ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইতালি প্রধানমন্ত্রী: কে এই জর্জিয়া মেলোনি?

প্রকাশ: ১০:৫৯ এএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail ইতালি প্রধানমন্ত্রী: কে এই জর্জিয়া মেলোনি?

ইতালিতে নতুন এক ইতিহাস উপহার দিতে যাচ্ছে দেশটির সাধারণ নির্বাচন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম ইতালিতে গঠিত হতে যাচ্ছে কট্টরপন্থী সরকার। যার নেতৃত্বে থাকছেন জর্জিয়া মেলোনি। বুথ ফেরত জরিপে এরিমধ্যে ডানপন্থী এই নেতার বিজয় অনেকটাই নিশ্চিত। 

ফলে ইতালির প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন ‘ব্রাদার্স অব ইতালি’ দলের নেতা জর্জিয়া মেলোনি। বেনিতো মুসোলিনির ফ্যাসিবাদী যুগের পর এই প্রথম সে দেশে দক্ষিণপন্থী সরকার তৈরি হতে চলেছে। এই নির্বাচনের ফলের দিকে নজর রাখছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

এই কিছুদিন আগেই ইতালির রাজনীতিতে প্রায় অপরিচিত ছিলেন মেলোনি। অনেকেই প্রশ্ন করতেন এই জর্জিয়া মেলোনি? কিন্তু দেশটির নতুন সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য একটি নির্বাচন কাছাকাছি আসার সাথে সাথে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন জর্জিয়া মেলোনি।

১৯৯২ সালে মাত্র ১৫ বছরের মেলোনি অধুনালুপ্ত মুভিমেন্টো সোশ্যাল ইতালিয়ানো’তে যোগ দেন। আবেগপ্রবণ ভাষণের জন্য খুব অল্প সময়ে রাজনীতিতে নিজের জায়গা করে নেন তিনি। ২০১৩ সালে এমএসআই ভেঙ্গে তৈরি হয় ‘ব্রাদার্স অব ইতালি’। 
খুব অল্প সময়ের মেলোনি দলটির সভাপতি নির্বাচিত হন। সেই সঙ্গে ইতালির ডানপন্থী ব্লকের সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন তিনি। আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হবার পর মেলোনি একের পর চরম ব্যবস্থার কথা বলে ইউরোপে আলোচনায় আসেন। 

মেলোনি এবং তার জোট সহকর্মী নর্দার্ন লিগের সালভিনিকে প্রায়ই ইউরোপের বিদ্রোহী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। তারা ইউরোর সমালোচনা করেছেন, ব্রিটেনের প্রো-ব্রেক্সিট টোরির সমর্থক। সে সঙ্গে কয়েকটি নীতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ব্লকটি।

দৃঢ় সংকল্প এবং ভারী রোমান উচ্চারণের জন্য পরিচিত মেলোনির আপোষহীন মনোভাব দ্রুত ইতালির হতাশাগ্রস্ত মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করে। তার মধ্যেই নতুন দিনের আভাস খুঁজে পেতে চাচ্ছেন। তাছাড়া অন্যান্য ডানপন্থী দলের সমর্থন মেলোনির জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়েছে।

সমলিঙ্গের অধিকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও অভিবাসীদের ইউরোপ যাত্রা বন্ধে আফ্রিকার বিরুদ্ধে অবরোধে ডাক দিয়ে ইতালির জনগণের কাছে আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠেন জর্জিয়া মেলোনি। সে সঙ্গে বামপন্থীদের তুলোধুনো করার জন্যও তাঁর অনেক খ্যাতি রয়েছে। 

ইতালির সাবেক কট্টরপন্থী শাসক মুসোলিনির ঘোর সমর্থক মেলোনি। ফরাসি এক টেলিভিশনের দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, মুসোলিনি যা কিছু করেছেন, ইতালির জন্যই করেছেন এবং ৫০ বছর ধরে তার মতো কোনও রাজনীতিবিদ নেই।

জন্মগতভাবে রোমান ক্যাথলিক মেলোনি বেড়ে উঠেছেন মায়ের সঙ্গে। তারুণ্যের সময় থেকেই তিনি গভীরভাবে, এমনকি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একজন জাতীয় রক্ষণশীল। বেড়ে উঠেছেন রোমের বামপন্থী ঐতিহ্যের শ্রমজীবী পাড়া হিসাবে খ্যাত গারবাটেল্লায়।

১৯৭৭ সালে রোমে জন্ম নেয়া মেলোনি ১৯৯২ সালে ইতালিয়ান সোশ্যাল মুভমেন্টের যুব শাখা ইয়ুথ ফ্রন্টে যোগ দেন। পরে তিনি ন্যাশনাল অ্যালায়েন্সের  ছাত্র আন্দোলন স্টুডেন্ট অ্যাকশনের জাতীয় নেতা মনোনীত হন। তিনি ১৯৯৮ থেকে ২০০২ রোম প্রদেশের কাউন্সিলর ছিলেন।

তারপরে মেলোনি ন্যাশনাল এলায়েন্সের যুব শাখা ইয়ুথ অ্যাকশনের সভাপতি হন। ২০০৮ সালে, তিনি বার্লুসকোনির মন্ত্রিসভায় যুবমন্ত্রী হন। ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন। পরের বছরই তিনি ফ্রেন্ডস অব ইতালির সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে আবির্ভূত হন। 

আর ২০১৪ সালে তিনি দলটির সভাপতি নির্বাচিত হন। একই বছরে তিনি ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচন এবং ২০১৬ সালে রোমের মেয়র নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী হন। ২০১৮ সালে ইতালির সাধারণ নির্বাচনে মেলোনির দল সবচেয়ে বড় বিরোধীদল হিসাবে আবির্ভূত হয়। 

মেলোনির বাবা ছিলেন সার্ডিনিয়া ও এবং তার মা এসেছিলেন সিসিলি থেকে। বাবা একজন কর উপদেষ্টা ছিলেন। মেলোনির বয়স যখন এগারো বছর তখন তিনি পরিবার ছেড়ে ক্যানারি দ্বীপে চলে যান। মেলোনি ইতালির গারবাটেল্লা জেলায় বড় হয়েছেন। 

মেলোনি ইতালির আমেরিগো ভেসপুচি ইন্সটিটিউট থেকে ভাষার ওপর ডিপ্লোমা অর্জন করেন। তিনি দাবি করেন, শতভাগ নম্বর পেয়ে তিনি ডিপ্লোমা অর্জন করেছেন। কিন্তু দেখা গেলো, স্কুলটি একটি বিদেশী ভাষার স্কুল নয়, বরং পর্যটন শিল্পে বিশেষায়িত একটি উচ্চ বিদ্যালয়। 

জর্জিয়া মেলোনি ও তার সঙ্গী আন্দ্রে গিয়ামব্রুনোর একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। আন্দ্রে পেশায় একজন টিভি সাংবাদিক এবং সিলভিও বার্লুসকোনির মিডিয়াসেট টিভি চ্যানেলের হয়ে কাজ করেন। ফ্যান্টাসি নিয়ে তৈরি সিনেমার একজন তুমুল ভক্ত জর্জিয়া মেলোনি।

ইতালি প্রধানমন্ত্রী   জর্জিয়া মেলোনি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ব্রিটেনে শিশুপুত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম 'মোহাম্মদ'

প্রকাশ: ১০:৩২ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মুসলিম বিশ্বের পাশাপাশি এখন ব্রিটেনেও  সবচেয়ে জনপ্রিয় নামের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মোহাম্মদ। মোহাম্মদ নামটি যেন মনে প্রশান্তি নিয়ে আসে।

শনিবার (১৮ মে) সরকারি তথ্য ঘেঁটে এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, দেশটির নতুন রাজা চার্লসের নাম মাঝখানে ছেলে শিশুদের জনপ্রিয় ১০০ নামের তালিকায় স্থান করে নিয়েছিল। কিন্তু এখন, আর আগের অবস্থানে নেই এই নামটি। ব্রিটেনে ইউরোপীয় স্টাইলের নামের পাশাপাশি ধর্মীয় নাম রাখার প্রবণতাও বাড়ছে। 

ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে শিশুদের সবচেয়ে জনপ্রিয় নামের তালিকায় এখনো শীর্ষে রয়েছে অলিভিয়া ও নোয়া। এ ছাড়া ফ্রেঞ্চ নাম ওটিলিয়ে ও এলোডিয়ে, গ্রিক অফেলিয়া ও আইরিশ মেইভের মতো নাম মেয়ে শিশুদের ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ২০২২ সালে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে জনপ্রিয় নামের তালিকা ঘেঁটে এমন চমকপ্রদ তথ্য পাওয়া গেছে।

২০২৩ সালের মে মাসে নতুন রাজার অভিষেক হওয়ার পর চার্লস নামটির জনপ্রিয়তা বেশ বেড়ে যায়। তবে তা ছিল সাময়িক। ইংল্যান্ডে এবং ওয়েলসে মেয়ে শিশুদের পছন্দনীয় ১০টি নাম হচ্ছে- অলিভিয়া, আমেলিয়া, ইসলা, আভা, লিলি, আইভি, ফ্রেইয়া, ফ্লোরেন্স, ইসাবেলা ও মিয়া। আর ছেলে শিশুদের শীর্ষ ১০ নাম হচ্ছে- নোয়া, মুহাম্মদ, জর্জ, অলিভার, লিও, আর্থার, অস্কার, থিওডোর, থিও ও ফ্রেডি।


ব্রিটেন   শিশুপুত্র   মোহাম্মদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মঙ্গল অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত

প্রকাশ: ১০:১৯ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

চন্দ্রাভিযানে ইতিহাস গড়ার পর এবার মঙ্গল যাত্রায় মন দিয়েছে ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। মঙ্গল যাত্রার জন্য তৈরি হচ্ছে ইসরো। আর এতেই লাল গ্রহে অবতরণকারী তৃতীয় দেশ হতে যাচ্ছে ভারত।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, মঙ্গলযানের প্রথম অভিযান আগে থেকেই ঠিক করা হয়েছিল। তবে দ্বিতীয় অভিযান অনেকটাই আলাদা হবে। ভারতের মহাকাশ গবেষণাকারী সংস্থা ইসরো এবার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নেবে। সম্প্রতি ন্যাশনাল টেকনোলজি ডে- দিন এই বিষয়ে একটি প্রোজেক্ট প্রেজেন্টেশন করে ইসরো। সেখানেই প্রকাশ পেয়েছে পরিকল্পনাটি।

জানা গেছে, মঙ্গলযানের জন্য স্কাই ক্রেন, সুপারসনিক প্যারাসুট, হেলিকপ্টার রোভারের ব্যবস্থা করবে ইসরো। এর আগে মঙ্গলে অবতরণ করতে এই পদ্ধতি বা প্রযুক্তির অবলম্বন করেছিল আমেরিকা চীন। এবার আমেরিকা চীনের মতোই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে ভারত।


মঙ্গল যাত্রা   ভারত   ইসরো  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা ভোটে যে কারণে প্রার্থী হননি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

এবারের লোকসভা ভোটে প্রার্থী হননি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তবে দাদা রাহুল গান্ধী লড়ছেন নির্বাচনে। গণমাধ্যমকে তিনি নিজেই জানিয়েছেন, দলের হয়ে প্রচার চালানোর জন্যই তিনি প্রার্থী হননি। প্রিয়াঙ্কা এবং রাহুল গান্ধী দুজনেই ভোটে প্রার্থী হলে সেটা বিজেপির জন্য সুবিধাজনক হয়ে যেতো বলে মনে করেন তিনি।

প্রিয়াঙ্কা জানান, নির্বাচন উপলক্ষ্যে গত ১৫ দিন ধরে রায়বেরিলিতে প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি। গান্ধী পরিবারের সঙ্গে রায়বেরিলির সম্পর্ক অনেক দিনের। তাই এখানকার জনগণ আশা করে, আমরা এখানে আসব। তাদের সঙ্গে দেখা করব। ভালোমন্দের খবর নেবো। আমরা এখানে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে জিততে পারি না।

গান্ধী পরিবারের ঘাঁটি উত্তর প্রদেশের রায়বেরিলি থেকে ভোটে লড়ছেন রাহুল। এর আগে আসনে প্রার্থী হতেন তার মা, সোনিয়া গান্ধী। চলতি বছরের শুরুতে সোনিয়া রাজ্যসভায় চলে যান। মায়ের ছেড়ে আসা আসনেই লড়ছেন রাহুল।

প্রিয়াঙ্কা বলেন, দুই ভাইবোন ভোটে লড়লে, দুজনকেই নিজেদের কেন্দ্রে অন্তত ১৫ দিন থাকতে হত। তাই আমরা ঠিক করি, একজন পুরো দেশে প্রচার চালাবে। সেটা দলের জন্য খুব ইতিবাচক হবে। দলীয় স্তরে আলোচনা করেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ভবিষ্যতে ভোটে লড়বেন কী না জানতে চাইলে কৌশলে তা এড়িয়ে যান প্রিয়াঙ্কা। তিনি বলেন, আমি কখনই সংসদীয় রাজনীতি করা কিংবা ভোটে লড়ার কথা ভাবিনি। দল আমাকে যা দায়িত্ব দেবে, সেটাই নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবো। যদি মানুষ চায় তাহলে আমি অবশ্যই ভোটে লড়ব।


লোকসভা   ভোট   প্রিয়াঙ্কা গান্ধী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আফগানিস্তানে বন্দুকধারীর গুলিতে ৩ পর্যটকসহ নিহত ৬

প্রকাশ: ০৯:২১ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আফগানিস্তানের মধ্যাঞ্চলীয় বামিয়ান প্রদেশে বন্দুকধারীদের গুলিতে স্পেনের ৩জন পর্যটক ও ৩ জন আফগান নাগরিক নিহত হয়েছে। তালেবান সরকার এই তথ্য জানিয়েছে। 

তিন আফগান ও তিন স্প্যানিশ পর্যটকের মরদেহ রাজধানী কাবুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আফগান সরকার।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার কাবুল থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ি শহর বামিয়ানের একটি বাজারের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল মতিন কানি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, নিহত ও আহতদের মধ্যে নারীও রয়েছেন। মৃতদেহগুলো কাবুলে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং ফরেনসিক বিভাগে রাখা হয়েছে। আহতরাও কাবুলে রয়েছেন। 

আহত আটজনের মধ্যে চারজন বিদেশি। একজন বয়স্ক বিদেশি নারীর অবস্থা গুরুতর। বামিয়ানের হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহতরা নরওয়ে, অস্ট্রেলিয়া, লিথুয়ানিয়া এবং স্পেনের বাসিন্দা।

আবদুল মতিন কানি জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে একজন তালেবান সদস্যও রয়েছেন। কোনো অস্ত্রধারী গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। 

সাতজন সন্দেহভাজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং তাদের মধ্যে একজন আহত অবস্থায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন কানি। 


আফগানিস্তান   গুলি   পর্যটক   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা, নিহত অন্তত ১৭

প্রকাশ: ০৮:৪৪ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

এছাড়া উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েল বিমান হামলা চালানোর পর অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন। রোববার (১৯ মে) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, নুসেইরাতের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে।

আল জাজিরা আরও জানিয়েছে, উত্তর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত এবং কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে।

এদিকে শনিবার গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকা জুড়ে আক্রমণ আরও জোরদার করেছে এবং শনিবার কমপক্ষে ৬৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে আমাদের সংবাদদাতারা জানিয়েছেন।

এর মধ্যে উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কাছে একটি আবাসিক ভবনে হামলায় ২৮ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। এছাড়া উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের একটি আশ্রয়কেন্দ্রের গেটে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার ঘটনায় ১২ জন নিহত এবং আরও ২৫ জন আহত হয়েছেন।

জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের পশ্চিমে ফালুজাহতে পানির জন্য লাইনে দাঁড়ানো একদল লোকের ওপর ইসরায়েল আর্টিলারি হামলা চালালে আটজন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের একটি বাড়িতে হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। খান ইউনিসের পূর্বে অবস্থিত আবাসান আল-কাবিরা শহরের আল-ফারহিন এলাকায় হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন।

এছাড়া দক্ষিণ গাজার রাফা শহরের একটি বাড়িতে হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। উত্তর-পশ্চিম রাফাতে একটি গাড়িতে পৃথক হামলায় শনিবার আরও একজন নিহত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি এই আক্রমণের ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৩৮৬ জন নিহত এবং আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।


গাজা   শরণার্থী   শিবির   হামলা   নিহত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন