ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র নাইমুল আবরার হত্যা মামলা পুনরায় সচল করার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেছেন নাইমুল আবরারের বাবা মজিবর রহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে এই আবেদন দাখিল করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর এই হত্যা মামলার কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে। কিন্তু দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশের ব্যাপারে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি এবং একারণেই নিম্ন আদালতে বিচার কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। এখন আবরারের বাবা মজিবর রহমান হাইকোর্টে এই মামলাটি দ্রুত নিষ্পতি করে নিম্ন আদালতে যেনো বিচার কাজ হয় সেজন্য আবেদন করেছেন।
উল্লেখ্য যে, ২০১৯ সালের পহেলা নভেম্বর কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে মারা যান নবম শ্রেণীর ছাত্র নাইমুল আবরার রাহাত। এই ঘটনায় প্রথম আলো কর্তৃপক্ষের সীমাহিন গাফিলতি এবং দায়িত্বহীনতা ছিলো। এই অভিযোগে ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর আবরারের বাবা মজিবর রহমান প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর মামলা তদন্ত করে পুলিশ এবং ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি প্রথম আলো সম্পাদক, কিশোর আলো সম্পাদকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিটের জন্য আবেদন করে পুলিশ। ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর জজ কে এম ইমরুল কায়েস আবরার হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ৯ আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন। একই সঙ্গে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ঐ বছরের ১৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন। কিন্তু তার আগেই হাইকোর্টে মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। প্রথম আলো সম্পাদকের এই আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে বিচারপতি রেজাউল হক এবং বিচারপতি আতাউর রহমানের নেতৃত্ত্বে ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার সকল কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। তারপর থেকেই মামলাটি ধামাচাপা পড়ে আছে। আবরারের বাবা মজিবর রহমান এই মামলা যেনো আবার চালু হয় নিম্ন আদালতে সেইজন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। অবশেষে গতকাল তিনি হাইকোর্টে যেনো মামলা বাতিলের মতিউর রহমানের আবেদনের শুনানি শুরু হয় সেজন্য আবেদন করেছেন।
তার আইনজীবীরা বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, দীর্ঘ দুই বছর ধরে একটি হত্যা মামলা আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় পরে আছে। আমরা হাইকোর্টে আবেদন করবো। এবং হাইকোর্ট শুনানির পর এই মামলা সম্পর্কে নির্দেশনা দিবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করছি। হাইকোর্ট যদি এই মামলার স্থগিতাদেশ তুলে নেয় সেক্ষেত্রে নিম্ন আদালতে এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নাইমুল আবরারের বাবা মজিবর রহমান বলেন, ২০১৯ সালে আবরার মারা গেছে। তারপর প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ একের পর এক প্রভাব বিস্তার করছে। এই মামলা যেনো আমি এগিয়ে নিয়ে না যাই সেজন্য আমাকে নানারকম প্রলোভন দেখিয়েছে, ভয়-ভীতি দেখিয়েছে। কিন্তু আমি আমার পুত্রের হত্যার বিচার চাই। আবেগ আপ্লুতভাবে মজিবর রহমান বলেছেন যে এই বিচারের শেষ দেখে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করতে চান।
উল্লেখ্য যে, নাইমুল আবরার রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের মেধাবী ছাত্র ছিলো। এ ধরণের হত্যাকান্ডের ঘটনার পর একই মামলা দুই বছর বিচারের অপেক্ষায় থাকা নিয়ে বিভিন্ন মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যেখানে যে কোন হত্যা মামলার ব্যাপারে সমাজে একটা আলোড়ন তৈরী হয় এবং বিভিন্ন মহল এ নিয়ে সোচ্চার থাকে সেখানে নাইমুল আবরারের হত্যাকান্ড নিয়ে সব মহল চুপ। কারণ প্রথম আলোর সম্পাদক এর সাথে জড়িত রয়েছে। এ কারণেই এই মামলা নিয়ে কারো কোন উদ্বেগ- উৎকণ্ঠা নেই বলে আবরারের বাবা মনে করেন। তবে তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এই মামলাকে তিনি এগিয়ে নিয়ে যাবেন। হাইকোর্টের নিয়ম অনুযায়ী আবেদন এখন নিষ্পত্তি করার জন্য একটি বেঞ্চে দেয়া হবে এবং সেই বেঞ্চ শুনানির দিন তারিখ ঠিক করবে।
আবরার হত্যা প্রথম আলো কিশোর আলো বিচার
মন্তব্য করুন
একুশে পদক পাওয়া সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদকে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের
(পিআইবি) মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এ নিয়ে
টানা চতুর্থবারের মতো এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৭ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন
জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) আইন
অনুযায়ী বিশিষ্ট সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদকে তার বর্তমান নিয়োগের ধারাবাহিকতায় ও অনুরূপ
শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছর মেয়াদে পিআইবির মহাপরিচালক পদে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক
নিয়োগ দেওয়া হলো।
এই পুনঃচুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র
দ্বারা নির্ধারিত হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল পিআইবির মহাপরিচালক পদে যোগদান করেন
তিনি। এরপর আরও দুইবার পিআইবি’র মহাপরিচালক পদে নিয়োগ পান জাফর ওয়াজেদ। সর্বশেষ মঙ্গলবার
টানা চতুর্থবারের মতো এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
বুম বাংলাদেশ প্রথম আলো ভুয়া খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিডিনিউজ দুদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী
মন্তব্য করুন
বিটিভি ও দৈনিক সমকাল পত্রিকার শেরপুর জেলা প্রতিনিধি দেবাশীষ ভট্রাচার্যকে সভাপতি ও বাংলা ইনসাইডারের স্টাফ রিপোর্টার প্রতিনিধি মোঃ মেরাজ উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে শেরপুর প্রেসক্লাবের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি নির্বাচন করা হয়েছে।
এর আগে ক্লাবের বিপুল সংখ্যক সদস্যসহ জেলার প্রায় পৌনে দুইশ সাংবাদিকের উপস্থিতিতে ইতিপূর্বে সম্পূর্ন অনিয়মতান্ত্রিকভাবে গঠিত শেরপুর প্রেসক্লাবের কমিটি ক্লাবের স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম ও ব্যর্থতার অভিযোগে ক্লাবের সদস্যদের দাবীর মুখে শেরপুর প্রেসক্লাবের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়। এতে ক্লাবের দুই তৃতীয়াংশ সদস্য সর্বসম্মত সমর্থন প্রদান করেন।
এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে শেরপুরের প্রবীন সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযুদ্ধা আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় ভার্চুয়ালী যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন সংসদ উপ নেতা ও শেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেরপুর-১ সদর আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ছানুয়ার হোসেন, শেরপুর-৩ আসনের এমপি এডিএম শহিদুল ইসলাম, শেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ রফিকুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুন্নাহার কামাল, জেলা জাসদের সভাপতি শেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, শেরপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবিহা জামান শাপলা, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বায়েযীদ হাসানসহ আরো অনেকে।
এসময় বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। স্বাধীনভাবে খবর প্রচার করে আসছে। আমরা শেরপুরের সাংবাদিকদের কল্যাণে সব ধরনের সহযোগিতা করবো। আমি নতুন নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানাই।’
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সদস্যরা উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করে। পরে সর্বসম্মতিক্রমে উপদেষ্টা পরিষদের কাছে দায়িত্ব অর্পন করা হয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করার জন্য। উপদেষ্টা পরিষদ সভাপতি হিসেবে বিটিভি ও দৈনিক সমকালের শেরপুর জেলা প্রতিনিধি দেবাশীষ ভট্রাচার্যকে সভাপতি ও ইনডিপেনডেন্ট টিভির স্টাফ রিপোর্টার মেরাজ উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তাব করলে তা সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত করা হয়।
মন্তব্য করুন
দেশের মূলধারার গণমাধ্যমে ২০২৩ সালে ছড়ানো ভুয়া খবর পরিসংখ্যানের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বুম বাংলাদেশ। প্রতিবেদনে প্রকাশিত খবরের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক ৪৪টি ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর খবর চিহ্নিত হয়েছে এবং গণমাধ্যমগুলো তাদের ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে রেটিংয়ের মুখে পড়েছে। আগের তিন বছরের তুলনায় এই সংখ্যা অনেক বেশি।