ইনসাইড পলিটিক্স

প্রবাসী সরকার গঠনের নীলনকশা

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৯ অক্টোবর, ২০২২


Thumbnail প্রবাসী সরকার গঠনের নীলনকশা

বিএনপি এখন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। আওয়ামী লীগ সরকারকে হটিয়ে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ধারাবাহিক কর্মসূচি শুরু করেছে দলটি। এই কর্মসূচির সর্বশেষ অংশ হিসেবে আজ রংপুরে মহাসমাবেশ করেছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে এবং এরপর বিএনপির এমপিরা সংসদ থেকে পদত্যাগ করবেন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বড় ধরনের আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তারা। এক পর্যায়ে তারা সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাতে অসহযোগ সহ নানা রকম কর্মসূচি পালন করবে এমন ঘোষণা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির আড়ালে বিএনপি এখন ভিন্ন খেলা খেলছে। লন্ডনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি নতুন ষড়যন্ত্র আবার শুরু হয়েছে। বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, লন্ডনে বসে একটি প্রবাসী সরকার গঠনের নীলনকশার নীরব বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। 

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে যখন আন্দোলন হবে এবং এই আন্দোলনের একটি পর্যায়ে অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি এ রকম সময় নির্বাচনের আগে আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অর্জিত না হলে বিএনপি লন্ডনে বসে একটি প্রবাসী সরকার গঠন করবে এমন পরিকল্পনা নিয়ে বেশ কিছু খবর পাওয়া গেছে। এই পরিকল্পনার মূল উদ্যোক্তা লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। এই প্রবাসী সরকার কেন, কীভাবে কাজ করবে তা নিয়ে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। একটা পর্যায়ে বিএনপি ঘোষণা করতে চায় যে, বর্তমান সরকার অবৈধ এবং এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না এবং তারা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিবে। নির্বাচন বর্জনের পাশাপাশি যে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন বর্জন করবে তাদেরকে নিয়ে একটি প্রবাসী সরকার গঠিত হবে। এই প্রবাসী সরকারের প্রধান ভাবা হচ্ছে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াকে। এছাড়াও বিএনপির যে সমস্ত পলাতক নেতা বিদেশে অবস্থান করছে তাদেরকে এই প্রবাসী সরকারের রাখা হতে পারে বলে জানা গেছে। বিএনপি ছাড়াও জামায়াত এবং আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের বিদেশে পলাতক দণ্ডিত ব্যক্তিদেরকে প্রবাসী সরকারে রাখা হবে। বিএনপি-জামায়াত ছাড়াও প্রবাসী সরকারে তথাকথিত কিছু বুদ্ধিজীবীকে রাখারও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। যারা এখন বিদেশে বসে তথ্য সন্ত্রাস করছে, সরকারের বিরুদ্ধে নানারকম অপপ্রচার এবং মিথ্যাচার করছে এরকম কয়েকজন ব্যক্তিকেও প্রবাসী সরকার রাখা হবে। 

প্রবাসী সরকার গঠনের মূল উদ্দেশ্য হলো এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সরকারের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করা এবং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মহলে এটি উপস্থাপন করা যে, এই সরকার বৈধ নয় বরং প্রবাসী সরকার বৈধ। কাজেই নির্বাচনের পর যেন বিএনপি আন্দোলন করতে পারে এবং এই আন্দোলনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সমর্থন এবং সহানুভূতি আদায় করতে পারে সেই লক্ষ্যেই এই প্রবাসী সরকার গঠনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। প্রবাসী সরকার গঠনের অর্থ হচ্ছে যে, দেশে বিদ্যমান বৈধ সরকারকে অস্বীকার করা এবং এক ধরনের বিচ্ছিন্নতা। সেই বিচ্ছিন্নতার পথেই পা বাড়াচ্ছে বিএনপি। একাধিক সূত্র বলছে, সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন মানবে না তখন স্বাভাবিকভাবে তারা নির্বাচনের দিকে যাবে। আর সে নির্বাচনকে যেন প্রশ্নবিদ্ধ করা হয় এবং নির্বাচন যেন আন্তর্জাতিক মহলে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না হয় সেই জন্যেই প্রবাসী সরকার কাজ করবে। বাংলাদেশে এ ধরনের প্রবাসী সরকার গঠনের ইতিহাস অতীতে নাই। একসময় বিচ্ছিন্নতাবাদী তামিলরা প্রবাসী সরকার গঠন করেছে। ভারতের বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতা গ্রুপ প্রবাসী সরকারের আদলে কিছু করলেও সেটি তেমন কোনো সাড়া ফেলতে পারেনি। এখন তারেক জিয়ার তথাকথিত প্রবাসী সরকার ফর্মূলা কি ফল দেবে সেটাই দেখার বিষয়। 

প্রবাসী সরকার   তারেক জিয়া   বিএনপি   তথ্যসন্ত্রাস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মামলা গোপন করায় ওবায়দুল কাদেরের ভাইয়ের মনোনয়নপত্র বাতিল

প্রকাশ: ০২:০৭ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

রোববার (৫ মে) দুপুর ১২টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।

জানা যায়, আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে সেতুমন্ত্রীর ভাইসহ চারজন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন-

১। ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন

২। উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল

৩। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল

৪। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ওমর আলী

ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি তিনজনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। সংশোধন পূর্বক জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর আপিলের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।

ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন বলেন, ‘আমার নামে যে মামলা ছিল তা আমার জানা ছিল না। এ ছাড়া আয় বিবরণীর হিসাব দেওয়া হয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তা তা খেয়াল করেননি। আপিল করার সুযোগ আছে। আমি আপিল করবো। আশা করি আমার মনোনয়ন বৈধ হবে’।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাই মন্ত্রী। স্বজন বলতে সন্তান-স্ত্রীকে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেটা ক্লিয়ার করেছেন। আমার ভাই ওবায়দুল কাদের সাহেবও সেটা ক্লিয়ার করেছেন। আশা করি স্বজনের ভুল ব্যাখ্যা থেকে সবাই সরে আসবে’।

প্রসঙ্গত, আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন। একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি সবার মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের   শাহদাত হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মন্ত্রী-এমপি স্বজনদের বিরত রাখা দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এখানে আইনগত কোনো বিষয় নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (৫ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন দেশের কর্তাব্যক্তিরা আমাদের দেশে মানবাধিকার যে চোখে দেখে, নিজের দেশে সেই দৃষ্টিতে দেখবে না কেন?

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই। তবে সত্য বললে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তো কিছু করার নেই। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ দমনে যে আচরণ করা হয়েছিল, একই রকম নির্মম আচরণ এখন করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে তারা কথা বলে। আমরা কি এসব নিয়ে কথা বলতে পারবো না? আমাদের দেশে তারা যে দৃষ্টিতে মানবাধিকার দেখে সে দৃষ্টিতে নিজের দেশে দেখবে না কেন? তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব নেই এমন কথাতো আমরা বলিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যুদ্ধের কারণে বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে তা বাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশ এ প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। যেমন, দ্রব্যমূল্যের যে চাপ তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই।

সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করলে নির্বাচনটি আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে—এ ভাবনা থেকে আওয়ামী লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত করেছে। এর মানে এই নয় যে অন্যান্য দলগুলো নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারবে না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ান আব্দুস সবুর, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


মন্ত্রী-এমপি   ওবায়দুল কাদের   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আঙুলের ছাপ না মিললে প্রিজাইডিং অফিসার দিতে পারবে ভোট

প্রকাশ: ১০:৪১ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোট। নির্বাচনে ভোট গ্রহণে ২২ উপজেলায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসি। এক্ষেত্রে শুরুতেই পাঁচটি উপায়ে ভোটারের পরিচিত নিশ্চিত করতে হবে।

কোনো কারণে যদি পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং না হয় তাহলে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে ওই ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায়ভার সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে বহন করতে হবে।

সম্প্রতি নির্বাচন পরিচালনা-২ (অধিশাখা)-এর উপসচিব আতিয়ার রহমানের সই করা বিশেষ পরিপত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের সবশেষ প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুসারে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে বৈধ ভোটারকে উপস্থিত হতে হবে। তবে ভোট দেওয়ার আগেই সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৫টি উপায়ে ভোটার শনাক্ত করবেন।

সেগুলো হচ্ছে…

১। স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে।

২। স্মার্ট কার্ডের নম্বর ব্যবহার করে।

৩। ১৭ ডিজিটের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ব্যবহার করে।

৪। ১২ ডিজিটের ভোটার নম্বর ব্যবহার করে।

৫। আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে।

আর এসবের যে কোনো একটি উপায়ে ভোটারের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং না হলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবস্থা নেবেন।

তিনি (সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার) প্রথমে ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে পরবর্তীতে নিজের আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে ভোটারকে শনাক্ত করবেন। এক্ষেত্রে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার উক্ত ভোটারকে শনাক্তকরণের সম্পূর্ণ দায়ভার বহন করবেন বলেও পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে এই উপায়ে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার মোট ভোটারের সর্বোচ্চ ১ শতাংশ ভোটারকে শনাক্ত করে ইলেক্ট্রনিক ব্যালট ইস্যু করতে পারবেন। আর যেসব ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং হবে না এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ইলেক্ট্রনিক ব্যালট ইস্যু করবেন, সেসব ভোটারের জন্য আলাদা লগ পোলিং কার্ডে সংরক্ষণ করতে হবে।

এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যদি অবৈধভাবে ভোট প্রদানের অপচেষ্টা করেন এবং উক্ত ব্যক্তির সংরক্ষিত আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অবৈধ ভোটার হিসেবে প্রমাণিত হয়, তাহলে তথ্য প্রযুক্তি আইন এবং (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

এছাড়া, যে সকল ভোটারকে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে শনাক্ত করবেন সে সকল ভোটারের তালিকা নির্ধারিত রেজিষ্ট্রারে ভোটারের নাম ও ভোটার নম্বর লিখে স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন এবং নিজেও সই করবেন।

প্রসঙ্গত, ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে। এতে সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, কাজীপুর, পাবনা জেলার সাঁথিয়া, সুজানগর, বেড়া, যশোর জেলার মনিরামপুর, কেশবপুর, পিরোজপুর জেলার পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর, ইন্দুরকানী, মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর, হরিরামপুর, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ, জামালপুর জেলার জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ী, চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।

এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট ৬ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।


নির্বাচন কমশিন   ইভিএম   প্রিজাইডিং অফিসার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বহিষ্কৃত হয়েও ভোটে অটল বিএনপির নেতারা

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত না মেনে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় প্রায় দেড়শ নেতাকে বহিষ্কার করেছে দলটি। যারা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন তাদের বহিস্কার করে বিএনপি।

উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় ৮০ জনকে বহিষ্কারের পর শনিবার (৪ মে) দ্বিতীয় দফায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর স্বাক্ষরিত নোটিশের মাধ্যমে ৬১ জনকে বহিষ্কার করা হয়। তবে দলের পদ হারালেও উপজেলা নির্বাচনের মাঠে হারতে চান না বহিষ্কৃত নেতারা। তারা নির্বাচনে জয়ের প্রত্যাশা নিয়েই ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন। কেউ কেউ আশা-নিরাশার দোলাচলেও রয়েছেন। কারণ জয়ী না হলে দুকূলই হারাতে হবে তাদের।

এ বিষয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে সর্বশেষ ফাঁদ পেতেছে সরকার। এর আগে জাতীয় নির্বাচনেও ফাঁদ পেতেছিল; ভেবেছিলেন বিএনপিকে নির্বাচনে নিতে পারবে; কিন্তু বিএনপি সেই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। যেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না, সেই নির্বাচনের প্রয়োজন বাংলাদেশে নেই।’ প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনে (সংসদ) ভোট দিতে গিয়েছিল লোকজন? এবারও যাবে না।’

দলটি থেকে বহিস্কৃত কয়েক নেতা জানান, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন না করায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা হতাশ এবং দ্বিধান্বিত। তা ছাড়া এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় বিএনপি সুবিধা করতে পারত।

তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাপেই অধিকাংশ নেতা এবারের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন; কিন্তু বিএনপি তাদের বহিষ্কার করেছে।

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী রমিজ উদ্দিন (লন্ডনি) বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ ভালোই আছে। আমি জয়ের ব্যাপারে অত্যন্ত আশাবাদী; কিন্তু বিএনপি তো আমাদের বহিষ্কার করেছে।’

দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন বাবর আলী বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল নেতাকর্মীদের পরামর্শে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছি। এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ ভালো। আশা করছি জয়ী হব।’ তিনি বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল, আমার সিদ্ধান্ত আমি নিয়েছি।’

শেরপুরের নকলা উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সদস্য মো. মুকশেদুল হক শিপলু বলেন, ‘১১ বছর কারাগারে ছিলাম। এখনো ঠিকমতো বাড়িঘরে থাকতে পারি না। এলাকার মানুষের ভালোবাসা ও সমর্থনে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও ভোটের মাঠে আছি, থাকব।’

প্রথম ধাপে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৮০ জনকে বহিষ্কার করেছিল বিএনপি। তবে ভুল স্বীকার করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রোমানা আহমেদকে দলে ফেরানো হয়েছে। এবার দ্বিতীয় ধাপে প্রার্থী হওয়ায় ৬১ জনকে বহিষ্কার করল বিএনপি। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৬, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৯ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৬ জন। সবমিলিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে প্রায় দেড়শ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। এমন পরিস্থিতেও তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করছেন কেউ কেউ। তারা এলাকায় প্রার্থী হতে প্রচার চালাচ্ছেন। ফলে চার দফার উপজেলা নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত বহিষ্কারের সংখ্যা তিন শতাধিক হতে পারে বলে মনে করছে বিএনপির হাইকমান্ড।

বিএনপির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে যেসব নেতা প্রার্থী হয়েছেন আমরা তাদের সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগ ও বৈঠক করে দলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত তাদের কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। ফলে দল এখন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছে।’

বিএনপির কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ‘দলের নির্দেশ অমান্য করে যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন, তারা লোভী। তারা দেশ, দল ও জাতির শত্রু। তারা ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর। এ ধরনের সুবিধাবাদীদের দলে আর স্থান দেওয়া হবে না। তাদের সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধেও দলের পক্ষ থেকে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

দ্বিতীয় ধাপে যারা বহিষ্কৃত হলেন তারা হল..

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার হাবিব আল-আমিন ফেরদৌস, মোরসালিন বিন মমতাজ রিপন, লাইলী বেগম, দেবীগঞ্জ উপজেলার রফিকুল ইসলাম বুলবুল ও আব্দুর রহিম, ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার মো. হযরত আলী, নীলফামারীর সৈয়দপুরের রিয়াদ আরফান সরকার রানা, দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ফিরোজা বেগম সোনা, বীরগঞ্জ উপজেলার রিয়াজুল ইসলাম রীজু ও মামুনুর রহমান মামুন, গাইবান্ধায় শিল্পী খাতুন, নওগাঁর পোরশা উপজেলার মমতাজ বেগম, নাটোরের লালপুরের ভিপি আরিফ, বাগাতিপাড়ার জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক, পাবনার ফরিদপুর উপজেলার জিয়াউর রহমান ও নাসরিন পারভিন মুক্তি, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জুলফিকার আলী ভুট্টো, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ইন্দোনেশিয়া শিতু, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার আমিরুল ইসলাম ও গোলাম রহমান, খুলনার দীঘলিয়ায় এনামুল হক মাসুম, ফুলতলা উপজেলার সাব্বির আহমেদ রানা, বরগুনা সদর উপজেলার অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম, সানাউল্লাহ সানি ও জয়নুল আবেদীন রাফি মোল্লা, মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার মো. আব্দুল মান্নান ও খন্দকার লিয়াকত হোসেন, নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার মাহমুদুল হাসান রবিন, টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর উপজেলার মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ও তাসলিমা জেসমিন পাপিয়া, মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার মাহবুবুর রহমান বাচ্চু হাওলাদার, রাজবাড়ী সদর উপজেলার শাহিনুর আক্তার বিউটি, ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আসাদ মাতব্বর, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলার হোসাইন নুর মোহাম্মদ আনির, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার রোকসানা বেগম, শেরপুরের নকলা উপজেলার মোকসেদুল হক শিপলু, রেজাউল করিম, দেওয়ান মামুন ও দেওয়ান কোহিনুর, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সাইফুল ইসলাম চৌধুরী কামাল, তাহিরপুর উপজেলার আবুল কাশেম, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার হারুনুর রশিদ দুলাল, মোহন মিয়া বাচ্চু ও মদিনা আক্তার, জামালগঞ্জ উপজেলায় নুরুল হক আফিন্দি ও আব্দুল্লাহ আল-মামুন, সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ছাদ উদ্দীন সাদ্দাম ও পলিনা রহমান, গোয়াইনঘাট উপজেলা শাহ আলম স্বপন, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মাওলানা আব্দুল হেকিম, রাজনগর উপজেলার ডলি বেগম, হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার আলফা বেগম, নবীগঞ্জ উপজেলার মজিবুর রহমান সেফু ও আব্দুল আলিম ইয়াছিন, নোয়খালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার আবু বক্কর সিদ্দীকি রুবেল, কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সাফায়েত আজিজ রাজু, বান্দরবানের লামা উপজেলার জাকের হোসেন মজুমদার, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার কামাল উদ্দীন, হামিদা চৌধুরী এবং চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার আবু সুফিয়ান রানা ও রাবেয়া আক্তার রুবি।


বহিষ্কৃত   বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির লক্ষ্যই হলো চক্রান্তের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা: কাদের

প্রকাশ: ০৯:৩৮ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির লক্ষ্যই হলো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে যে কোনো উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে নস্যাৎ করা। সেজন্য তারা লাগাতারভাবে মিথ্যাচার-অপপ্রচার ও গুজব সৃষ্টি করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপরাজনীতি করে।

শনিবার (৪ মে) রাতে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি নেতৃবৃন্দ অসংলগ্ন ও লাগামহীন বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছে অভিযোগ করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: এখন কাদের কাকে নির্দেশ অমান্যকারী বলবেন

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক যে কোনো বিষয়কে ফাঁদ মনে করে, আর সে কারণেই তারা চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে হালকা হিসেবে জনগণের সামনে তুলে ধরার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। গণতান্ত্রিক যে কোনো বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, প্রথা, বিধি-বিধান ও নির্বাচন তাদের কাছে ফাঁদ বলে মনে হয়।  তিনি বলেন, বিএনপিকে এদেশের মানুষ ভালো করেই চেনে। বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন এবং তাদের নেতাদের হাঁক-ডাকে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। 

ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নেতৃবৃন্দ ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার কথা বলেছেন! বন্দুকের নলের মুখে জোরপূর্বক রাষ্ট্র ক্ষমতাদখলকারী একজন গণধিকৃত ব্যক্তিকে বিএনপি গণনায়কে রূপান্তরিত করার অপচেষ্টা করছে। বিএনপির এই অপচেষ্টা জনগণ কখনো গ্রহণ করেনি। জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না।’ 

তিনি বলেন, ‘প্রকৃত ইতিহাস তার আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হবে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী এবং গণতন্ত্র হত্যাকারী একজন স্বৈরশাসক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় থেকে যাবে।’

আরও পড়ুন: বিএনপির সরব নেতারাও এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছেন

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান বাঙালি জাতির কাছে একজন সামরিক স্বৈরশাসক হিসেবেই অভিহিত হবেন। আওয়ামী লীগ কখনো ইতিহাস বিকৃতিতে বিশ্বাস করে না। বরং জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছে। বিএনপির শাসনামলে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিকৃত ও মিথ্যা ইতিহাস প্রচার করা হয়েছে। এমনকি ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ পর্যন্ত বাজাতে দেওয়া হয়নি। 


বিএনপি   ওবায়দুল কাদের   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন