ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হুমকির মুখে বিশ্ব অর্থনীতি!

প্রকাশ: ১১:০১ এএম, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail হুমকির মুখে বিশ্ব অর্থনীতি!

বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক বাজারগুলোর ওপর চাপ ক্রমাগত ভাবেই বাড়ছে। যুক্তরাজ্যে সরকারি বন্ডের দায় বেড়েছে, সেইসাথে কমেছে পাউন্ড স্টার্লিংয়ের দর। ফলে বাজার শান্ত করার চেষ্টায় ও মুদ্রাস্ফীতি ঠেকাতে সুদের হার বাড়ানোর পাশাপাশি নানা পদক্ষেপ নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। জাপানে ইয়েনের ক্রমাগত দরপতন ঠেকাতে ১৯৯৮ সালের পর প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় বাজারে (ফরেক্স মার্কেট) হস্তক্ষেপ করেছে দেশটির সরকার। চীনেও বৈদেশিক মুদ্রার বহিঃপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে ফরেক্স বাণিজ্যে রিজার্ভ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ বসিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এই সব অশান্তির কেন্দ্রবিন্দুতে মার্কিন ডলারের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি এবং বিশ্বব্যাপী সুদের হার বেড়ে যাওয়া। এক অস্বস্তিকর অবস্থা বিরাজ করছে যেনো বিশ্বজুড়ে।

প্রতিটি দেশের অর্থনৈতিক বাজারের গঠন ও মেজাজ আলাদা। যুক্তরাজ্যের নতুন সরকার অর্ধ-শতাব্দীর মধ্যে দেশটির সবচেয়ে বড় কর ছাড়ের পরিকল্পনা করেছে। জাপান বৈশ্বিক প্রবণতার বিপরীতে গিয়ে সুদের হার সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করছে। আর চীনা সরকার লড়ছে তাদের ‘জিরো-কোভিড’ নীতির কারণে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার পরিণতির বিরুদ্ধে।

কিন্তু এসব দেশেই কিছু অভিন্ন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে বিশ্বের বেশিরভাগ মুদ্রাই উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। ধনী-বিশ্বের একঝাঁক মুদ্রার বিপরীতে ডিএক্সওয়াই বা ডলারের মূল্যসূচক এ বছর ১৮ শতাংশ বেড়েছে, যা গত দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমাগত মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি কঠোর মুদ্রানীতি বৈশ্বিক বাজারগুলোকে আরও দুর্বল করে তুলছে।

গত সপ্তাহে তীব্র অস্থিরতা শুরুর ঠিক আগে ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্ট (বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সংস্থা) জানায়, আর্থিক পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকারদের প্রতিশ্রুতিতে সুদ বৃদ্ধির হার নির্ধারণ হয়েছে বাজারগুলোর মাধ্যমে এবং মার্কিন সরকারের বন্ড বাজারে তারল্য কমে গেছে।

গত আগস্ট মাসে বিশ্বব্যাপী শেয়ারবাজারগুলোতে লেনদেন সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য কিছুটা বেড়েছিল। এ বছরের এটি সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছায়। ২০২২ সালে এমএসসিআই অল কান্ট্রি ওয়ার্ল্ড ইনডেক্স ২৫ শতাংশ নিচে নেমেছে। অন্য বাজারগুলোতেও চাপের লক্ষণ স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। মার্কিন জাংক বন্ডের দায় প্রায় নয় শতাংশে পৌঁছেছে, যা এক বছর আগের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। আর করপোরেট বন্ডের দায় দাঁড়িয়েছে প্রায় ছয় শতাংশ, যা গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

করপোরেট কোষাধ্যক্ষ, বিনিয়োগকারী ও অর্থ মন্ত্রণালয়গুলো বৈশ্বিক অস্থিরতার আশঙ্কা করেছিল আগেই। এরপর সংকট আসে এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনাও করা হয়। কিন্তু সংকটময় পরিস্থিতি এখন পূর্বাভাসগুলোকেও ছাড়িয়ে গেছে।

মাত্র এক বছর আগেই কয়েকজন বিশ্লেষক বিশ্বের অনেক জায়গায় দুই অংকের মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। কিন্তু বাজারগুলো যখন পূর্বাভাসের চেয়েও খারাপ পারফরম্যান্স করতে থাকে, তখন সমস্যা দেখা দেয় এবং নীতিনির্ধারকরা একের পর এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হন।

যেভাবেই হোক মূল্যস্ফীতি কমাতে বদ্ধপরিকর যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক। গত ২১ সেপ্টেম্বর মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক সর্বশেষ সুদের হার বাড়ানোর পরে এর চেয়ারম্যান জেরোমি পাওয়েল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য মসৃণ অবতরণের সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে। তারপরও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ফেড প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ব্যাংক অব আমেরিকার এক গবেষণায় দেখা যায়, ১৯৮০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বের ধনী অর্থনীতিগুলোতে যখন মূল্যস্ফীতি পাঁচ শতাংশের ওপরে উঠেছিল, তখন তা দুই শতাংশে ফিরে আসতে গড়ে ১০ বছর লেগেছিল।

চলমান সংকটের জেরে বিশ্বব্যাপী ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির আশা দ্রুত মিলিয়ে যাচ্ছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত নতুন পূর্বাভাসে কয়েকটি ধনী দেশের জোট ওইসিডি জানিয়েছে, এ বছর বৈশ্বিক জিডিপি মাত্র তিন শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। অথচ তাদের গত ডিসেম্বরের পূর্বাভাসেও ৪ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আশা করা হয়েছিল। ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী মাত্র ২ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আশা করছে এই জোট।

এসবের ফলে দ্রব্যমূল্য কমছে। অপরিশোধিত তেলের বেঞ্চমার্ক ব্রেন্টের দাম ব্যারেলপ্রতি আবার ৮৫ মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে, যা গত জানুয়ারির পর থেকে সর্বনিম্ন। আর গত ২৬ সেপ্টেম্বর লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জে তামার দাম দুই মাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে।

বিশ্ব অর্থনীতি দুর্বল হলে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের লাভের পূর্বাভাসও কমিয়ে আনা শুরু করতে পারে। শেয়ারের দামের জন্য ক্রমবর্ধমান সুদের হার যেমন বেদনাদায়ক হয়েছে, নিম্নআয়ের প্রভাবও তেমনটা হতে পারে।

বিনিয়োগকারীরা তাদের সম্পদ অপেক্ষাকৃত নিরাপদ স্থানে সঞ্চয়ে আগ্রহী হওয়ায় সাধারণত মন্দার সময় ডলারের চাহিদা বেড়ে যায়। ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিলে ডলারের দাম কমবে, এমন সম্ভাবনা কম। সারা বিশ্বের দেশ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এটি একটি অশুভ সংকেত।


বিশ্ব   বিশ্ব অর্থনীতি   মুদ্রা বাজার   রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ   কোভিড-১৯   মহামারী   ডলার মূল্য বৃদ্ধি   অর্থনীতি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ব্রিটেনে শিশুপুত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম 'মোহাম্মদ'

প্রকাশ: ১০:৩২ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মুসলিম বিশ্বের পাশাপাশি এখন ব্রিটেনেও  সবচেয়ে জনপ্রিয় নামের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মোহাম্মদ। মোহাম্মদ নামটি যেন মনে প্রশান্তি নিয়ে আসে।

শনিবার (১৮ মে) সরকারি তথ্য ঘেঁটে এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, দেশটির নতুন রাজা চার্লসের নাম মাঝখানে ছেলে শিশুদের জনপ্রিয় ১০০ নামের তালিকায় স্থান করে নিয়েছিল। কিন্তু এখন, আর আগের অবস্থানে নেই এই নামটি। ব্রিটেনে ইউরোপীয় স্টাইলের নামের পাশাপাশি ধর্মীয় নাম রাখার প্রবণতাও বাড়ছে। 

ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে শিশুদের সবচেয়ে জনপ্রিয় নামের তালিকায় এখনো শীর্ষে রয়েছে অলিভিয়া ও নোয়া। এ ছাড়া ফ্রেঞ্চ নাম ওটিলিয়ে ও এলোডিয়ে, গ্রিক অফেলিয়া ও আইরিশ মেইভের মতো নাম মেয়ে শিশুদের ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ২০২২ সালে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে জনপ্রিয় নামের তালিকা ঘেঁটে এমন চমকপ্রদ তথ্য পাওয়া গেছে।

২০২৩ সালের মে মাসে নতুন রাজার অভিষেক হওয়ার পর চার্লস নামটির জনপ্রিয়তা বেশ বেড়ে যায়। তবে তা ছিল সাময়িক। ইংল্যান্ডে এবং ওয়েলসে মেয়ে শিশুদের পছন্দনীয় ১০টি নাম হচ্ছে- অলিভিয়া, আমেলিয়া, ইসলা, আভা, লিলি, আইভি, ফ্রেইয়া, ফ্লোরেন্স, ইসাবেলা ও মিয়া। আর ছেলে শিশুদের শীর্ষ ১০ নাম হচ্ছে- নোয়া, মুহাম্মদ, জর্জ, অলিভার, লিও, আর্থার, অস্কার, থিওডোর, থিও ও ফ্রেডি।


ব্রিটেন   শিশুপুত্র   মোহাম্মদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মঙ্গল অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত

প্রকাশ: ১০:১৯ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

চন্দ্রাভিযানে ইতিহাস গড়ার পর এবার মঙ্গল যাত্রায় মন দিয়েছে ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। মঙ্গল যাত্রার জন্য তৈরি হচ্ছে ইসরো। আর এতেই লাল গ্রহে অবতরণকারী তৃতীয় দেশ হতে যাচ্ছে ভারত।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, মঙ্গলযানের প্রথম অভিযান আগে থেকেই ঠিক করা হয়েছিল। তবে দ্বিতীয় অভিযান অনেকটাই আলাদা হবে। ভারতের মহাকাশ গবেষণাকারী সংস্থা ইসরো এবার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নেবে। সম্প্রতি ন্যাশনাল টেকনোলজি ডে- দিন এই বিষয়ে একটি প্রোজেক্ট প্রেজেন্টেশন করে ইসরো। সেখানেই প্রকাশ পেয়েছে পরিকল্পনাটি।

জানা গেছে, মঙ্গলযানের জন্য স্কাই ক্রেন, সুপারসনিক প্যারাসুট, হেলিকপ্টার রোভারের ব্যবস্থা করবে ইসরো। এর আগে মঙ্গলে অবতরণ করতে এই পদ্ধতি বা প্রযুক্তির অবলম্বন করেছিল আমেরিকা চীন। এবার আমেরিকা চীনের মতোই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে ভারত।


মঙ্গল যাত্রা   ভারত   ইসরো  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা ভোটে যে কারণে প্রার্থী হননি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

এবারের লোকসভা ভোটে প্রার্থী হননি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তবে দাদা রাহুল গান্ধী লড়ছেন নির্বাচনে। গণমাধ্যমকে তিনি নিজেই জানিয়েছেন, দলের হয়ে প্রচার চালানোর জন্যই তিনি প্রার্থী হননি। প্রিয়াঙ্কা এবং রাহুল গান্ধী দুজনেই ভোটে প্রার্থী হলে সেটা বিজেপির জন্য সুবিধাজনক হয়ে যেতো বলে মনে করেন তিনি।

প্রিয়াঙ্কা জানান, নির্বাচন উপলক্ষ্যে গত ১৫ দিন ধরে রায়বেরিলিতে প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি। গান্ধী পরিবারের সঙ্গে রায়বেরিলির সম্পর্ক অনেক দিনের। তাই এখানকার জনগণ আশা করে, আমরা এখানে আসব। তাদের সঙ্গে দেখা করব। ভালোমন্দের খবর নেবো। আমরা এখানে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে জিততে পারি না।

গান্ধী পরিবারের ঘাঁটি উত্তর প্রদেশের রায়বেরিলি থেকে ভোটে লড়ছেন রাহুল। এর আগে আসনে প্রার্থী হতেন তার মা, সোনিয়া গান্ধী। চলতি বছরের শুরুতে সোনিয়া রাজ্যসভায় চলে যান। মায়ের ছেড়ে আসা আসনেই লড়ছেন রাহুল।

প্রিয়াঙ্কা বলেন, দুই ভাইবোন ভোটে লড়লে, দুজনকেই নিজেদের কেন্দ্রে অন্তত ১৫ দিন থাকতে হত। তাই আমরা ঠিক করি, একজন পুরো দেশে প্রচার চালাবে। সেটা দলের জন্য খুব ইতিবাচক হবে। দলীয় স্তরে আলোচনা করেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ভবিষ্যতে ভোটে লড়বেন কী না জানতে চাইলে কৌশলে তা এড়িয়ে যান প্রিয়াঙ্কা। তিনি বলেন, আমি কখনই সংসদীয় রাজনীতি করা কিংবা ভোটে লড়ার কথা ভাবিনি। দল আমাকে যা দায়িত্ব দেবে, সেটাই নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবো। যদি মানুষ চায় তাহলে আমি অবশ্যই ভোটে লড়ব।


লোকসভা   ভোট   প্রিয়াঙ্কা গান্ধী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আফগানিস্তানে বন্দুকধারীর গুলিতে ৩ পর্যটকসহ নিহত ৬

প্রকাশ: ০৯:২১ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আফগানিস্তানের মধ্যাঞ্চলীয় বামিয়ান প্রদেশে বন্দুকধারীদের গুলিতে স্পেনের ৩জন পর্যটক ও ৩ জন আফগান নাগরিক নিহত হয়েছে। তালেবান সরকার এই তথ্য জানিয়েছে। 

তিন আফগান ও তিন স্প্যানিশ পর্যটকের মরদেহ রাজধানী কাবুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আফগান সরকার।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার কাবুল থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ি শহর বামিয়ানের একটি বাজারের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল মতিন কানি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, নিহত ও আহতদের মধ্যে নারীও রয়েছেন। মৃতদেহগুলো কাবুলে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং ফরেনসিক বিভাগে রাখা হয়েছে। আহতরাও কাবুলে রয়েছেন। 

আহত আটজনের মধ্যে চারজন বিদেশি। একজন বয়স্ক বিদেশি নারীর অবস্থা গুরুতর। বামিয়ানের হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহতরা নরওয়ে, অস্ট্রেলিয়া, লিথুয়ানিয়া এবং স্পেনের বাসিন্দা।

আবদুল মতিন কানি জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে একজন তালেবান সদস্যও রয়েছেন। কোনো অস্ত্রধারী গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। 

সাতজন সন্দেহভাজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং তাদের মধ্যে একজন আহত অবস্থায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন কানি। 


আফগানিস্তান   গুলি   পর্যটক   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা, নিহত অন্তত ১৭

প্রকাশ: ০৮:৪৪ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

এছাড়া উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েল বিমান হামলা চালানোর পর অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন। রোববার (১৯ মে) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, নুসেইরাতের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে।

আল জাজিরা আরও জানিয়েছে, উত্তর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত এবং কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে।

এদিকে শনিবার গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকা জুড়ে আক্রমণ আরও জোরদার করেছে এবং শনিবার কমপক্ষে ৬৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে আমাদের সংবাদদাতারা জানিয়েছেন।

এর মধ্যে উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কাছে একটি আবাসিক ভবনে হামলায় ২৮ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। এছাড়া উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের একটি আশ্রয়কেন্দ্রের গেটে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার ঘটনায় ১২ জন নিহত এবং আরও ২৫ জন আহত হয়েছেন।

জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের পশ্চিমে ফালুজাহতে পানির জন্য লাইনে দাঁড়ানো একদল লোকের ওপর ইসরায়েল আর্টিলারি হামলা চালালে আটজন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের একটি বাড়িতে হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। খান ইউনিসের পূর্বে অবস্থিত আবাসান আল-কাবিরা শহরের আল-ফারহিন এলাকায় হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন।

এছাড়া দক্ষিণ গাজার রাফা শহরের একটি বাড়িতে হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। উত্তর-পশ্চিম রাফাতে একটি গাড়িতে পৃথক হামলায় শনিবার আরও একজন নিহত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি এই আক্রমণের ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৩৮৬ জন নিহত এবং আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।


গাজা   শরণার্থী   শিবির   হামলা   নিহত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন