প্রেস ইনসাইড

প্রথম আলো: প্রতারণায় জন্ম, বিভ্রান্তিতে বিকাশ

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ০৪ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

আজ ৪ নভেম্বর, দেশের অন্যতম শীর্ষ দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ২৪ বছরে পা রাখলো দেশের এই অন্যতম জনপ্রিয় দৈনিক পত্রিকাটি। প্রথম আলোর ২৪ বছরের ইতিহাস প্রতারণা ও বিভ্রান্তির ইতিহাস। প্রথম আলোর ইতিহাস জানতে গেলে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের ইতিহাস জানাটা অত্যন্ত জরুরি। সাপ্তাহিক একতার মাধ্যমে মতিউর রহমানের সাংবাদিকতা জীবনের শুরু। তিনি আসলে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির সার্বক্ষণিক একজন নেতা এবং সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য। কমিউনিস্ট পার্টি থেকেই তাকে সাপ্তাহিক একতার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো এবং এ কথা অস্বীকার করার কোনো কারণ নেই মতিউর রহমানের নেতৃত্বে সাপ্তাহিক একতা একটি প্রভাবশালী সাপ্তাহিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলো। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়নের গ্লাসনস্ত ও পেরেস্ত্রইকার ঢেউ বাংলাদেশেও আছড়ে পড়ে। আর সেই ধাক্কায় কমিউনিস্ট পার্টি বিভ্রান্ত হয়, ম্রিয়মাণ হয় ও ভেঙ্গে পড়ে। একসময় সাপ্তাহিক একতাও বন্ধ হয়ে যায়। বেকার হয়ে যান মতিউর রহমান। বেকার মতিউর রহমান তখন দৈনিক সংবাদসহ বিভিন্ন কাগজে লেখালেখি করছিলেন। এসময় একঝাঁক তরুণের উদ্দীপনায় প্রকাশিত হয় আজকের কাগজ। সবে স্বৈরাচারের পতন ঘটেছে। আর স্বৈরাচারের পতনের পর গণমাধ্যমের স্বাধীনতার নতুন বিস্ফোরণ ঘটায় আজকের কাগজ। প্রকাশের পর থেকেই ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হতে থাকে। নাঈমুল ইসলাম খানের সম্পাদনায় পত্রিকাটি বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় এক নতুন ধারার সূচনা করে।

মতিউর রহমান বুদ্ধিমান, বুঝতে দেরি করেননি। একঝাঁক তরুণের কাগজে বিভ্রান্ত বাম এসে যুক্ত হন। নাঈমুল ইসলাম খানকে রাজি করাতে সক্ষম হন এবং আজকের কাগজের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে চাকরী নেন। এসময় আজকের কাগজে তরুণদেরকে নানাভাবে প্রলুব্ধ করা, বিভ্রান্ত করা, তাদের সাথে প্রতারণার এক নবযাত্রা শুরু করেন। আজকের কাগজ তখন তারুণ্যের টগবগে এক সাংবাদিকতার নাম। এই তরুণদেরকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় খাওয়ানো, তাদের সাথে নানারকম গোপন শলা-পরামর্শ করে আজকের কাগজে ভাঙ্গন ধরান মতিউর রহমান। কাজী শাহেদ আহমেদের বিরুদ্ধে নাঈমুল ইসলাম খানকে মুখোমুখি দাড় করান। এক পর্যায়ে আজকের কাগজ থেকে ১৪০ জন কর্মী বেরিয়ে যায়। যে ষড়যন্ত্রের মূল খলনায়ক ছিলেন মতিউর রহমান। আজকের কাগজ থেকে বের হবার আগেই মতিউর রহমান শাহবাগে একটি নতুন পত্রিকার জন্য অফিস ভাড়া নেন। তাকে অর্থ যোগান বাংলাদেশের একজন বিত্তবান শিল্পপতি। তিনি হলেন সাবের হোসেন চৌধুরী। সাবের হোসেন চৌধুরীকে মতিউর রহমান আশ্বস্ত করেন যে আজকের কাগজের সব তরুণদেরকে নিয়ে আসতে তিনি সক্ষম হবেন। আজকের কাগজের প্রকাশক কাজী শাহেদ আহমেদ বিষয়টি জানতেন। এক রাতে আজকের কাগজের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেন কাজী শাহেদ। ফলে আজকের কাগজের সমস্ত কর্মীরা পদত্যাগ করেন এবং সেই সময়ে আজকের কাগজের অন্যতম মালিক ইমপ্রেস গ্রুপের শান্তিনগরের কার্যালয়ে গিয়ে আশ্রয় নেন। এই অচলাবস্থায় মতিউর রহমান নিয়ে আসেন বিনিয়োগকারী এবং নতুন কাগজের জন্য আবেদন করেন। সেই কাগজের প্রকাশক হন মতিউর রহমান। ভোরের কাগজ নামের পত্রিকাটির প্রকাশক মতিউর রহমান হয়েছিলেন নাঈমুল ইসলাম খানের আবেগ এবং ভুল সিদ্ধান্তের কারণে। কারণ, তিনি বুঝতেই পারেননি যে কত বড় প্রতারণার শিকার তিনি হতে যাচ্ছেন। যাইহোক, যেহেতু আজকের কাগজ থেকেই সব তরুণরা ভোরের কাগজে এসে যোগ দিয়েছিলো তাই ভোরের কাগজ প্রকাশিত হবার পর থেকেই পত্রিকাটি ব্যাপক সাড়া জাগায়। এই সময়ে মতিউর রহমানের প্রতারণার আরেক খেলা শুরু হয়। তিনি ভোরের কাগজ থেকে নাঈমুল ইসলাম খানকে বের করে দেয়ার এক নীরব খেলায় মেতে উঠেন। এই সময়ে আজকের কাগজের যারা কর্মী ছিলেন, যারা সবচেয়ে বেশী কাজ করতেন এবং যারা অন্যতম নীতিনির্ধারক ছিলেন তাদের মালিকানার লোভ দেখান। সবাইকে মালিক করা হবে তরুণদের এমন এক প্রতারণার ফাঁদে বিভ্রান্ত করেন মতিউর রহমান। এরপর নাঈমুল ইসলাম খানকে পদত্যাগে বাধ্য করেন তার সহকর্মীরাই যারা নাঈমুল ইসলাম খানের হাতে গড়া।

নাঈমুল ইসলাম খানের বিদায়ের পর মতিউর রহমান আস্তে আস্তে ভোরের কাগজের সর্বেসর্বা হয়ে উঠেন। তিনি তার নিজস্ব লোকজনকে ভোরের কাগজে ঢুকাতে থাকেন এবং তরুণ মেধাবীদেরকে আস্তে আস্তে বিদায় করে দেন।  একসময় ভোরের কাগজের নতুন মালিক প্রকাশ্যে আসেন। সাবের হোসেন চৌধুরীর মালিকানায় ভোরের কাগজের পূর্ণ কর্তৃত্ব চলে যায় মতিউর রহমানের হাতে। চাকরী ছেড়ে দেন সেখানকার মেধাবী নিরলস পরিশ্রম করে যারা পত্রিকাটি দাড় করেছেন সেই সমস্ত সাংবাদিকরা। একসময় ভোরের কাগজের বিরুদ্ধে প্রতারণা শুরু করেন। সাবের হোসেন চৌধুরী যখন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, সেই সময় থেকেই মতিউর রহমান ভিন্নরূপে আত্মপ্রকাশ করতে থাকেন। এসময় তিনি গোপনে যোগাযোগ করতে থাকেন আরেক শিল্পপতি লতিফুর রহমানের ট্রান্সকম গ্রুপের সঙ্গে এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ১৯৯৮ সালে তিনি প্রথম আলো প্রকাশ করেন। যেখানে ভোরের কাগজের প্রায় সমস্ত মেধাবী তরুণদের নিয়ে যাওয়া হয়। এক রাতেই প্রায় ভোরের কাগজকে মেধাশূন্য করে ফেলেন মতিউর রহমান। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা যেমন বুদ্ধিজীবী নিধন করেছিলো ঠিক তেমনি ভোরের কাগজকে হত্যা করেন মতিউর রহমান। ভোরের কাগজ থেকে সমস্ত সংবাদকর্মীদের নিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের প্রথম আলো। প্রথম আলোর ইতিহাস তাই প্রতারণার। আর ১৯৯৮ সাল থেকেই পত্রিকাটির প্রধান লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভ্রান্তি ছড়ানো, বিরাজনীতিকরণ, রাজনীতিবিদদের চরিত্রহনন করা এবং একটি সুশীলনীতি বাস্তবায়ন করা। ২০০৭ সালে প্রথম আলো সেই উদ্যোগে সফল হয়েছিলো। মতিউর রহমান চেয়েছিলেন মাইনাস ফর্মুলা বাস্তবায়ন করতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জনগণের বাঁধায় মাইনাস ফর্মুলা বাস্তবায়িত হয়নি। কিন্তু এখনো প্রথম আলো বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক বিভ্রান্তির নাম। আর এ কারণেই জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, প্রথম আলো তিনি পড়েন না। কারণ, প্রথম আলোর লক্ষ্যই হলো বিভ্রান্তি ছড়ানো।

মতিউর রহমান   প্রথম আলো  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

বাংলাদেশ ব্যাংককে কঠোর হুঁশিয়ারি সাংবাদিকদের

প্রকাশ: ০৭:০৮ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে আরোপিত কড়াকড়ি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতারা। তা না হলে আগামীতে বড় ধরনের আন্দোলনের হুমকি দেন সাংবাদিক নেতারা।

বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর পুরানা পল্টন অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ)  সাংবা‌দিক নেতারা এসব কথা বলেন। 

‘সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা আরোপ বিষয়ে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দকে অবহিতকরণ’ বিষয়ক এক সভার আয়োজন করা হয়। ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধার সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সম্পাদক আবুল কাশেম। ইআরএফ সভাপতি ব‌লেন, গত দেড় মা‌সের বে‌শি সময় ধ‌রে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হ‌য়ে‌ছে। ইতোম‌ধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স‌ঙ্গে একাধিকবার যোগা‌যোগ করা হ‌য়ে‌ছে। কিন্তু কো‌নো সুরাহা হয়‌নি। এমন প‌রি‌স্থি‌তি‌তে তথ্য সংগ্রহে বাধা ও অবাধ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা তু‌লে নি‌তে কী কর‌তে পা‌রি এ বিষয় পরামর্শ ও মতামত নি‌তে এ আয়োজন করা হ‌য়ে‌ছে। রাজ‌নৈ‌তিক মতাদ‌র্শের ঊর্ধ্বে থে‌কে সাংবা‌দিক‌দের স্বার্থে সবাইকে পরামর্শ দেওয়ার আহ্বান জানান ইআরএফ সভাপতি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ইআরএফের প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক ও ইং‌রে‌জি দৈ‌নিক দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, ইআরএফের সা‌বেক সভাপ‌তি ম‌নোয়ার হো‌সেন, বেসরকারি বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের (ইউএনবি) উপদেষ্টা সম্পাদক ফরিদ হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন- ডিইউজের (একাংশ) সভা‌প‌তি সো‌হেল হায়দায় চৌধুরী, সাজ্জাদ আলম খান তপু, ডিইউজের অপর অংশের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন ম‌হি, ইআরএফের সি‌নিয়র সদস্য সো‌হেল মঞ্জুর, ইআরএফের সা‌বেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, এস এম রাশিদুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ ব্যাংক   সাংবাদিক  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

ফের পিআইবির ডিজি হলেন জাফর ওয়াজেদ

প্রকাশ: ১০:৫০ এএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

একুশে পদক পাওয়া সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদকে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এ নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৭ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। 

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) আইন অনুযায়ী বিশিষ্ট সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদকে তার বর্তমান নিয়োগের ধারাবাহিকতায় ও অনুরূপ শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছর মেয়াদে পিআইবির মহাপরিচালক পদে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলো।

এই পুনঃচুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল পিআইবির মহাপরিচালক পদে যোগদান করেন তিনি। এরপর আরও দুইবার পিআইবি’র মহাপরিচালক পদে নিয়োগ পান জাফর ওয়াজেদ। সর্বশেষ মঙ্গলবার টানা চতুর্থবারের মতো এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি। 


পিআইবি   জাফর ওয়াজেদ   ডিজি  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

ভুয়া খবর প্রকাশের তালিকায় প্রথম আলো!

প্রকাশ: ০৩:৩১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের মূলধারার গণমাধ্যমে ২০২৩ সালে ছড়ানো ভুয়া খবর পরিসংখ্যানের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বুম বাংলাদেশ। প্রতিবেদনে প্রকাশিত খবরের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক ৪৪টি ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর খবর চিহ্নিত হয়েছে এবং গণমাধ্যমগুলো তাদের ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে রেটিংয়ের মুখে পড়েছে। আগের তিন বছরের তুলনায় এই সংখ্যা অনেক বেশি।

বুম বাংলাদেশের পরিসংখ্যানে সর্বোচ্চসংখ্যক ভুয়া খবর প্রচার করেছে সময় টিভি, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আরটিভি ও বাংলানিউজ। তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো তালিকায় স্থান পেয়েছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং আস্থাভাজন দৈনিক গণমাধ্যম প্রথম আলো।

বুম বাংলাদেশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভুয়া খবর প্রচারে টানা চতুর্থবারের মতো শীর্ষে রয়েছে বেসরকারি টেলিভিশন ‘সময় টিভি’। ২০২৩ সালে গণমাধ্যমটি এককভাবে সর্বোচ্চ ৯টি ভুয়া খবর প্রচার করেছে। এ ছাড়া ৭টি ভুয়া খবর প্রচার করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আরেক বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভি এবং ৬টি ভুয়া খবর প্রকাশ করে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলানিউজ২৪।

এ ছাড়া ৫টি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে ঢাকা পোস্ট, আজকের পত্রিকা, সমকাল, আমাদের সময় ও দৈনিক ইত্তেফাক। ৪টি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে চ্যানেল ২৪, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, বাংলা ট্রিবিউন ও প্রথম আলো। ৩টি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে ডিবিসি নিউজ, বিডিনিউজ২৪, জাগোনিউজ২৪, জুম বাংলা, ডেইলি বাংলাদেশ, যমুনা টিভি, রাইজিং বিডি, একাত্তর টিভি ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন। ২টি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে চ্যানেল আই, নাগরিক টিভি, ইনকিলাব, নয়া দিগন্ত, মানবকণ্ঠ, কালবেলা, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, নিউজ ২৪, মানবজমিন, বাংলা ভিশন, সংবাদ প্রকাশ, সারাবাংলা ডট নেট ও বাংলাদেশ জার্নাল। ১টি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে বৈশাখী টিভি, দৈনিক আমাদের সময়, সাম্প্রতিক দেশকাল, ঢাকা মেইল, দেশ টিভি, নিউ ন্যাশন, দেশ রুপান্তর, বাংলাদেশ টুডে, ভোরের কাগজ, সময়ের আলো, নিউজবাংলা, দৈনিক বাংলা, যায়যায়দিন, দৈনিক সংগ্রাম, ভোরের ডাক, প্রতিদিনের বাংলাদেশ, এনটিভি, নয়া শতাব্দী, বায়ান্ন টিভি ও বিবিএস বাংলা।

বুম বাংলাদেশের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে দেশীয় মূলধারার গণমাধ্যমে মোট ৪৪টি ঘটনায় ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর খবর প্রচার হতে দেখা গেছে। এই ৪৪টি ঘটনার মধ্যে কোনো ঘটনায় একটি গণমাধ্যমে ভুয়া খবরটি প্রচার হয়েছে, আবার কোনো কোনো ঘটনায় একটি ভুয়া খবর একাধিক গণমাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছে। এমনও দেখা গেছে, তথ্য যাচাই না করে অন্যের খবর কপি করে প্রকাশের কারণে কোনো কোনো ঘটনায় ১৫ এর অধিক মূলধারার গণমাধ্যম একই ভুয়া খবরের ফাঁদে পা দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ফেসবুকের ফ্যাক্ট চেক পার্টনার হিসেবে বুম বাংলাদেশ দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত সেসব ভুয়া খবর নিয়ে কাজ করেছে, যেসব ভুয়া খবর গণমাধ্যমগুলো তাদের ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে প্রচার করেছে। পরিসংখ্যানে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সেসব ভুয়া খবরের হিসেবই উঠে এসেছে, যেসব ভুয়া খবরকে খণ্ডন করে বুম বাংলাদেশ প্রতিবেদন তৈরি করেছে এবং গণমাধ্যমগুলোর সংশ্লিষ্ট ফেসবুক পোস্টকে রেট করেছে। তাই এই পরিসংখ্যানে বাংলাদেশে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভুয়া খবরের পুরো চিত্র ফুটে উঠবে না বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বুম বাংলাদেশ   প্রথম আলো   ভুয়া খবর  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

সাব এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি অনিক, সম্পাদক জাওহার

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের নির্বাচনে সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন ডিবিসি নিউজের মুক্তাদির অনিক। আর সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশের আলোর জাওহার ইকবাল।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল।

ঘোষিত ফলাফলে সভাপতি পদে ৩৫৯ ভোট পেয়ে মুক্তাদির অনিক বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কে এম শহীদুল হক ২৩২ ভোট এবং আবুল কালাম আজাদ পান ২২৮ ভোট।

আর সাধারণ সম্পাদক পদে জাওহার ইকবাল খান ৪৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কবীর আলমগীর পেয়েছেন ৩১৬ ভোট। 

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শহীদ রান ৪৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৌফিক অপু পেয়েছেন ৩২৯ ভোট।

নির্বাচনে সহসভাপতি পদে আলী ইমাম সুমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মনির আহমাদ জারিফ, কোষাধ্যক্ষ পদে নাজিম উদ-দৌলা সাদি, দফতর সম্পাদক পদে জাফরুল আলম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে আরিফ আহমেদ, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক পদে তারেক হোসেন বাপ্পি, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নাহিদ হাসান, কল্যাণ সম্পাদক পদে মীম ওয়ালী উল্লাহ এবং নারী বিষয়ক সম্পাদক পদে ফারজানা নাজনীন ফ্লোরা বিজয়ী হয়েছেন।

এছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য পদে শামসুল আলম সেতু, আনজুমান আরা শিল্পী, আজুমান আরা মুন, জেসমিন জাহান, তানজিমুল নয়ন, মাশরেকা জাহান ও মোহাম্মদ আবু ইউসুফ বিজয়ী হয়েছেন।

সাব এডিটরস কাউন্সিল  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

বিডিনিউজ সম্পাদক খালিদীর বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট দাখিল

প্রকাশ: ০৬:৪৯ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে দুদক।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। আদালত আগামী ১০ জুন অভিযোগপত্র গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন রেখেছেন। দুদকের উপপরিদর্শক আক্কাস আলী এ তথ্য জানান।

গত ১৮ এপ্রিল তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচার মামলার চার্জশিটে অনুমোদন দেয় দুদক। 

অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে ২০২০ সালের ৩০ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ ওই মামলা করেন। 

এতে বলা হয়েছে, কোনো ধরনের বৈধ উপার্জন ছাড়াই তৌফিক ইমরোজ খালিদী এইচএসবিসি, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট্র ব্যাংক লিমিটেডের চারটি ব্যাংকের বিভিন্ন হিসাবে ৪২ কোটি টাকা জমা রেখেছেন। ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে প্রতারণার মাধ্যমে তিনি এসব টাকা অর্জন করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

এর আগে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত বিডিনিউজের ৯টি ও তৌফিক ইমরোজ খালিদীর নিজ নামে ১৩টি স্থায়ী আমানতের মোট ৪২ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছিলেন। তার আগে একই বছরের ২৬ নভেম্বর খালিদীকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিডিনিউজ প্রধান সম্পাদক। অভিযোগপত্র অনুমোদনের পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘এ অভিযোগ এতটাই হাস্যকর, যুক্তিহীন ও ভিত্তিহীন যে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতাকে এটা গভীরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। এক্ষেত্রে তদন্তের যে দীর্ঘসূত্রতা হলো, আর তার যে ফল এ পর্যন্ত এল, তাতে কার্যত ন্যায়বিচার থেকেই বঞ্চিত রাখা হলো। এ ধরনের প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে সাধারণ মানুষের মনে আস্থার সংকট তৈরি করতে পারে। তারপরও আমরা এর নিষ্পত্তিতে বিচার ব্যবস্থা এবং বিচারকদের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখতে চাই। আমি আত্মবিশ্বাসী, ন্যায়বিচার আমি পাব।’

বিডিনিউজ   দুদক   তৌফিক ইমরোজ খালিদী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন