ইনসাইড গ্রাউন্ড

স্টয়নিসের তান্ডবে লন্ডভন্ড লঙ্কানরা

প্রকাশ: ০৮:২৩ পিএম, ২৫ অক্টোবর, ২০২২


Thumbnail

মার্কাস স্টয়নিসের ব্যাটিং দেখে মনে হতে পারে কোন টিভি পর্দায় কোন পুরনো ম্যাচের হাইলাইটস চলছে। বিভ্রান্ত হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়, কেননা বেছে বেছে বাউন্ডারিগুলো যে দেখানো হয় হাইলাইটসে। তবে এটি কোন ম্যাচের হাইলাইটস নয়, অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার সুপার টুয়েলভ ম্যাচের লাইভ এটি। যেখানে এক স্টয়নিস ঝড়ে উড়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। তার অতিমানবীয় ইনিংসের কল্যাণে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে আসরের প্রথম জয় পেলো অস্ট্রেলিয়া।

পার্থ স্টেডিয়ামে সুপার টুয়েলভ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামে অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কা। টস জিতে লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ের পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। এই ম্যাচটি ছিলো বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের জন্য টুর্নামেন্টে টিকে থাকার লড়াই । ম্যাচের শুরুতেই ফর্মে থাকা কুশল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে সেই কথার সমর্থন দেয় স্বাগতিকরা। তবে পাথুম নিশাঙ্কা ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এগিয়ে নেন দলকে। অ্যাডাম জাম্পার পরিবর্তে একাদশে ঢোকা অ্যাস্টন অ্যাগারের শিকার হয়ে দলীয় ৭৫ রানে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন ডি সিলভা। ৯৭ রানে রান আউটে কাটা পড়েন নিশাঙ্কাও। এরপরই আবার ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালায় অজিরা। 

২৩ রানের ব্যবধানে অজি বোলাররা তুলে নেন রাজাপাকশে, অধিনায়ক শানাকা ও হাসারাঙ্গার উইকেট। মিডল অর্ডারের এই ধস বড় সংগ্রহের পথে বাঁধা হয়ে দাড়ায় শ্রীলঙ্কার জন্য। একাই যতটুকু লড়াই চালিয়ে গেলেন চারিথ আশালঙ্কা। তার ২৫ বলে ৩৮ রানের ইনিংসে লড়াইয়ের পুঁজি পায় দল। ঠিক ওয়ানডে মেজাজে খেলা নিশাঙ্কার ব্যাট সর্বোচ্চ থেকে আসে সর্বোচ্চ ৪০ রান। নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৫৭ রান তুলতে পারে লঙ্কানরা।

এ ম্যাচে ৭জন ভিন্ন ভিন্ন বোলারকে আক্রমণে আনেন অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ১টি করে উইকেট নেন হ্যাজেলউড, কামিন্স, স্টার্ক, অ্যাস্ট অ্যাগার ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। দীর্ঘদিন পর বোলিং করা মিচেল মার্শ ও মার্কাস স্টয়নিস ছিলেন উইকেট শূন্য।

স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ের শুরুটা ছিলো সাদামাটা। এ ম্যাচও ব্যাট হাতে ব্যর্থ ডেভিড ওয়ার্নার। মাহেশ থিকসানার বলে শানাকার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে করেন মাত্র ১১ রান। মিচেল মার্শকে নিয়ে একটু একটু করে এগোতে থাকেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। দলীয় ৬০ রানে বিদায় নেন মিচেল মার্শ। ক্রিজে এসে ম্যাক্সওয়েল শুরু থেকেই চড়াও হন লঙ্কান বোলারদের উপর। ১১তম ও ১২তম ওভারে যথাক্রমে এক ও দুই রান দিয়ে চাপ সৃষ্টি করেন অজিদের উপর। বাউন্ডারি লাইনে আশেন বান্দারার দারুণ এক ক্যাচে ১২ বলে ২৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ম্যাক্সওয়েলও। এরপরই মাঠে নামেন স্টয়নিস।

স্ট্রেইন ইনজুরি থেকে ফেরার পর ব্যাটে হাতে দ্যুতি ছড়াতে পারছিলেন না মার্কাস স্টয়নিস। তবে দলের বাঁচা মরার লড়াইকে প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ হিসেবে বেছে নিলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে তুলে নেন ৩টি বাউন্ডারি। খানিকটা চাপমুক্ত হয় স্বাগতিকরা। তখনো কেউ ভাবতে পারেনি লঙ্কানদের জন্য কি অপেক্ষা করছে! স্টয়নিসের এই আগ্রাসী মনোভাব দেখে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক বল তুলে দেন চলতি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হাসারাঙ্গার হাতে। সে ওভার থেকে ১৯ রান তুলে নেন স্টয়নিস। পরের ওভারে বোলিং এ আসেন আরেক স্পিনার মাহেশ থিকসানা। আগে দুই ওভার বল করে মাত্র ৩ রান দেয়া থিকসানার এই ওভারে ৩টি ছয় হাকিয়ে নামের পাশে আরো ২০ রান যোগ করেন তিনি। এতেই ১৭ বলে অর্ধশতক তুলে নিয়ে অজিদের ইতিহাসে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ড গড়েন স্টয়নিস। 

তার ৬ ছক্কা ও ৪ বান্ডারিতে ২১ বল হাতে রেখই জয় নিশ্চিত করে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ১৮ বলে ৫৯ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন স্টয়নিস। এ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ২ পয়েন্ট ছাড়াও ঋণাত্নক রানরেটও বেশ কমিয়ে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

ম্যাচে লঙ্কান বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝড় বয়েছে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা উপর। ওভারপ্রতি ১৭.৬৬ গড়ে ৩ ওভার বল করে ৫৩ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল বোলার হাসারাঙ্গা। 

আগামী ২৮ অক্টোবর মেলবোর্নে নিজেদর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে অস্ট্রেলিয়া।


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   অস্ট্রেলিয়া   শ্রীলঙ্কা   সুপার টুয়েলভ   মার্কাস স্টয়নিস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

শ্বাসরুদ্ধ ম্যাচে বাংলাদেশের জয়

প্রকাশ: ০৯:৪৫ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাট হাতে শুভসূচনার পর অল্পেই গুটিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ বল হাতেও করেছিল দুর্দান্ত শুরু। তবে হাল না ছাড়া জিম্বাবুয়ে লড়েছে শেষ পর্যন্ত। যদিও টাইগারদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি তারা। আর তাই টানা চার জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিকরা।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ১৯.৫ ওভারে ১৪৩ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে নির্ধারিত ১৯.৪ ওভারে ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। টাইগারদের জয় ৫ রানে।

রান তাড়া করতে নেমে খাতা খোলার আগেই তাসকিনের বলে আউট হন বেনেট। তিনে নামা সিকান্দার রাজাকেও বোল্ড করেন এ পেসার। রাজা করেন ১৭ রান। আরেক ওপেনার তাদিওয়ানশে মারুমানিকে আউট করেন সাকিব। তিনি করেন ১৪ রান।

রিশাদের বলে মাদান্দে ১২ রানে আউট হলেও হাল ছাড়েনি জিম্বাবুয়ে। দলের হয়ে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন জনাথন ক্যাম্পবেল ও রায়ান বার্ল। দুজনের ৩৫ রানের জুটিতে ম্যাচে ফিরে আসে তারা। তবে বার্ল ১৯ রানে আউট হলে আবার ধাক্কা খায় সফরকারীরা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান করে সাকিবের বলে আউট হন ক্যাম্পবেল। শেষ ওভারে জম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। সাকিবের করা ওভারের তৃতীয় বলে ছয় হাঁকান মুজারাবানি। 

তিন বলে ৭ প্রয়োজন, এমন পরিস্থিতিতে পরপর দুই বলে ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতান সাকিব। তিনি চারটি, মুস্তাফিজুর তিনটি, তাসকিন দুটি এবং রিশাদ একটি করে উইকেট শিকার করেন।

এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। আগেই সিরিজ নিশ্চিত করা বাংলাদেশ এ ম্যাচে ৩ পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে। দলকে ব্যাট হাতে ভালো শুরু এনে দেন তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার।

শুরু থেকে কিছুটা নড়বড়ে ছিলেন সৌম্য। তবে অন্যপ্রান্তে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন তামিম। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৩৪ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন তামিম। দুজনের জুটিতে ১১তম ওভারে দলীয় শতক পূরণ করে বাংলাদেশ। তবে এরপরই ছন্দপতন।

লুক জঙ্গের বলে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ৫২ রানে সাজঘরে ফেরেন তামিম। এরপরের গল্পটা জিম্বাবুয়ের বোলারদের। যেখানে আসা যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন টাইগার ব্যাটাররা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন সৌম্য।

তিনে নামা হৃদয় ১২ রানে সাজঘরে ফেরেন। দলের আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। জিম্বাবুয়ের সেরা বোলার জঙ্গে ৩ উইকেট নেন। এছাড়া বেনেট এবং গারাভা দুটি ও রাজা একটি করে উইকেট শিকার করেন।

জিম্বাবুয়ে   শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

উড়ন্ত শুরুর পর দুরন্ত পতন বাংলাদেশের, অবশেষে সংগ্রহ ১৪৩

প্রকাশ: ০৭:৫০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম-সৌম্যের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। সেই ধারাবাহিকতায় বিনা উইকেটে শতকের ঘরেও পৌঁছেছিল টাইগাররা। আর তাই ভক্ত-সমর্থকরা ভেবেছিল বড় স্কোর করতে যাচ্ছে টিম টাইগার্স। কিন্তু  অতি শীঘ্রই সেই ভাবনা ধুলোই মিশিয়ে দিয়েছে তারা। ৪২ রানের মধ্যে ১০ উইকেট খুঁইয়ে অবশেষে ১৪৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করাতে পেরেছে নাজমুল শান্তর দল।

শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যায় মিরপুর শের-ই-বাংলায় টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। যেখানে অফফর্মে থাকা লিটন দাসকে বাদ দিয়ে দলে ফেরা সৌম্যের সাথে ওপেনিংয়ে নেমে এদিন ভালো শুরু করেন তানজিদ তামিম। সাত চার এবং ১ ছক্কার সহায়তায় ৩৪ বলেই ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ফিফটি ‍তুলে নেন এই তরুণ ওপেনার। অন্যদিকে একটা লম্বা সময় পর দলে ফিরে ভালো করেন সৌম্যও। তাদের জুটিতে দলীয় শতকে পৌঁছায় টাইগাররা।

তবে শতকের ঘরে পৌঁছানোর পরই শুরু হয় পতন। একের পর এক উকেট যেন নিজ হাতে বিলিয়ে দিয়েছেন টাইগার ব্যাটাররা। আর এতে করে ১৪৩ রানের স্বল্প পুঁজিতে অল আউট হয় বাংলাদেশ।

এদিন বিপর্যয়ের শুরুটা হয় তানজিদ তামিমকে দিয়েই। ৩৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করার পর তিনি লুক জঙওয়ের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়েছেন। যদিও নিজের কাজটা ঠিকই করে গিয়েছিলেন তিনি। ৫২ রানে ফেরেন এই ওপেনার। একই বোলারকে উইকেট দিয়েছেন সৌম্যও কিছুটা ধীরগতির ইনিংসে ৩৪ বলে ৪১ করে হয়েছেন এলবিডব্লু।

চলতি সিরিজে দারুণ ছন্দে থাকা হৃদয়ও এদিন ব্যর্থ। সিকান্দার রাজার বলে সুইপ খেলতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে বেনেটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মিডল অর্ডারের এই ভরসা। ১০ মাস পর টি-টোয়েন্টি খেলতে এসে ব্যর্থ সাকিবও। ব্যাটে-প্যাডে বিশাল গ্যাপ দিয়ে বল ঢুকতে সমস্যাই হয়নি। বেনেটের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ১ রান করেই।

একই ওভারের শেষ বলে ফিরেছেন অধিনায়ক শান্ত। দম ফেলার আগেই ফিরেছেন সাকিব আল হাসান (১), অধিনায়ক নাজমুল শান্ত (২) ও জাকের আলি (৬)। আসা-যাওয়ার মিছিল দেখে মিরপুরের গ্যালারিতে তখন ভুয়া ভুয়া স্লোগান।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

তামিম-সৌম্যের ব্যাটে বাংলাদেশের উড়ন্ত শুরু

প্রকাশ: ০৬:৫৬ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ। এদিন অফফর্মে থাকা লিটন দাসকে বাদ দিয়ে দলে ফিরেছেন সৌম্য সরকার। আর সৌম্যের সাথে এদিন ওপেনিংয়ে নেমে এদিন ভালো শুরু করেন তানজিদ তামিম।

শুক্রবার (১০ মে) মিরপুর শের-ই-বাংলায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তানজিদ তামিম শুরু থেকেই আছেন উড়ন্ত ছন্দে। সাত চার এবং ১ ছক্কার সহায়তায় ৩৪ বলেই তুলেন নিয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ফিফটি।

এদিন দ্বিতীয় ওভারেই ব্লেসিং মুজারাবানির ওভার দিয়ে শুরু। সেই ওভারে পেয়েছেন একটি চারের দেখা। পরের দুই ওভারে ছিল আরও দুইটি করে চারের দেখা। মুজারাবানির পরের ওভারেও জুনিয়র তামিম দেখালেন নিজের ব্যাটিং কারিশমা। জোড়া চার ছিল সেই ওভারেও। এমনকি পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারেও ছিল দুই চার। যদিও সেবার একটা চার আছে লেগবাই থেকে।

পাওয়ারপ্লেতে তামিমের এমন তাণ্ডব দেখেই কিনা ঝড় শুরু করেছেন সৌম্য সরকারও। সপ্তম আর অষ্টম ওভারে বাংলাদেশের ইনিংসের প্রথম দুই ছক্কাও এসেছে সৌম্যর ব্যাট থেকে। আর ইনিংসের নবম ওভারে এসে ফিফটির দেখা পান তানজিদ তামিম।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১১ ওভারে বিনা উইকেটে ১০০ রান।


তানজিদ তামিম   সৌম্য সরকার   বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৫:৪৬ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই তিন ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে এবং সবকটিতেই জিতে দুই ম্যাচ বাকি রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে টাইগাররা। যার জন্য বাকি দুই ম্যাচ অনেকটাই নিয়ম রক্ষার।

তবে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির জন্য কিছু পরীক্ষা–নিরীক্ষা চলছে টাইগার স্কোয়াডে, তাই একেবারে গুরুত্বহীনও নয় এই ম্যাচগুলো। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার (১০ মে) চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে মিরপুর শের-ই-বাংলায় রোডেশিয়ানদের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। যেখানে টস হেরে আগে ব্যাটিং করবে নাজমুল হোসেন শান্ত’র দল।

এই ম্যাচের একাদশে টাইগাররা তিনটি পরিবর্তন এনেছে। স্কোয়াডে নতুন করে যুক্ত হওয়া সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান ও সৌম্য সরকার এই ম্যাচের একাদশে ফিরেছেন।

বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, জাকের আলি অনিক, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ব্রায়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), জোনাথন ক্যাম্পবেল, ক্লাইভ মাদান্দে, রায়ান বার্ল, ‍লুক জঙ্গুই, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ফারাজ আকরাম, ব্লেসিং মুজারাবানি ও রিচার্ড এনগারাবা।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আয়ারল্যান্ড সিরিজ খেলা নিয়ে সুখবর পেলেন আমির

প্রকাশ: ০৫:২৭ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছর পর অবসর ভেঙে আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন মোহাম্মদ আমির। ঘরের মাঠে প্রত্যাবর্তনটা মন্দ হয়নি তার। তবে মাঠের বাইরের ইস্যুতে সমস্যায় পড়েছিলেন তারকা এই পেসার।

টি-২০ বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। দলে আছেন আমিরও। তবে ভিসা জটিলতায় দলের সঙ্গে আয়ারল্যান্ডের বিমানে চড়া হয়নি তার। তাতে সিরিজটি খেলা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। অবশেষে সে সমস্যার সমাধান হয়েছে।

দল চলে যাওয়ার দুই দিন পর আয়ারল্যান্ডের ভিসা পেয়েছেন আমির। পাকিস্তান দলের অন্যদের সঙ্গে গত মাসেই আয়ারল্যান্ডের ভিসা পেতে আবেদন করেছিলেন তিনি। তবে খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফসহ দলের সবার ভিসা হলেও আমির পাননি।

এরই মধ্যে মঙ্গলবার (৭ মে) আমিরকে দেশে রেখে আয়ারল্যান্ডে রওনা দেয় পাকিস্তান দল। ক্রিকেট পাকিস্তান জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৯ মে) আয়ারল্যান্ডের ভিসা পেয়েছেন আমির। তার ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

পরে আইরিশ দূতাবাসে ভিসার জন্য আবারও কাগজপত্র জমা দেন আমির। আসন্ন সিরিজের আগে ভিসা নিয়ে ঝামেলায় পড়েছিলেন ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ ইউসুফও। তবে শেষ পর্যন্ত ভিসা নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় দলের সঙ্গেই আয়ারল্যান্ডের উদ্দেশে উড়াল দিতে পেরেছেন তিনি।


মোহাম্মদ আমির   পাকিস্তান   নিউজিল্যান্ড   আয়ারল্যান্ড  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন