ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হুমকির মুখে বিশ্ব অর্থনীতি!

প্রকাশ: ১১:০১ এএম, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail হুমকির মুখে বিশ্ব অর্থনীতি!

বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক বাজারগুলোর ওপর চাপ ক্রমাগত ভাবেই বাড়ছে। যুক্তরাজ্যে সরকারি বন্ডের দায় বেড়েছে, সেইসাথে কমেছে পাউন্ড স্টার্লিংয়ের দর। ফলে বাজার শান্ত করার চেষ্টায় ও মুদ্রাস্ফীতি ঠেকাতে সুদের হার বাড়ানোর পাশাপাশি নানা পদক্ষেপ নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। জাপানে ইয়েনের ক্রমাগত দরপতন ঠেকাতে ১৯৯৮ সালের পর প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় বাজারে (ফরেক্স মার্কেট) হস্তক্ষেপ করেছে দেশটির সরকার। চীনেও বৈদেশিক মুদ্রার বহিঃপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে ফরেক্স বাণিজ্যে রিজার্ভ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ বসিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এই সব অশান্তির কেন্দ্রবিন্দুতে মার্কিন ডলারের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি এবং বিশ্বব্যাপী সুদের হার বেড়ে যাওয়া। এক অস্বস্তিকর অবস্থা বিরাজ করছে যেনো বিশ্বজুড়ে।

প্রতিটি দেশের অর্থনৈতিক বাজারের গঠন ও মেজাজ আলাদা। যুক্তরাজ্যের নতুন সরকার অর্ধ-শতাব্দীর মধ্যে দেশটির সবচেয়ে বড় কর ছাড়ের পরিকল্পনা করেছে। জাপান বৈশ্বিক প্রবণতার বিপরীতে গিয়ে সুদের হার সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করছে। আর চীনা সরকার লড়ছে তাদের ‘জিরো-কোভিড’ নীতির কারণে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার পরিণতির বিরুদ্ধে।

কিন্তু এসব দেশেই কিছু অভিন্ন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে বিশ্বের বেশিরভাগ মুদ্রাই উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। ধনী-বিশ্বের একঝাঁক মুদ্রার বিপরীতে ডিএক্সওয়াই বা ডলারের মূল্যসূচক এ বছর ১৮ শতাংশ বেড়েছে, যা গত দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমাগত মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি কঠোর মুদ্রানীতি বৈশ্বিক বাজারগুলোকে আরও দুর্বল করে তুলছে।

গত সপ্তাহে তীব্র অস্থিরতা শুরুর ঠিক আগে ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্ট (বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সংস্থা) জানায়, আর্থিক পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকারদের প্রতিশ্রুতিতে সুদ বৃদ্ধির হার নির্ধারণ হয়েছে বাজারগুলোর মাধ্যমে এবং মার্কিন সরকারের বন্ড বাজারে তারল্য কমে গেছে।

গত আগস্ট মাসে বিশ্বব্যাপী শেয়ারবাজারগুলোতে লেনদেন সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য কিছুটা বেড়েছিল। এ বছরের এটি সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছায়। ২০২২ সালে এমএসসিআই অল কান্ট্রি ওয়ার্ল্ড ইনডেক্স ২৫ শতাংশ নিচে নেমেছে। অন্য বাজারগুলোতেও চাপের লক্ষণ স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। মার্কিন জাংক বন্ডের দায় প্রায় নয় শতাংশে পৌঁছেছে, যা এক বছর আগের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। আর করপোরেট বন্ডের দায় দাঁড়িয়েছে প্রায় ছয় শতাংশ, যা গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

করপোরেট কোষাধ্যক্ষ, বিনিয়োগকারী ও অর্থ মন্ত্রণালয়গুলো বৈশ্বিক অস্থিরতার আশঙ্কা করেছিল আগেই। এরপর সংকট আসে এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনাও করা হয়। কিন্তু সংকটময় পরিস্থিতি এখন পূর্বাভাসগুলোকেও ছাড়িয়ে গেছে।

মাত্র এক বছর আগেই কয়েকজন বিশ্লেষক বিশ্বের অনেক জায়গায় দুই অংকের মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। কিন্তু বাজারগুলো যখন পূর্বাভাসের চেয়েও খারাপ পারফরম্যান্স করতে থাকে, তখন সমস্যা দেখা দেয় এবং নীতিনির্ধারকরা একের পর এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হন।

যেভাবেই হোক মূল্যস্ফীতি কমাতে বদ্ধপরিকর যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক। গত ২১ সেপ্টেম্বর মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক সর্বশেষ সুদের হার বাড়ানোর পরে এর চেয়ারম্যান জেরোমি পাওয়েল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য মসৃণ অবতরণের সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে। তারপরও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ফেড প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ব্যাংক অব আমেরিকার এক গবেষণায় দেখা যায়, ১৯৮০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বের ধনী অর্থনীতিগুলোতে যখন মূল্যস্ফীতি পাঁচ শতাংশের ওপরে উঠেছিল, তখন তা দুই শতাংশে ফিরে আসতে গড়ে ১০ বছর লেগেছিল।

চলমান সংকটের জেরে বিশ্বব্যাপী ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির আশা দ্রুত মিলিয়ে যাচ্ছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত নতুন পূর্বাভাসে কয়েকটি ধনী দেশের জোট ওইসিডি জানিয়েছে, এ বছর বৈশ্বিক জিডিপি মাত্র তিন শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। অথচ তাদের গত ডিসেম্বরের পূর্বাভাসেও ৪ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আশা করা হয়েছিল। ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী মাত্র ২ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আশা করছে এই জোট।

এসবের ফলে দ্রব্যমূল্য কমছে। অপরিশোধিত তেলের বেঞ্চমার্ক ব্রেন্টের দাম ব্যারেলপ্রতি আবার ৮৫ মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে, যা গত জানুয়ারির পর থেকে সর্বনিম্ন। আর গত ২৬ সেপ্টেম্বর লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জে তামার দাম দুই মাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে।

বিশ্ব অর্থনীতি দুর্বল হলে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের লাভের পূর্বাভাসও কমিয়ে আনা শুরু করতে পারে। শেয়ারের দামের জন্য ক্রমবর্ধমান সুদের হার যেমন বেদনাদায়ক হয়েছে, নিম্নআয়ের প্রভাবও তেমনটা হতে পারে।

বিনিয়োগকারীরা তাদের সম্পদ অপেক্ষাকৃত নিরাপদ স্থানে সঞ্চয়ে আগ্রহী হওয়ায় সাধারণত মন্দার সময় ডলারের চাহিদা বেড়ে যায়। ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিলে ডলারের দাম কমবে, এমন সম্ভাবনা কম। সারা বিশ্বের দেশ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এটি একটি অশুভ সংকেত।


বিশ্ব   বিশ্ব অর্থনীতি   মুদ্রা বাজার   রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ   কোভিড-১৯   মহামারী   ডলার মূল্য বৃদ্ধি   অর্থনীতি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আদালতে থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিচারক অপহরণ

প্রকাশ: ০৩:০১ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের জেলা ও দায়রা জজ শাকিরুল্লাহ মারওয়াতকে আদালত থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণ করেছেন অস্ত্রধারীরা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) তাকে দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়ার ট্যাঙ্ক ও ডেরা ইসমাইল খানের সীমান্ত এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়। তবে অপহরণের একদিনের মাথায় তাকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। খবর জিও নিউজের।

প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মুহাম্মদ আলী সাইফ জিও নিউজের কাছে বিচারক শাকিরুল্লাহকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিক করেছেন। তাকে নিরাপদে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ব্যারিস্টার সাইফ বলেন, এই ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

পুলিশ বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনী গতকাল রাতে ডিআই খানের কুলাচি এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। যার ফলে ওই বিচারককে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের আদালেতে নিয়োজিত এই বিচারককে ট্যাঙ্ক ও ডিআই খানের মধ্যবর্তী সীমান্ত এলাকা বাগওয়াল গ্রাম থেকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। ডিআই খানের উপ-পুলিশ সুপার (ডিএসপি) মোহাম্মদ আদনান জানান, শাকিরুল্লাহ আদালত থেকে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। এরপরই কাউন্টার-টেরোরিজম ডিপার্টমেন্টেঅজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর করেন বিচারকের গাড়ি চালক শের আলী।

এফআইআর দায়ের করার আগে ওই বিচারককে দ্রুত উদ্ধার করতে একটি উচ্চ-স্তরের বিশেষ দল গঠন করে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ। তার আগে ৬৩ সেকেন্ডের এক ভিডিও বার্তায় বিচারক শাকিরুল্লাহ জানান, অস্ত্রধারী ব্যক্তিদের সরকারের কাছে কিছু দাবি রয়েছে। তাদের দাবি পূরণ করা হলেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।


পাকিস্তান   জেলা ও দায়রা জজ   শাকিরুল্লাহ মারওয়াত   অপহরণ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিপাইনে ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রা, সংকটের মুখে চাষাবাদ

প্রকাশ: ০২:০৯ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রচণ্ড গরমের কারণে ফিলিপাইনে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। ফলে দেশটিতে চাষাবাদ ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়েছে। শুধু তাই নয়, প্রচণ্ড গরমের কারণে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এ দেশটির শিক্ষার্থীরাও সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। খবর রয়টার্সের

ফিলিপাইনের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এল নিনো আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে দেশটিতে মার্চ থেকে মে পর্যন্ত এ ধরনের তাপমাত্রা থাকতে পারে। আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট অ্যাসেসমেন্ট এবং আন্তর্জাতিক স্ট্যাডি অব এডুকেশন সিস্টেমের তথ্যানুসারে, বিশ্বের মধ্যে গণিত, বিজ্ঞান এবং পড়ার ক্ষেত্রে ফিলিপাইন সবচেয়ে কম স্কোর অর্জন করেছে। এর একটি বড় কারণ ছিল করোনা মহামারির সময় দুর্গম অঞ্চলে শিক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হওয়া।  

করোনা মহামারির সময় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়া ২৩ বছর বয়সী সিনিয়র হাইস্কুল শিক্ষার্থী কির্ট মাহুসে বলেন, প্রচণ্ড গরম পড়ছে। চামড়া পুড়ে যাচ্ছে। এ গরম সহ্য করা যাচ্ছে না।

এদিকে, প্রচণ্ড গরমের কারণে হাজার হাজার স্কুলে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ৩৬ লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক তথ্যে বলা হয়েছে। 

অন্যদিকে, সেভ দ্য চিলড্রেন ফিলিপাইনের মৌলিক শিক্ষা উপদেষ্টা জেরক্সেস কাস্ত্রো বলেন, মে মাসেও শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তখন গরম আরও বাড়বে। অনেক অঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়ে ৫২ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে। সুতরাং এমন পরিবেশে কীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব সে বিষয়েও প্রশ্ন রাখেন তিনি। 

দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় প্রচণ্ড গরম পড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমনটি হচ্ছে। এর ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সেভ দ্য চিলড্রেন ফিলিপাইনের মতে, প্রচণ্ড গরমের কারণে শিশুদের মাথা ঘোরা, বমি এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে।  

বর্তমানে প্রচণ্ড গরমের কারণে শিশুরা বেশি সমস্যায় পড়েছে। অন্যদিকে, এমন অবস্থায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে দুর্গম অঞ্চলের শিক্ষক শিক্ষার্থীরাও। কারণে এসব অঞ্চলে ইন্টানেটের গতি খুবই কম। 


ফিলিপাইন   তাপমাত্রা   চাষাবাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নাভালনির মৃত্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চাঞ্চল্যকর তথ্য

প্রকাশ: ০১:৫৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার একটি কারাগারে বন্দি অবস্থায় রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধী রাজনীতিবিদ আলেক্সি নাভালনি। এরপরই তার মৃত্যুর জন্য এককভাবে পুতিনকে দায়ী করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ পশ্চিমা নেতারা। তবে সম্প্রতি রুশ এ নেতার মৃত্যু নিয়ে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মার্কিন গোয়েন্দারা জানান, নাভলনিকে হত্যার জন্য পুতিন কোনো নির্দেশ দেননি। আমেরিকান সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়ালি স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে আসে।

নাভালনির মৃত্যুর পর এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিন। এমনকি তার মৃত্যুকে দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন পুতিন। তিনি জানান, বন্দিবিনিময় চুক্তির আওতায় নাভালনিকে পশ্চিমা দেশের হাতে তুলে দিতে প্রস্তুত ছিলেন তিনি। তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত ছিল নাভালনি আর কখনো রাশিয়ায় ফেরত আসবেন না।

নাভালনির মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক তদন্ত শুরু করে পশ্চিমা গোয়েন্দারা। প্রায় দুই মাসের তদন্ত শেষে গেল শনিবার মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানায়, নাভালনিকে হত্যার সরাসরি নির্দেশ দেননি পুতিন। তবে কী কারণে বা কীভাবে নাভালনির মৃত্যু হয়েছে তাও উল্লেখ করা হয়নি।

এদিকে মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনকে ‘ভিত্তিহীন অনুমান’ বলে উল্লেখ করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ। রুশ এ কর্মকর্তা জানান, প্রতিবেদনটি তার নজরে এসেছে, এটি মানসম্পন্ন কোনো অনুসন্ধান নয় যে তাতে মনোযোগ দেওয়ার দরকার আছে।


আলেক্সি নাভালনি   মৃত্যু   যুক্তরাষ্ট্র   চাঞ্চল্যকর তথ্য  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাফায় ইসরায়েলি হামলায় এক পরিবারের ৯ সদস্য নিহত

প্রকাশ: ০১:৫৪ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের রাফায় ইসরায়েলি হামলায় আবু তাহা নামের একটি পরিবারের ৯ সদস্য নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছোট শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের একমাত্র বেঁচে যাওয়া সদস্য সে।

খবর অনুসারে, রাফায় আবু তাহার বাড়িতে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। পরিবারটির একজন প্রতিবেশী আল-জাজিরাকে জানান, হামলায় বাড়িতে থাকা পরিবারের ৯ সদস্য মারা গেছেন। তিনি শুধু পরিবারটির এক মেয়েশিশুকে ব্যালকনি থেকে বের করে আনতে পেরেছেন। এতে ওই শিশুর প্রাণ বাঁচে।

রবিবার রাফায় কয়েকটি এলাকায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এসব হামলায় নিহত হয়েছেন ২০ থেকে ২৫ জন। এ ছাড়া গাজা নগরীতে ইসরায়েলি হামলায় আরও সাতজনের প্রাণ গেছে।

এদিকে রয়টার্স বলছে, রাফায় অন্তত তিনটি বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রাণ গেছে অন্তত ১৩ জনের। আহত হয়েছেন অনেকেই। হামাস নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, নিহতের সংখ্যা ১৫। গাজা নগরীতেও দুটি বাড়িতে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে।


রাফা   ইসরায়েল   হামলা   নিহত   ফিলিস্তিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরিতে বিস্ফোরণ

প্রকাশ: ০১:৪৩ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট ইবু পর্বতে প্রচণ্ড বিস্ফোরণে অগ্ন্যুৎপাত ঘটে। রোববার (২৮ এপ্রিল) এই বিষয়ে তথ্য প্রদান করে সেন্টার ফর ভলকানোলজি অ্যান্ড জিওলজিক্যাল হ্যাজার্ড মিটিগেশন জানিয়েছে, পূর্ব ইন্দোনেশিয়ার উত্তর মালুকু প্রদেশের হালমাহেরা দ্বীপে বিস্ফোরণটি ঘটেছে।

সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিস্ফোরণটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তখন সাধারণ মানুষ বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে থাকেন। প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছাই দেখা গেছে বলেও জানা গেছে।

নিউজ এজেন্সি সিনহুয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, পিভিএমবিজি জানিয়েছে আগ্নেয়গিরিটি প্রায় ২০৬ সেকেন্ড ধরে বিস্ফোরিত হয়। স্থানীয় সময় ১২টা ৩৭ মিনিট নাগাদ অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল। যার ফলে পাহাড়ের চূড়া থেকে সাড়ে ৩ হাজার মিটার উপরে উঠেছিল ছাই।

উল্লেখ্য, মাউন্ট ইবু আগ্নেয়গিরি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১,৩২৫ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এই আগ্নেয়গিরিকে সর্বোচ্চ স্তর চারের নিচে দ্বিতীয় বিপদ স্তর হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।

এদিকে, পিভিএমবিজি স্থানীয়দের ক্রেটার (আগ্নেয়গিরির পাহাড়ের মুখ) থেকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কোনো কার্যকলাপ না করার নির্দেশ দিয়েছে। কর্মকর্তারা বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময়ে মুখোশ ও চশমা পরার পরামর্শ দিয়েছেন। 

চলতি মাসের শুরুতে উত্তর সুলাওয়েসির মাউন্ট রুয়াং অগ্ন্যুৎপাতের ফলে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এদিকে ক্রেটার থেকে ১০০ কিলোমিটারেরও (৬২ মাইল) বেশি দূরে থাকা মানাডো শহরের স্যাম রাতুলাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেশ কয়েকদিন বন্ধ ছিল।


ইন্দোনেশিয়া   আগ্নেয়গিরি   বিস্ফোরণ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন