দেশের
রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। বিএনপি দলগুলো সরকারের পতনের দাবিতে এখন
এক সুরে কথা বলছে। বিএনপি ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ শেষে এখন বিভাগীয় গণসমাবেশ করছে।
বিভাগীয় সমাবেশ শেষে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহা সমাবেশ করবে দলটি। এর বাইরে সরকারের
পতনের দারিতে এক সঙ্গে আন্দোলন করার লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ রাজনৈতিক জোট।
বাম গণতান্ত্রিক জোটও সারাদেশ ব্যাপী গণপদযাত্রার কর্মসূচি দিয়েছে। নভেম্বরে ঢাকায়
সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে তারা। এছাড়া অন্যান্য আরও ২২ সমমনা রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে
সংলাপ করছে। সংলাপ শেষে চূড়ান্ত কর্মসূচি নিয়ে সরকার পতনের যুগপৎ আন্দোলন করবে বলে
জানা গেছে। প্রসঙ্গত কারণেই এখন প্রশ্ন উঠছে রাজপথ কার দখলে?
উল্লেখ্য
যে, গত প্রায় ১৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে সরকারবিরোধী আন্দোলন করছে বিএনপি। ২০১৫ সালে আন্দোলন
কিছুটা তীব্র হলেও সে আন্দোলন শেষ পর্যন্ত সফলতার মুখ দেখেনি। এরপর বারবার আন্দোলন
করার চেষ্টা করেছে দলটি। কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে। আন্দোলন করতে না পারার কারণে
কিছুদিন আগেও বিএনপি নেতাদের তিরস্কার করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতারা। সরকার
পতনের দাবিতে আন্দোলনের ব্যর্থতা নিয়ে বিএনপির নেতাদের পদত্যাগ করার আহ্বানও জানিয়েছিল
আওয়ামী লীগের নেতারা। সেই বিএনপি এখন রাজপথে সমাবেশ করছে। প্রতিবন্ধকতা থাকা স্বস্তেও
সমাবেশ প্রচুর জনসমাগম হচ্ছে। তাদের এই জনসমাগম দেখে সরকার ভীত বলে দাবি করছে বিএনপি।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে দল গোছাচ্ছে, সন্মেলন করে। দলটি দাবি
করছে বিএনপি কিছুটা সক্রিয় হলেও সমাবেশে খুব বেশি জনসমাগম হচ্ছে না। বিএনপির হুংকারে
মোটেও বিচলিত নয় আওয়ামী লীগ। বরং আওয়ামী লীগ মাঠে নামলে বিএনপি ধুলিসাৎ হয়ে যাবে বলে
দাবি করছে বিএনপি। পরস্পরের এমন হুংকারের প্রশ্ন উঠছে তাহলে রাজপথ এখন কার দখলে?
রাজপথে
আওয়ামী লীগ আছে কিনা জানতে চাইলে দলটির একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য, একজন যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক এবং একজন সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, আওয়ামী লীগের রাজপথ ছেড়ে
যাওয়ার কোনো প্রশ্নই উঠে না। কারণ আওয়ামী লীগের জন্মই হয়েছে রাজপথে সংগ্রামের মধ্য
দিয়ে। আওয়ামী লীগ সব সময় রাজপথে আছে, থামবে। আমরা আমাদের নিজেদের মতো করে রাজনৈতিক
কর্মসূচি পালন করছি। কোনো দলের পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছি না।
বিশ্লেষকরা
বলছে, রাজপথ এখন কার দখলে এটি পরিমাপ করা মুসকিল। তবে এটা অস্বীকার করার কোনো উপায়
নেই যে, বিএনপি রাজপথে দুর্বল। বিএনপি আগের চেয়ে অনেকটা সংগঠিত এবং তাদের সমাবেশগুলোতে
প্রচুর জনসমাগম হচ্ছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ হয়তো বিএনপির মতো গণসমাবেশ করছে না। কিন্তু
দলটি এখন সংগঠিত হচ্ছে, দল গোছাচ্ছে। তবে এটা সত্য যে, আওয়ামী লীগ টানা তিন মেয়াদে
রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার কারণে দলটির মধ্যে অন্তকোন্দাল বেড়েছে। যার সর্বশেষ উদাহরণ হলো
জেলা পরিষদ নির্বাচন। তবে রাজপথ কার দখলে সেটার জন্য আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।
রাজপথ বিএনপি আওয়ামী লীগ সরকার পতন
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান
বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে।
তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে
যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা
একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের
রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ
এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম।
আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত
সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন
কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের
উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম
ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক
তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে
প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।
আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে
সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান
কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার
সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের
কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে
এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল
হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা
বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা
রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ
এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ
নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা
পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান
হাবিব খান।
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।