‘দুবাই আনলকড’ শিরোনামে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দুবাইয়ে সারা বিশ্ব থেকে অর্থপাচারকারীদের অর্থের এক ফিরিস্তি দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যক্তিদের নাম যেমন আছে তেমনি আছে বাংলাদেশের নামও। ‘দুবাই আনলকড’ শীর্ষক এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ৩৯৪ জন বাংলাদেশির ২ হাজার ছয়শ ৩৬ কোটি টাকা মূল্যের ৬৪১ টি সম্পত্তি রয়েছে বলে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের যারা দুবাইয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। 

বিভিন্ন সূত্র থেকে অনুসন্ধান করে দুবাইয়ে যে সমস্ত বাংলাদেশিরা অবৈধভাবে সম্পদ করেছেন, তাদের কয়েক জনের তালিকা পেয়েছি। এই তালিকার মধ্যে আছেন রাজনীতিবিদ, বিরোধী দলের নেতা, সাবেক সেনা কর্মকর্তা, ঋণখেলাপী ব্যবসায়ী এবং আমলা। 

৩৯৪ জনের মধ্যে ব্যবসায়ীদের সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০ জন বলে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে। এই সমস্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে অন্তত তিন জন ঋণখেলাপি এবং পলাতক। ঋণ খেলাপের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে এবং এই সমস্ত মামলা মোকাবেলা না করে তারা বিদেশে পালিয়ে গেছেন। ঋণ খেলাপিদের মধ্যে একজন ব্যাংকের মালিকও রয়েছেন বলে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে। ৩৯৪ জনের তালিকার মধ্যে রাজনীতিবিদের নাম আছে এবং রাজনীতিবিদদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ দুবাইতে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। 

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং মন্ত্রিসভার সদস্যের মধ্যে অন্তত ১০ জনের দুবাইয়ে সম্পদ রয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে। এছাড়াও আওয়ামী সমর্থক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত এরকম আরও ১০ জনের দুবাইয়ে বিভিন্ন ধরণের সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। বিএনপির একাধিক নেতার দুবাইতে সম্পত্তি রয়েছে এবং এই সম্পদের পরিমাণ আওয়ামী লীগের নেতাদের চেয়েও বেশি বলেই প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যাচ্ছে। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্তত দু জন সদস্যের দুবাইয়ে সম্পদ রয়েছে। এছাড়াও বেগম খালেদা জিয়ার একান্ত অনুগত হিসেবে পরিচিত একসময় বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসাবে পরিচিত একজন ব্যক্তিরও দুবাইয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। সাবেক সেনা কর্মকর্তার তথ্য পাওয়া গেছে। এগারোর সময় সক্রিয় একজন সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার ব্যক্তি এখন দুবাইয়ে অবস্থান করছেন। তিনি বিপুল সম্পদের মালিক বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া অন্তত ১২ জন সাবেক আমলা রয়েছেন। যারা দুবাইয়ে বিপুল পরিমাণ নিনিয়োগ করেছেন এবং সম্পদের মালিক হয়েছে। তবে যেহেতু ‘দুবাই আনলকড’ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এই সমস্ত ব্যক্তিদের সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যানি। সেজন্য বাংলাদেশ থেকে যারা অর্থ দুবাইয়ে পাচার করেছেন তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত কোন পরিচয় বা বিবরণ প্রকাশ করেনি।

দুবাই   বাংলাদেশ   অর্থ পাচার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

কুকি-চিনের নারী শাখার প্রধান সমন্বয়ক গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৫:২৫ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাহাড়ি উগ্রবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) নারী শাখার অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক আকিম বমকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। 

শুক্রবার (১৭ মে) বান্দরবান জেলার লাইমী পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১৫। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান।

তিনি জানান, কুকি-চিনের নারী শাখার অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক আকিম বমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি দেশে-বিদেশে সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

উল্লেখ্য, গত ৭ এপ্রিল বান্দরবানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বমকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

কুকি-চিন   র‍্যাব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

চাকরির নামে ভারতে পাচার, পরে কিডনি বিক্রি

প্রকাশ: ০৮:০৩ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

দরিদ্র মানুষকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ভারতে নিয়ে যেত একটি চক্র। সেখানে নেওয়ার পর চাকরিতো দুরের কথা উল্টো জিম্মি করে কৌশলে কিডনি নেওয়া হতো পাচার হওয়া ব্যক্তিদের। চক্রটি এ পর্যন্ত ১০ জনের কিডনি নিয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

সম্প্রতি রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় এ চক্রের বিরুদ্ধে মামলা করেন রবিন নামের এক ভুক্তভোগী। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনি (১১ মে) ও রোববার (১২ মে) ধানমন্ডি এবং বাগেরহাটে অভিযান চালিয়ে চক্রটির তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. রাজু হাওলাদার (৩২), শাহেদ উদ্দীন (২২) ও মো. আতাহার হোসেন বাপ্পী (২৮)। পলাতক রয়েছেন মো. মাছুম (২৭), শাহীন (৩৫), সাগর ওরফে মোস্তফাসহ (৩৭) ১০–১২ জন।

ধানমন্ডি থানা পুলিশ সূত্রে জানায়, ভারতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রথমে দিল্লির ফরিদাবাদ এলাকায় নেওয়া হয় রবিনকে। পরে নানা কৌশলে কিডনি বিক্রির জন্য তাকে রাজি করায় চক্রটি। এ জন্য তার সঙ্গে চক্রটি ৬ লাখ টাকা দেওয়ার একটি চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী ভুক্তভোগীকে ৬ লাখ টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও কিডনি নেওয়ার পর দেয় ৩ লাখ টাকা।

রোববার (১২ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মহিদ উদ্দিন বলেন, ২০২৩ সালের এপ্রিলে রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বরে শাহ আলী মার্কেটের পেছনে একটি চায়ের দোকানে বন্ধুর সঙ্গে চা পান করছিলেন রবিন। বন্ধুর সঙ্গে আলাপ করছিলেন সংসারের অভাব–অনটন নিয়ে। এ সময় পাশেই চা পান করছিলেন মাছুম। মাছুম রবিনকে বলেন, ভারতে তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে তাকে চাকরি দিতে পারবেন। মোবাইল ফোন নম্বর আদান-প্রদান করেন তারা। এরপর মাছুমের সঙ্গে নিয়মিত কথা হতো রবিনের। পরে ভারতে চাকরি করার বিষয়ে রাজি হন।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ভারতে যেতে কিছু ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে বলে রবিনকে জানান মাছুম। গত সেপ্টেম্বরে তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় মাছুম। সেখানে রাজু হাওলাদারের (গ্রেপ্তার করা আসামি) সঙ্গে রবিনের পরিচয় করিয়ে দেয় সে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ভিসার জন্য রবিনের পাসপোর্ট নিয়ে নেয় চক্রটি। ভিসা নিশ্চিত করার পর তাকে চক্রের আরও দুই সদস্য শাহেদ ও আতাহারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে রবিনকে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লিতে। নয়াদিল্লির একটি হাসপাতালে কিডনিসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পরীক্ষা করানো হয়। কিছুদিন পর ভুক্তভোগীকে গুজরাটের মুক্তিনগর এলাকার একটি বাসায় নেয় চক্রটি। এরপর আসামিরা ভয়ভীতি দেখিয়ে এ বছরের ৪ মার্চ গুজরাটের এক হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ভুক্তভোগীর একটি কিডনি নিয়ে নেয়।

হাসপাতাল থেকে চার দিন পর রবিন ছাড়া পান জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মহিদ উদ্দিন বলেন, পরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ১০–১১ দিন তাকে আটক রাখে অভিযুক্ত আসামিরা। হাসপাতালে থাকা অবস্থায় রবিন জানতে পারেন, তার কিডনি আসামিরা দালাল চক্রের কাছে বড় অঙ্কের অর্থে বিক্রি করে দিয়েছে। পরে বাংলাদেশে অবস্থান করা চক্রের কয়েকজন সদস্য রবিনের স্ত্রীকে তিন লাখ টাকা দেন। এরপর দেশে ফেরেন রবিন।

পাচার   কিডনি বিক্রি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

সাবেক ভূমিমন্ত্রীর দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে দুদকে আবেদন

প্রকাশ: ০৪:১১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি এবং সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদকে) আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান।

বুধবার (১ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

চিঠিতে আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান বলেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি দৈনিক সমকাল পত্রিকায় “সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাম্রাজ্য যুক্তরাজ্যে” শিরোনামে এবং মানবজমিন পত্রিকায় “ব্রিটেনে বাংলাদেশি রাজনীতিবিদের ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের সাম্রাজ্য" শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ব্লুমবার্গের অনুসন্ধান প্রতিবেদন থেকে এ দুটি সংবাদ প্রকাশিত হবার পরেও কর্তৃপক্ষ যথাযথ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এর ফলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি দমন কমিশনের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ক্ষুণ্ণ করে। 

এ কারণে চিঠির মাধ্যমে এ বিষয়ে যথাযথ অনুসন্ধান করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দুদককে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন এই আইনজীবী।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী   দুর্নীতি   দুদক   সাইফুজ্জামান চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

‘মিতুকে আমার ছেলেই খুন করেছে, তাকে আপনি মাফ করে দিন’

প্রকাশ: ১০:৪৯ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছেন মিতুর মা শাহেদা মোশাররফ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে এসব কথা বলেছেন নিহত মাহমুদার মা শাহেদা মোশাররফ।

সাক্ষ্যে বলেন, ‘মিশন শেষ করে ফিরে এসেই বাবুল চীনে চলে যায়। সেখানে বসেই মিতুকে মারার পরিকল্পনা করে। মিতুকে খুন করার জন্য মুসাকে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে অস্ত্র কিনে দেয়, মুসার স্ত্রী এ কথা বলেছেন। আর ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারীর সঙ্গে বাবুলের বিয়েবর্হিভূত সম্পর্কের জেরেই মিতুকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।’

মিতু হত্যা মামলার ৪৯তম সাক্ষী হিসেবে আদালতকে তিনি বলেন, ‘২০১৭ সালে বাবুল আক্তারের মা মারা যাওয়ার ১৫ দিন আগে আমাকে কল করেন। বলেন- বেয়াইন, মিতুকে আমার ছেলে খুন করেছে। তাকে আপনি মাফ করে দেন। আমি তাকে বলি- বাবুল মরলে কি এ কথা আপনি বলতেন? এসব আমি তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে বলেছি। তদন্তে সবকিছু উঠে আসেনি।’

আদালত সূত্র জানায়, সাক্ষ্যে শাহেদা মোশাররফ আদালতকে বলেন, ২০০২ সালের ২৬ এপ্রিল বাবুল ও মাহমুদার বিয়ে হয়। এরপর তাঁরা মোটামুটি সুখী ছিলেন। বাবুল পুলিশের চাকরিতে যোগদানের পর মাহমুদার সঙ্গে আচরণ পাল্টে যায়। বাবুল কক্সবাজারে বদলি হওয়ার পর সেখানে এক বিদেশি নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তখন মাহমুদা বিষয়টি তাঁকে জানিয়েছিলেন।

শাহেদা মোশাররফ আদালতকে বলেন, বাবুল কক্সবাজারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে কর্মরত থাকাকালে সেখানে একটি হোটেলে ওঠেন। একই হোটেলে মাহমুদাও ওঠেন। বাবুল ও একটি বিদেশি সংস্থায় কর্মরত সেই নারীকে একটি কক্ষে দেখতে পান মাহমুদা।

মাহমুদার মা জানান, ২০১৪ সালে বাবুল জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে যান। বাসায় রেখে যান তাঁর একটি মুঠোফোন। তাতে বেশ কয়েকটি খুদে বার্তা পান মাহমুদা। বাবুলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা সেই নারী বাবুলকে খুদে বার্তাগুলো দিয়েছিলেন।

মিশন থেকে দেশে ফেরার পর বাবুল চীনে যান জানিয়ে শাহেদা মোশাররফ বলেন, ‘মূলত সেখানে বসে বাবুল মাহমুদাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী অস্ত্র কেনার জন্য বাবুল তাঁর সোর্স (তথ্যদাতা) কামরুল শিকদার ওরফে মুসাকে ৭০ হাজার টাকা দেন। আর পুরো খুনের ঘটনায় মুসা তাঁর সহযোগীদের ব্যবহার করেন। মাহমুদাকে খুনের জন্য বাবুল যে তিন লাখ টাকা দেন, তা ছিল মাহমুদার ব্যবসার টাকা।’

আদালতে সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে শাহেদা মোশারফ মেয়ের হত্যার পেছনের ঘটনা বলার সময় কিছুক্ষণ পরপর কাঁদতে থাকেন। চোখ মুছে আবার কথা বলেন। এ সময় আসামির কাঠগড়ায় ছিলেন বাবুল আক্তার। পুরোটা সময় বাবুল ছিলেন নীরব।

আজ শাহেদা মোশারফের সাক্ষ্য শুরুর আগে দুপুরে তৎকালীন পাঁচলাইশ থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ সাক্ষ্য দেন। তিনি আদালতে বলেন, ঘটনার সময় তিনি পাঁচলাইশ থানার ওসি ছিলেন। ওসি হিসেবে তখন মামলা রেকর্ড করেছিলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, সাক্ষ্য শেষ হওয়ার পর শাহেদা মোশাররফকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। পরে আদালত জেরা মুলতবি রেখে বুধবার পরবর্তী দিন রাখেন।

২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন মাহমুদা খানম। এই ঘটনায় করা মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বাবুলসহ সাতজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এই মামলায় ৪৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে।


মাহমুদা খানম মিতু   পুলিশ সুপার   বাবুল আক্তার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন