ইনসাইড বাংলাদেশ

নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে কূটনীতিক পাড়ায় চাঞ্চল্য

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১২ অক্টোবর, ২০২২


Thumbnail নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে কূটনীতিক পাড়ায় চাঞ্চল্য

সুশীলরা উৎসুক্য। নির্বাচন কমিশন আজ গাইবান্ধার-৫ আসনে উপ-নির্বাচনের ভোট বন্ধ করেছে। নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় আরপিওর ক্ষমতাবলে নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এই সিদ্ধান্ত কূটনীতিক পাড়ায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা নাই, নির্বাচন কমিশন সরকারের লেজুড় কিংবা নির্বাচন কমিশন সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে- এরকম অভিযোগগুলো যারা প্রতিনিয়ত দূতাবাসগুলো যেয়ে করতেন সেই অভিযোগগুলো বড় রকমের ধাক্কা খেয়েছে নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে। এখন কূটনীতিক মহল এই সিদ্ধান্তের বিভিন্ন দিকগুলো পর্যালোচনা করছে। কেন নির্বাচন কমিশন ধরনের সিদ্ধান্ত নিল? তা তারা বিচার-বিশ্লেষণ করছে। এটি তাদের মধ্যে একটি চাঞ্চল্য সৃষ্টি করছে। বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সাথে আলাপ করলে তারা কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্তব্য করতে চায়নি। তবে অত্যন্ত দুইটি দেশের কূটনীতিকরা বলছেন, তারা সবসময় প্রত্যাশা করে জনগণ তাদের যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছে তার প্রতিফলন যেন নির্বাচনে ঘটে। তারা একটি সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। 

নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয় তাহলে তাহলে নির্বাচন কমিশন সেই নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত এবং নির্বাচন কমিশনের পর্যাপ্ত সেই ব্যাপারে ক্ষমতা আছে কিনা সেটিও কূটনীতিকরা বোঝার চেষ্টা করেছিলেন। সেই রকম অনেকগুলো প্রশ্নের জবাবে তারা পেয়েছেন। তবে কূটনীতিক পাড়ায় এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। গাইবান্ধার-৫ আসনের উপ-নির্বাচন জাতীয় রাজনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলেনি এবং এই নির্বাচনে জয়-পরাজযয়ের ওপর জাতীয় রাজনীতিতে কোনো কিছুই ঘটত না। এ কারণে এটি নির্বাচন কমিশনের জন্য ঝুঁকি বিহীন নির্বাচন হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশন ইচ্ছা মতো তার সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনে কি নির্বাচন কমিশন এ রকম চাপ মুক্ত থাকবে? এই বিষয়টি কূটনীতিকরা বিশ্লেষণ করছেন। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পশ্চিমা দেশের একজন কূটনীতিক বলেছেন যে, আমরা বিষয়টি দেখেছি। সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ার কারণে নির্বাচন কমিশন ভোট বন্ধ করতেই পারে। এটি নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা। কিন্তু আমরা পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবো এবং পরবর্তী নির্বাচন কিভাবে হয় সে ব্যাপারেও আমরা নজর রাখব। তবে অন্য একটি দেশের কূটনীতিকরা বলছেন যে, এটি একটি উপ নির্বাচন, একটিমাত্র আসনের নির্বাচন। কাজেই ৩০০ আসনের নির্বাচন কমিশন কিভাবে সামাল দিতে পারবে সেটিও আমাদের বিচার বিশ্লেষণ করতে হবে। তবে কোনো কোনো দেশের কূটনীতিকরা মনে করছেন যে, নির্বাচন কমিশনকে আস্থায় আনতে, নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্যই এই রকম একটি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন একটি ফাঁদ পাতলো কিনা তাও বিচার বিশ্লেষণ করা দরকার বলেও কোনো কোনো দেশের কূটনীতিকরা মনে করছে। 

অন্যদিকে সুশীল সমাজ এই নির্বাচন স্থগিত ঘটনাটিকে অন্য চোখে দেখছে। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা মনে করছেন যে,  একটি নির্বাচনে জেতার জন্য ক্ষমতাসীন দল এতো মরিয়া হয়, তখন জাতীয় নির্বাচনে তারা কি করতে পারে তা বলাই বাহুল্য। আর এ কারণেই গাইবান্ধা নির্বাচনের তাৎপর্য বিশ্লেষণ নানামুখী এবং বহুমাত্রিক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই নির্বাচন স্থগিত করার ফলে লাভ-ক্ষতির হিসেব নিকেশে কে আসলে লাভবান হলো তা বুঝতে আরও সময় লাগবে।

নির্বাচন কমিশন   কূটনীতিক পাড়া   সুশীল সমাজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শোলাকিয়া ময়দানে ঈদের জামাত সকাল ৯টায়

প্রকাশ: ০২:২১ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

কিশোরগঞ্জের প্রায় দুইশ বছরের ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে এবার অনুষ্ঠিত হবে ১৯৭তম ঈদুল আজহার জামাত।

দেশের বৃহত্তম এই ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল আজহার জামাতের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এবারও নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে শোলাকিয়ায় ঈদ জামাত আয়োজন করা হচ্ছে। জামাত অনুষ্ঠিত হবে ঈদের দিন সকাল ৯টায়।  ঈদগাহে ইমামতি করবেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।

জানা যায়, ঐতিহাসিক মাঠে আশপাশের জেলা ছাড়াও দেশ-বিদেশ থেকে মুসল্লিরা ঈদের জামাতে অংশ নেন। ঈদ জামাতকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিবছর কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া মাঠে ঈদ জামাতের জন্য নেওয়া হয় ব্যাপক প্রস্তুতি। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ।

শোলাকিয়া মাঠের রেওয়াজ অনুযায়ী, ঈদের জামাত শুরুর আগে শটগানের ছয়টি ফাঁকা গুলি ছোড়া হবে। জামাত শুরুর মিনিট আগে ৩টি, মিনিট আগে ২টি এবং মিনিট আগে ১টি গুলি ছুড়ে নামাজের জন্য মুসল্লিদের সংকেত দেওয়া হবে।


শোলাকিয়া   ঈদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আসুন ত্যাগের মহিমায় দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করি: শেখ হাসিনা

প্রকাশ: ০২:০৭ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

পবিত্র ঈদুল আজহার ত্যাগের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ জনগণের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানান।

আজ রোববার (১৬ জুন) প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দেওয়া ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম, এক বছর পর আবারও আমাদের জীবনে ফিরে এসেছে পবিত্র ঈদুল আজহা। আমি আপনাদের সবাইকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানাই। ঈদ মোবারক।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আসুন ঈদুল আজহার শিক্ষা গ্রহণ করে ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বীবিত হয়ে আমরা সকলে দেশ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করি।

বার্তার শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল আজহা আপনার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ, সুখ, শান্তি স্বাচ্ছন্দ। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন। ঈদ মোবারক।


শেখ হাসিনা   ঈদ   শুভেচ্ছা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীতে ১৮৪টি ঈদগাহে ঈদ জামাতের প্রস্তুতি

প্রকাশ: ০১:৫১ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ত্যাগের মহিমায় সোমবার (১৭ জুন) সারা দেশে পালিত হবে মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় প্রতিবারের মতো পশু কোরবানি করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। ঈদের আনুষ্ঠানিকতার অন্যতম হলো সবাই মিলে ঈদের নামাজ আদায় করা। ঈদ জামাতের জন্য এরই মধ্যে রাজধানীতে সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।

জাতীয় ঈদগাহ, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ রাজধানীতে ১৮৪টি ঈদগাহ প্রায় দেড় হাজার মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করবেন মুসল্লিরা। এমন তথ্য জানিয়েছে ঢাকা উত্তর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।

বরাবরের মতো এবারও রাজধানীতে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত হবে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৭টায়। জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার নামাজে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন।

প্রতিকূল আবহাওয়া বা অন্য কোনো কারণে ঈদের নামাজ আদায় করা সম্ভব না হলে রাষ্ট্রপতি সকাল ৮টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। রাষ্ট্রপতি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, কূটনৈতিকসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষ জামাতে অংশ নেবেন।

ঈদ জামাতের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠ। সেখানে একসঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রতিবছরের মতো এবারও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল ৭টায় শুরু হবে। প্রতি এক ঘণ্টা পরপর তিনটি এবং শেষ জামাত বেলা পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয়টি সকাল ৮টায়, তৃতীয়টি সকাল ৯টায়, চতুর্থটি সকাল ১০টায় এবং পঞ্চম সর্বশেষ ঈদের জামাত হবে বেলা পৌনে ১১টায়।

প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইহসানুল হক। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সাবেক মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান। এরপর সকাল ৮টার দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মাওলানা মুহীউদ্দিন কাসেম। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আবদুল হাদী।

সকাল ৯টার তৃতীয় জামাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

সকাল ১০টায় চতুর্থ জামাতে ইমামতি করবেন মিরপুরের মহতামিম জামেয়া আরাবিয়ার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম রুহুল আমিন।

বেলা পৌনে ১১টার সর্বশেষ জামাতের ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো, আক্তার মিয়া। পাঁচটি জামাতের কোনোটিতে একজন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন হাইকোর্ট মাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা আশরাফুল ইসলাম।

জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ, হুইপ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য সংসদ সচিবালয়ের কর্মচারীসহ এলাকার মুসল্লিরা এতে অংশ নেবেন।

এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদে দুটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল ৮টা, দ্বিতীয় জামাত সকাল ৯টায় জামাত হবে। সলিমুল্লাহ মুসলিম হল মসজিদে সকাল ৭টায়, . মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে সকাল ৮টায় ফজলুল হক মুসলিম হলের পূর্ব পাশের খেলার মাঠে সকাল ৮টায় জামাত হবে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) খেলার মাঠে সকাল ৭টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আজিমপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকার বায়তুন নূর জামে মসজিদে জামাত হবে সকাল ৮টায়।

পুরান ঢাকার লালবাগ শাহী মসজিদে ঈদ জামাত সকাল ৮টা ৯টায়। আজিমপুর ছাপরা মসজিদ সকাল সাড়ে ৭টায়, সাড়ে ৮টায় সাড়ে ৯টায় আর কবরস্থান মসজিদে সকাল ৭টায়, ৮টায়, ৯টায় ১০টায় পরপর হবে চারটি জামাত।

গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদ অ্যান্ড ঈদগাহে তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল ৬টায়, দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় এবং তৃতীয় জামাত ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ধানমন্ডির সোবহানবাগ মসজিদে সকাল ৮টায়, ধানমন্ডির নম্বর রোডের এনায়েত মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, নম্বর রোডের বাইতুল আমান মসজিদে সকাল ৮টায়, ১২ রোডের তাকওয়া মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

মিরপুর-১২ এর হারুণ মোল্লাহ ঈদগাহ, পার্ক খেলার মাঠে সকাল ৭টায় রাজধানীর পল্লবী থানার নম্বর ওয়ার্ডের হারুণ মোল্লাহ ঈদগাহ মাঠে সকাল ৭টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার মারকাজুল ফিকরিল ইসলামিতে (বসুন্ধরা কমপ্লেক্স) সকাল ৭টায়, বসুন্ধরা সি ব্লকের উম্মে কুলসুম জামে মসজিদে ৭টা ১৫ মিনিটে, এফ ব্লক জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, জি ব্লকের বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে, কে ব্লকের মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসায় ৭টা ৪৫ মিনিটে এবং এন ব্লকের ফকিহুল মিল্লাত জামে মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত হবে।


রাজধানী   ঈদগাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশি নৌযানে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির গুলি

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

নাফ নদ হয়ে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে বর্তমানে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশি নৌযানে চার দফায় মিয়ানমার অংশ থেকে গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ফলে বেশ কিছু দিন ধরে সেন্টমার্টিনে খাবার সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ১৩ জুন থেকে কক্সবাজার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে বঙ্গোপসাগর হয়ে বড় ট্রলারে সেন্টমার্টিনে পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখা হচ্ছে।

ঘটনা : গত জুন আনুমানিক বিকাল সাড়ে ৪টার সময় নাইক্ষ্যংদিয়া খাল এলাকা অতিক্রমের সময় আরাকান আর্মি একটি মালবাহী ট্রলার লক্ষ্য করে - রাউন্ড গুলি ছুড়ে

ঘটনা : গত জুন বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটের দিকে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট শাফকাত আলির নেতৃত্বে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টেকনাফের উদ্দেশে রওনা দেন। পথে নাফ নদে এবং বঙ্গোপসাগরের মোহনায় নাইক্ষ্যংদিয়া চর এলাকা অতিক্রম করার সময় মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের মেগিচং এলাকা থেকে আরাকান আর্মি গুলিবর্ষণ করে। এতে মেটাল শার্কে রাউন্ড এবং কাঠের বোর্ডে রাউন্ড গুলি লাগে। পরে ওই বোট এবং মেটাল শার্ক দুটি নিরাপদে টেকনাফ কোস্টগার্ডের বোটপুলে ফিরে আসতে সক্ষম হয়।

ঘটনা : গত জুন আনুমানিক ১২টার দিকে নাইক্ষ্যংদিয়া খাল সীমান্তে নাফ নদের মোহনায় দুটি কাঠের ট্রলার সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দেয়। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে যাওয়ার পথে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের মেগিচং ক্যাম্পের ওয়াচ টাওয়ার থেকে আরাকান আর্মি আনুমানিক ১৫-২০ রাউন্ড গুলি চালায়। পরে ট্রলার দুটি ১২টা ২৫ মিনিটের দিকে শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে ফিরে আসে। এতে ১টি ট্রলারে রাউন্ড গুলি লাগে। ঘটনায়ও কেউ হতাহত হয়নি।

ঘটনা ৪ : ১১ জুন সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের গোলারচরের বিপরীতে মিয়ানমারের নাইক্ষ্যংদিয়া খাল সীমান্তে নাফ নদের মোহনা হয়ে একটি স্পিডবোটযোগে সেন্টমার্টিনের জন স্থানীয় বাঙালি শাহপরীর দ্বীপ জেটি থেকে সেন্টমার্টিনে যাচ্ছিল। পথে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের মেগিচং বিজিপি ক্যাম্পের ওয়াচ টাওয়ার এলাকা থেকে আরাকান আর্মি স্পিডবোটকে লক্ষ্য আনুমানিক - রাউন্ড গুলি করে। যদিও কেউ হতাহত হয়নি। পরে ১১টার দিকে স্পিডবোটটি সেন্টমার্টিনে পৌঁছায়।

এসব গুলিবর্ষণের ঘটনাসমূহের কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

নৌ পথে বালুচর: জানা গেছে, আনুমানিক প্রায় এক দশক পূর্বে সেন্টমার্টিন দ্বীপ সংলগ্ন স্থানে বঙ্গোপসাগরের মাঝে দুটি স্থানে বালুচর জেগে ওঠে। এই দুটো বালুচরের কারণে ভাটার সময়ে সেন্টমার্টিনে চলাচল করা যাত্রী পণ্যবাহী নৌযানগুলো সাগরের ভেতর মিয়ানমারের একটি অংশ ব্যবহার করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।

মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সঙ্গে বাংলাদেশের বিজিবির সমন্বয়ের কারণে এই চলাচলে ইতোপূর্বে কখনোই কোনো বাধার সৃষ্টি হয়নি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আরাকান আর্মি মিয়ানমারের এই অঞ্চল দখল করে নেওয়ার কারণে সৃষ্ট সমন্বয়হীনতার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের সেন্টমার্টিনগামী ট্রলার নৌযানগুলোকে লক্ষ্য করে আরাকান আর্মি গুলি ছুড়ছে। ফলে কর্তৃপক্ষ বাণিজ্যিক ট্রলার স্পিডবোট চলাচল সাময়িক স্থগিত করার কারণে সেন্টমার্টিনে বসবাসকারীদের মধ্যে খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে।

এছাড়া কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় নাফনদে এবং বঙ্গোপসাগরের মোহনায় গোলারচর নামক এলাকায় আনুমানিক কিলোমিটারজুড়ে বড় একটি বালুর চর রয়েছে। সেই সঙ্গে গোলারচর থেকে আনুমানিক - কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরের মধ্যবর্তী স্থানে নাইক্ষ্যংদিয়া নামক স্থানে কিলোমিটারের মধ্যে আরও একটি বালুর চর ভাটার সময় জেগে ওঠে।

ফলে টেকনাফ দমদমিয়া কেয়ারি জেটিঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে যাত্রা করা যাত্রী পণ্যবাহী জাহাজ, মাছ ধরার ট্রলার, সার্ভিস বোট এবং স্পিডবোটসহ সব ধরনের নৌযানগুলোকে গমনাগমনের সময় জেগে ওঠা বালুর চরের কারণে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম বাউন্ডারি লাইনের (আইএমবিএল) মিয়ানমার অংশের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা ব্যবহার করতে হয়। বর্ণিত চর দুটি ড্রেজিং করা হলে মিয়ানমারের জলসীমা আর ব্যবহারের প্রয়োজন হবে না। সেন্টমার্টিনের উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি কর্মকর্তাদের থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে বাংলাদেশ সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী সীমান্ত এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সেন্টমার্টিনে বিকল্প পথে কক্সবাজারের সাথে যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। সে নৌপথে যাত্রী পারাপার ও খাদ্যপণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।


আরাকান আর্মি   বিজিপি   বিজিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সেন্টমার্টিন পরিদর্শন করলেন বিজিবি মহাপরিচালক

প্রকাশ: ১২:২৪ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ দেশের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন। শুক্রবার শনিবার তিনি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো পরিদর্শন করে বিজিবি সদস্যদের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন।

রোববার (১৬ জুন) বিজিবির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিককালে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের সীমান্তবর্তী মংডু অঞ্চলে মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের দেখা গেছে। মিয়ানমারের মংডু সীমান্তের বিপরীতে বাংলাদেশের টেকনাফ সেন্টমার্টিন দ্বীপ সীমান্তে অবস্থিত হওয়ায় উদ্ভূত সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য বিজিবি মহাপরিচালক টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২বিজিবি) এর অধীন সেন্টমার্টিন দ্বীপ বিওপি পরিদর্শন, বিওপির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপে নির্মাণাধীন বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে দায়িত্বরত সব পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদেরকে দেশের সার্বভৌমত্ব সীমান্ত সুরক্ষার জন্য অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ প্রশাসনিক বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। দুর্গম এই দ্বীপে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দক্ষতা সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য বিজিবি মহাপরিচালক সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানান। একইসঙ্গে মিয়ানমার সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সদস্যদেরকে সদা তৎপর থাকার নির্দেশ দেন।

ব্রিফিং শেষে বিজিবি মহাপরিচালক বিজিবির রামু সেক্টর সদর দপ্তর, রামু ব্যাটালিয়ন (৩০ বিজিবি) এর ব্যাটালিয়ন সদর এবং অধীন মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্ট পরিদর্শন করেন। সময় বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তের দায়িত্বরত সব পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং তাদেরকে অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ প্রশাসনিক বিষয়ে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন।


সেন্টমার্টিন   বিজিবি   মহাপরিচালক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন