ইনসাইড পলিটিক্স

জাতীয় পার্টির জনপ্রিয়তা বাড়ছে: উদ্বিগ্ন বিএনপি

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০৫ অক্টোবর, ২০২২


Thumbnail জাতীয় পার্টির জনপ্রিয়তা বাড়ছে: উদ্বিগ্ন বিএনপি

বিএনপি সরকার পতনের লক্ষ্যে আন্দোলন করছে। অন্যদিকে জাতীয় পার্টি সরকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমালোচনা করছে। তারা কোনো রাজপথের কর্মসূচি গ্রহণ করছে না। দুইটি রাজনৈতিক দলই সরকার বিরোধীতা করছে। কিন্তু দুটি রাজনৈতিক দলেরই লক্ষ্য ভিন্ন। দুটি রাজনৈতিক দলের ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিক থেকে সরকারের সমালোচনা করছে। কিন্তু দুটি রাজনৈতিক দলের কৌশলে জাতীয় পার্টির জনপ্রিয়তা বেড়েছে। অন্যদিকে বিএনপি এখনও জনসম্পৃক্ততা অর্জন করতে পারেনি। আর এ কারণেই বিএনপি এখন উদ্বিগ্ন। কাগজে-কলমে দেশের প্রধান বিরোধী দল হল জাতীয় পার্টি। সংসদে জাতীয় পার্টি প্রধান বিরোধী দল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। বিরোধী দলের নেতা জাতীয় পার্টি থেকে। অনেকে মনে করেছিল যে, হোসেন মুহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টি আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হবে। জাতীয় পার্টির ভাঙ্গনের মুখে পড়বে। কিন্তু হোসেন মুহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর জিএম কাদের জাতীয় পার্টির দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে জাতীয় পার্টির ভাঙ্গেনি বরং সরকার বিরোধী অবস্থানে জন আকর্ষণ বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। 

জাতীয় পার্টিকে অনেকে এখন গঠনমূলক বিরোধীদল হিসেবে মনে করছে। তাছাড়া হোসেন মুহাম্মদ এরশাদের গায়ে যেমন স্বৈরাচারের তকমা ছিল। বর্তমান জাতীয় পার্টিতে সেই  স্বৈরাচারের তকমা নেই। হোসেন মুহাম্মদ এরশাদের আমলে জাতীয় পার্টির নীতি কৌশল ছিল পরস্পর বিরোধী। এই জাতীয় পার্টির সরকার বিরোধিতা করছে। পরক্ষণেই জাতীয় পার্টির আবার সরকারের গুনগান করছে। এই পরস্পর বিরোধী অবস্থানের কারণে জাতীয় পার্টির প্রতি জনগণের আস্থা ছিল না। আর এখন জাতীয় পার্টিকে নিয়ে জনগণ ক্রমশ আগ্রহী হচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্রগুলো মনে করছে। এরশাদের একটি বাস্তব সমস্যা ছিল তা হলো বিভিন্ন মামলায় জর্জরিত ছিলেন এরশাদ। বিশেষ করে মঞ্জুর হত্যা মামলা নিয়ে তিনি সব সময়ই সুতোর ওপর দাঁড়িয়ে ছিলেন। মঞ্জুর হত্যা মামলা ছিল সরকারের কাছে ট্রামকার্ড। যখনই এরশাদকে বশীভূত করার প্রয়োজন ছিল তখনই এরশাদের এই মামলার কার্যক্রম সচল করা হত এবং এরশাদ ঘাবড়ে যেতেন। জিএম কাদের সেদিক দিয়ে নিরুপদ্রব এবং নিশ্চিন্ত। কারণ জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির মামলা নেই, নেই কোনো অনিয়মের অভিযোগও।

২০০৯ সালের ৫ বছর মন্ত্রিত্বে ছিলেন। সেই সময় মন্ত্রী হিসেবে তিনি নিজেকে একজন সফল মন্ত্রী হিসেবে দাবী করতেই পারেন। তাছাড়া তিনি যেভাবে সরকারের সমালোচনা করছেন তার গঠনমূলক এবং জনগণের কাছে তা গ্রহণযোগ্য হচ্ছে। জিএম কাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির একটি ইতিবাচক দিক হল যে, সুশীল সমাজ একসময় জাতীয় পার্টিকে অসত্য মনে করত এবং সুশীল সমাজের কাছে জাতীয় পার্টির কোনো গ্রহণযোগ্যতা ছিল না। সেই সুশীল সমাজের প্রিয়ভাজনে পরিণত হয়েছেন জিএম কাদের। আর একারণেই জাতীয় পার্টি যেভাবে এগোচ্ছে তাতে বিএনপির জন্য সংকট অপেক্ষা করছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। কারণ বাংলাদেশে জাতীয় পার্টি এবং বিএনপির ভোট ব্যাংক একই। আওয়ামী লীগ বিরোধীতাকারীরা কেউ জাতীয় পার্টিতে অথবা কেউ বিএনপিতে যোগদান করেছে। জাতীয় পার্টি যত শক্তিশালী হবে তাতে বিএনপি-আওয়ামী লীগের ভোট ভাগ হয়ে যাবে। এটা শাসক দলের জন্য সুবিধাজনক। তাছাড়া যদি শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি শক্তিশালী অবস্থানে থেকে নির্বাচনে যায় এবং বিএনপি যদি নির্বাচন বর্জনও করে তারপরও নির্বাচন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অংশগ্রহণমূলক হবে বলে অনেকেই মনে করেন। বিশেষ করে কূটনৈতিক মহলে এখন জাতীয় পার্টির বেশ প্রশংসা শোনা যাচ্ছে। তারা বলছে জাতীয় পার্টির যে রাজনৈতিক ধারার সূচনা করেছে সেই ধারাটি সঠিক।

জাতীয় পার্টির কতগুলো অবস্থান পশ্চিমা দেশগুলোর বেশ সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। যেমন জাতীয় পার্টি রাজপথে ভাংচুরের আন্দোলনে বিশ্বাস করে না, হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাদের সায় নেই। জাতীয় পার্টির নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারেও বিশ্বাস করে না । তারা নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। এই সমস্ত নিয়ে এরশাদের পরে যে জাতীয় পার্টি বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল সেই জাতীয় পার্টি এখন সরকার নয় বিএনপির জন্যই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা  আওয়ামী লীগের কৌশল কিনা সেটা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলছেন। কারণ শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি যদি শক্তিশালী হয় তাহলে পারে ক্ষতি হবে সবচেয়ে বেশি বিএনপির। আর এ কারণেই বিএনপিতে উদ্বেগ বাড়ছে।

জাতীয় পার্টি   বিএনপি   জিএম কাদের   সরকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।

সাম্প্রিতক সময়ে আবারও মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এবং বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। যদিও এটিই তাদের প্রথম নয়। এর আগে এই দুই নেতার মধ্যে মার্কেট, অনিয়ম-দুর্নীতি ও সিটি করপোরেশনের টাকা রাখা নিয়ে বাকযুদ্ধ হয়েছিল। এবার তারা মুখোমুখি হয়েছেন ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে। গত বুধবার মেয়র তাপস দাবি করেন, ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর ঢাকায় ডেঙ্গু রোগী কমেছে। এর পাল্টা প্রতিউত্তরে শনিবার মিট দ্য প্রেসে সাংবাদিকদের ডেকে খোকন বলেন, বর্তমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২০১৯ এর তুলনায় ২০২৩ সালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪১ হাজার কম। আমি ভদ্রতার জন্য কারো নাম উল্লেখ করছি না। তবে এ ধরনের অপপ্রচার করা হলে আমি কষ্ট পাই, ব্যথিত হই। আমি এই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, আমি আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য, আমার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। পাবলিকলি আমি যে কোন বক্তব্য দিতে পারি না, আমার জবাবদিহিতা রয়েছে। সাবেক এবং বর্তমান মেয়রের এই বাকযুদ্ধ সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, আওয়ামী লীগ এখন ফ্রি স্টাইলে চলছে। দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙে গেছে।

তৃণমূলের কোন্দল আরও ভয়ঙ্কর। এই মুহূর্তে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মন্ত্রী-এমপিদের পরিবারের সদস্যদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী না হতে নির্দেশনা দেওয়া হলেও প্রথম ধাপের মতোই এবার এই নির্দেশনা উপেক্ষিত। সামনে উপজেলা নির্বাচনের পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

বিভিন্ন স্থানে যেখানে জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন সেখানে তাদের মাইম্যানদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করছেন। আবার যারা স্বতন্ত্রদের কাছে পরাজিত হয়েছেন তারা তাদের প্রভাবপত্তি ধরে রাখার জন্য তাদের মাইম্যানদের প্রার্থী করছেন। এলাকায় নিজেদের হারানো অবস্থান পুনরুদ্ধারের জন্য উপজেলা নির্বাচনকে বেছে নিয়েছেন। এটা করতে গিয়ে লাগামহীন ভাবে একে অন্যের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো থেকে শুরু করে সহিংসতার ঘটনাও ঘটাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে একটি লেজেগোবরে অবস্থা তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো যে, আওয়ামী লীগের যে অঙ্গ সহযোগী সংগঠন আছে তারাও এখন ক্রমশ বিভক্ত হয়ে পড়ছে। সবকিছু মিলিয়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের কোন্দল। আওয়ামী লীগ সরকারের অর্জন এখন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন আওয়ামী লীগেরই নেতাকর্মীদের দিয়ে। এ অবস্থা পরিত্রাণ পেতে আওয়ামী লীগ কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

আওয়ামী লীগ   মোহাম্মদ সাঈদ খোকন   ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওবায়দুল কাদেরকে রিজভীর পাল্টা প্রশ্ন

প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে এবার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’— ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, এক মর্মান্তিক পরিস্থিতির মধ্যে দেশের মানুষ দিন অতিক্রম করছে। এখানে জীবন ও সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। জনগণের মনোভাব ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার একের পর এক পন্থা অবলম্বন করছে। মধুখালীতে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যা এটি একটি পন্থা। এরা মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে না। এরা মানুষের লাশ ও রক্তপাতের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে ভালোবাসেন।

আওয়ামী লীগ গোটা জাতিকে একটি গোরস্তান বানানোর প্রক্রিয়ায় লিপ্ত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ লাশ হচ্ছে জীবন্ত মানুষ। তার একটি ঘটনা মধুখালীতে। সরকার তার বহুমুখী ব্যর্থতা ঢাকতেই একের পর নাটক করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধু ব্যাংক থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা আমার বক্তব্য না। এটা সিডিপির বক্তব্য। আমাদের জিডিপি ১২ শতাংশ নাই হয়ে গেছে। ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু ব্যাংক থেকে লোপাট হয়ে গেছে। লোপাটকারী সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোক ও আত্মীয়-স্বজন।

রিজার্ভ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার উধাও করে দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এখন তলানিতে রিজার্ভ। সরকার বলছে, ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। অথচ যারা সচেতন মানুষ তারা বলছেন ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার আছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের ঋণ পরিশোধ করতে ৪ বিলিয়ন ডলার যাবে।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক   ওবায়দুল কাদের   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন আদেশ দেন।

মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।


নাশকতা   মামলা   বিএনপি   ইশরাক হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘‌‌‌‍‍‍‍ব্যাংকে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?’

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।


‘‌‌‌ব্যাংক   মাফিয়া   মাস্তান   ঋণখেলাপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ: জিএম কাদের

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।

তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।

জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।


দেশ   অর্থনৈতিক   জিএম কাদের  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন