ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বৈষম্যের দায়ে পর্যাপ্ত অর্থ আসেনা জলবায়ু ফান্ডে

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ১৩ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করা সহজ বা সেখানে খরচের তেমন ব্যাপার কেউ বলছে না। জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক সম্মেলন কপ-২৭ যখন শুরু হয়েছে তখন এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, লক্ষ্য পূরণের জন্য শুধু উন্নয়নশীল দেশগুলোরই বছরে প্রয়োজন এক ট্রিলিয়ন ডলারের বিদেশি ফান্ডিং। এই ফান্ড প্রয়োজন কার্বন নিঃসরণ কমাতে, ভয়াবহ দুর্যোগ মোকাবিলায় ও প্রকৃতিকে আগের জায়গায় ফিরেয়ে নেওয়ার জন্য।

উন্নয়নকে উৎসাহিত করতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ নির্ভরতা থেকে সরে আসতে নভেম্বরে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়াকে অন্তত ১৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে।

যদিও বিশ্বের ধনী দেশগুলো সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমন করে থাকে, মূলত বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য তারাই দায়ী। কিন্তু এজন্য সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছে গরিব দেশগুলো। এখন পর্যন্ত যত কার্বন নিঃসরণ করা হয়েছে তার মাত্র ৩ শতাংশের জন্য দায়ী আফ্রিকা। কিন্ত মহাদেশটির পূর্বাঞ্চল বিগত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খরার কবলে পড়েছে। এতে একদিকে যেমন ফসল নষ্ট হচ্ছে অন্যদিকে হুমকির মুখে জীববৈচিত্র।

তাছাড়া অঞ্চলটির মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলে দেখা দিয়েছে বন্যা। এ বিষয় গুলোই কপ-২৭ জলবায়ু সম্মেলনের মূল আলোচনা। কারণ তাদের নিঃসরিত কার্বনের কারণে যে ক্ষতি হচ্ছে তার জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করছে উন্নয়নশীল দেশগুলো। জলবায়ুর সঙ্গে যুদ্ধ করতে আফ্রিকার দেশগুলোর বার্ষিক ২৭৭ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। কিন্তু ২০১৯ ও ২০২০ সালে ৩০ বিলিয়ন ডলারেরও কম ফান্ড পেয়েছে।

প্রয়োজনীয় জিনিসের অভাবে আফ্রিকার প্রায় সব অঞ্চলই অরক্ষিত। কিছু কিছু জায়গার অবস্থা খুবই খারাপ। বর্তমান ফান্ডিংয়ের ৬০ শতাংশ পাচ্ছে সেখানের মাত্র ১০টি দেশ। বাকি ৪০ শতাংশ ভাগ করে দেওয়া হয় ৪৫ দেশে। সবচেয়ে বেশি ফান্ডিং ঘাটতি আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে। এই অঞ্চলটির বছরে প্রয়োজন ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

এসব ফান্ডের অধিকাংশই আসে উন্নয়ন ব্যাংকগুলো থেকে। তবে এগুলো প্রায়ই অনুদান হিসেবে না এসে ঋণ আকারে আসে, যা অনেক সময়ই দুর্বল অর্থনীতির জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া আফ্রিকার জলবায়ু ফান্ডের মাত্র ১৪ শতাংশ আসে বেসরকারি বিনিয়োগ থেকে, যা অন্য যেকোনো অঞ্চলের চেয়ে অনেক কম। কারণ উত্তর আমেরিকায় এই হার ৯৬ শতাংশ।

পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ধনী দেশগুলোই সবচেয়ে বেশি বেসরকারি বিনিয়োগ পায়। অন্যদিকে রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল ও ঋণে আবদ্ধ আফ্রিকার দেশগুলো এক্ষেত্রে গুরুত্ব পায় না। আফ্রিকায় প্রত্যেক বছর জীবাশ্ম জ্বালানিতে বেসরকারি বিনিয়োগ পায় ২৯ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে ক্লিন এনার্জিতে পায় মাত্র ৯ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার।

বিশ্ব ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, জলবায়ু খাতে প্রতি ডলারের বিনোয়োগের বিপরীতে গড়ে চার ডলারের উপকার পাওয়া যায়। ৯ নভেম্বর জাতিসংঘ ৯০ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এসব প্রকল্পের ২০ শতাংশই আফ্রিকায়। যদিও এটা খুব ভালো শুরু তারপরও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।


জলবায়ু   জাতিসংঘ   অর্থনীতি   আফ্রিকা   প্রাকৃতিক দুর্যোগ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় নেই ঈদের আনন্দ, অশ্রুসিক্ত ফিলিস্তিনবাসী

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা, মুসলিম বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে এই দুটি ঈদ উদযাপন করা হয় উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দের মধ্য দিয়ে। কিন্তু যুদ্ধবিধ্বস্ত অবরুদ্ধ গাজায় ঈদের এই আনন্দ যেন প্রতিবারই ম্লান হয়ে যায়। সেখানে ঈদের দিনে হাসি-আনন্দের পরিবর্তে প্রতি মুহূর্তে ভর করে চাপা আতঙ্ক, প্রতিধ্বনিত হয় বেদনার সুর।

ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজার নুসেইরাত ক্যাম্পের বাসিন্দা ইসমাইল আলিয়ান। তাঁর বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনি বলেন, “আজকের দিনে পাঁচ মিলিয়নের বেশি মুসলিম আরাফাত পর্বতে দাঁড়িয়ে প্রার্থনা করছে। আর আমরা ফিলিস্তিনিরা নির্যাতিত, গণহত্যার শিকার। আমরা কীভাবে ঈদুল আজহা উদযাপন করবো? আমাদের জন্য এটি একটি দুর্দশাগ্রস্ত ঈদ, প্রতিনিয়ত এখানে মানুষ মারা যাচ্ছে।" 

ইসমাইল আলিয়ান তার ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির মধ্যে দাঁড়িয়ে আরো বলেন, “আমরা শান্তিতে থাকতে চাই। আমরা মর্যাদার সাথে বাঁচতে চাই। আমরা শিক্ষিত মানুষ, কিন্তু কেউ আমাদের কথা শুনছে না। কেউ আমাদের পরিস্থিতি নিয়ে ভাবছে না। আমরা এখানে দুর্বিষহ, ভয়াবহ অবস্থায় বাস করছি। আমরা প্রস্তরযুগে ফিরে যাচ্ছি। এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না। সব ফিলিস্তিনি হামাসের সদস্য বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সত্য নয়। তাদের সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা শান্তি এবং মর্যাদার সাথে বাঁচতে চাই।"

শিশুরা ঈদ উদযাপনের মূল কেন্দ্রবিন্দু, অথচ ফিলিস্তিনে এই কঠিন বাস্তবতায় সবচেয়ে ক্ষতির শিকার এই শিশুরাই। ঈদ আনন্দে জেগে ওঠার পরিবর্তে তাদের ঘুম ভাঙছে ড্রোন ও বিস্ফোরণের শব্দে। সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে বাস করার মানসিক ক্ষত কেড়ে নিয়েছে তাদের নিরুদ্বেগ শৈশবকে। ঘরবাড়ি ও পরিবারের সদস্যদের হারানোর ব্যাথা ঈদকে করে তুলেছে বেদনাদায়ক। স্মারক হয়ে উঠেছে কঠিন এক বাস্তবতার। 

আহত শিশু জামিল আবু ওদেহ ঈদের দিনে হাসপাতালে শুয়ে বলছে, "যুদ্ধ শুরুর পরপরই আমরা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাই। আমরা বেইত হনুন থেকে দেইর আল-বালাহতে চলে আসি। সেখানে আমরা একটি স্কুলে আশ্রয় নেই। পরে স্কুলটিতে হামলা হলে আমরা আহত হই। আগের ঈদগুলো অনেক সুন্দর ছিল, আমরা উদযাপন করেছিলাম এবং মাংস খেয়েছিলাম, আমরা তখন বেশ খুশি ছিলাম, কিন্তু এখনকার ঈদে কোন আনন্দ নেই। প্রতিনিয়ত আমরা আহত হচ্ছি, মারা যাচ্ছি। এটা কোনভাবেই ঈদ হতে পারেনা।" 

একসময় ঈদের আগে গাজার বাজারগুলোতে সাধারণত দেখা যেত মানুষের ভিড়, হট্টগোল, নতুন পোশাক ও খেলনার স্টল। কিন্তু এবারের ঈদে সেসব জায়গায় কেবলই ধ্বংসস্তূপ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুসের মতে, গাজার অনেক মানুষ প্রচন্ড ক্ষুধা এবং দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হচ্ছেন। অচিরেই পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কাও করেন তিনি। 

গাজাবাসীর জন্য ঈদ মানে বেদনা, হাজারো কষ্টের গল্প। পৃথিবীর বেশিরভাগ মুসলিম দেশ তাদের তাদের এ অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে অসহায় ফিলিস্তিনিদের ওপর থেকে।  তবুও গাজাবাসী স্বপ্ন দেখে একদিন সবাই তাদের বুঝবে, তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসবে। একদিন তারাও আনন্দ-উল্লাসে ঈদ উদযাপন করতে পারবে।

গাজা   ঈদ   ইসরায়েলি হামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ হারানোর পথে মিয়ানমার জান্তা

প্রকাশ: ০২:৩২ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুতে আরও ১০টি জান্তা ক্যাম্প দখল করেছে আরাকান আর্মি। জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীটির দাবি, শহরটিতে লড়াই চলাকালে একজন স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডারসহ প্রায় ২০০ জান্তা সেনা নিহত হয়েছেন। থাইল্যান্ড-ভিত্তিক বার্মিজ সংবাদমাধ্যম ইরাবতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

গত মাসে মংডুর উত্তরাঞ্চল দখলের পর সম্প্রতি দক্ষিণে সামরিক জান্তা ক্যাম্প এবং সীমান্তরক্ষী পুলিশ অবস্থানগুলোকে নিশানা করেছে আরাকান আর্মি।

মূলত, বুথিডাং শহর দখলের পর গত মে মাসের শেষের দিক থেকে মংডু শহরে বড় আকারে আক্রমণ শুরু করে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। দুটি শহরই বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে অবস্থিত। এসব এলাকায় মূলত রোহিঙ্গারা বসবাস করেন।

গত শুক্রবার (১৪ জুন) এক ঘোষণায় আরাকান আর্মি দাবি করেছে, তারা এ সপ্তাহে আরও চারটি জান্তা ক্যাম্প দখল করেছে, যার মধ্যে মাওয়ায়াদ্দি স্ট্র্যাটেজিক কমান্ড বেস এবং না খাউং টো ক্যাম্পও রয়েছে।

লড়াই চলাকালে তাদের হাতে জান্তা বাহিনীর মাওয়ায়াদ্দির স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডার কর্নেল তাইজার হতেসহ প্রায় ২০০ সেনা নিহত হয়েছেন।

গত বুধবার রাতে শহরটির প্রবেশপথে অবস্থিত সুপরিচিত জান্তা ক্যাম্প আহ লেল থান কিয়াও দখল করে আরাকান আর্মি। হামলার আগে সেখানে প্রায় ২০০ জন সেনা এবং সীমান্তরক্ষী কর্মী ছিলেন। তাদের অনেকে অন্যান্য ঘাঁটিতে পালিয়ে গেছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনী তাদের আহ লেল থান কিয়াউ ক্যাম্প এবং মাওয়ায়াদ্দি স্ট্র্যাটেজিক কমান্ড বেস উভয়কে রক্ষা করতে বিমান হামলা এবং কামানের গোলা ব্যবহার করেছিল বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে আরাকান আর্মি ছয়টি জান্তা ঘাঁটি দখল করে, যার মধ্যে মংডু-আগনুমাউ রোডের মিন্ট লুট গ্রামের কাছে বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন নং ৯ এবং ইন দিন গ্রামে বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন নং ৬-এর সদর দপ্তরও রয়েছে।

আরাকান আর্মি বলেছে, তারা আরও কয়েকজন জান্তা সেনাকে বন্দি করেছে এবং পালিয়ে যাওয়া সেনাদের খোঁজে সন্ধান অব্যাহত রেখেছে।

বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে ইরাবতির খবরে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার মংডু থেকে অন্তত ২৮ জন জান্তা সেনা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

এর আগে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের ১৩০ জনেরও বেশি নিরাপত্তাকর্মী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের গত রোববার ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ। তার পরেই নতুন করে এই অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটলো।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে শহর রয়েছে প্রায় ১৭টি। এর মধ্যে নয়টিরই নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে আরাকান আর্মি। গত বছরের নভেম্বর থেকে রাজ্যটিতে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে তীব্র লড়াই চলছে তাদের। পার্শ্ববর্তী চিন রাজ্যের পালেতওয়া শহরেরও নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে জাতিগত গোষ্ঠীটি।



রাখাইন   মিয়ানমার   জান্তা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মক্কায় হিটস্ট্রোকে ৬ হজযাত্রীর মৃত্যু

প্রকাশ: ০২:০৯ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

হজের সময় এই বছর মক্কার তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে বলে আগেই সতর্ক করেছিল সৌদি কর্তৃপক্ষ। গরম কমাতে নেওয়া হয়েছিল নানা রকম ব্যবস্থাও। তারপরও হিটস্ট্রোকে অন্তত হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৫ জুন) আরাফাতের ময়দানে জড়ো হওয়ার পর, এই হজযাত্রীদের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন খবর জানিয়েছে।

নিহত সবাই জর্ডানের নাগরিক। জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। এক বিবৃতি মন্ত্রণালয় বলেছে, মৃতদের দাফন প্রক্রিয়া এবং মৃতদেহ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে তারা জেদ্দার সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করছেন ।

লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’—লাখো কণ্ঠে মহান আল্লাহর প্রতি আনুগত্য প্রকাশের মধ্য দিয়ে শনিবার পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা পালিত হয়।

সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীর আরাফাত ময়দানে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে সমবেত হন। তাদের কণ্ঠে ছিল ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্‌দা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারিকা লাক’ (আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার)।

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লাখ লাখ মুসল্লি পাপমুক্তি ও আত্মশুদ্ধির আকুল বাসনা নিয়ে এবার পবিত্র হজ পালন করেছেন। তারা গতকাল সূর্যোদয়ের পর মিনা থেকে ট্রেনে, বাসে ও পায়ে হেঁটে রওনা হন আরাফাতের ময়দানের দিকে। তাদের কণ্ঠে ছিল একটাই রব, ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক।’

হজের খুতবা দেন খতিব শায়েখ ড. মাহের আল মুয়াইকিলি। বিশ্বের মুসলমানদের আল্লাহকে ভয় করে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে মুসলমানরা জীবনে কল্যাণ, আল্লাহর সন্তুষ্টি ও মৃত্যু–পরবর্তী জীবনে নিয়ামতপূর্ণ জান্নাত অর্জন এবং জাহান্নামের সব ধরনের শাস্তি থেকে মুক্তিলাভ করতে পারেন।

আরাফাতের ময়দানে সমবেত হয়ে হাজিরা কেউ পাহাড়ের কাছে, কেউ সুবিধাজনক জায়গায় বসে ইবাদত করেন। কেউ যান জাবালে রহমতের কাছে। আবার কেউ যান মসজিদে নামিরায় হজের খুতবা শুনতে।

মূলত ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে হজ পালন করা হয়। এ ময়দানে উপস্থিত হওয়া হজের অন্যতম ফরজ। পবিত্র হজ ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি। আর্থিকভাবে সমর্থ ও শারীরিকভাবে সক্ষম পুরুষ ও নারীর জন্য হজ ফরজ।

সৌদির পরিসংখ্যান বিষয়ক সাধারণ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ বছর ১৮ লাখ মানুষ সারা বিশ্ব থেকে হজ পালনে অংশ নিয়েছে।


হিটস্ট্রোক   হজযাত্রী   মক্কা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় ৫০ হাজার শিশুর জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন: জাতিসংঘ

প্রকাশ: ০১:৪৮ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

গাজা উপত্যকায় ৫০ হাজারের বেশি শিশুর তীব্র অপুষ্টিজনিত জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের ত্রাণ কর্ম সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)  শনিবার (১৫ জুন) এক বিবৃতিতে সংস্থাটি তথ্য জানায়। খবর আলজাজিরার।

বিবৃতিতে ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, মানবিক সহায়তা প্রবেশে অব্যাহত বিধিনিষেধের কারণে গাজার বাসিন্দারা তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি হচ্ছে। ফলে ইউএনআরডব্লিউএ দলগুলো বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মধ্যেও ত্রাণ নিয়ে এসব পরিবারের কাছে পৌঁছানোর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।

এছাড়া ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এল্ডার আলজাজিরাকে বলেছেন, জাতিসংঘের আবির্ভাবের পর যে কোনো যুদ্ধের চেয়ে এই যুদ্ধে বেশি ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছে।

এল্ডার বলেন, ‘বুধবার গাজায় ১০ হাজার শিশুর জন্য পুষ্টি চিকিৎসা সরবরাহভর্তি একটি ট্রাক নিয়ে যাওয়ার মিশন ছিল ইউনিসেফের। তাদের কাজ ছিল ত্রাণ দেয়া যা আগেই ইসরাইলি বাহিনীর কাছ থেকে অনুমোদন নেয়া ছিল।

তিনি বলেন, ‘ জন্য ১৩ ঘণ্টা সময় লেগেছে। আমরা তাদের আটটি চেকপয়েন্টে  ‘‘এটি একটি ট্রাক নাকি একটি ভ্যান’’- নিয়েই তর্ক করেছি।


গাজা   জাতিসংঘ   জরুরি চিকিৎসা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পশ্চিমবঙ্গে বাড়ছে তিস্তার পানি, শঙ্কায় নদী তীরবর্তী পরিবার

প্রকাশ: ১২:৪১ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের সিকিম রাজ্য থেকে নেমে আসা তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। ফলে উত্তর সিকিমে তিস্তায় পানি বেড়ে যাওয়ায় ধসের ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যে সিকিম রাজ্য সরকার নিচু এলাকার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে।

তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় জলপাইগুড়ির গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজের ১ হাজার ১০০ কিউসেক পানি গতকাল শনিবার ছাড়া হয়েছে। এই গজলডোবা থেকে তিস্তা নদী বাংলাদেশে গিয়ে পড়েছে।

গজলডোবা এলাকায় তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নদীর দুই পারের মানুষ। তাঁদের আশঙ্কা, সিকিম থেকে নেমে আসা তিস্তার পানিতে বন্যা দেখা দিতে পারে।

উত্তর সিকিমে বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় ধস নামায় ১ হাজার ২০০ পর্যটক আটকা পড়েছেন। এই পর্যটকদের সিংহভাগ পশ্চিমবঙ্গের। তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশের ১০ পর্যটকসহ থাইল্যান্ডের ২ জন এবং নেপালের ৩ পর্যটক রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধারে সেনা নামানো হয়েছে।

সড়ক ও পাহাড়ের অংশে ধস নামায় পর্যটকেরা আটকা পড়েছেন। পর্যটকদের উদ্ধারে সিকিম সরকার সেনা নামিয়ে নতুন করে বেইলি ব্রিজ তৈরি করে পর্যটকদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রবল বৃষ্টি হওয়ায় উত্তর সিকিমে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। কুয়াশার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। সিকিম সরকার ওই রাজ্যে আসা পর্যটকদের হোটেল বা যে যেখানে আছেন, সেখানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

সিকিমের পর্যটনসচিব সি এস রাও বলেন, আটকে পড়া বা হোটেলে অবস্থান করা কোনো পর্যটক যেন ঝুঁকি না নেন। তাঁদের জন্য মজুত রয়েছে প্রচুর খাবার। যদিও তিস্তা বাজার থেকে দার্জিলিংয়ে যাওয়ার পেশক রোড এখনো বন্ধ রয়েছে। এ রাস্তার পাশে বিপজ্জনকভাবে বইছে তিস্তা নদী।


পশ্চিমবঙ্গ   তিস্তার পানি   শঙ্কা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন