ইনসাইড থট

ছাত্ররাজনীতির বর্তমান পরিস্থিতির জন্য শুধুমাত্র ছাত্রনেতাদের দোষারোপ কাম্য নয়

প্রকাশ: ১০:৫৯ এএম, ১৩ অক্টোবর, ২০২২


Thumbnail ছাত্ররাজনীতির বর্তমান পরিস্থিতির জন্য শুধুমাত্র ছাত্রনেতাদের দোষারোপ কাম্য নয়

বাংলাদেশের ঐত্যিহ্যবাহী ও প্রাচীন ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আমি গর্বিত যে, আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মী ছিলাম। দেশপ্রেম, নৈতিকতা, সততা, দলীয় কর্মীদের প্রতি ভালোবাসা, নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য ইত্যাদি শিখেছি ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমেই। সম্মান, খ্যাতি, নেতৃত্ব, ইত্যাদি যাকিছু পেয়েছি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকেই। কাজেই ছাত্রলীগের যে কোন দুর্নাম আমাকে ব্যথিত করে, কষ্ট দেয়।

১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাধীনতাকামী প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মী গড়ার আতুড়ঘর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। দেশের রাজনীতিতে খ্যাতিমান রাজনীতিবিদদের রাজনীতির হাতেখড়ি হয়েছে এই ছাত্র সংগঠনে। এই দেশে যত বড় বড় রাজনৈতিক অর্জন তা ছাত্রলীগের হাত ধরেই এসেছে। ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের ক্রান্তিকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অবদান জাতি চিরকাল স্মরণ করবে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নাম বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

বর্তমানে দেশব্যাপী বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের কর্মকান্ডে যেন ছাত্ররাজনীতির ঐতিহ্যবাহী জৌলুস হারাতে বসেছে। চেইন অব কমান্ড না থাকা, অনুপ্রবেশকারীদের আধিপত্য, অভ্যন্তরীণ কোন্দল, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরণের অপরাধের সঙ্গে নেতাকর্মীরা জড়িত, এমন খবর এখন প্রতিদিনই পাওয়া যাচ্ছে। ছাত্ররাজনীতির বর্তমান অবস্থা বেশ ‘ছন্নছাড়া’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের বর্তমান এবং সাবেক নেতৃবৃন্দ। বর্তমান সময়ের মত এতটা ‘ছন্নছাড়া’ ছাত্র রাজনীতি কখনোই হয়নি বলে মনে করছেন কোন কোন সাবেক ছাত্রনেতৃবৃন্দ। এমনি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য শুধুমাত্র ছাত্রনেতাদের দোষারোপ করা সঠিক নয় বলে অভিজ্ঞজনেরা মনে করেন।

যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা ছাত্ররাজনীতির সাথে জড়িত তাদের ব্যক্তিগত ব্যবহার ও আচরণে একজন সাধারণ ছাত্র আকৃষ্ট হয়। পরিচিত হয়ে সম্পর্ক স্থাপন করে। পরবর্তিতে তাদের দলীয় আদর্শের কথা জানতে চেষ্টা করে। ছাত্রনেতাদের ব্যক্তিগত কর্মকান্ডে সন্তুষ্ট হয়ে, তার দলীয় আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে এবং সাবেক ছাত্রনেতার ভবিষ্যৎ জীবন পর্যালোচনা করে একজন সাধারণ ছাত্র কোন একটি ছাত্র সংগঠনে যোগ দেয়, ছাত্ররাজনীতিতে হাতেখড়ি নেয়।

একজন ছাত্র স্কুল জীবনে পিতামাতা বা অভিভাবকের চোখ ফাঁকি দিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছাত্রনেতাদের সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে থাকে। সেসময় রাজনৈতিক দলের আদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে নয়, নিতান্তই ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণেই পছন্দের নেতাদের নেতৃত্বে মিটিং-মিছিলসহ বিভিন্ন সমাবেশে অংশগ্রহণ করে থাকে। তারপর বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক বই পড়া ও দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন খবর ও গুনীজনদের লেখা প্রবন্ধ পড়া এবং  বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতা থেকে জ্ঞান অর্জন করে, বিভিন্ন সভা সমাবেশে জাতীয় নেতাদের বক্তব্য শুনে, বিভিন্ন বিশ্লেষণের পর পছন্দের নেতাদের দলীয় আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে থাকে। এমনিভাবেই দেশের ক্রান্তিলগ্নে জীবনবাজি রেখে একজন সাধারণ ছাত্র রাজনৈতিক দলের নেতার নেতৃত্বে ঝাপিয়ে পড়তে প্রস্তুত হয়। নিজেকে দলীয় আদর্শের একজন কর্মী ও নেতায় পরিনত করে। দলীয় আদর্শের ভিত্তিতে দেশকে গড়ে তোলার জন্য আত্মনিয়োগ করে, আত্মত্যাগ করে।

কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া একজন ছাত্রনেতার লক্ষ্য থাকে ছাত্রসংসদ নির্বাচন। নির্বাচিত ভিপি-জিএস হয়ে বা ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শাখার সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক হয়ে পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ছাত্ররাজনীতিতে অংশগ্রহণ করবে। কেন্দ্রীয় ছাত্ররাজনীতি শেষে  নেতারা জাতীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হবে। সেই লক্ষ্যে নিজেকে গড়ে তোলে। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সমর্থন লাভের উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগত আচরনে ও চলাফেরায় সর্বদা সজাগ থাকে। নিজেকে একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করে।

কিন্তু বাস্তবতায় যদি ভিন্ন চিত্র দেখা যায় তখনই ঐ সাধারণ ছাত্রটি, যিনি ছাত্রনেতায় পরিনত হয়েছেন, বিভ্রান্ত হয়ে থাকেন। যেমন, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংসদ নির্বাচন না হওয়ায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে  ছাত্ররাজনীতিতে সম্পৃক্ত নেতাকর্মীরা হতাশায় নিমজ্জিত হয়। সে তখন কেন্দ্রীয় নেতা হওয়ার স্বপ্ন বাদ দিয়ে বাস্তবতা মেনে অর্থনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে চেষ্টা করে। শিক্ষা জীবন শেষ করে একটা ভাল চাকুরী সন্ধানে নেমে পরে। কিন্তু চাকুরী প্রাপ্তিতেও বিভিন্ন বিড়ম্বনা। ছাত্ররাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নেতাকর্মীরা তার আরেক বন্ধু যিনি রাজনৈতিক কর্মী নন, তার সাথে প্রতিযোগিতায় কৃতকার্য হতে পারে না। একপর্যায়ে চাকুরীর বয়সসীমা অতিক্রান্ত হলে হতাশ হয়ে বিপথগামী হয়। বেঁচে থাকার তাগিদে, অনিচ্ছা সত্বেও, বৈধ-অবৈধ যে কোন উপায়ে অর্থ উপার্জনের পথ খুঁজে বেড়ায়। কেউ সফল হয়, কেউ হারিয়ে যায়।

জেলা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ যে সকল ছাত্রনেতা কেন্দ্রীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হতে ব্যর্থ হয়, তারা স্থানীয় রাজনীতিতেও সুবিধা করতে পারেনা। কারণ, স্থানীয়ভাবেও রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা রয়েছে। সেখানেও ছাত্রনেতাদের তেমন সুযোগ নেই। তখনই হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে বেঁচে থাকার তাগিদে অর্থ উপার্জনের উপায় খুঁজে। কিন্তু সেখানেও ছাত্রনেতাদের সুযোগ নেই। কারণ হঠাৎ করে ব্যবসায়ী হওয়া যায় না, সেক্ষেত্রেও অভিজ্ঞতার সনদ খুঁজে।

এছাড়া বর্তমানে সাবেক ছাত্রনেতা ও বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত ভিপি-জিএস ও অন্যান্য নির্বাচিত ছাত্রনেতাদের মধ্যে কতিপয় ছাড়া বেশীর ভাগের রাজনৈতিক পরিনতি দেখে পরবর্তী প্রজন্ম আসলেই হতাশ হওয়া ছাড়া উপায় নাই।

ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রতিটি নেতাকর্মীর জন্য সংগঠনসমূহে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন। তাদের প্রত্যেকের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি শেষে জাতীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ না থাকলে যোগ্যতা অনুযায়ী স্থানীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়া বা চাকুরী প্রাপ্তির নিশ্চয়তা থাকলে দলীয় আদর্শে উজ্জীবিত সাবেক ছাত্রনেতারা বিপথগামী হবে না। এছাড়া যেসব নেতাকর্মীর চাকুরীর বয়সসীমা অতিক্রান্ত হয়ে গেছে তাদের বেঁচে থাকার তাগিদে প্রয়োজনীয় অর্থ বৈধ উপায়ে উপার্জনের জন্য তাদেরকে ব্যবসা-বানিজ্যে বৈধ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। অন্যথায় অনিচ্ছা সত্বেও, বেঁচে থাকার তাগিদে অর্থ উপার্জনের জন্য টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরণের অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে নিজের সংগঠনকে কলংকিত করে। নিজেদের বলয় ভারী করার জন্য এবং প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য আদর্শহীন অনেক টোকাই প্রকৃতির বা ভিন্ন দলীয় সন্ত্রাসী ছেলেদেরকে নিজের সংগঠনের সদস্য করে। ফলে সংগঠনে চেইন অব কমান্ড নষ্ট হয়, অনুপ্রবেশকারীদের আধিপত্য বাড়ে, অভ্যন্তরীণ কোন্দল সৃষ্টি হয়।

সুতরাং বর্তমান ‘ছন্নছাড়া’ অবস্থার জন্য শুধু ছাত্রনেতাদের বা ছাত্ররাজনীতিকে দোষারোপ না করে ছাত্ররাজনীতির স্বর্ণযুগে প্রচলিত ছাত্রসংসদ নির্বাচন চালু করা এবং অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের পরিবর্তে ছাত্ররাজনীতি শেষে সাবেক ছাত্রনেতারদের যোগ্যতা অনুযায়ী জাতীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন।  আর সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত সাবেক ছাত্রনেতাদের শিক্ষা শেষে চাকুরী বা বেঁচে থাকার তাগিদে প্রয়োজনীয় ব্যবসা-বানিজ্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তার পরিকল্পনা করা প্রয়োজন, তাহলেই বর্তমান অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হতে পারে।


ছাত্র রাজনীতি   ছাত্রনেতা   দোষারোপ   কোন্দল   প্রতিযোগিতা   ছাত্রলীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যাশী জনগণের জন্য ‘আলোক বর্তিকা’


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক ডা. কাইয়ুম তালুকদার যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিতে বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক অভাবনীয়, অনন্য এবং যুগান্তকারী একটি মডেল। শিশু স্বাস্থ্য, মাতৃ স্বাস্থ্য এবং কিশোরীদের স্বাস্থ্য পরিসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এটি একটি অসাধারণ উদ্যোগ। নবজাতকের মৃত্যু, মাতৃ মৃত্যু কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অনুসরণ শুরু করেছে। গত বছর ১৭ মে কমিউনিটি ক্লিনিক ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিসিয়েটিভ’ হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায়। ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ সারা বিশ্বের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যাশী জনগণের জন্য ‘আলোক বর্তিকা’। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ এর প্রবক্তা। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা উন্নয়ন কৌশল জাতির পিতার ভাবনা থেকেই উৎসারিত। অল্প সময়ের মধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রান্তিক সুবিধা বঞ্চিত মানুষের আপন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে জনগণের বিপুল সমর্থনে আবার সরকার গঠন করেন দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। ভবিষ্যতে আর কোন অপশক্তি যেন কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ করতে না পারে সেজন্য দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এই প্রতিষ্ঠানের সাথে জনগণকে সম্পৃক্ত করেন। বর্তমানে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে নির্মিত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবার ‘বাতিঘর’ এই প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে জনগণ জমি দিচ্ছেন, সরকার ভবন করে দিচ্ছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রমের পুরোটাই পরিচালিত হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ মানেই স্মার্ট উদ্যোগ। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার উদ্ভাবন মানেই জনবান্ধব কর্মসূচি। কমিউনিটি ক্লিনিক পাল্টে দিচ্ছে গ্রামীণ জনপদ। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে কমিউনিটি ক্লিনিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

বিশ্ববাসী আজ শেখ হাসিনাকে গুরুত্ব না দিয়ে পারে না


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক ফরিদা ইয়াসমিন, এমপি যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

আজকে আমরা ১৭ মে নিয়ে কথা বলছি। যেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। আবার গত বছর এই দিনে তাঁর চিন্তা প্রসূত কমিউনিটি ক্লিনিককে জাতিসংঘ ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আজকে আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলছি, উন্নয়নশীল বাংলাদেশের কথা বলছি, যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখছি, একদিন উন্নত বাংলাদেশ হব বলে স্বপ্ন দেখছি এই সবকিছু শেখ হাসিনার স্বপ্ন, শেখ হাসিনার ইনিশিয়েটিভ। বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা স্মরণ করতে চাই সে দিনটি যেদিন শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এলেন। সমগ্র বাঙালীর আনন্দিত উদ্বেলিত অপেক্ষার দিন। সমস্ত কিছু উপেক্ষা করে মানুষ বঙ্গবন্ধু কন্যাকে স্বাগত জানিয়েছে সেদিন। সেদিন তিনি দেশে আসার পর ৩২ নম্বরে ঢুকতে পারেননি। তিনি চেয়েছিলেন একটি মিলাদ করবেন, নিজের বাড়িতে ঢুকবেন কিন্তু সেটি তিনি পারেননি। তাকে রাস্তায় বসে মিলাদ পড়াতে হয়েছে। তার ওপর এত জুলুম বাধা বিপত্তি সব কিছু পেরিয়ে আজকে তিনি বাংলাদেশের শুধু রাষ্ট্রনায়ক না, তিনি সারা বিশ্বের একজন নেতা হিসেবে পরিণত হয়েছেন। বিশ্ববাসী আজ শেখ হাসিনাকে গুরুত্ব না দিয়ে পারে না। বাংলাদেশের একজন প্রধানমন্ত্রীকে সেরকম গুরুত্ব না দিলেও পারত কিন্তু তারা শেখ হাসিনাকে উপেক্ষা করতে পারেন না। কারণ তিনি শেখ হাসিনা। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা। তাঁর যে স্বপ্ন, তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন সেটি সকলের কাছে একটি বিস্ময়। আজকে পাকিস্তানিরা বলে আমাদেরকে বাংলাদেশ বানিয়ে দাও। 

ছিয়ানব্বইয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেই শেখ হাসিনা জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেন। কমিউনিটি ক্লিনিক এর মত একটি উদ্যোগ এটি কেউ চিন্তাও করেননি। এটা একেবারে শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত। কিন্তু সরকারের পালা বদল হবার সাথে সাথে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসেছে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিলেন। কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ হওয়ার ফলে আবার জনগণের স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়ে। বিভিন্ন জায়গায় কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো একেবারে ভূতড়ে বাড়ির মত হয়ে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী পরের বার ক্ষমতায় এসে সেই ক্লিনিকগুলো আবার চালু করেন। জাতিসংঘ এটিকে মডেল হিসেবে নিয়েছে এবং ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার সেটি বন্ধ করে দিয়েছিল। আজকের দিনে এসে বুঝা যায় যে এটি আসলে কতটা ইনোভেশন ছিল। শেখ হাসিনার এই উদ্যোগ আজ অন্যান্য দেশ অনুসরণ করতে চায়। 


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

১৮ কোটি মানুষের ঠিকানা জননেত্রী শেখ হাসিনা


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক অধ্যাপক ডা. নুরুল হুদা লেনিন যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

১৭৮১ সালে পলাশি যুদ্ধে ইতিহাসের ঘৃণিত সেনাপতি মির্জাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় নবাব সিরাজ উদ্দৌলার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ২০০ বছরের গোলামী আমাদের ললাটে এসেছিল। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ স্বাধীন হলেও বাঙালী এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা পায়নি। যার পটভূমিতে বীরদর্পে আবির্ভূত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ থেকে ৭৫’ বাঙালি জাতির ভাগ্যাকাশে স্বাধীনতার লাল পতাকা উড়েছিল বাঙালী আশায় বুক বেধেছিল। কিন্তু বাংলার নব্য মির্জাফরেরা জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার চেতনাকে ভুলুন্ঠিত করেছিল। ভাগ্যক্রমে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা বিদেশে থাকার কারণে জীবনে বেচে যান। কোন অন্যায় না করেও পিতার অসাধারণ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত স্বাধীন বাংলাদেশে আসতে তাকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। সামরিক শাসক এবং শাসনের কারণে বরণ করতে হয়েছিল নির্বাসিত জীবন। দেশের আপামর জনগণ, আবাল-বৃদ্ধা-বণিতা শেখ হাসিনার এই অকৃত্রিম ভালোবাসাকে হৃদয়ের বেরোমিটার দিয়ে মাপতে পারে তাকে বাংলায় রুখবে কে। তাইতো ঐক্যের প্রতীক হয়ে বাঙালির ভাগ্যাকাশে জ্বলজ্বলে স্বধীনতার সূর্য হাতে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরেছিলেন শেখ হাসিনা নামের একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। যার আলোর বিচ্ছরণ ঘটাচ্ছে ১৮ কোটি মানুষের প্রতিটি হৃদয়ে। বাঙালির ভাগ্য উন্নয়নের চাকা এখন সঠিক পথে সঠিক গন্তব্যের দিকে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ধাবমান। 

১৯৮১ সালের ১৭ মে যেদিন তিনি বাংলার মাটিতে পা রাখেন সেদিন তার পথ ছিল অনেকটা কন্টকাকীর্ণ। নিজের বাড়ি, নিজের পিতার বাড়িতে একজন সাধারণ নাগরিকেরও প্রবেশের অধিকার থাকে। কিন্তু শেখ হাসিনার সেই অধিকার খর্ব করা হয়েছিল। ১৯৮১ সালের ১৭ মে, দেশের মাটিতে পা রাখার পর শেখ হাসিনার হৃদয়ের টেবিলে দু’টি ফাইল ছিল। দু’টি ফাইলের একটি ছিল ৭৫ এর ১৫ আগস্ট পিতা-মাতাসহ স্বজন হারানো মমগাথা ও তাঁর বিচার প্রসঙ্গ। অন্যটি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ তথা বাঙালী জাতির ভাগ্য উন্নয়ন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে যদি জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে না ফিরতেন, তবে বাঙালি জাতির ভাগ্য কখনো আলোর মুখ দেখতো না। তলিয়ে থাকতো অটল অন্ধকারে। তাইতো বাংলার মানুষ সবাই ধারণ করে একটি শ্লোগান, ‘১৮ কোটি মানুষের ঠিকানা, জননেত্রী শেখ হাসিনা।’  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

বদলে যাওয়ার বাংলাদেশের কারিগরি শেখ হাসিনা


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বিয়োগান্তের ঘটনায় জাতি ছিল দিক নির্দেশনাহীন। নারকীয় এই ঘটনায় জনগণ হয়ে পড়েন দিশেহারা। প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করার কোন শক্তি সাহস ছিল না। দলের অনেক বড় বড় নেতাও ছিলেন কিংকর্তব্যবিমূঢ়। ধানমন্ডির ৩২ বাড়ি ছিল কবরের নীরবতা। সমগ্র জাতি তখন অন্ধকারে। সামরিক বুটে পিষ্ঠ গণতন্ত্র। নির্বাসনে সংবিধান আর মানুষের মৌলিক অধিকার। বাক স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিল না। এমনকি বঙ্গবন্ধু নাম উচ্চারণ ছিল নিষিদ্ধ। 

তৎকালীন রেডিও, টেলিভিশন কোথাও বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করতে দেওয়া হত না। দেশকে টেলে দেওয়া হয়েছিল উল্টোপথে। ১৯৭১ সালে যে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল ১৯৭৫ এসে সেই বাংলাদেশ হারিয়ে গিয়েছিল। সারা দেশে শুধু তখন হতাশ আর নাভিশ্বাস অবস্থা। এর প্রায় ৬ বছর পর নির্বাসনে থাকার জননেত্রী শেখ হাসিনা জীবনের পরোয়া না করে ভয় ভীতি উপেক্ষা করে অনেক ঝুকি নিয়ে পরিবারের সদস্যদের বিদেশের মাটিতে রেখে সেই ১৯৮১ সালের ১৭ মে পদাপণ করেন বাংলার মাটিতে। তিনি যখন দেশে এসেছিলেন তখন অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারণ হয়। 

আমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ তাকে পেয়ে আনন্দিত উদ্বেলিত ছিলেন। তিনি এসেছিলেন এক আলোক বতিতা, আলোর ফেরিয়াওলা হয়ে। তিনি হয়ে উঠেন সকলের আশা আকাঙ্ক্ষা প্রতীক। বিশ্বস্ততার ঠিকানা। শাসক গোষ্ঠীর ভিত তখন কেপে উঠেছিল। দেশে আসার পর জননেত্রী শেখ হাসিনার চলার পথ সহজ ছিল না। মসৃণ ছিলো না। কিন্তু তিনি সমস্ত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে তার মেধা, দক্ষতা, সততা, নিষ্ঠা, যোগ্যতা, প্রজ্ঞা, সৃজনশীলতা উদার গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি আর দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল আর আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। জনগণ ফিরে পায় তার সব ধরনের অধিকার। আল্লাহ অশেষ রহমত শেখ হাসিনার মতা আমরা একজন নেত্রী পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু বানিয়েছেন বাংলাদেশ আর শেখ হাসিনা বানিয়েছেন বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। যত দিন থাকবে শেখ হাসিনার হাতে দেশ পথ হারাবে না বাংলাদেশ।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের বিস্ময়


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক অধ্যাপক ডা. নাহিদ ফেরদৌসী যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের মৌলিক চরিত্রকেই বদলে ফেলা হয়। বিশেষ করে পাকিস্তানি ধারায় সামরিক শাসনের সংস্কৃতির প্রবর্তন ঘটে দেশে। সাম্প্রদায়িকতা ফিরে আসে রাজনীতি, প্রশাসন, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরে। একের পর এক স্বপ্নভঙ্গের ঘটনা ঘটতে থাকে দেশে। বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। ঠিক এমন প্রতিকূল সময় ১৯৮১ সালের ১৭ মে সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তস্নাত মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন বাঙালির মুক্তির মহানায়কের যোগ্য উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার স্বদেশে ফেরার ওইদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। তুমুল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে একনজর দেখার জন্য বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর এলাকাজুড়ে ছিল মানুষের ঢল। শেখ হাসিনা - সেদিন বাংলার মাটিতে ফিরে এসেছেন কোটি বাঙালির আশার প্রদীপ হয়ে - বাঙালি জাতিকে আলোর ঠিকানায় পৌছে দিতে। সেদিন বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সারা দেশ থেকে আসা লাখ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হন বঙ্গবন্ধু কন্যা। জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার শপথ নেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।

জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার সাহসী ভূমিকা রেখে চলেছেন। তিনি ফিরে আসার পর আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ফিরে পেয়েছি। দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ এর সূচনা হয়েছে। ছিয়ানব্বইয়ে সরকার গঠন করে তিনি ‘দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বাতিল আইন, ১৯৯৬’ সংসদে পাশ করে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের ঘাতকদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করান এবং পরবর্তীতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসেন। তাঁর আন্তরিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় মহান ‘২১ ফেব্রুয়ারি’ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পায়। ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কারো মধ্যস্থতা ছাড়াই স্বাক্ষরিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি।

১৭ মে ২০২৩ দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য উদ্ভাবন “কমিউনিটি ক্লিনিক'-কে জাতিসংঘ “দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ' হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটা বাংলাদেশের সবার জন্য গর্বের। জাতিসংঘ প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্ভাবনী চিন্তাকে জাতিসংঘের অন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোকেও অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের বিস্ময়। তার গতিশীল নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে। 


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন